1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে ন্যাটোর তেলবাহী ট্যাঙ্কার জ্বালিয়ে দিয়েছে জঙ্গিরা

১ অক্টোবর ২০১০

পাক-আফগান সীমান্তে জঙ্গি ধাওয়া করা ন্যাটো’র হেলিকপ্টার আক্রমণে দূঘর্টনাবশত ৩ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই শুক্রবার সন্দেহভাজন জঙ্গিরা আফগানিস্তানমুখি ন্যাটো বাহিনীর তেলবাহী ট্যাঙ্কার জ্বালিয়ে দিয়েছে৷

ছবি: AP

এদিকে জানা গেছে, ন্যাটোর এই গোলাবর্ষণে তার দেশের সৈন্য নিহত হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে যৌথবাহিনীর রসদ পরিবহনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান৷

এই বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিম অংশের কুররাম প্রদেশের আফগান সীমান্তবর্তী অংশে জঙ্গিদের উদ্দেশ্যে ন্যাটো বাহিনীর গোলাবষর্ণের কারণে তিন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত এবং আরো ৩ সৈন্য আহত হয়৷ এই নিয়ে এক সপ্তাহে ন্যাটো বাহিনী তৃতীয়বারের মতো এধরণের ঘটনা ঘটালো৷ পাকিস্তানের বেলজিয়ামস্থ রাষ্ট্রদূত ইতোমধ্যেই ন্যাটোর ঊর্ধ্বতন মহলে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি সংসদে রাখা এক বক্তব্যে জানিয়েছেন, ‘ইসলামি জঙ্গিদের মূলোৎপাটনের এই যুদ্ধে পাকিস্তান অবশ্যই সহযোদ্ধা, কিন্তু তা অবশ্যই নিজের দেশের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে নয়৷'

এই শুক্রবার আফগানিস্তানমুখি ন্যাটো বাহিনীর জন্য জ্বালানি তেল বহনকারী দুই ডজন ট্যাঙ্কার জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনার পর পরই পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানা গেছে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফগানিস্তান প্রশ্নে পাক-মার্কিন সম্পর্কের জটিলতা আগে থেকেই রয়েছে৷ আর এবারের এই রাস্তা বন্ধ করার বিষয়টি সম্ভবত নতুন করে এই সম্পর্কে আরো তিক্ততা বাড়াবে৷ এদিকে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ন্যাটো বাহিনীর রসদ যোগানের পথটি বন্ধ করার প্রেক্ষিতে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে আশঙ্কাই প্রকাশ করেছেন৷

ন্যাটোর দুই ডজন ট্যাঙ্কার পোড়ানোর ঘটনা সম্পর্কে পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জঙ্গিদেরই দোষারোপ করেছেন৷ তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের শিকারপুরে এই সহিংস ঘটনাটি জঙ্গিদেরই কাজ৷ জানা গেছে, ১২ জন মুখোশ পরিহিত জঙ্গী গুলি ছুঁড়ে চালকদের ভয় দেখায়৷ পরে চালকরা পালিয়ে গেলে ন্যাটোর এই দুই ডজন চালকবিহীন তেলবাহী গাড়িতে তারা অগ্নিসংযোগ করে৷ অবশ্য কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেই জানা গেছে৷ এঘটনার পরে শিকারপুর পুলিশ একটি মাদ্রাসা থেকে সন্দেহভাজন ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে৷

উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের ন্যাটো বাহিনীর প্রয়োজনীয় রসদের প্রায় তিনভাগের একভাগ রসদ পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে পরিবহন করা হয়৷ ন্যাটোর এই রসদ পাকিস্তানের দুইটি সীমান্ত দিয়েই সাধারণত আফগানিস্তানে নেয়া হয়ে থাকে৷ একটি হচ্ছে বেলুচিস্তানের কোয়েটা প্রদেশের উত্তরাংশের চমন৷ আর অন্য সীমান্তটি খাইবার পাসের টর্কহাম৷

প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ