1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে আবারো আত্মঘাতী হামলা

১৮ ডিসেম্বর ২০০৯

পাকিস্তানে আবারো আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ আজ শুক্রবার এই বোমা হামলাটি করা হয় একটি মসজিদের মধ্যে৷ আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলাকারী সেই গাড়িটি চালিয়ে সোজা ঢুকে পড়ে মসজিদের মধ্যে৷

ফাইল ফটোছবি: AP

ঘটনায় মারা গেছে অন্তত ১১ জন৷ অপরদিকে, পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় মার্কিন ড্রোন বিমান হামলায় মারা গেছে অন্তত ৬ জঙ্গী৷

যে মসজিদে আত্মঘাতী গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে সেটি লোয়ার ডির জেলার টাইমিরগারা শহরের পুলিশ সদর দপ্তরের সন্নিকটে৷ তালেবান গোষ্ঠী এই বোমা হামলা চালিয়েছে বলেই বিশ্বাস পুলিশের৷ রাজধানী ইসলামাবাদের খুব কাছেই অবস্থিত এই জেলা৷ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সোয়াত অভিযানের সময় এই জেলাতেও অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল৷ লোয়ার ডির সোয়াতের পাশের একটি সীমান্ত জেলা৷

স্থানীয় পুলিশের সহকারী মহাপরিচালক ইদ্রিস খান বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, এটা একটা আত্মঘাতী বোমা হামলা৷ স্থানীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়, এই বোমা হামলার পর ঐ মসজিদ জ্বলছে৷ প্রথমে এই হামলায় ৯টি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল৷ কিন্তু খানিক বাদেই সেখানে আরও ২টি ঝলসে যাওয়া মৃতদেহের সন্ধান পান উদ্ধারকারী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা৷ বোমা হামলায় আহতদের মধ্যে ঊনত্রিশ জনের অবস্থা খুবই গুরুতর৷ পুলিশের আশংকা মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে৷ আহদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে৷ জানা গেছে, মসজিদে হামলার সময় সেখানে নামাজ পড়া অবস্থায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছে৷ কিন্তু কর্তৃপক্ষ জানায়নি এদের সংখ্যা কত৷

২০০৭ সালের জুলাই মাসের পর তালেবান গোষ্ঠীর বোমা হামলায় পাকিস্তানে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ২ হাজার ৭০০ মানুষ৷ তালেবান গোষ্ঠীর মূল টার্গেট হলো সাধারণ মানুষ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য৷ গত ৪ঠা ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডেতে আরেকটি মসজিদের জুম্মার নামাজের সময়ে হামলা করা হলে, সে সময় অন্তত ৪০ জন প্রাণ হারায়৷ অপরদিকে, মঙ্গলবার ডেরা গাজী খান জেলায় অপর এক হামলায় মারা যায় ২৭ জন৷

এদিকে, পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে মার্কিন ড্রোন বিমান থেকে পরিচালিত ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতে অন্তত ছয় জন জঙ্গী মারা গেছে বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা৷ এর একদিন আগেই অনুরূপ এক হামলায় প্রায় হারিয়েছে আরও ২৭ জঙ্গী৷

অন্যদিকে, বুধবার সুপ্রিম কোর্ট সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফের জারি করা একটি রাজক্ষমা অধ্যাদেশ বাতিল ঘোষণা করার ফলে দেশটির প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির ওপর পদত্যাগের চাপ ক্রমশই বাড়ছে বলেই জানা যাচ্ছে৷ নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগের পক্ষ থেকে জারদারিকে আহ্বান জানানো হয়েছে অবিলম্বে পদত্যাগ করার জন্য৷ তবে জারদারি জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি পদত্যাগ করছেন না৷

প্রতিবেদক: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ