1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পানির জন্য বেশি অর্থ খরচ করে গরিবরা

১৯ মার্চ ২০১৯

বিশ্বের ২০০ কোটি মানুষ পরিস্কার ও নিরাপদ পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত৷ এই সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভোগেন দরিদ্র আর প্রান্তিক জনগোষ্ঠী৷ এমনটাই বলছে ইউনেস্কোর প্রতিবেদন৷

Krise in Mesopotamien
ছবি: John Wreford

জাতিসংঘের ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াটার ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট ২০১৯' অনুযায়ী, বিশ্বের ২১০ কোটি মানুষ নিরাপদ ও পানযোগ্য পানির প্রাপ্যতা থেকে বঞ্চিত৷ এমনকি  ৪৩০ কোটি মানুষ এখনো স্যানিটেশন সুবিধা পায় না, যা দারিদ্র্য দূরীকরণের পথে অন্তরায় বলে মনে করে ইউনেস্কো৷

‘‘পানি সম্পদের ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধার প্রাপ্যতা দারিদ্র্য দূরীকরণ, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ সমাজ সেই সঙ্গে টেকসই উন্নয়নের জন্য আবশ্যক,'' এমন মন্তব্য করেছে সংস্থাটি৷ প্রতিবেদনের এবারের শিরোনাম ‘লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড', অর্থাৎ কাউকে পেছনে ফেলে নয়৷

ভবিষ্যতে পৃথিবীতে পানির সংকট তৈরি হবে এমন পূর্বাভাস দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতিতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে৷ পরিবেশগত বিপর্যয় ও পানির অভাবে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ৪৫ ভাগ এবং বিশ্বের শস্য উৎপাদনের ৪০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে এতে আভাস দেয়া হয়েছে৷

দরিদ্রদের উপর চাপ বেশি

বলা হয়েছে, দরিদ্র আর প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা থেকে বেশি বঞ্চিত৷ প্রতিবেদনের প্রধান সম্পাদক রিক কনোর বলেন, ‘‘বাসাবাড়িতে পাইপের মাধ্যমে পানির সুবিধা পাওয়া ধনীরা প্রতি লিটার পানির সুবিধা পান অপেক্ষাকৃত কম খরচে৷ বস্তিতে বসবাসরত দরিদ্ররা অনেক ক্ষেত্রেই ১০ থেকে ২০ গুণ বেশি দামে ট্রাক কিংবা বিক্রেতাদের কাছ থেকে পানি কিনছেন৷ ‘‘একটি ধারণা রয়েছে যে, তারা পানির সুবিধা পায় না, কেননা তাদের পক্ষে এর খরচ বহন সম্ভব হয় না৷ ধারণাটি পুরোপুরি ভুল৷'' থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে বলেছেন কোনোর৷

প্রতিবেদন অনুযায়ী, পর্যাপ্ত পানযোগ্য নিরাপদ পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠীরই বসবাস আফ্রিকা মহাদেশে৷ আরো ভয়বাহ তথ্য হলো, সাব সাহারা আফ্রিকায় নিরাপদ পানির সুবিধার আওতায় আছেন মাত্র ২৪ ভাগ মানুষ৷

উন্নত দেশগুলোর দায়িত্ব

জার্মানির সোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য উলা বুরশার্ড্ট নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে তাঁর দেশকে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানিয়েছেন৷ জার্মানি পানির অধিকার নিশ্চিতে সঠিক পথে থাকলেও তিনি মনে করেন অন্যদের সমস্যার জন্যও তাদের দায় রয়েছে৷ ‘‘বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের এই সমস্যার জন্য আমরাও কিছুটা দায়ী৷ বিশেষ করে তুলা বা মাংস আমদানির প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করলে, যা উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়৷'' তিনি বলেন, ‘‘নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন দুটোই মানুষের অধিকারের মধ্যে পড়ে৷ কিন্তু কয়েকশ' কোটি মানুষের সেই অধিকারের স্বিকৃতি নেই৷''

এফএস/এসিবি (কেএনএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ