1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে বিধানসভা নির্বাচন

৩০ জানুয়ারি ২০১২

ভারতের পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে আজ ভোট হয় পাঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ড রাজ্যে৷ পাঞ্জাবে সরাসরি প্রতিদ্বন্দিতা কংগ্রেস ও বিজেপি জোটের৷ উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেস বনাম বিজেপির৷

Rahul Gandhi
পাঞ্জাবে নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীছবি: UNI

১১৭ আসনের পাঞ্জাব বিধানসভা এবং ৭০টি আসনের উত্তরাখণ্ড বিধানসভা ভোট শেষ হয় সোমবার শান্তিপূর্ণভাবে৷ ভোট পড়ে ৫০শতাংশের বেশি৷ পাঞ্জাবে শাসক দল আকালি-বিজেপি জোট৷ জোটের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পুরো রাজ্যে এক পরিবারতন্ত্র কায়েম কোরে বসে আছেন৷ থানা,পঞ্চায়েত,সরকারি প্রতিষ্ঠান সবই তাঁর পরিবার তথা দলের কুক্ষিগত৷ উন্নয়নের টাকার অপব্যবহার করা হয়েছে৷ পাঞ্জাব তাই ডুবে আছে ৭২ হাজার কোটি টাকার দেনায়-----এমনটাই অভিযোগ বিরোধী দলগুলির৷ অনুন্নয়নের অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করে আকালিদল বলেছে, এই সব অভিযোগ কংগ্রেস শাসনকালের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য৷

বিশ্লেষকদের মতে, কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং-এর জমানায় রাজ্যের উন্নয়নের ছবিটাও খুব ভালো ছিলনা৷  মাদকাসক্তি সমস্যার হাল করতে পারেনি তৎকালিন কংগ্রেস সরকার যারফলে সামাজিক অবক্ষয়ের শিকার হতে হয়েছে রাজ্যকে৷ জাতপাতের ভেদাভেদ ও দ্বন্দ্ব রাজ্যে প্রকট৷

উত্তরাখণ্ডে প্রচারে বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানীছবি: UNI

উত্তরাখণ্ড রাজ্য গঠনের পর এটা হলো তৃতীয় বিধানসভা ভোট৷ শাসক দল বিজেপি এবং কংগ্রেস একবার কোরে রাজ্য শাসন করেছে৷ এবার এই দুটি প্রধান দলের মধ্যেই দ্বৈরথ সমর৷ ভোটদাতারা দুটো দলকেই পরীক্ষা করেছে৷ এবারে কাকে জেতায় সেটাই দেখার৷ ভোট প্রচারে তুলে ধরা হয় বেকারি, কাজের সন্ধানে পাহাড়ের মানুষদের রাজ্য ছেড়ে যাওয়া, সরকারি অর্থের অপব্যবহার এবং অনুন্নয়ন৷ দুর্নীতির অভিযোগে ৬-মাস আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে  সরিয়ে দেয় বিজেপি৷ আসেন বি.সি খান্দুরি৷

দেখা গেছে রাজ্যে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে জয়পরাজয়ের ব্যবধান সামান্য৷ সেক্ষেত্রে মায়াবতীর বিএসপির মত ছোট দল হতে পারে এক নির্ণায়ক শক্তি৷ রাজ্যের তরাই অঞ্চলে বিএসপি'র প্রভাব আছে৷

পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ডও উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস যদি ভলো ফল করতে পারে তাহলে প্রথমত, সর্বভারতীয় নেতা  এবং কংগ্রেসের উদীয়মান শক্তি হিসেবে রাহুল গান্ধীর বিশ্বাসযোগ্যতা শতগুণ বেড়ে যাবে৷  নির্বাচনী প্রচারের কর্ণধার ছিলেন তিনি৷ শুধু তাই নয়, কেন্দ্রে মনমোহন সিং সরকারের স্থিতিশীলতা হবে পোক্ত৷

দ্বিতীয়ত, পাঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ড থেকে ১১জন রাজ্যসভা সদস্যপদ খালি হচ্ছে সামনের এপ্রিল মাসে৷ সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই বলে অনেক সংস্কার কর্মসূচি আটকে যাচ্ছে৷ ১১জন সদস্য কংগ্রেস পেলে বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে বাগে আনতে সুবিধা হবে মনমোহন সিং সরকারের৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ