আলোচিত পানামা পেপার্স-এর পাবলিক ডকুমেন্টে বাংলাদেশের অন্তত ৫০ ব্যক্তি ও পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে৷ এতে রাজনৈতিক নেতা ছাড়াও রয়েছে ব্যবসায়ীদের নাম৷ তাই এবার, এদের ব্যাপারে তদন্তে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের জিএম দেবপ্রসাদ দেবনাথ মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যৌথভাবে বিষয়টি তদন্ত করতে চায়৷ আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরুর আগে প্রাথমিক খোঁজ খবর নেয়া শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই৷ প্রাথমিকভাবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে, কেবল সেইসব ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই তদন্ত হবে৷''
দুদক সচিব আবু মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করব৷ প্রয়োজন হলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হবে৷'' র আগেও প্রথম দফায় পানামা পেপার্স-এর সূত্র ধরে সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১১ জনকে তলব করেছিল দুদক৷
সোমবার কর ফাঁকি দেয়া বিশ্বের বিভিন্ন অঙ্গনের দুই লাখেরও বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করে ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অউ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম (আইসিআইজে)৷ তবে আইসিআইজে-র কথায়, তালিকায় যাঁদের নাম এসেছে, তাঁরা সকলেই যে অনিয়মে জড়িত, এমন নয়৷
সুলতানা কামাল
তালিকায় থাকা বাংলাদেশিরা...
আইসিআইজে-র প্রকাশ করা তালিকায় বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাফরুল্লাহ ও তাঁর স্ত্রী নীলুফার জাফরুল্লাহর নাম আছে৷ নাম রয়েছে মোবাইল ফোন কোম্পানি সিটিসেল-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহবুব চৌধুরী, আইজিডাব্লিউ অপারেটর সেল টেলিকমের কফিল এইচ এস মুয়ীদ, এক্সেসটেল-এর মালিক জাইন ওমর, কিউবির অংশীদার আফজালুর রহমান, টেকনোমিডিয়ার সরকার জীবন কুমার, বাংলাট্রাকের আমিনুল হক ও তাঁর ছেলে নাজিম আসাদুল হক এবং তারিক একরামুল হকের৷ সিটিসেল-এর সাবেক চেয়ারম্যান আজমাত মঈনও এর মধ্যে রয়েছেন৷ এছাড়া আব্দুল মোনেম গ্রুপের এ এস এম মহিউদ্দিন মোনেম এবং আসমা মোনেমের নামও রয়েছে এই তালিকায়৷
নাম আছে দিলীপ কুমার মোদি, মল্লিক সুধীর, কাজী রায়হান জাফর, মো. ইউসুফ রায়হান রেজা, মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী, বেনজির আহমেদ, ইসরাক আহমেদ, নভেরা চৌধুরী, সৈয়দা সামিনা মির্জা, উম্মে রুবানা, বিলকিস ফাতিমা, সালমা হক , ফরহাদ গনি মোহাম্মদ, মো. আবুল বাশার, নিজাম এম সেলিম, মোহাম্মদ মোকসেদুল ইসলাম, মো. মোতাজ্জারুল ইসলাম, মো. মোতাজ্জারুল ইসলাম, মো. সেলিমুজ্জামান, সৈয়দ সেরাজুল হক, এফ এম জুবাইদুল হক-এর৷
তথ্য ভাণ্ডারে আরো নাম আছে ক্যাপ্টেন এম এম জাউল, মোহাম্মদ শহীদ মাসুদ, খাজা শাহাদত উল্লাহ, মোহাম্মদ ফয়সাল করিম খান, মোহাম্মদ শহীদ মাসুদ, জুলফিকার হায়দার, মির্জা এম ইয়াহিয়া, নজরুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, এফ এম জুবাইদুল হক, এ এফ এম রহমাতুল বারী ও খাজা শাহাদাত উল্লাহর৷
‘পানামা পেপার্স’ সম্পর্কে আপনার যা জানা প্রয়োজন
কে, কী, কোথায় এবং কখন: তথাকথিত ‘পানামা পেপার্স’ ফাঁসের পর এ সব প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে৷ আর বিপদে আছেন অনেক রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, ক্রীড়াবিদ যাদের এতকাল সৎ ভাবা হতো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Warmuth
‘পানামা পেপার্স’ আসলে কী?
পানামা পেপার্স হচ্ছে এগারো দশমিক পাঁচ মিলিয়ন ডকুমেন্ট এবং দুই দশমিক ছয় টেরাবাইট তথ্য যা ই-মেল, আর্থিক বিবরণী, পাসপোর্ট এবং কর্পোরেট নথি আকারে আছে৷ আইন বিষয়ক সংস্থা মোসাক ফনসেকার কাছে এ সব তথ্য ছিল৷ রবিবার প্রকাশিত এই তথ্যে অনেক কাগুজে প্রতিষ্ঠানের খদ্দেরদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা গেছে, যারা ১৯৭৭ থেকে ২০১৬ অবধি নিজেদের আয়ের সঠিক তথ্য গোপন করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/maxppp/J. Pelaez
মোসাক ফনসেকা কী?
দ্য ইকোনোমিস্ট পত্রিকা ২০১২ সালে মোসাক ফনসেকাকে ‘অফসোর ফাইনান্সের’ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল, যারা নিজেদের সম্পর্কে কোনো তথ্যই প্রকাশ করতো না৷ শেল কোম্পানিদের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে পৃথিবীর অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠান পানামাভিত্তিক এই আইন বিষয়ক সংস্থাটি৷ ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডের মতো ‘ট্যাক্স হেভেন’ বলে পরিচিত প্রায় সব জায়গাতেই তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজ আছে৷
ছবি: Reuters/B. Yip
আইসিআইজে কে?
ওয়াশিংটনভিত্তিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়াম আইসিআইজে ফাঁস হওয়া দলিলদস্তাবেজ পরীক্ষা করে দেখেছে৷ বিশ্বের ৬৫টি দেশের ১৯০ জনের মতো সাংবাদিক এই কনসোর্টিয়ামের সদস্য, যা প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯৭৭ সালে৷
ছবি: ICIJ
জড়িত কারা?
ট্যাক্স ফাঁকি দিতে মোসাক ফনসেকার সহায়তা নেয়াদের মধ্যে বিশ্বের অনেক নামি-দামি রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, তারকা এবং ক্রীড়াবিদরা রয়েছেন৷ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের ঘনিষ্ঠদের অর্থের হদিশ পাওয়া গেছে ‘ফাঁস’ হওয়া তালিকায়৷ রয়েছে ভারতের অমিতাভ বচ্চন এবং আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসির নামও৷
ছবি: picture alliance/ZUMA Press/India Today
‘শেল কোম্পানি’ কী?
‘শেল কোম্পানি’ আইনগতভাবে বৈধ এমন এক ধরনের প্রতিষ্ঠান যাদের নিজস্ব কোনো ব্যবসা নেই৷ তারা শুধু অন্যকে নানান নামে অর্থ খাটানোর সুযোগ করে দেয়৷ এসব প্রতিষ্ঠান গড়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে কার অর্থ প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা হয়েছে তা যাতে কোনোভাবে বের করা না যায়৷
ছবি: Fotolia/Trueffelpix
‘অফশোর ট্যাক্স হেভেন’ ব্যবহার কি অবৈধ?
যেসব দেশে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ খুব কম এবং আয়ের উপর কর প্রদানের পরিমান দফারফার মাধ্যমে অনেক কমিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে, সেসব দেশকে ‘অফশোর ট্যাক্স হেভেন’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ সেসব দেশে অর্থ লগ্নি অপরাধ নয়, কিন্তু লগ্নিকারী ব্যক্তিটি যে দেশের সেদেশের কর কর্তৃপক্ষের কাছে সেটা অবৈধ হতে পারে, যদি তিনি সেই বিনিয়োগের কথা না জানিয়ে থাকেন৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশে এটা অবৈধ৷
তালিকায় থাকা বাংলাদেশের পাঁচটি কোম্পানি হচ্ছে – বাংলাদেশ বিমান ইনকর্পোরেশন, ইসলামিক সলিডারিটি শিপিং কোম্পানি বাংলাদেশ ইনকর্পোরেশন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল এজেন্সিস লিমিটেড, এসার বাংলাদেশ হোল্ডিং প্রাইভেট লিমিডেট ও টেলিকম ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড৷
অফশোর প্রতিষ্ঠান
বাংলাদেশ ডাটাবেজে ৫৬ ব্যক্তির নাম ছাড়াও রয়েছে দু'টি অফশোর প্রতিষ্ঠানের নাম৷ একটি সোয়েন ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, অপরটি সেভেন সি'জ অ্যাসেটস লিমিটেড৷ দু'টি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই গুলশান ২-এর একই ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে৷ এই প্রতিষ্ঠান দুটিতে সংশ্লিষ্ট দু'জন হলেন – স্টেফান পিরকার ও রুখসানা পিরকার৷
ইন্টারমিডিয়ারি
বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট তিন ইন্টারমিডিয়ারির নামও আছে তালিকায়৷ তাঁরা হলেন – স্টিফান পিরকার, বিবিটিএল ও দিলিপ কুমার মোদি৷
সেরা দশ দুর্নীতির দেশ, সবচেয়ে কম দুর্নীতির দেশ
এক সময়ের দুর্নীতির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ এবার হয়েছে ১৩তম৷ চলুন দেখা যাক ট্র্যান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআইবি)-র প্রতিবেদনে এবার কোন কোন দেশ আছে দুর্নীতির সেরা দশে আর কোন দশটি দেশে এখন দুর্নীতি সবচেয়ে কম৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Antonisse
৮ থেকে ১০ নম্বরে কঠিন লড়াই
টিআইবি-র এবারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সমান ১৮ পয়েন্ট করে পাওয়ায় সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দশটি দেশের তালিকায় ৮ নাম্বার থেকে ১০ নাম্বার পর্যন্ত স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তান, লিবিয়া এবং ইরিত্রিয়া৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
দুর্নীতির সপ্তম স্বর্গে তুর্কমেনিস্তান
উজবেকিস্তান, লিবিয়া এবং ইরিত্রিয়ার চেয়ে মাত্র এক পয়েন্ট কম হওয়ায় দুর্নীতিতে সেরা দশটি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে তুর্কমেনিস্তান৷
ছবি: DW
ইরাকের দুরবস্থা
যুদ্ধ, হানাহানির মাঝে ইরাকে দুর্নীতিও চলছে পুরোদমে৷ তাই ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন দুর্নীতিতে সেরা দেশগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে৷
ছবি: Reuters
পঞ্চম স্থানে দক্ষিণ সুদান
ইরাকের পরেই রয়েছে সদ্য স্বাধীন দেশ দক্ষিণ সুদান৷ তারা পেয়েছে ১৫ পয়েন্ট৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. Karumba
আফগানিস্তান দুর্নীতিরও স্থান
দুর্নীতিরও স্থান না হলে আফগানিস্তান কি আর ১২ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বের চতুর্থ সেরা দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হতো?
ছবি: Getty Images/AFP/S. Marai
দক্ষিণ সুদানের চেয়ে দুর্নীতিতে এগিয়ে সুদান
সুদান থেকে আলাদা হয়ে দক্ষিণ সুদান শুধু মানচিত্রেই নয়, দুর্নীতিতেও কিছুটা ব্যবধান দেখাতে পেরেছে৷ দক্ষিণ সুদান যখন সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে, সুদান তখন ১১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়৷ দুর্নীতিতে এগিয়ে থাকা তো আর ভালো কথা নয়!
ছবি: getty / C. Bouroncle
উত্তর কোরিয়া আর সোমালিয়া
সমাজতন্ত্র কায়েমের পথে হোঁচট খেয়ে প্রায় মুখ থুবড়ে পড়লেও দুর্নীতিতে খুব এগিয়েছে উত্তর কোরিয়া৷ আফ্রিকার দারিদ্র্য জর্জরিত দেশ সোমালিয়াও কম যায় না৷ ৮ পয়েন্ট করে নিয়ে এই দুই দেশই আছে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে৷
ছবি: picture alliance/dpa/R. Sinmun
সবচেয়ে কম দুর্নীতির দেশ ডেনমার্ক
নারীর জন্য সবচেয়ে ভালো দেশ হওয়ার পর, এবার সবচেয়ে কম দুর্নীতির দেশও হয়েছে ডেনমার্ক৷ স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এই দেশ পেয়েছে ৯২ পয়েন্ট৷
ছবি: Reuters/N. Ahlmann Olesen
দ্বিতীয় নিউজিল্যান্ড, তৃতীয় ফিনল্যান্ড
সবচেয়ে কম দুর্নীতির দেশগুলোর মাঝে নিউজিল্যান্ড ৯১ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে আর ৮৯ পয়েন্ট পেয়ে ফিনল্যান্ড দ্বিতীয় স্থানে৷
ছবি: picture alliance / Robert Harding
চতুর্থ স্থানে সুইডেন
আরেক স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ সুইডেনও কম দুর্নীতিগ্রস্থ দেশগুলোর মাঝে খুব ভালো অবস্থানে৷ তাদের পয়েন্ট ৮৭, অবস্থান চতুর্থ৷
ছবি: DW/T. Mehretu
নরওয়ে আর সুইজারল্যান্ডে সমতা
৮৬ পয়েন্ট করে পেয়েছে নরওয়ে আর সুইজারল্যান্ড৷ ফলে দেশ দু’টি আছে পঞ্চম এবং ষষ্ঠ স্থানে৷
ছবি: EBU
একের হেরফেরে সাত থেকে দশ
সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দশ দেশের তালিকায় সপ্তম থেকে দশম স্থানে আছে যথাক্রমে সিঙ্গাপুর, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবুর্গ এবং ক্যানাডা৷ সপ্তম থেকে দশম, অষ্টম, নবম ও দশমে মাত্র এক পয়েন্ট করে ব্যবধান৷ সিঙ্গাপুরের ৮৪, নেদারল্যান্ডসের ৮৩, লুক্সেমবুর্গের ৮২ এবং ক্যানাডার পয়েন্ট ৮১৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Antonisse
12 ছবি1 | 12
বাংলাদেশের ঠিকানা
অফশোর প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের মোট ৪২টি ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে৷ ডাটাবেজে ঠিকানা ও ঠিকানা ব্যবহারকারী ব্যক্তির নামও উল্লেখ করা হয়েছে৷
দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে
দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘প্রথমিকভাবে অনুসন্ধানের পর তদন্ত হতে পারে৷ তাই যে সমস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে, তারা সবাই যে দোষী তা এখনই বলা যাচ্ছে না৷''
তবে তাঁর কথায়, ‘‘এই তালিকা নিয়ে তদন্ত করে দেখা উচিত যে, আসলেই কেউ কর ফাঁকির জন্য দায়ী কিনা৷ দায়ী হলে তো ব্যবস্থা নিতেই হবে৷''
তিনি বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে যদি কাউকে দোষী পওয়া যায় তাহলে বিস্তারিত তদন্ত হবে৷ এটা করা প্রয়োজন৷ এর পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থাও নিতে হবে৷''
তালিকায় যাঁদের নাম আছে, তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁদের পাওয়া যায়নি৷
বন্ধু, এই তালিকায় আপনাদের চেনা কি কেউ আছেন? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷