1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা

৪ আগস্ট ২০১০

পাকিস্তানে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে৷ বন্যায় ভেসে গেছে আরও কয়েকশ বাড়ি৷ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫'শতে৷ দেশে খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷

মুলতানের কাছে বন্যায় তলিয়ে যাওয়া অঞ্চলছবি: AP

পাকিস্তানের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ায়, দেশটিতে খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷ একই সঙ্গে দেখা দিয়েছে মানবিক সঙ্কটের হুমকি৷ ৩২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জাতিসংঘ শিশু তহবিল এর আগেই জানিয়েছে৷ যার মধ্যে ১৪ লাখই শিশু৷ ত্রাণ কর্মসুচি জোরদার করার জন্যে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি তাঁর মন্ত্রীসভাকে নির্দেশ দিয়েছেন৷ গত সপ্তাহের রেকর্ড পরিমান বৃষ্টিপাতে কয়েকটি গ্রাম ভেসে গেছে৷ পাকিস্তানের সবচেয়ে দারিদ্র্যকবলিত ঐ অঞ্চলে ভূমিধসে ধ্বংস হয়ে গেছে কৃষি জমি৷ ঐ অঞ্চলে তালেবান এবং আলকায়েদার সঙ্গে জড়িত সহিংসতা আগেই সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে, আর এবারের এই ভয়াবহ বন্যা মানুষকে যেন স্থবির করে ফেলেছে৷ পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এরকম ভয়াবহ বন্যা ৮০ বছরের মধ্যে আর দেখা যায়নি৷

বন্যায় মৃত গবাদিপশুছবি: DW

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বন্যায় বিচ্ছিন্ন উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বন্যা কবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য পৌঁছানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন ডব্লিউএফপি-র কর্মীরা৷ জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কর্মকর্তা আমজাদ জামাল বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে অনাহারের মত পরিস্থিতি প্রতিরোধ করতে জনগনের কাছে জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা পৌঁছানো প্রয়োজন৷

বিনামূল্যে খাদ্য সংগ্রহে মানুষের ভীড়ছবি: AP

বন্যায় মজুদকৃত খাদ্যের শতকরা আট ভাগ ধ্বংস হয়ে গেছে৷ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে গবিদি পশুর৷ বাজার, রাস্তাঘাটসহ গোটা পরিকাঠামোকেই বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে এই ভয়াবহ বন্যা৷ ডাব্লিউএফপি বলেছে, জরুরি সাহায্য প্রয়োজন সেখানকার মানুষদের৷

এদিকে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পাকিস্তান নতুন করে বন্যা সতর্কতা জারি করেছে৷ অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে, আশ্রয় নিয়েছে মসজিদে৷ পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের তথ্যমন্ত্রী মিয়া ইফতিখার হুসেইন সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা ভয়াবহ রকম খাদ্য এবং ওষুধ সঙ্কটের মুখোমুখি৷ মানুষের খাবার এবং ওষুধ প্রয়োজন৷ সময়মত খাবার পৌঁছাতে না পারলে তারা প্রাণ হারাবে বলে আশঙ্কা করছি৷ জাতিসংঘ বলেছে, রোগ ছড়িয়ে পড়া রোধে বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন৷ বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সাতটি জেলার মধ্যে পাঞ্জাব এবং সিন্ধু প্রদেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল- ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ