1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাখির শত্রু-মিত্র

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
২২ জানুয়ারি ২০১৯

বাংলাদেশে সব মিলিয়ে ৭০০ প্রজাতির পাখি আছে৷ পাখির প্রতি আগ্রহ নানাভাবে প্রকাশ পাচ্ছে৷ তারপরও পাখি কমছে, পাখি হারিয়ে যাচ্ছে৷ বিপন্ন হয়ে পড়ছে কোনো কোনো প্রজাতি৷ কেন এমন হচ্ছে?

ছবি: DW/M.M. Rahman

এর জবাব পেতে হলে জানতে হবে পাখির শত্রু-মিত্র সম্পর্কে৷ জানা দরকার আইন৷ জানা দরকার পাখি কেমন পরিবেশে থাকতে চায়, তার আবাস স্থল কীভাবে নষ্ট হচ্ছে, কিভাবে তার জীবন ও প্রজনন ক্ষমতা ধংস হচ্ছে৷

পাখির প্রতি নির্মমতা

সম্প্রতি একটি খবর খুব আলোড়ন তুলেছে৷ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সেই খবরে জানা যায়, শিকারীরা পাখি ধরার পর চোখ অন্ধ করে দিচ্ছে৷ পাখি ধরার পর চোখ অন্ধ করে দেয়ার কারণ, পাখি আর উড়ে পালিয়ে যেতে পারবে না৷ দৃষ্টশক্তি না থাকলে পাখি ক্রেতাতের ঠোকর বা আঘাতও করতে পারে না৷ এবং যদি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে, তাহলে ওই পাখি অবমুক্ত করতে পারে না৷ বাধ্য হয়েই পাখি অবমুক্ত না করেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে চলে যেতে হয়৷ পাখির প্রতি কী ভয়াবহ এই মির্মমতা! সাধারণত শামুকখোলসহ বড় আকারের পাখি শিকারে এই নির্মম পদ্ধতি ব্যবহার করে শিকারীরা৷

পাখির শত্রুরা

জাল ও ফাঁদ পেতে পাখি ধরার পাশপাশি আরো কিছু নির্মম পদ্ধতিতে পাখি ধরা হয়৷ এরমধ্যে বিষ টোপ, ফাঁদ ও বড়শি দিয়ে পাখি ধরাও খুব নির্মম৷ ফাঁদ বা কামড়ি কল দিয়ে ধরার সময় পাখি গুরুতর আহত হয়৷ আর বিষ টোপে আক্রান্ত পাখি তো মুমূর্ষু  হয়েই ধরা পড়ে৷ এর বাইরে বন্দুক বা এয়ারগান দিয়েও পাখি শিকার করা হয়৷ পাখি শিকা বাংলাদেশে বেআইনি, অথচ নানাভাবে পাখি নিধন কিন্তু চলছে অবাধে৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই বিক্রি হয় এ সব পাখি, যার ছবি প্রায়ই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়৷ বিল ও হাওর এলাকায় প্রকাশ্যেই পাখি বিক্রির হাট বসে৷ ঢাকার অদূরে মুন্সিগঞ্জ ও গাজিপুরে এ ধরনের বাজার কয়েক বার বন্ধ করা হলেও আবার কিছুদিন পর চালু হয়ে যায়৷ দেশের হাওর ও সীমান্ত এলাকায় পাখির মাংস হোটেল-রেস্টুরেন্টে রীতিমতো  প্রতিযোগিতা করে বিক্রি হয়৷ আর এই শিকারীদের শিকারে পরিণত হয় যেসব পাখি, তার বেশির ভাগই পরিযায়ী পাখি৷

পাখিপ্রেমিক ইসা হক

কুষ্টিয়ার মিরপুর বাজারে ইসা হককে এখন সবাই ‘পাখিপ্রেমিক' হিসেবেই চেনেন৷ বাজারে তাঁর চায়ের দোকান আছে৷ কয়েক বছর আগে তাঁর দোকানের সামনে শালিক পাখি আসতে শুরু করে৷ ইসা হক তাদের খাবার দিতে শুরু করেন৷ পাউরুটি, বিস্কুট, চানাচুর, সিঙ্গারা দেন পাখিদের৷ খাবার পেয়ে পাখিরা নির্ভয় হয়ে ওঠে৷ বাড়তে থাকে পাখির আনাগোনা৷এই দেখে আশপাশের বেকারির মালিকরা ইসা হককে তাদের অবিক্রিত পাউরুটি, বিস্কুট দিয়ে যান৷ প্রতিদিন সকালে ইসা খাবার দেন৷ তাঁর দোকানকে ঘিরে বসে পাখির মেলা৷ অনেকেই দেখতে আসেন এখন৷ কেউ পাখিদের বিরক্ত করেন না৷ পাখিরাও নির্ভয়ে সেখানে বিচরণ করে৷ পখির এই আনাগোনা, কলকাকলি উপভোগ করেন সবাই৷

পাখির গ্রাম

নাটোরের সমসখলসী গ্রামটি ইতিমধ্যে পাখির গ্রাম নামে পরিচিতি পেয়েছে৷ ২০০৫ সাল থেকে এই গ্রামে পরিযায়ী পাখি আসতে শুরু করে৷ আর গ্রামের মানুষও তাদের প্রতি বন্ধুর মতো হাত বাড়িয়ে দেয়৷ তাঁরা শুরুতেই সিদ্ধান্ত নেন, কোনো পাখি ধরা যাবে না, কোনো পাখিকে বিরক্ত করা যাবে না৷ গ্রামের গাছপালাকে তাঁরা পাখির জন্য উন্মুক্ত অভয়াশ্রম হিসেবে তৈরি করেন৷ বাইরের কেউ এসে যাতে পাখির ক্ষতি না করতে পারে সেজন্য তাঁরা পাহারা দেন৷ টানিয়ে দেন সতর্কবার্তা৷ এরপর পাখির উপস্থিতি বাড়তে থাকে৷ গ্রামবাসী সাইনবোর্ড ও ব্যানার টানিয়ে দেন, বিলি করেন লিফলেট৷ এখন ওই গ্রামে ৩৫ প্রজাতির পাখির বসবাস৷ শুধু আশপাশের গ্রাম নয়, দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ যায় ওই গ্রামে পাখি দেখতে, পাখির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে৷

পাখির জন্য বাসা তৈরি করে দেন আলমগীর

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের যুবক আলমগীর হোসেন৷ তিনি পাখির জন্য বাসা তৈরি করে দেন পাখিরা যাতে বসতে পারে, থাকতে পারে নিরাপদে, এটাই তাঁর স্বপ্ন৷ আর এজন্য গাছে গাছে তিনি বেঁধে দেন মাটির কলস৷ সেই কলস যেন ঘরের মতো৷ তাতে ঢোকার জন্য আছে দরজা৷  আলমগীর হোসেনের স্লোগান হলো, ‘‘এসো পাখির বন্ধু হই, পৃথিবীকে বাঁচাই৷''

আলমগীর হোসেন ৬ বছর ধরে এই কাজ করছেন৷ এখন তাঁর সাথে যোগ দিয়েছেন অনেকেই, গড়ে তুলেছেন ‘সেঁতু বন্ধন' নামের একটি সংগঠন৷ আলমগীরের উদ্যোগ সফলতার মুখ দেখছে৷ তাঁর বানানো বাসায় এখন শালিক, ঘুঘু, হরিয়াল, বুলবলি, সারস, দোয়েল, টিয়াসহ নানা ধরনের পাখির বসবাস৷ সেখানে পাখির প্রজনন হচ্ছে৷ গ্রামের মানুষও পাখিদের বন্ধু হয়ে উঠেছেন৷ তাঁরা কোনোভাবেই পাখিদের বিরক্ত করেন না৷ আর গ্রামে দিন দিন বাড়ছে পাখি৷

বাংলাদেশে এভাবেই দিনে দিনে বাড়ছে পাখিপ্রেমিক৷ পাখিকে ভালোবেসে তৈরি হয়েছে অনেক সংগঠন৷ তার মধ্যে সবচেয়ে বড় আর আলোচিত সংগঠন হলো বাংলাদেশ বার্ডস ক্লাব৷ এই ক্লাবেরই উদ্যোগে প্রতিবছর দেশের হাওর ও জলাভূমি এলাকায় হয় পাখি শুমারি৷ পাখি মেলা হয়৷ আয়োজন করা হয় পাখির ছবি প্রদর্শনী৷

ঢাকার অদূরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালরের লেকগুলো পাখির অভয়ারণ্য৷ এখানে দেখা মেলে পরিযায়ী পাখির৷ সেখানকার প্রকৃতি গাছ-পালাও পাখির নিরপাদ অভয়াশ্রম৷ সেখানে প্রতিবছর শীতে বসে পাখি মেলা৷ পাখির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় নতুন প্রজন্মকে আর জানানো হয় কেন পাখিদের রক্ষা করতে হবে, কেন পাখিদের ভালোবাসতে হবে৷

ধংস হচ্ছে পাখির আবাস

বার্ডস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও মাউন্টেনিয়ার এম এ মুহিতের কাছে পাখির শত্রু কারা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘সাধারণভাবে বলা যায়, যারা পাখি শিকার করেন, তারা৷ কিন্তু আমরা অনেকেই না জেনে পাখির সঙ্গে শত্রুতা করি৷ পাখির আবাসস্থল ধ্বংস করি৷  আমরা যে গাছপালা কেটে ফেলছি, জলাভূমি নষ্ট করে ফেলছি, বিল- হাওর-বাওরের পরিবেশ নষ্ট করছি, এর ফলে পাখিরা তাদের আবাসস্থল হারিয়ে ফেলছে৷ জলাভূমি হয়তো আছে, কিন্তু সেটার বাণিজ্যিক ব্যবহারের কারণে পাখির বসবাসের পরিবেশ নেই৷ আবার ফসলে নানা রাসায়নিক এবং কীটনাশক ব্যবহারের ফলে পাখি মারা পড়ছে৷ প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে৷''

এম এ মুহিতে

This browser does not support the audio element.

পরিযায়ী পাখি, নাকি অতিথি পাখি?

বাংলাদেশে এখন সাড়ে ৬শ' থেকে ৭শ' প্রজাতির পাখি আছে৷ এরমধ্যে দেশীয় বা স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে বসবাস করে এরকম পাখি আছে ৪শ' প্রজাতির৷ আর ৩শ' প্রজাতির পরিযায়ী পাখি৷ পাখিবিশেষজ্ঞরা বলেন, পরিযায়ী পাখিকে অতিথি পাখি বলা ভুল, কারণ, পরিযায়ী পাখিও বাংলাদেশের পাখি, কেননা আন্তর্জাতিক পাখি আইন অনুযায়ী যে পাখি কোনো দেশে একবার দেখা যায়, সেটা সেই দেশের পাখি হিসেবেই গণ্য হবে৷ পরিযায়ী পাখিদের শীতকালেই বাংলাদেশে বেশি দেখা যায়৷ এরমধ্যে হাঁস ও সারস জাতীয় পাখি বেশি৷

পাখির সংখ্যা

বাংলাদেশে পাখির সংখ্যা কত? এর কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই৷ তবে বাংলাদেশের হাওর ও জলাভূমি অঞ্চলে প্রতিবছর পাখি শুমারি হয় আর সেটা করে বার্ড ক্লাব৷ তারা এ বছরও পাখি শুমারি শুরু করেছেন৷

গত বছর ভোলার চর এলাকায় ১০ দিনব্যাপী জলচর পাখি গণনা করা হয়৷ ভোলার চারপাশসহ উপকূলীয় অঞ্চলে শতাধিক চর আছে৷ শুমারির সময় চামচ ঠুঁটো বাটান, ছোট হাড়গিলা, মদনটাক, দেশি গাঙ চষা, বড় গুটি ইগলসহ বেশ কিছু বিপন্ন, মহা বিপন্ন, অতি সংকটাপন্ন পাখি দেখা যায়৷ ২৮টি চরে ৮৪ প্রজাতির ৩৮ হাজার ৬২৪টি পাখি দেখা যায় তখন৷ এর মধ্যে দেশি পাখি ২৭ প্রজাতির ও পরিযায়ী ৫৭ প্রজাতির৷ ৭০ প্রজাতির জলচর ও ১৪ প্রজাতির শিকারি পাখিও দেখা যায় ওই সময়৷ শুমারি হয়েছে টাঙ্গুয়া হাওর, হাকালুকি হাওর, বাইক্যা বিল ও চলনবিলে৷

এম এ মুহিত বলেন, ‘‘আমরা ওয়েটল্যান্ডস ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে কাজ করি৷ বই আকারে এই পাখির তালিকা প্রকাশ করা হয়৷ আমরা ছবি তুলি৷ আর পাখির পায়ে রিং পরাই৷ রিং-এর মাধ্যমে আমরা সারাবছর পাখির অবস্থান জানতে পারি৷''

বিলুপ্ত হচ্ছে পাখি

বলা হয়ে থাকে একটি দেশের মানুষ কতটা পরিবেশবান্ধব , কতটা মানবিক, তা বোঝা যায় সেই দেশে কত পাখি আছে, পাখিরা কেমন আছে, তা দেখে৷ পাখি হলো প্রকৃতির অলঙ্কার৷পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে৷ পরাগায়ণে সহায়তা করে৷ পাখি প্রকৃতি  ও মানুষের বন্ধু৷ সৌন্দর্যের প্রতীক৷ পাখির ডাকে ঘুম ভাঙে যে জনপদের মানুষের, তারা সত্যিই ভাগ্যবান৷

মনিরুল খান

This browser does not support the audio element.

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার শিক্ষক মনিরুল খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশ থেকে বেশ কিছু পাখি বিলুপ্ত হয়ে গেছে আর বেশ কিছু পাখি বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে৷ যেমন গোলাপি শির হাঁস এখন আর নেই৷ এটা পৃথিবী থেকেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হয়৷  এটা ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এলাকায় ছিল৷ বাংলাদেশের হাওর এলকায় দেখা যেতো৷ ৮০-৯০ বছর আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে৷ ময়ূর লুপ্ত হয়ে গেছে৷ শালবন অঞ্চলে ছিল৷ বেঙ্গল ফরিক্যান নামে বড় একটা পাখি ছিল ঘাস বনে৷ এটাও লুপ্ত হয়ে গেছে৷ শকুন, মদন টাক, কুঁড়া ঈগল, মাছ মুড়ালসহ আরো অনেক পাখি এখন বিলুপ্তির পথে৷ এগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া না হলে এগুলোও বিলুপ্ত হয়ে যাবে৷''

বাংলাদেশে সুন্দরবনসহ সংরক্ষিত বনাঞ্চল আর সংরক্ষিত হাওর ও জলাভূমি পাখিদের সবচেয়ে বড় আবাসস্থল৷ কিন্তু সেটা অপ্রতুল বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা৷

আইন আছে, আইন নেই

বাংলাদেশে পাখি শিকার বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ধরা নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ৷ পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড৷ একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে অপরাধীর দুই বছরের জেল, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে৷ আর পাখির প্রতি নির্মম আরচরণও শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷  কিন্তু তারপরও পাখি নিধন বা শিকার থামানো যাচ্ছে না৷ মঝেমধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়৷ কিন্তু কেউ কেউ পাখি শিকারকে ‘আভিজাত্য' মনে করেন৷ আর প্রভাবশালী একটি চক্র আইনকে তোয়াক্কা করে না৷ দেশে পাখির জন্য বেসরকারি উদ্যোগ অনেক এগিয়েছে৷ বিশ্লেষকরা মনে করেন, এখন প্রয়োজন সরকারের উদ্যোগ এবং পাখি নিধনের  বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা৷ মনিরুল খান বলেন, ‘‘আশার কথা হলো, তরুণরা সচেতন হচ্ছেন৷ তাঁরা পাখিপ্রেমিক হয়ে উঠছেন৷ এটা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের পাখিবান্ধব একটি সমাজ গড়ে তুলতে হবে৷'' এম এ মুহিত বলেন, ‘‘আমরা জেলেদের মধ্যেও কাজ করি, শিকারীদেরও বোঝানোর চেষ্টা করছি৷ আমি ২০ বছর ধরে পাখি নিয়ে কাজ করছি৷ অনেক পাখি আগে দেখেছি, অথচ এখন আর সেগুলো দেখি না৷''

ঢাকায় কী ফিরবে পাখি

ঢাকা শহরে এক সময় প্রচুর পাখি দেখা যেতো৷  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলা একাডেমি এলাকায় ঘাস কাটার সময়ও এক সময় প্রচুর পাখি জড়ো হতো৷ এখন কাক ছাড়া কোনো পাখিই খুব একটা দেখা যায় না৷ তারপরও গবেষকরা বলছেন, এখনো ঢাকা শহরে সব ঋতু মিলিয়ে প্রায় ২০০ প্রজাতির পাখির দেখা মেলে৷ গবেষকরা আরো বলছেন, ঢাকা শহরেও পাখির আবাস্থল নষ্ট করা হয়েছে নানা উন্নয়নের নামে৷ কিন্তু একটু সচেতন হলে পাখির আবাসস্থল ঠিক রেখেও উন্নয়ন করা সম্ভব৷ এখানো ঢাকার বোটানিক্যাল গার্ডেন, রমনা , সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ  প্রাকৃতিক পার্কগুলো পাখির বড় আবাসস্থল৷ ঢাকার লেকগুলোর আশপাশের গাছপালায়ও প্রচুর পাখি আছে৷ এম এ মুহিত ও মনিরুল খান মনে করেন, বাংলাদেশে কৃত্রিম পার্ক নয়, প্রাকৃতিক পার্ক বানাতে হবে৷ নতুন করে পাখির আবাস ধংস না করে বাড়াতে হবে৷ আর পাখির জন্য বিরক্তিকর হয় এমন কিছু এড়িয়ে চলতে হবে৷ আর বিদেশি গাছ নয়, নগরীতে দেশীয় গাছ লাগাতে হবে৷ ফলের গাছ লাগাতে হবে৷ তাহলে পাখি থাকবে, পাখি আসবে৷

প্রতিবেদনটি আপনাদের কেমন লাগলো জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ