শিক্ষাব্যবস্থা একমুখি করার উদ্যোগ নিয়েছে ইমরান খানের সরকার৷ তবে সমালোচকরা এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়ে বলছেন, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এ পদক্ষেপে শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷
বিজ্ঞাপন
১৯৪৭ সালে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের কয়েক বছর পর থেকেই পাকিস্তানে শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলাম ধর্মকে বেশি গুরুত্ব দেয়ার উদ্যোগ শুরু হয়৷ এই প্রবণতা ১৯৫০-এর দশকে কিছুটা বেড়ে ১৯৬০ থেকে ১৯৭০-এর দশকে ক্রমান্বয়ে আরো বাড়তে থাকলেও ১৯৮০-র দশকে সামরিক শাসক জিয়াউল হকের সময়ে তা ব্যাপকতা পায়৷ ১৯৮৮ সালে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত স্বৈরশাসক জিয়াউল হক পাঠক্রমের ‘ইসলামিকরণই' শুধু করেননি, বেশ কিছু ক্ষেত্রে ইসলামি আইন কার্যকর করেছেন, বিচারবিভাগে, সরকারি চাকুরিতে ইসলামপন্থিদের নিয়োগ দিয়েছেন, সারা দেশে ইসলাম শিক্ষার প্রতিষ্ঠানও গড়েছেন কয়েক হাজার৷
তবে শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়নের দাবিও বরাবরই উঠেছে দক্ষিণ এশিয়ার এই মুসলিম প্রধান দেশটিতে৷ বহুমুখি শিক্ষাব্যবস্থাকে একমুখি করার দাবিও উঠেছে বারবার৷
পাকিস্তানে হোটেলের পার্কিংয়ে গাড়ি-বোমা বিস্ফোরণ
পাকিস্তানের কোয়েটায় একটি হোটেলের পার্কিংয়ে ভয়ংকর গাড়ি-বোমা বিস্ফোরণ। মৃত চার। দায় স্বীকার তেহরিক-ই-তালেবানের।
ছবি: Stringer/REUTERS
শক্তিশালী গাড়ি-বোমা
পাকিস্তানে বালুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটায় লাক্সারি হোটেল সেরেনা। তার পার্কিং লটেই গাড়ি- বোমা বিস্ফোরণ। অনেক গাড়িতে আগুন লেগে যায়।
ছবি: Stringer/REUTERS
মৃত চার, আহত ১১
গাড়ি-বোমা বিস্ফোরণে চারজন মারা গেছেন। আহত ১১ জন। পুলিশ ও সাধারণ মানুষ মিলে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান।
ছবি: Stringer/REUTERS
দায় স্বীকার
চরমপন্থি গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান এর দায় স্বীকার করেছে। সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে পাঠানো বার্তায় তারা বলেছে, এটা আত্মঘাতী হামলা। গাড়ি ভর্তি করে বিস্ফোরক নিয়ে হামলাকারী আক্রমণ করেছে। অভিযোগ, এই গোষ্ঠীর সঙ্গে আল কায়দার যোগাযোগ আছে।
ছবি: Naseer Ahmed/REUTERS
লক্ষ্য কে
এই আক্রমণের লক্ষ্য কে বা কারা তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেছেন, তাদের কাছে পুরো তথ্য আসার পর সরকার বিবৃতি দেবে। চীনের রাষ্ট্রদূত নং রং প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেছিলেন। তার কনভয়কে লক্ষ্য করে আক্রমণ শানানো হয়েছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়। ইরানের কনসুলেটও হোটেলের কাছেই।
ছবি: Stringer/REUTERS
আইএস-ও সক্রিয়
বালুচিস্তানে তেহরিক-ই-তালেবান ছাড়াও আইএস-ও সক্রিয়। দীর্ঘদিন ধরে এখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ হচ্ছে।
ছবি: Naseer Ahmed/REUTERS
5 ছবি1 | 5
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই ইনসাফ ২০১৮ সালে শিক্ষাব্যবস্থাকে একমুখি করার অঙ্গীকার করে৷ আশা করা হয়েছিল, এর মাধ্যমে পাঠ্যসূচিতে বিজ্ঞান, সাহিত্য, শিল্পকলার মতো চলতি বিশ্বের জন্য অধিকতর প্রযোজ্য বিষয়গুলোর গুরুত্ব বাড়বে৷ কিন্তু ২০১৯ সালে ইমরান খান সরকার যে পরিকল্পনা ঘোষণা করে, তাতে ধরা পড়ে উল্টোচিত্র৷ দেখা যায়, পাশ্চাত্যের শিক্ষায় শিক্ষিত সাবেক ক্রিকেটার ও ‘প্লেবয়' ইমরান খান পাঠক্রমে ধর্মের প্রভাব আরো বাড়ানোর পথেই হাঁটছেন৷ করোনা সংকটের কারণে এতদিন নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষাব্যবস্থাকে ‘একমুখি' করার কাজ দৃশ্যত শুরু হয়নি৷
তবে অচিরেই সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বই ছাপার কাজ শেষ৷ সেখানে ইংরেজি, উর্দু, সামাজিক শিক্ষাসহ সব বিষয়েই ইসলামিকরণের জোর প্রয়াস দেখতে পাচ্ছেন শিক্ষাবিদরা৷
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের দাবি, দক্ষিণপন্থি নেতা গ্রেপ্তার, উত্তাল পাকিস্তান
পাকিস্তানে টিএলপি নেতা সাদ রিজভিকে গ্রেপ্তার করার পরই বিভিন্ন শহরে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়।
ছবি: Muhammad Javed/AA/picture alliance
কেন গ্রেপ্তার রিজভি
পাকিস্তানের দক্ষিণপন্থি টিএলপি নেতার দাবি হলো, শার্লি এব্দোতে মহানবি(সাঃ)-র কার্টুন প্রকাশ করার জন্য ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে পাকিস্তান থেকে বহিষ্কার করতে হবে। তার আরো দাবি, পাকিস্তান সরকার তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, ২০ এপ্রিলের মধ্যে রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা হবে। এই দাবি নিয়ে সোচ্চার হতেই রিজভিকে গ্রেপ্তার করে সরকার। তারই প্রতিবাদে বিক্ষোভ।
ছবি: K.M. Chaudary/AP/picture alliance
একাধিক শহরে বিক্ষোভ
রিজভির গ্রেপ্তারের পর লাহোর, করাচি, ইসলামাবাদে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তার দলের কর্মী-সমর্থকরা। উপরের ছবিটি লাহোরের।
ছবি: Muhammad Javed/AA/picture alliance
প্রবল প্রতিবাদ
রিজভির সমর্থকদের দেখা যায়, লাঠি হাতে তারা রাস্তায় নেমে পড়েছেন। অনেক জায়গায় তারা রাস্তা অবরোধ করেন।
ছবি: K.M. Chaudary/AP/picture alliance
পুলিশের সঙ্গে লড়াই
তারপর শুরু হয় টিএলপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে।
ছবি: Muhammad Javed/AA/picture alliance
যুদ্ধক্ষেত্র
লাহোরের রাস্তার ছবি। দেখে মনে হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র।
ছবি: Muhammad Javed/AA/picture alliance
টিএলপি-র দাবি
টিএলপি-র সমর্থকদের দাবি, পাকিস্তানে ধর্মনিন্দা আইনত অপরাধ। শার্লি এব্দো মহানবি(সাঃ) কার্টুন ছাপিয়ে অপরাধ করেছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এনিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তাই ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যাবে না। তাদের নেতাকে মুক্তি দিতে হবে।
ছবি: Muhammad Javed/AA/picture alliance
বিক্ষোভ চলবে
টিএলপি জানিয়েছে, ২০ এপ্রিলের মধ্যে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার না করলে বিক্ষোভ চলবে। সরকার বলছে, তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ২০ এপ্রিলের মধ্যে পার্লামেন্টে আলোচনা হবে। সরকারের কথা মানতে রাজি নয় টিএলপি।
ছবি: Muhammad Javed/AA/picture alliance
7 ছবি1 | 7
জানা গেছে, প্রথম ধাপে প্রাথমিক শিক্ষায় মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কোরান পুরোপুরি পাঠ করা বাধ্যতামূলক করা হবে৷ সঙ্গে নামাজ পড়া এবং বেশ কিছু হাদিস মুখস্থ করানোরও উদ্যোগ নেয়া হবে৷ এসব পরিকল্পনা কার্যকর করতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তত দু'জন সনদপ্রাপ্ত হাফিজকে নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের৷
ইসলামাবাদভিত্তিক শিক্ষাবিদ আব্দুল হামিদ নায়ার মনে করেন, ইমরান খান সরকারের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো ইসলামিকরণের এ উদ্যোগ সমাজে জাতিগত বিভেদ আরো বাড়াবে এবং এখনো বিদ্যমান জাতিগত বৈচিত্র্য আরো কমাবে৷
ইসলামাবাদের নিউক্লিয়ার ফিজিসিস্ট পারভেজ হুদভয় বর্তমান সরকারের এ উদ্যোগকে ‘অভূতপূর্ব' হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, এটা আসলে জেনারেল জিয়াউল হকের সময়কার ইসলামিকরণের প্রয়াসকেও ছাড়িয়ে যাবে৷
লাহোরের মানবাধিকার কর্মী পিটার জ্যাকব বলেন, ইমরান খান সরকার পাঠক্রমে শতকরা অন্তত ৩০ ভাগ ইসলামি ‘কন্টেন্ট' রাখার উদ্যোগ নিয়েছে৷ সরকারের এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে অনেকে এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলেও ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন তিনি৷
নারী দিবসে পাকিস্তানে মেয়েদের প্রতিবাদ
কট্টরপন্থিদের উপেক্ষা করে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে পথে নেমে মিছিল করলেন নারীরা। নাচলেন। প্রতিবাদ করলেন পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে।
ছবি: picture alliance / ASSOCIATED PRESS
সমানাধিকারের দাবিতে
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ইসলামাবাদ, লাহোর, করাচিতে পথে নেমেছিলেন নারীরা। তারা মিছিল করলেন। পুরুষদের সমান অধিকার দাবি করলেন।
ছবি: Abdul Sattar/DW
মুখে মাস্ক, দূরত্বও
আয়োজকরা আগে থেকে বলে দিয়েছিলেন, করোনা বিধি মেনে মিছিল হবে। তাই হলো। মুখে মাস্ক পরে, যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রেখে মিছিল করেছেন নারীরা।
ছবি: Abdul Sattar/DW
পোস্টারে প্রতিবাদী সুর
নারীদের এই মিছিলে অনেকের হাতেই ধরা ছিল পোস্টার। তাতে নানা ধরনের স্লোগান। পিতৃতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে, সমানাধিকারের দাবিতে।
ছবি: Abdul Sattar/DW
নাচের ছন্দে
ইসলামাবাদের ছবি। নারী দিবসের মিছিলে মেয়েরা নাচছেন। প্রতিবাদের এও এক ভাষা।
ছবি: picture alliance / ASSOCIATED PRESS
কট্টরপন্থিদের বিরোধ
২০২০ সালের নারী দিবসে মেয়েদের মিছিল আক্রান্ত হয়েছিল। মিছিলে পাথর ছোড়া হয়, লাঠি দিয়ে মারা হয়। অভিযোগ, কট্টরপন্থিরা এই আক্রমণ করে। এবারও কট্টরপন্থিরা নারীদের মিছিলের বিরোধিতা করছিলেন। উপরের ছবিতে ২০২০ সালে ইসলামাবাদের মিছিলে নারী পুলিশ।
ছবি: Getty Images/AFP/R. Tabassum
বিরোধ উপেক্ষা করে
কট্টরপন্থিদের বিরোধ উপেক্ষা করে পথে নেমেছিলেন নারীরা। সঙ্গী ছিলেন কিছু পুরুষও।
ছবি: Abdul Sattar/DW
6 ছবি1 | 6
সরকার দলীয় সাংসদ মুহাম্মদ বশির খান অবশ্য মনে করেন, ‘‘আদর্শগতভাবে পাকিস্তান একটি ইসলামি রাষ্ট্র আর তাই এখানে ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, আমাদের সিলেবাসকে এখনো পুরোপুরি ‘ইসলামি' করা হয়নি৷ আমাদের পাঠক্রমের আরো ইসলামিকরণ প্রয়োজন৷''
‘বাংলাদেশেরকাছ থেকে শিক্ষা নিতে হবে'
পাকিস্তান সরকারের এ পদক্ষেপের সমালোচনায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গও উঠে এসেছে৷
অর্থনীতিতে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের রাজনীতিবিদদের মুখে বাংলাদেশের প্রশংসা অতীতে বেশ কয়েকবারই শোনা গেছে৷ এবার শিক্ষাব্যবস্থার বিষয়েও বাংলাদেশের প্রশংসা করলেন কিশোয়ার জেহরা৷ মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) দলের এ সংসদ সদস্য ইমরান খান সরকারের শিক্ষানীতির কঠোর সমালোচনা করে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতাকে উৎসাহিত করা হয়৷ আমাদের উচিত বাংলাদেশকে অনুসরণ করা৷'' কিশোয়ার জেহরার দল এমকিউএম ইমরান খান সরকারের জোটসঙ্গী৷
গাঁজা চাষে ভবিষ্যৎ দেখছে পাকিস্তান
২০২১ সালে শিল্পের জন্য বৃহদাকারে গাঁজা চাষের অনুমতি দেয়ার পরিকল্পনা করেছে পাকিস্তান সরকার৷
ছবি: NDR
গাঁজার বাজার
অনেকের কাছে মাদক হিসেবে পরিচিত হলেও চিকিৎসায় গাঁজা ব্যবহার হচ্ছে যুগ যুগ ধরে৷ ঔষধ শিল্পে কাঁচামাল হিসেবে রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা৷ বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল মার্কেট ইনসাইটের গবেষণা অনুযায়ী, ২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বে গাঁজার বৈধ বাজারের আকার ৫৯ হাজার কোটি ডলার ছাড়াবে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Medina
জাতিসংঘে ভোটাভুটি
সম্প্রতি সদস্য দেশগুলোর এক ভোটাভুটির মাধ্যম গাঁজাকে কঠিন মাদকের তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘ৷ চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় গাঁজার প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেই নেয়া হয় এই সিদ্ধান্ত৷ এর আগে ২০১৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) এই বিষয়ে জাতিসংঘকে সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিল৷
ছবি: Nature Picture Library/imago images
পাকিস্তানের পরিকল্পনা
গত কয়েক বছর ধরেই ভালো যাচ্ছে না পাকিস্তানের অর্থনীতি৷ দেশটির কৃষি শিল্প পড়তির দিকে৷ রপ্তানির ৬৪ ভাগ যেই তুলা থেকে আসে ২০১৯ সালে তার উৎপাদন ২০ ভাগ কমেছে৷ এ কারণে লোকসানে পড়ছেন কৃষকরা৷ সেই জায়গায় গাঁজা চাষ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছে দেশটির সরকার৷
ছবি: Imago Images/All Canada Photos
শতকোটি ডলারের হাতছানি
শিল্পে ব্যবহারের জন্য গাঁজা চাষের অনুমতি দেবে পাকিস্তান৷ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এমন ঘোষণা এসেছে সরকারের তরফ থেকে৷ দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের একটি অংশ ধরতে পারলে তিন বছরে এই খাত থেকে পাকিস্তানের আয় দাঁড়াবে ১০০ কোটি ডলার৷ যেখানে গোটা আন্তর্জাতিক বাজারের আকার এখন ২৫ হাজার কোটি ডলার৷
ছবি: picture-alliance/Zuma/J. Marshall Mantel
পরিবেশ-বান্ধব ও সহজ চাষ
পাকিস্তানে বসবাসরত জার্মান পরিবেশবিদ হেলগা আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, গাঁজা এমনকি খারাপ আবহাওয়াতেও সহজে চাষ করা সম্ভব৷ ‘‘এর উৎপাদনে কোনো কীটনাশকের প্রয়োজন নেই, যার কারণে এটি পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ৷ এমনকি অল্প জমিতেও এটি যথেষ্ট জন্মে এবং তুলার চাষের চেয়ে কম পানির প্রয়োজন হয়৷
ছবি: Richard Vogel/AP/picture alliance
গাঁজা-সংস্কৃতি
অ্যালকোহলের বিষয়ে রক্ষণশীল হলেও পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্যানাবিস বা গাঁজা উন্মুক্তভাবেই চাষ এবং বেঁচাকেনা হয়ে আসছে৷ বিশেষ করে আফগানিস্তানের কাছে সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠী অনেক আগে থেকেই গাঁজা চাষ করছে৷ সেসব ঔষধ শিল্পের কাঁচামাল হিসেবেও কার্যকর৷