পানির নীচে জাদুঘর আকৃষ্ট করছে মাছদেরও
১১ নভেম্বর ২০১০যেখানে ৪০০টি ভাস্কর্যে নানা মানুষের প্রতিমূর্তি৷ সাগরের পানির নিচে যেন জীবনেরই প্রতিচ্ছবি৷ হাতে হাত ধরে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একদল নারী কিংবা চেয়ারে বসে টেবিলে রাখা টাইপ মেশিনে মনোযোগ দিয়ে টাইপ করে চলেছেন কেউ৷ কোন কোন মূর্তি নগ্ন৷ একটি সন্তানসম্ভবা মহিলার মূর্তি৷ এক বৃদ্ধ মুখ ব্যাদান করে আছে৷ আবার একটি শিশু মাথা তুলে তাকিয়ে আছে যেন সূর্যের দিকে৷ মাছেরা বুঝে উঠতে পারছেনা এরা আদৌ সত্যিকারের মানুষ কিনা৷ মাঝেমাঝে এইসব ভাস্কর্যে ঠোকর মারছে মাছগুলো৷
পানির নিচে অভিনব এই প্রকল্পটি শুরু হয়েছিলো প্রায় দু'বছর আগে৷ ‘কানকুন মেরিন পার্ক' চাইছিল ব্রিটিশ শিল্পী জেসন দ্যক্লেয়ার্স টেইলরের কোনো শিল্পকর্ম পেতে৷ সমুদ্রের নীচে ইনস্টলেশন করার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর গ্রেনাডার উপকূলের অদূরে এই ক্যারিবিয়ান সাগরে এবং ইংল্যান্ডেও৷
কানকুন নট্যিকাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রবার্টো ডিয়াজ বলেন, ‘‘জেসনের শিল্পকর্ম প্রথমে আমি ইন্টারনেটে দেখেছিলাম৷ সেটা আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করেছিলো৷''
জেসন বলেন, ‘‘নান্দনিক দিক থেকে চিন্তা করলে এটা আসলেই অসাধারণ৷ অন্যান্য ভাস্কর্যের চেয়ে একেবারে ভিন্ন আঙ্গিকে এটা করা হচ্ছে৷ কেননা, সমুদ্রের পানির উপরে কখন কতটা আলো পড়ছে তার উপর নির্ভর করে পানির নিচের ভাস্কর্যের রঙ বদলে যাচ্ছে৷ আর এর ধরণও পানির উপরের ভাস্কর্যের চেয়ে আলাদা৷''
জেসন বলেন, ‘‘আমাকে অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন, এই কাজ কি শেষ হয়েছে? কিন্তু আমি মনে করিনা, এটা শেষ হয়েছে৷ এটা এই কাজের প্রথম ধাপ মাত্র৷''
ব্রিটিশ শিল্পী জেসন টেইলর এই ভাস্কর্যমালার নাম দিয়েছেন ‘দ্য সাইলেন্ট এভোলিউশন'৷ এ মাসেই ডুবুরিরা শেষ মূর্তিগুলো সমুদ্রের নীচে বসিয়ে দিয়েছেন৷ তার জন্য বোটের ওপর ক্রেন দাঁড় করাতে হয়েছিল৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক