কয়েকজন রাজনীতিবিদের কথোপকথন ফাঁস হওয়া নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তানে৷ এসব আলাপ গোপনে রেকর্ড করে অনলাইনে ছেড়ে দেয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে৷
বিজ্ঞাপন
বলা হচ্ছে, সরকার ও বিরোধীদলের রাজনীতিবিদদেব সম্মানহানির উদ্দেশেই এমনটা করা হয়েছে৷ কিন্তু কারা এসব কথোপকথন জনসম্মুখে প্রকাশ করছে এবং এতে কারা লাভবান হচ্ছে?
আলাপ ফাঁসের ঘটনা এমন সময় ঘটল যখন পাকিস্তানের রাজনীতি টালমাটাল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে৷ এর ফলে সরকার ও বিরোধীদল উভয়েরই ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে৷
এ ধরনের তৎপরতাকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ অভিহিত করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ কথোপকথন ফাঁস কিভাবে হচ্ছে তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন৷ সম্প্রতি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার সহযোগীদের মধ্যে আলাপের অডিও ফাঁসের প্রেক্ষিতে এই নির্দেশনা দেয়া হলো৷
ফাঁস হওয়া এসব অডিওতে ইমরান তার তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির নেত্রীবৃন্দদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার হাত বদলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কথিত চিঠি দেয়ার ব্যাপারটি কৌশলের সাথে সামলানোর পরামর্শ দেন৷ গত এপ্রিলে তার বিরুদ্ধে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়৷ সে সময় ইমারন দাবি করেন, তার কাছে একটি চিঠি আছে যা প্রমাণ করে যে ওয়াশিংটন তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে চাচ্ছে৷
তবে শুধু ইরমানের অডিও ফাঁস হয়েছে তা নয়৷ গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের অডিও ফাঁসের ঘটনাও ঘটে৷ এমন এক অডিওতে এক আত্মীয়কে বিদ্যুতের প্রকল্প দেয়ার বিষয়ে শাহবাজকে কথা বলতে শোনা যায়৷ আরেকটি অডিওতে শোনা যায় তার ভাগ্নে মারিয়াম নেওয়াজ তাকে পূর্বের সরকারের একটি প্রকল্প বাতিলের অনুরোধ করছেন৷
বিশ্লেষকরা বলছেন, অডিও ফাঁসের জন্য শাহবাজ ও ইমরান একে অপরকে দায়ী করলেও এর ফলে সরকার ও বিরোধীদল সমানভাবে তাদের সম্মান হারাচ্ছে৷
পাকিস্তানের জনগনের ধারনা, রাজনীতিবিদরা যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় আসার জন্য অনেক বেশি আগ্রহী৷ ‘অডিও স্ক্যান্ডালও' তাদের এই ধারণাকেই সমর্থন করে৷ এ ধরনের ঘটনার মধ্য দিয়ে রাজনীতিবিদরা যে দুর্নীতিগ্রস্থ, স্বার্থপর এবং অযোগ্য এমন দাবিকেই শক্তিশালী করে বলে বিশ্বাস করেন করাচিভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক তাওসিফ আহমেদ খান৷
তারকাদের গোপন ভিডিও ফাঁসের ১৬ ঘটনা
তারকাদের ছবি বা ভিডিও ফাঁসের ঘটনা মাঝেমাঝেই আলোড়ন সৃষ্টি করে৷ সাধারণত কোন হ্যাকার বা প্রতিহিংসার বশে কেউ সেগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়৷ ছবিঘরে থাকছে অস্ট্রেলিয়ার ‘হু’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এরকম ঘটনার শিকার ১৬ তারকার কথা৷
ছবি: picture-alliance/empics/Y. Mok
কিম কার্দেশিয়ান
সোশ্যাল মিডিয়া তারকা কিম কার্দেশিয়ানের সেক্স টেপ প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালে৷ ভিডিওটিতে তাঁর সঙ্গী ছিলেন তাঁর সাবেক ছেলেবন্ধু রেই জে৷ ভিভিড এন্টারটেইনমেন্ট সেই ভিডিও প্রকাশ করলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করেন কিম৷ ফলে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ পান তিনি৷
ছবি: Getty Images/D. Becker
প্যারিস হিল্টন
প্যারিস হিল্টনের সঙ্গে তাঁর ছেলেবন্ধু রিক সালেমানের যৌন মিলনের কিছু দৃশ্য নিয়ে ‘ওয়ান নাইট ইন প্যারিস’ নামে একটি পর্ন ফিল্ম মুক্তি পায় ২০০৪ সালে৷ হিল্টন দাবি করেছেন, তাঁর অনুমতি ছাড়াই ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছিল৷ এমনকি ভিডিও ধারণের সময়ও তিনি সেই বিষয়ে সচেতন ছিলেন না বলে জানিয়েছেন এই তারকা৷ বিষয়টি নিয়ে আদালতে গেলে চার লাখ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ পান তিনি৷
ছবি: picture-alliance/Mary Evans Picture Library
পামেলা এন্ডারসন
হানিমুনে গিয়ে স্বামী টমি লিয়ের সঙ্গে শখের বশে একটি সেক্স টেপ তৈরি করেছিলেন বেওয়াচ তারকা পামেলা এন্ডারসন৷ কিন্তু পরবর্তীতে কেউ একজন তাঁর বাড়ি থেকে সেই ভিডিও চুরি করেন এবং ‘ইন্টারনেট এন্টারটেইনমেন্ট গ্রুপের’ কাছে বিক্রি করে দেন৷ এই তারকার আরো একটি একই ধরনের ভিডিও ইন্টারনেটে ফাঁস হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Bruna
ফারাহ আব্রাহাম
যখন জানাজানি হয় যে ফারাহ আব্রাহাম এবং জেমস ডিনের একটি সেক্স টেপ আছে তখন বাধ্য হয়েই সেটি প্রকাশে সম্মতি দেন তিনি৷ আব্রাহাম জানিয়েছেন ভিডিও প্রকাশের ফলে তাঁর ক্যারিয়ারে তেমন কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি৷ তবে ডিন সেটির কথা মানুষকে জানিয়ে বিশ্বাসভঙ্গ করেছিলেন বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/M. Winkelmeyer
কেট রিচি
২০০০ সালে গুজব ছড়িয়েছিল যে কেট রিচির সঙ্গে তাঁর এক সাবেক ছেলেবন্ধুর একটি সেক্স ভিডিও রয়েছে৷ তবে, সেই খবর কখনো নিশ্চিত করেননি কিংবা প্রকাশ্যে সেই বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি এই সোপ অপেরা তারকা৷ ইন্টারনেটে তাঁর নাম সার্চ করলে অবশ্য ভিডিওটির স্ক্রিনশট এখনো দেখা যায়৷
ছবি: Getty Images/L. M. Williams
ব্লাক সায়না
প্রাক্তন এক ছেলেবন্ধু তাঁকে না জানিয়েই তাদের এক অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ভিডিও করেছিলেন৷ পরবর্তীতে সেই ঘটনাকে ‘অপমানকর’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ব্লাক সায়না৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Weiss
জেনিফার লরেন্স
২০১৪ সালে একশোর বেশি তারকার আইক্লাউড একাউন্ট হ্যাকড হয়েছিল৷ তাদের একজন জেনিফার লরেন্স৷ তাঁর নগ্ন ছবি ফাঁস হয় তখন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Close
ম্যাল বি
প্রাক্তন স্বামী স্টেফেন বেলাফন্টের এক কুকীর্তির কথা জেনে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন মেল বি৷ তিনি নাকি তাঁকে না জানিয়েই তাদের যৌন জীবনের ৬০টি ভিডিও তৈরি করেছিলেন৷ সেসব ভিডিও যাতে ফাঁস না হয় সেজন্য স্বামীর বিরুদ্ধে আনা গৃহ নির্যাতনের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন সাবেক এই স্পাইস গার্ল৷
ছবি: AFP/Getty Images/A. Pizzoli
বেলা থর্নে
এক হ্যাকার বেলা থর্নের নগ্ন ছবি ফাঁসের হুমকি দিয়েছিলেন৷ সেই হুমকিতে ভয় না পেয়ে নিজেই সেসব ছবি প্রকাশ করেন বেলা৷ অনেকে তাঁর এই উদ্যোগকে এ ধরনের পরিস্থিতিতে সাহসী সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন৷ তবে, হুপি গোল্ডবার্গ এমন ছবি তোলাই উচিত নয় বলে বেলা থর্নের সমালোচনা করেছেন৷
ছবি: AFP/Getty Images/A. Pizzoli
রব লো
১৬ বছর বয়সি এক মেয়ের সঙ্গে যৌন মিলনের ভিডিও টেপ প্রকাশের পর ভালোই বিপাকে পড়েছিলেন রব লো৷ ১৯৮৮ সালের ঘটনা সেটা৷ তখন তাঁর বয়স ছিল ২৪ বছর৷ জর্জিয়ায় সেই ভিডিওটি করা হয়েছিল৷ সেখানকার আইনে একটি মেয়ে ১৪ বছর বয়সেই যৌন সঙ্গমে সম্মতি দিতে পারতো৷ কিন্তু, কোন ভিডিওতে নিজের উপস্থিতির সম্মতি দেয়ার বয়স ছিল ১৮৷ সেই ঘটনা রবের ক্যারিয়ারের মারাত্মক ক্ষতি করেছিল৷
ছবি: AFP/Getty Images/V. Hache
আম্বার রোস
আম্বার রোসের আসলেই কোন সেক্স টেপ আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ তবে, অসংখ্য ভিডিও ইন্টারনেটে রয়েছে যেগুলোতে তাঁকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় অন্য কারো সঙ্গে দেখা গেছে৷ নগ্ন ছবি প্রকাশেরক্ষেত্রে তিনি অবশ্য বেশ উদার হিসেবেই পরিচিত৷
ছবি: Getty Images/F. Harrison
জেনিফার লোপেজ
জেনিফার লোপেজের প্রাক্তন স্বামী ওজানি নোয়া ২০০০ সালের দিকে তাদের একটি সেক্স ভিডিও ফাঁস করে স্ত্রীর উপর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু লোপেজ তাঁর প্রাক্তন স্বামীকে এই কাজ করা থেকে রুখতে সক্ষম হয়েছিলেন৷ তাসত্ত্বেও কয়েকটি ওয়েবসাইট দাবি করেছে তাদের কাছে সেই ভিডিওর কপি রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Lane
নিকোল শেরজিঞ্জার
নিকোল শেরজিঞ্জার এবং তাঁর প্রাক্তন ছেলেবন্ধু লুইস হ্যামিল্টনের ফাঁস হওয়া ভিডিওটিতে দু’জনের আলিঙ্গন ও চুম্বন দৃশ্য ছাড়া আর কিছু ছিল না৷ তাসত্ত্বেও সেই ভিডিও প্রকাশের পর বেজায় ক্ষেপেছিলেন নিকোল৷ তিনি সেই ঘটনাকে ‘যৌন সহিংসতা’ আখ্যা দিয়ে তাঁর ব্যক্তি গোপনীয়তা এবং সম্মতির অধিকারের চরম লঙ্ঘন আখ্যা দিয়েছিলেন৷ নিকোলের ভয় ছিল ভবিষ্যতে তাদের অন্য কোন ভিডিও ফাঁস হতে পারে যা আরো বেশি অন্তরঙ্গ৷
ছবি: Imago/Zumapress
কেন্ড্র উইলকিনসন
মাত্র ১৮ বছর বয়সে এক এডাল্ট ভিডিও বানিয়েছিলেন কেন্ড্র উইলকিনসন৷ তবে সেটি ২০১০ সালের আগ অবধি প্রচার করেনি ভিভিড এন্টারটেইমেন্ট৷ আর যখন সেটি প্রকাশ হয় তখন কেন্ড্র বিবাহিত এবং এক সন্তানের মা৷ এই ঘটনাকে অত্যন্ত বিব্রতকর আখ্যা দিয়েছন কেন্ড্র৷ এমনকি ভিডিওটির প্রকাশ রুখতে আদালতেও গিয়েছিলেন তিনি৷ তবে সফল হননি৷
ছবি: Getty Images/G. Olsen
স্কারলেট ইয়োহানসন
যদি কোন ওয়েবসাইট দাবি করে যে সেটির কাছে স্কারলেট ইয়োহানসনের সেক্স ভিডিও রয়েছে, তবে তা বিশ্বাস না করাই ভালো৷ কেননা, স্কারলেট নিজে জানিয়েছেন সেগুলো ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি ভুয়া ভিডিও৷ ২০১১ সালে এক হ্যাকার অবশ্য তাঁর ফান থেকে একটি নগ্ন ছবি চুরি করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়েছিল৷ স্কারলেট সফলভাবে সেই হ্যাকারকে বিচারের মুখোমুখি করতে পরেছেন৷ এবং হ্যাকারের এক দশক কারাবাসের শাস্তি হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Ralston
মাইলি সাইরাস
স্টেজে এবং ক্যামেরার সামনে প্রায়ই নানা যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি করেন মাইলি সাইরাস৷ ২০১৭ সালে তাঁর কিছু অন্তরঙ্গ ব্যক্তিগত ছবি ফাঁস করে একটি পর্ন ওয়েবসাইট৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Riley
রিহানা
অজ্ঞাতপরিচয়ের এক হ্যাকার ২০০৯ সালে রিহানার নগ্ন ছবি ফাঁস করে৷ এটাকে তাঁর সঙ্গে সংঘটিত সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে আখ্যা দিলেও ক্যারিয়ারের উপর তার যেন কোন প্রভাব না পড়ে সচেষ্ট ছিলেন এই সঙ্গীতশিল্পী৷ তবে নিজের নগ্ন ছবি তোলাকে কোন অপরাধ হিসেবে মানতে রাজি নন রিহানা৷ বরং যেসব ছেলেবন্ধুদের তাদের বান্ধবীরা নগ্ন ছবি পাঠায় না তাদের জন্য তাঁর খারাপ লাগে বলে জানিয়েছেন রিহানা৷
ছবি: Getty Images/C.Jackson
17 ছবি1 | 17
তবে অডিও ফাঁসের বিষয়টি রাজনীতিবিদদের ইমেজ ক্ষুণ্ণের পায়তারা বলে অন্য কয়েকজন বিশ্লেষকের ধারণা৷ তাদের একজন হলেন পিটিআই কর্মকর্তা জামশেদ ইকবাল চিমা৷ তিনি ডয়েচে ভেলেকে বলেন, এসব কাজ তারাই করেন যারা রাজনীতিবিদদের জনপ্রিয়তাকে ভয় পান৷
কিছু মানুষের অভিযোগ এসব অডিও ফাঁসের পেছনে আছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী৷
প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও সেনাবাহিনীর সমালোচক বাশার গওহর বলেন, ‘‘রাজনীতিবিদদের ফোনে আড়িপাতার ঘটনা এটাই প্রথম না৷ ফোনে অবৈধভাবে আড়িপাতা নিয়ে আমি সংসদে অভিযোগ এনে বলেছি যে এসব গোয়েন্দা সংস্থার কাজ৷ রাজনীতিবিদদের ব্ল্যাকমেইল ও বেসামরিক সরকারকে দুর্বল করার জন্য এসব করা হয়৷''
তাওসিফ খানের মতে, এ ধরনের অডিও ফাঁসের ঘটনা পাকিস্তানে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হতে পারে যা পক্ষান্তরে ইসলামী দলগুলোর জন্য সুবিধাজনক হবে৷ তিনি বলেন, অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে যতদিন না সব রাজনীতিবিদ এক হবে, ততদিন এই প্রবণতা থামবে না৷
তবে ইমরান ও শাহবাজের মধ্য যে দা-কুড়াল সম্পর্ক তাতে তারা দুইজন একে অপরের সাথে হাত মেলাবেন এমনটা অপ্রত্যাশিত৷
কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, সামরিক বাহিনীকে দোষ দেয়ার আগে রাজনীতিবিদদের উচিত তাদের নিজেদের সমস্যা দূর করা৷
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে অবসরপ্রাপ্ত মেজর ও সামরিক বিশ্লেষক ইজাজ আওয়ান ডয়েচে ভেলেকে বলেন, "সরকারের অযোগ্যতার কারণে অডিও ফাঁস হচ্ছে৷ নেওয়াজ শরীফের সময়েও এসব ঘটেছে৷ সে সময় তার সরকার ব্যবস্থা নিলে এসব আর ঘটত না৷''