1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে সন্ত্রাসের মাঝে নির্বাচন

৮ মে ২০১৩

১১ই মে পাকিস্তানে সংঘটিত হবে একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন: এই প্রথম একটি নির্বাচিত সরকার তার কর্মকাল স্বাভাবিকভাবে সমাপ্ত করতে পারবে৷ কিন্তু এই নির্বাচন দেশের ভিন্নধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘুদের জন্য কোনো ত্রাণ আনতে পারবে কি?

ছবি: Reuters

তালেবান সন্ত্রাসের মাঝে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি তাদের ‘যুবরাজ' বিলাওয়াল ভুট্টো-জরদারিকে দুবাই পাঠিয়ে দিয়েছে৷ সেখান থেকে ২৪ বছর বয়সি বিলাওয়াল তাঁর সমর্থকদের ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন: ‘‘আমি আপনাদের সঙ্গে একত্রে নির্বাচনী প্রচারে নামতে চেয়েছিলাম, পাকিস্তানের পথে পথে৷ কিন্তু শহীদ বেনজির ভুট্টোর ঘাতকরা আমার জন্য অপেক্ষা করছে৷''

পাকিস্তানি তালেবান দেশের তিনটি মুখ্য রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধঘোষণা করেছে এবং অ-ইসলামি বলে এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে৷ নির্বাচনী প্রচার চলেছে গুলিগোলা, বোমাবাজির মধ্যে৷ পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান ইবন আবদুর রেহমান স্বয়ং বলছেন: ‘‘স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সমান সুযোগের প্রয়োজন৷ কিন্তু এখানে কোনো ন্যায় নেই, আছে শুধু আতঙ্ক৷ এই নির্বাচন থেকে শুধু এই হবে যে, রাষ্ট্র আবার গোঁড়া দক্ষিণপন্থি তালেবান ও চরমপন্থিদের দিকে ঝুঁকবে৷ ব্যক্তিগতভাবে আমার ধারণা, এই নির্বাচন গণতান্ত্রিক পালাবদলের পক্ষে ক্ষতিকর হবে৷''

বিলাওয়াল ভুট্টোছবি: picture-alliance/dpa

নওয়াজ শরিফের মুসলিম লিগের জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে নানান জল্পনা-কল্পনা৷ অপরদিকে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইসলাম দলও তালেবান সন্ত্রাসের মধ্যেই সুযোগ ও সামর্থ্য অনুযায়ী প্রচার চালাচ্ছে৷ নির্বাচনী সমাবেশে শরিফ কিংবা খান, কেউই পাকিস্তানি তালেবান সম্পর্কে কোনোরকম নেতিবাচক মন্তব্য করেননি৷ উভয়েই বলছেন, জিতলে তাঁরা তালেবানের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন৷ কিন্তু জেতার আগে আসছে নির্বাচন৷ নির্বাচনী কমিশন মোট ৭০ হাজার ভোটকেন্দ্রের প্রায় অর্ধেককে ‘‘স্পর্শকাতর এলাকা'' বলে ঘোষণা করেছে৷

কিন্তু নির্বাচনে যাদের সবচেয়ে বেশি ভীতি, তারা হল পাকিস্তানের অ-মুসলিম সংখ্যালঘুরা৷ তারা বলছে, গণতন্ত্র তাদের মৃত্যুদণ্ড হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ শিয়াপন্থি মুসলমান, খ্রিষ্টান, হিন্দু, অপরাপর সংখ্যালঘু, সকলেই দেখেছে বিগত পাঁচ বছরে কিভাবে এই গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচিত সরকারের শাসনকালে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বেড়েছে৷ ইসলামি উগ্রপন্থিদের সহিংসতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে তাদের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলির খোশামুদি ও তোয়াজ৷

নির্বাচনী প্রচারণায় ইমরান খানছবি: Getty Images

শনিবারের নির্বাচনে বেশ কিছু চরম ইসলামি উগ্রপন্থি প্রার্থী হচ্ছে৷ মুখ্য রাজনৈতিক দলগুলিও ভোট পাবার আশায় চরমপন্থিদের খুশি রাখার প্রচেষ্টা করছে৷ কাজেই সংখ্যালঘুদের ভয়, এই ভোটের ফলে চরমপন্থিদের প্রভাব আরো বাড়বে৷ এমনকি তাদের মধ্যে কেউ কেউ সামরিক শাসনের আমলে অধিকতর নিরাপত্তার কথাও স্মরণ করছে৷

পাকিস্তানের ১৮ কোটি জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশ হল মুসলিম, যাদের মধ্যে শিয়াদের অনুপাত ১০ থেকে ১৫ শতাংশ৷ অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার মাত্র চার শতাংশ খ্রিষ্টান, হিন্দু, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সদস্য, ইত্যাদি৷ তার মধ্যে এই নির্বাচনের সঙ্গে আহমদিয়াদের সম্পর্ক প্রায় ট্র্যাজিক বলা চলতে পারে৷ ভোট দিতে গেলে আহমদিয়াদের স্বীকার করতে হয় যে, তারা অ-মুসলিম৷ পাকিস্তানের ঈশ্বরনিন্দা আইন অনুযায়ী আহমদিয়াদের শুধুমাত্র আসসালামু আলাইকুম বলার জন্য জেলে যেতে হয়েছে৷

এসি/ডিজি (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ