1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজপাকিস্তান

পাকিস্তানে নতুন সামরিক অভিযান কি জঙ্গিবাদ রুখতে পারবে?

২ জুলাই ২০২৪

সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে নতুন সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান৷ তবে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এরফলে প্রতিবেশি রাষ্ট্র আফগানিস্তান শাসন করা তালেবানের সঙ্গে দেশটির উত্তেজনা বাড়তে পারে৷

গত বছর পেশাওয়ারের একটি মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী
জঙ্গিবাদ রুখতে এবং সশস্ত্র সংঘাত নিয়ন্ত্রণে এক নতুন সামরিক অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তানছবি: Muhammad Sajjad/AP Photo/picture alliance

জঙ্গিবাদ রুখতে এবং সশস্ত্র সংঘাত নিয়ন্ত্রণে এক নতুন সামরিক অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তান৷

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সরকার ‘আযম-ই-ইসতেহকাম' নামের একটি অভিযান শুরু করেছে৷ উর্দু এই শব্দের অর্থ হচ্ছে স্থিতিশীলতা৷

গত দুই বছরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সহিংস হামলার ঘটনা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে৷

এসব হামলায় চলতি বছর অন্তত ৬২ সেনা প্রাণ হারিয়েছেন৷ সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা গোয়েন্দা সূত্র নির্ভর ১৩ হাজারের বেশি অভিযান চালিয়ে ২৪৯ ব্যক্তিকে হত্যা এবং ৩৯৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে৷ নিহতরা ‘সন্ত্রাসী' বলে দাবি করেছে সামরিক বাহিনী৷   

এসব হামলার অধিকাংশের দায় স্বীকার করেছে তাহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)৷ একাধিক উগ্র ইসলামপন্থি গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত এই গোষ্ঠীটি পাকিস্তানে সরকার উৎখাত করতে চায়৷ টিটিপি ইসলামের সবচেয়ে কট্টর ব্যাখ্যার প্রয়োগ ঘটিয়ে পাকিস্তান শাসন করতে চায়৷      

আদর্শগত দিক থেকে গোষ্ঠীটির সঙ্গে আফগান তালেবানের মিল রয়েছে৷ ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুর্নদখল করে নেয় তালেবান৷

ইসলামাবাদ তারপর থেকে বারবার অভিযোগ করে আসছে যে পাকিস্তানে সক্রিয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিচ্ছে আফগানিস্তান৷ আফগান তালেবান অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷

পাহাড়ি প্রদেশ খাইবার পাখতুনখা উগ্র ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলোর নিরাপদ আস্তানা হিসেবে পরিচিত৷ সেখানে টিটিপি এবং সেটির স্থানীয় সংগঠন ‘ইসলামিক স্টেট' সক্রিয় রয়েছে৷

নতুন পরিকল্পনায় পাকিস্তানের অভ্যন্তরের পাশাপাশি সীমান্তের ওপারে আফগানিস্তানেও জঙ্গি নিধন অভিযান চালানোর কথা বলছে ইসলামাবাদ৷ দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই৷''

এক ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এই বিষয়ে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে পদক্ষেপ নেয়া হবে৷ রাষ্ট্রবিরোধী নৈরাজ্যবাদী এবং ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে তা তারা যে সম্প্রদায় বা ধর্মেরই হোক না কেন৷''

কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, নতুন এই অভিযানের কারণে ইসলামাবাদের সঙ্গে কাবুল শাসন করা তালেবানের মধ্যে উত্তেজনা আরো বাড়তে পারে৷

ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের মাদিহা আফজাল বলেন, ‘‘নতুন সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এমন এক সময়ে পরিচালনা করা হচ্ছে যা অন্য আরো কারণের প্রতিফলন মনে হচ্ছে৷ পাকিস্তান টিটিপির সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে সব বিকল্প চেষ্টা করে ফেলেছে এবং এখন আফগান তালেবানকে টিটিপির উপর চাপ দিতে বলছে৷''

তিনি মনে করেন যে টিটিপির সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা এবং গোষ্ঠীটির উপর চাপ প্রয়োগে কাজ হয়নি৷

গত মার্চে পাকিস্তান আফগানিস্তানে অবস্থান করা পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর আস্তানায় বিমান হামলা চালিয়েছিল৷ দেশটি সাধারণত এধরনের হামলা চালায় না৷

সেই হামলায় আট ব্যক্তি প্রাণ হারান এবং আফগান বাহিনী সীমান্তে পাকিস্তানের দিকে গুলি ছোঁড়ে৷

পাকিস্তানে সবাই অবশ্য সামরিক অভিযানের পক্ষে নন৷ দেশটির কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত সপ্তাহে জানিয়েছেন যে তিনি উত্তরপশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে সামরিক অভিযান চালানোর বিপক্ষে৷

তিনি তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে এই অভিযানের বিপক্ষে অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন৷

পিটিআই বর্তমানে প্রাদেশিক পর্যায়ে খাইবার পাখতুনখা শাসন করছে৷

প্রতিবেদন: হারুন জানজুয়া/এআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ