উত্তরপশ্চিম পাকিস্তানে একটি থানায় বিস্ফোরকভর্তি ট্রাক নিয়ে হামলা আত্মঘাতী জঙ্গির। নিহত ২৩ জন।
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার ডেরা ইসমাইল খান শহরের একটি থানায় বিস্ফোরকভর্তি ট্রাক নিয়ে ঢুকে পড়ে এক জঙ্গি। তারপর সে বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর অন্য জঙ্গিরা গুলি চালাতে থাকে। পুলিশের সঙ্গে তাদের গুলির লড়াই হয়।
উদ্ধারকারী দলের সদস্য আয়াজ মেহমুদ বলেছেন, প্রচুর সেনা ও পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। অনেকের অবস্থা সংকটজনক।
পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডন জানিয়েছে, ২৩জন সেনা জওয়ান মারা গেচেন। ৩০ জন আহত হয়েছেন।
কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী আলোয়ারউল হক কাকার বলেছেন, এই কাপুরুষোচিত আক্রমণ করে নিরাপত্তা বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেয়া যাবে না।
পাকিস্তানে পোলিও টিকাকর্মীদের ওপর জঙ্গি হামলা
পাকিস্তানের কোয়েটা শহরের কাছে পোলিও টিকাকর্মীদের পাহারায় থাকা পুলিশের ওপর আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)৷ হামলায় চারজন নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে৷ ছবিঘরে বিস্তারিত....
ছবি: Arshad Butt/AP/picture alliance
ঘোষণা দিয়ে হামলা?
গত ২৮ নভেম্বর এক বিবৃতিতে টিটিপি’র এক মুখপাত্র জানান, সরকারের সঙ্গে যে ‘যুদ্ধবিরতি’র সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তা আর মানা হবে না৷
ছবি: Banaras Khan/AFP
দু’দিন পর...
বুধবার বালোচিস্তানের রাজধানী কোয়েটার একটু দূরে এক জায়গায় পোলিও টিকা দিতে যাচ্ছিলেন টিকাকর্মীরা৷ পুলিশ প্রহরায় যাচ্ছিলেন তারা৷ হঠাৎ একটি গাড়ি এসে পুলিশের গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে৷ তারপরই প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা৷
ছবি: Banaras Khan/AFP
হামলার দায় স্বীকার
এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সও বিবৃতির কপি পেয়েছে৷
ছবি: Banaras Khan/AFP
নারী-শিশুও নিহত
কোয়েটার পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল হক জানান, হামলায় দু’জন পুরুষ, একজন নারী ও একজন শিশু নিহত হয়েছে৷ নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য৷ আহতদের মধ্যেও ১৫ জন পুলিশকর্মী৷
ছবি: Arshad Butt/AP/picture alliance
১০ জঙ্গি নিহত
২৮ নভেম্বর টিটিপি ‘যুদ্ধবিরতি’র অবসানের ঘোষণা দেয়ার পরের দিনই সেনা অভিযানে ১০ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়৷ তবে নিহতরা টিটিপির, নাকি বালোচ ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ গ্রুপের সদস্য সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি৷ ওপরের ছবিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ (ফাইল ফটো)৷
ছবি: Muhammed Semih Ugurlu/AA/picture-alliance
কেন এই হামলা?
পাকিস্তানে অতীতেও অনেকবার পোলিও টিকাকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে৷ উগ্র ইসলামি সংগঠনগুলো মনে করে টিকা দেয়ার নামে পশ্চিমা দেশগুলো তাদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করে৷ এছাড়া টিকা দিয়ে মুসলমানদের সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়া হয় বলেও প্রচার চালায় তারা৷
ছবি: NASEER AHMED/REUTERS
6 ছবি1 | 6
দায় স্বীকার তেহরিক-ই-জিহাদের
এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-জিহাদ। পাকিস্তানের এই অঞ্চলে পাকিস্তানি তালেবানদের প্রভাব রয়েছে। তাদের গোষ্ঠীর নাম তেহরিক-ই-তালেবান বা টিটিপি। এই নতুন গোষ্ঠী টিটিপি-রই শাখা বলে মনে করা হচ্ছে।
সেনা-সহ পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী এই অ়ঞ্চলে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। তারা ওই থানাতেই ছিলেন।
২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাকিস্তানের এই সীমান্ত অ়ঞ্চলে সহিংসতা অনেকটাই বেড়ে গেছে।
জানুয়ারিতে পেশোয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমারুর হামলায় ১০১ জন মারা গেছিলেন।