পানির অপর নাম ‘জীবন' হলেও বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ মানুষ নাকি এখনো সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত৷ জার্মানির যে কোনো অঞ্চলের পানি সুপেয় হওয়া সত্ত্বেও অনেক জার্মান বোতলের পানি কিনে খান৷এটা কি শুধুই বিত্তের কারণে?
বিজ্ঞাপন
পানির গুণগত মান জার্মানিতে নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়৷ অর্থাৎ, পানিতে রাসায়নিক পদার্থের পরিমাণ, জীবাণু, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ,সোডিয়াম, ক্লোরিন, পিএইচ-এর মাত্রা, নাইট্রিক অ্যাসিড ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে দেখা হয় প্রতি বছর৷ তবে সব অঞ্চলের পানি নিরাপদ ও সুপেয় হলেও জায়গা বিশেষে পানির মানের তারতম্য অবশ্যই হয়ে থাকে৷ যেমন, কোলন শহরের পানির চেয়ে বন শহরের পানির মান ভালো৷ আমি তা প্রতিদিনই টের পাই৷ থাকি কোলনে আর অফিস বন-এ হওয়ায় খুব সহজেই চা বা কফির স্বাদ, গন্ধ এবং রং দেখে বুঝতে পারি পার্থক্যটুকু৷
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জার্মানিতে চারজনের একটি পরিবার বছরে এক থেকে দেড় হাজার ইউরো পানির পেছনে ব্যয় করে৷ তবে তা নির্ভর করে বোতলের পানির মূল্য অনুযায়ী৷ কারণ, এক লিটার পানির মূল্য ৫০ সেন্ট থেকে দেড় বা দুই ইউরোও হয়ে থাকে৷ স্বাভাবিকভাবেই প্লাস্টিকের বোতলের চেয়ে কাচের বোতলের মূল্য কিছুটা বেশি৷
এ দেশের মানুষ যে শুধু পান করার জন্য আলাদাভাবে পানি কেনেন, তাই নয়৷ স্বাস্থ্য সচেতন অনেক জার্মান বাড়ির ট্যাপের নিরাপদ পানিকে আরো পরিষ্কার বা পরিশোধন করতে, অর্থাৎ শতকরা ১০০ ভাগ নিশ্চিত হতে রান্নাবান্নার জন্য পানি ফিল্টার করে নেন সাধারণ ফিল্টারের মাধ্যমে৷ তা আমরাও অনেক বছর যাবতই করে আসছি৷ তবে বলাই বাহুল্য যে, বাড়তি ফিল্টারের মাধ্যমে পরিশোধিত পানির রান্না এবং চা, কফির স্বাদও কিছুটা হলেও বোঝা যায়৷ পানি হয় নরম আর স্বচ্ছ৷ হাজার হলেও পানির আরেক নাম ‘জীবন' তো! তাছাড়া এসব বাড়তি সচেতনতা যে জার্মানদের দেখেই শেখা৷
শুধু সুস্থ থাকার জন্য স্বচ্ছ পানি নয়, পানি বাড়াতে পারে আমাদের জীবনীশক্তিও৷ হ্যাঁ, পরিষ্কার পানির গুণাগুণ, গুরুত্ব এবং ট্যাপের পানি ফিল্টার করে পান করার নানা উপকারিতা নিয়ে জার্মানির বিভিন্ন শহরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাঝে মাঝে সেমিনার হয়ে থাকে৷ সেমিনারের মূল লক্ষ্য পানির ফিল্টার মেশিন বিক্রি করা হলেও তা বাধ্যতামূলক নয়৷ তাছাড়া কিছুদিন বিনা পয়সায় সেসব ফিল্টার টেস্ট করারও সুযোগ থাকে৷
আমি এখানে এক ধরনের বিশেষ ফিল্টারের কথা বলছিলাম৷ কারণ, বিষয়টি আমার কাছেও একদম নতুন৷ আমাদের জার্মান প্রতিবেশীরা আবার খুবই স্বাস্থ্য সচেতন৷ তাঁদেরই অনুরোধে এক সন্ধ্যায় পরিবারের সবাই মিলে ‘হ্যাপি ওয়াটার' শীর্ষক পানি বিষয়ক বিশেষ এক সেমিনারে অংশ নেই৷ সেখানে পরিচয় করানো হলো ছোট্ট একটি ফিল্টার মেশিনের সাথে, যার বেশ কয়েকটি বাটন রয়েছে এবং প্রতিটি বাটনের পানির পিএইচের মাত্রা যেমন ভিন্ন, তেমনি সেসবের কার্যকারিতাও আলাদা৷ কোনো বাটনের পানি শরীরে জীবাণু ধ্বংস করে, কোনোটা শরীরের ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গের জন্য উপকারী৷ আবার রান্না বা খাবারের জন্য হয়তো অন্য বাটন, ইত্যাদি৷
পানি শোধনের বিভিন্ন প্রক্রিয়া
মানুষের জন্য সুপেয় বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করা গোটা বিশ্বেই একটি বড় চ্যালেঞ্জ৷ দেশে দেশে বিভিন্ন উপায়ে, বিভিন্ন প্রযুক্তি আর কৌশল ব্যবহার করে পানি শোধন করছে দেশগুলো৷
ছবি: dapd
রিভার্স ওসমোসিস
পানি বিশুদ্ধকরণের আন্তর্জাতিকভাবে স্বিকৃত একটি পদ্ধতি রিভার্স ওসমোসিস৷ এই ধরনের যন্ত্রের মাধ্যমে দূষিত পানিকে মূলত একটি পর্দার একপাশ থেকে আরেক পাশে নিয়ে আসা হয়৷ পর্দাটি ধূলিকণা, লবণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুজ পদার্থ ছেঁকে ফেলে৷ জর্ডান এই প্রক্রিয়ায় খনির দূষিত পানি বিশুদ্ধ করছে৷ ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্রের পানিকেও এভাবে সুপেয় করা হচ্ছে৷
ছবি: Getty Images/P. Macdiarmid
ওজোনেশন
পানি বিশুদ্ধকরণে ইউরোপের দেশগুলোতে বহুল ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি ওজোনেশন৷ এর মাধ্যমে ওজন গ্যাস ব্যবহার করে পানির জীবাণু ধ্বংস করা হয়৷ এই পদ্ধতিতে খরচ বেশি হয়, পানিতে দূষিত পদার্থ থেকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ এটি পশ্চিম ফ্রান্সের নদীর পানি বিশুদ্ধকরণে ব্যবহৃত একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, যেখানে ওজোনেশনসহ মোট ৫ টি ধাপে পানি সুপেয় করা হয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/J.-F. Monier
ডিসেলিন্যাশন
সমুদ্রের পানি থেকে লবণ দূর করা হয় এই প্রযুক্তিতে৷ ইসরায়েল, আলজেরিয়া, জর্ডান, আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বিশাল সব প্ল্যান্ট বসিয়ে এই পদ্ধতিতে সমুদ্রের পানি মানুষের ব্যবহারোপযোগী করছে৷ তেল আভিভে অবস্থিত বিশাল একটি ডিসেলিন্যাশন প্ল্যান্টের ছবি এটি৷ প্রতিদিন ভূমধ্যসাগরের এক লাখ কিউবিক পানি শোধন করা হয় এখানে৷
ছবি: picture-alliance/epa/dpa/J. Hollander
মেমব্রেন ফিল্টারেশন
মানুষ দৈনন্দিন কাজে, শিল্পে বিপুল পরিমাণ পানি ব্যবহার করছে৷ একবার ব্যবহারের পর তা ফেলে দেয়া হচ্ছে, যা আবার পানির মূল আধারকেও দূষিত করছে৷ তবে শিল্পের পানি শোধন করে পুনর্ব্যবহারের প্রক্রিয়া চালু হয়েছে অনেক দেশেই৷ মানব বর্জ্য মিশ্রিত পানি সুপেয় করার প্রক্রিয়া নিয়েও পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালু হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে৷ পানি পরিশোধনের এই প্রযুক্তি মেমব্রেন ফিল্টারেশন নামে পরিচিত৷
আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ব্যবহার করেও পানি পরিশোধন করা হয়৷ এই পদ্ধতিতে পানির ধাতব ভারী পদার্থ দূর কর করা সম্ভব না হলে জীবাণু ধ্বংসের জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর একটি৷ ইউরোপজুড়ে বড় আকারের প্রায় ২০০০ এমন পানি পরিশোধন প্ল্যান্ট রয়েছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ক্যাটস্কিল-ডেলওয়্যার ওয়াটার আল্ট্রাভায়োলেট ডিসইনফেকশন ফ্যাসিলিটি বিশ্বে এই প্রযুক্তি সবচেয়ে বড় পানি শোধনাগার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. H. Young
আয়োডিন ট্রিটমেন্ট
জরুরি ভিত্তিতে পানি শোধনের সহজ উপায় আয়োডিনের ট্যাবলেট৷ সাধারণত ‘অবিশ্বস্ত’ কোনো উৎস থেকে পানি পান করতে হলে এটি প্রয়োগ করা যেতে পারে৷ তবে এতে অনেক ক্ষতিকর অণুজীব ধ্বংস হলেও পানি শতভাগ জীবানুমুক্ত হবে এমন নিশ্চয়তা নেই৷
ছবি: dapd
6 ছবি1 | 6
প্রিয় পাঠক, পানির ফিল্টার মেশিনের মার্কেটিং করার জন্য কিন্তু আমার এ লেখা নয়৷ আসলে পানি নিয়ে আগে কখনো এমনটা ভাবিনি বলেই হয়তো বিষয়টি আমাকে অবাক করেছে এবং বলা যায়, পানি সম্পর্কে জানতে আরো আগ্রহী করে তুলেছে৷ যা-ই হোক, সেমিনার শেষে আমার মনে হলো, হিরের টুকরোকে পরিষ্কার বা ঘষামাজার পর যখন আরো বেশি চকচক করে দ্যুতি ছড়ায়, তখন সেটা আরো আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে বলে তার মূল্য বেড়ে যায় অনেকগুণ৷ হয়তো ঠিক তেমনি পানি যত স্বচ্ছ, পরিষ্কার আর জীবাণুমুক্ত হয়ে শরীরের ভেতরে ঢোকে, শরীরটাও ঠিক ততটাই জীবাণুমুক্ত ও তরতাজা থাকে৷ আর সেই সাথে বাড়াতে পারে মানুষের জীবনীশক্তি৷
বিশ্বের বহু গরিব দেশের হাজারো মানুষ এক ফোটা খাবার পানির জন্য কত হাহাকার করেআর জার্মানির মতো উন্নত দেশে নিরাপদ পানিকে আরো পরিশোধন করার জন্য কত গবেষণা, কত আয়োজন! আমাদের প্রতিবেশী রিটা এরই মধ্যে পানির মেশিনটি কিনে নিজেই নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে৷ আমাকেও তার ফলাফল জানাচ্ছে৷
জার্মানিতে বছরে গড়ে ১৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন পানির প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করা হয়, অর্থাৎ মাত্র একজন মানুষ বছরে গড়ে ২০০ প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার করে থাকে৷ আমরা অনেকেই হয়তো জানি একটি প্লাস্টিক বোতল ধ্বংস হতে চার থেকে পাঁচশ' বছর সময় লাগে৷ তাই কেউ যদি প্লাস্টিকের বোতলের পানি না খেয়ে ট্যাপের পানি ফিল্টার করে খান, তাহলে তার পরিবেশ রক্ষায় অবদান অনেকটাই রাখা হবে৷ আর হ্যাঁ, এ বিষয়টিও ‘হ্যাপি ওয়াটার' সেমিনারে বিশেষ গুরুত্ব পায়৷
পানির অপর নাম জীবন কেন?
সলিড খাবার না খেয়ে মানুষ কিছুদিন বেঁচে থাকতে পারলেও পানি পান না করে কিন্তু কয়েকদিনের বেশি বাঁচতে পারে না৷ সুস্থ শরীরের জন্য পানি পানের গুরুত্ব সম্পর্কে ছবিঘরে থাকছে বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ৷
ছবি: Fotolia/Artusius
পানি পান শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক
জার্মানির রেমশাইড শহরের সানা ক্লিনিকের অন্ত্রবিদ আন্দ্রেয়াস লেওডোল্টার বলেন, রাতে ঘুমানোর কারণে একটা দীর্ঘ সময় হজম প্রক্রিয়ার তেমন কোনো কাজ থাকে না৷ তাই প্রতিদিন সকালে নাস্তার আগে খালি পেটে এক গ্লাস পানি খেলে মাংসপেশী ও কোষ গঠনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয় এবং এর মাধ্যমে রক্তের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পানি কি ওজন কমায়?
বার্লিনের ডাক্তার মিশায়েল বসমানের জরিপে দেখা গেছে, পানি পান করলে শরীরের শক্তি বাড়ে৷ প্রতিদিন অন্তত ৮ থেকে ১৮ গ্লাস পানি পান করলে তা ঘাম অথবা মূত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়৷ প্রচুর পানি পানের ফলে শরীরের বাড়তি চর্বি গলে শরীর থেকে অতিরিক্ত ওজন ঝড়ে পড়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Hesse
নিজেকে সুন্দর রাখতে পানির ভূমিকা
পানি পান ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল করতেও সাহায্য করে৷ এর ফলে শরীরের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো সজীব ও প্রাণবন্ত হয় এবং ত্বক হয়ে উঠে মসৃণ ও সুন্দর৷ পানি ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে৷ পানির কারণে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সক্রিয় থাকে৷ তবে কিডনি, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা পানি পানের পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দিতে পারেন৷
ছবি: Fotolia/Eisenhans
সকালে পানি পান করুন
সকালে ঘুম থেকে উঠেই পানি পান করুন৷ দেখবেন শীত, গ্রীষ্ম অর্থাৎ সারা বছরই ভালো কাটবে৷ এতে মাথাব্যথা, কিডনি সমস্যা, গ্যাস্ট্রাইটিস, কোষ্ঠকাঠিন্য, উচ্চ রক্তচাপ, মেয়েলি রোগজনিত সমস্যাগুলো থেকে রেহাই পাওয়া যায়৷ পানি পানের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই৷ অর্থাৎ পানিকে ওষুধ হিসেবে ধরা যায়৷পানি পানের অভ্যাস ছোটবেলা থেকেই করা ভালো৷
ছবি: CC/waterdotorg
খেলোয়াড়দের শরীরে পানির প্রয়োজন বেশি
ফ্রাংকফুর্টের ইয়োহান ভল্ফগাং গ্যোয়েটে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলা বিষয়ক চিকিৎসক ভিনফ্রেড ভানৎসার বলেন, খেলোয়াড়দের পিপাসা না লাগার আগেই পানি পান করা উচিত৷ কারণ এতে শরীরে পানির ভারসাম্য ঠিক থাকবে অর্থাৎ ভেতর থেকে শরীর শুকিয়ে যাবেনা৷ তবে খেলার সময় শুধুমাত্র গলা ভেজানোর জন্য সামান্য পানি পান করা যেতে পারে৷ এছাড়া সব বয়সের মানুষের শরীরের জন্য যথেষ্ট পানি প্রয়োজন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মাথাব্যাথা সারতে সাহায্য করে
যাঁরা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য পানি ওষুধের ভূমিকা পালন করে৷ পানিশূন্যতা মাইগ্রেনের অন্যতম কারণ, তাই মাইগ্রেনকে দূরে রাখতে বেশি বেশি পানি পানের অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত৷
ছবি: picture alliance / Frank Rumpenhorst
ঠান্ডা লাগা, পেট খারাপ
ঠান্ডা লাগা ও পেট খারাপের সময় বাড়তি পানি পান প্রয়োজন৷ পেট খারাপের সময় ফার্মেসিতে পাওয়া যাওয়া লবন পানি বেশ উপকারী৷
ছবি: Fotolia/lithian
কিডনি সমস্যায় পানি
কিডনির কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করা প্রয়োজন৷ সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানি পান এক ধরণের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, যা হাঁপানি এবং বিভিন্ন ব্যথার ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়৷ পানির বদলে কোকা কোলা, ফান্টা বা চিনি মিশ্রিত পানীয় না খাওয়াই শরীরের জন্য ভালো৷
ছবি: Fotolia
মিনারেল ওয়াটার, না ট্যাপ ওয়াটার?
কোন পানি শরীরের জন্য সবচেয়ে ভালো, এ প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন৷ পানি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অলিভার স্মল বলেন, ‘‘কোন পানি ভালো তা বলা খুব কঠিন৷ তবে সকালে ট্যাপের পানি পান করার আগে কিছুক্ষণ পানি ছেড়ে রেখে তারপর পান করা ভালো৷’’