জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যার ফলে পানি সরবরাহ ও পানির মানের বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ জার্মানির রাইন নদীর তীরে এক পরিশোধন কেন্দ্র পানীয় জল ও সেচের পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
রাইন ইউরোপের প্রধান নদীগুলির একটি৷ ১,২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রাপথের অর্ধেকের বেশি জার্মানির মধ্যেই পড়ে৷ একদিকে অসাধারণ নিসর্গ, অন্যদিকে পরিবহণের ব্যস্ত পথ হিসেবেও রাইনের গুরুত্ব রয়েছে৷
নদীর তীরে অসংখ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান অবস্থিত৷ সেগুলির বর্জ্য পানিও নদীতে গিয়ে পড়ে৷ আগেই পরিশোধন না করলে নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়বে৷ তখন সেই পানি কি অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে? পানি পরিশোধন কেন্দ্রের প্রতিনিধি মিশায়েল পলোৎসেক বলেন, ‘‘আমরা রাইনের পানির নমুনা সংগ্রহের জায়গায় রয়েছি৷ তীরের কাছে বয়ে চলা নদীর পানি সংগ্রহ করা হয়৷ তারপর এক দশমিক দুই শূন্য মিটার ব্যাসের দু-দুটি পাইপের মাধ্যমে সেই পানি সরাসরি পরিশোধন কেন্দ্রে চলে যায়৷’’
সেখানে খুব ভালো করে পানি পরিশোধন করা হয়, তারপর ভূগর্ভস্থ পানির দিকে চালিত করা হয়৷ ফ্রাংকফুর্ট শহরের দক্ষিণে অবস্থিত এই কেন্দ্র জার্মানিতে নদীর পানি পরিশোধনের একমাত্র স্থাপনা৷ সেখানে ফিল্টারিং প্রক্রিয়ার বেশ কয়েকটি সুবিধা রয়েছে৷ পলোৎসেক বলেন, ‘‘ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে জার্মানিতে কখনো নদীর উপরিভাগের পানি পান করার জন্য ব্যবহার করা হয়নি, কারণ, রাইনের উপর বিপর্যয়ের আশঙ্কা উড়িয়ে দেবার কোনো উপায় না থাকায় দিনরাত সরবরাহের কোনো গ্যারান্টি ছিল না৷ তারপর স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টিও রয়েছে৷ ইনফিলট্রেশন প্রক্রিয়ায় পানি থেকে ব্যাকটিরিয়া ছেঁকে নেওয়া হয়৷ সম্পূর্ণ দূর না করতে পারলেও দূষণের মাত্রা কমানো হয়৷ গ্রীষ্মকালে রাইনের পানির তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁতে পারে৷ ইনফিলট্রেশন প্রক্রিয়া তাপমাত্রার মধ্যে ভারসাম্য আনতে পারে৷’’
নদীর পানি বিশুদ্ধ করতে বিশেষ উদ্যোগ
05:02
অর্থাৎ, দীর্ঘ খরার সময়েও বিশুদ্ধ পানি ভরা আধার নিশ্চিত করতে ভূগর্ভস্থ পানির মাত্রা ঠিক রাখাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়৷ সেখানে বছরে ৪ কোটি ৩০ লক্ষ কিউবিক মিটার পানি প্রক্রিয়াজাত করা হয়৷ এক নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে গোটা প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হয়৷ রাজ্য পানি পরিশোধন প্রতিষ্ঠানের হুবার্ট শ্রাইবার বলেন, ‘‘মনে রাখতে হবে, যে একমাত্র স্থানীয় ভূতাত্ত্বিক পরিবেশের কারণে এই সমাধানসূত্র সম্ভব হয়েছে৷ এখানে বিশাল আকারের প্রাকৃতিক অ্যাকুইফাইয়ার বা জলাধার রয়েছে৷ সব জায়গায় এমন পরিবেশ পাওয়া যায় না৷ যেমন জার্মানির পূর্বাঞ্চলে কোনো প্রাকৃতিক জলাধার নেই৷ তাই ভূতাত্ত্বিক কারণে সেখানে এই সমাধানসূত্র কাজে লাগবে না৷’’
রাইন নদীর পানি এই সব জলাধারে বয়ে যায়৷ বিশেষভাবে তৈরি এক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পানি পরিশোধন করা হয়৷ পানি পরিশোধন কেন্দ্রের মিশায়েল পলোৎসেক বলেন, ‘‘দূষিত ওয়াটার পাম্প স্টেশনে যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পরিশোধনের পরের ধাপ হলো ফ্লকুলেশন৷ এটি রাসায়নিক পরিশোধন প্রক্রিয়ার অংশ৷ ফেনা তোলার জন্য ফ্লকুলেশন এজেন্ট যোগ করা হয়৷ প্রথমে সেটি দ্রবণীয় থাকলেও তারপর তলানি হিসেবে উপরে ভেসে ওঠে৷ পরের ধাপে বিশুদ্ধ পানি ফিল্টার করা হয়৷’’
বন শহরের রাইন নদী
জার্মানির বন শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে অনন্য সুন্দর এক নদী ‘রাইন’৷ বনের মনোরম এ নদীটির সৌন্দর্য দেখুন এই ছবিঘর৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
রাইন নদী
ইউরোপের দীর্ঘতম ও গুরুত্বপূর্ণ নদী রাইন৷ দৈর্ঘ্যে এটি প্রায় ৮২০ মাইল বা ১,৩২০ কিমি৷ জার্মানির বন শহরের পাশ দিয়েও বয়ে গেছে নদীটির কিছু অংশ৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
হাঁটা পথ
বন শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাইনের তীরে আছে সাইকেল চালানোর এবং হাঁটার জন্য আছে ভিন্ন পথ৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
প্রমোদ তরী
রাইনে ভ্রমণের জন্য আছে বেশ কিছু প্রমোদ তরীও৷ এগুলোতে চড়ে রাইনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন পর্যটকরা৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
পণ্য পরিবহন
পণ্য পরিবহনের জন্য ইউরোপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদী হলো রাইন৷ প্রতিদিন শত শত মাল বোঝাই কার্গো জাহাজ ইউরোপের বিভিন্ন রুটে চলাচল করে এ নদী দিয়ে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
কেনেডি সেতু
বন শহরের রাইন নদীতে আছে বেশ কয়েকটি সেতু৷ এগুলোর মধ্যে অন্যতম বন এবং বয়েলের মধ্যে সংযোগকারী ‘কেনেডি সেতু’ একটি৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
সূর্যোদয়
রাইন নদীতে সূর্যোদয়ের দৃশ্য খুবই মনোহর৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
রাতের রাইন
বন শহরের পাশে আলো ঝলমেল রাইন নদীকে রাতেরবেলা আরো সুন্দর মনে হয়৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
পরিচ্ছন্ন নদী
শহর ঘেঁষে বয়ে গেলেও রাইন নদীতে কোনো দূষণ নেই৷ তাই এ নদীর পানি সারা বছরই টলটলে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
হেমন্তে রাইনের তীর
হেমন্তে রাইন নদীর তীরের গাছপালার পাতা এতটাই বর্ণিল হয় যে সর্বত্রই একে ছবির মতো মনে হয়৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
শীতে পানি বাড়ে
রাইন নদীতে পানির প্রবাহ শীতে বেড়ে যায়৷ তবে গ্রীষ্মে তা তুলনামূলক কম থাকে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
পাখির চোখে রাইন
বন শহরের পাশের ড্রাখেনফেলস পাহাড় চূড়া থেকে রাইন নদী ও বন শহরের ‘বার্ডস আই ভিউ’ দেখা যায়৷
ছবি: picture-alliance/Rolf Kosecki
11 ছবি1 | 11
প্রায় ৩০ বছর আগে স্থাপনাটি তৈরি করা হয়েছিল৷ সে যুগে এটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির নমুনা ছিল৷ রাইন নদীতে বেড়ে চলা দূষণের মোকাবিলা করতে বর্তমানে সেটি সম্প্রসারণ করা হয়েছে৷
পানির মধ্যে ব্যাকটেরিয়া, হেভি মেটাল ও কীটনাশক আছে কিনা, গবেষণাগারে তা পরীক্ষা করা হয়৷ জার্মানিতে পানীয় জল ও সেচের পানির ক্ষেত্রে কড়া মানদণ্ড চালু রয়েছে৷ নির্দিষ্ট মাইক্রোবায়োলজিক্যাল মাপকাঠির ভিত্তিতে তা স্থির করা হয়৷
এই স্থাপনা থেকে চাষিদের জন্যও বিশুদ্ধ সেচের পানি সরবরাহ করা হয়৷ তাপ প্রবাহের সময় গোটা অঞ্চলের মাটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ সম্প্রতি স্থানীয় চাষিদের ফসল বাঁচাতে আগের তুলনায় অনেক বেশি মাত্রায় সেচের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে৷ এই স্থাপনায় পরিশুদ্ধ পানির প্রায় ১২ শতাংশ চাষিদের জন্য ধার্য করা হয়৷ কৃষি ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে হান্স-ইয়ুর্গেন ফিশার মনে করেন, ‘‘এটা একেবারে অপরিহার্য৷ আমরা পিঁয়াজ, স্ট্রবেরি ও অ্যাস্পারাগাস চাষ করি, যার জন্য প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়৷ পানির মান ভালো হওয়ায় আমরা যে কোনো সময় স্ট্রবেরি গাছে পানি দিতে পারি৷ নিয়মিত পানি পরীক্ষা করা হয়৷ প্রায় পানীয় জলের মতো৷ ফলে আমরা সরাসরি স্ট্রবেরি বিক্রি করতে পারি৷ আমাদের কৃষিপণ্যের মান নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷’’
চাষিরা প্রতি কিউবিক মিটার সেচের পানির জন্য ৩০ থেকে ৫০ সেন্ট মাশুল দেন৷ হান্স-ইয়ুর্গেন ফিশারের মতে, পানীয় জলের মূল্য এর প্রায় ১০ গুণ বেশি৷ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে গোটা অঞ্চলের জন্য বিশুদ্ধ পানির গুরুত্ব অত্যন্ত বেড়ে গেছে৷
টানিয়া ব্লুট/এসবি
রাইনে প্রকৃতি মিশেছে শিল্পের সাথে
জার্মানির দক্ষিণ থেকে উত্তরে বয়ে চলেছে রাইন নদী৷ নদীটি শিল্পী এবং প্রকৃতিবিদদের বরাবরই উৎসাহ জুগিয়ে আসছে৷ ১৮ ও ১৯ শতকে নদীর অনুপ্রেরণায় তাই কেউ ছবি এঁকেছেন, কেউ লিখেছেন কবিতা, কেউ আবিষ্কার করেছেন নদীতীরবর্তী অপরূপ দৃশ্য৷
ছবি: Museum Wiesbaden
প্রকৃত চিত্র
১৯ শতকে রাইন জনপ্রিয় স্থানের মর্যাদা অর্জন করে৷ চিত্রশিল্পী, কবি এবং প্রকৃতিবিদদের অনুপ্রেরণার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় এটি৷ দুর্গ, উপত্যকা আর পাহাড়ে ঘেরা দু’পারের নৈসর্গিক দৃশ্য৷ আন্টন ডিটৎসলার ১৮২০ থেকে ১৮৩০ সালের মাঝামাঝি ‘ভিউ অফ নাসাও’ নামে এই ছবিটি আঁকেন৷
ছবি: Museum Wiesbaden
ডাচ শিল্পীর মডেল
রাইনকে নিয়ে আগ্রহ শুরু হয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে৷ অর্থ উপার্জনের জন্য ডাচ শিল্পীরা রাইন সফর করেন সে সময়৷ আমস্টারডামভিত্তিক প্রকৃতিবিদরা রাইনের আশেপাশের প্রকৃত চিত্র তুলে আনতে তাঁদের পাঠিয়েছিলেন৷ এঁদের মধ্যে একজন শিল্পী ছিলেন হ্যারমান সাফটলেভেন৷ তিনি রাইনের প্রকৃত চিত্রের ছবি এঁকেছিলেন৷
ছবি: Ed Restle/Museum Wiesbaden
ভ্রমণ গাইড
রাইনের মধ্যাঞ্চলটি সর্বপ্রথম পর্যটন আর্কষণের কেন্দ্র হয়ে ওঠে৷ অনেক অভিজাত ব্যক্তিরা ১৮ শতাব্দীতে এই নদীতে ভ্রমণ বা ‘ক্রুজ’ করেন৷ ব্যারন ইওহান আইজ্যাক এই স্থানটিকে জনপ্রিয় করে তোলেন তাঁর ভ্রমণ প্রতিবেদনের মাধ্যমে৷ রিপোর্টে মাইনৎস থেকে কোলন ভ্রমণের বর্ণনা ছিল, যা পরবর্তীতে ইংরেজি ও স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ হয়৷
ছবি: Museum Wiesbaden
সংস্কৃতির ঘটনাপঞ্জি
জলরঙের শিল্পী ক্রিস্টিয়ান গেয়র্গ শ্যুটৎস জুনিয়রের আঁকা ছবিগুলো ভ্রমণচিত্র হিসেবে বিখ্যাত৷ তিনি গ্যার্নিংস-এর ছবি এঁকেছিলেন৷ ১৮ শতকের প্রথমদিকে এই ছবিগুলো আঁকা৷ রাইনের তীরবর্তী প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং ভবনগুলোর প্রকৃত চিত্র ফুটিয়ে তোলায় জোর দেন তিনি৷ রাইনের ধারে একমাত্র দুর্গটি তাঁর কাজের অন্যতম নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়৷
ছবি: Museum Wiesbaden
দেখার পরের দৃশ্য
ক্রিস্টিয়ান গেয়র্গ শ্যুটৎস সিনিয়রকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ডাচ শিল্পী সাফটলেভেনের স্টাইলের অনুকরণ করার৷ তাই ফ্রাংকফুর্টের এই চিত্রশিল্পী রাইনের রোম্যান্টিক চিত্র ফুটিয়ে তুললেন তাঁর ছবিতে৷ ল্যান্ডস্কেপগুলোতে উষ্ণ, ঘনিষ্ট এবং পার্থিবতা ফুটে উঠেছে৷
ছবি: Museum Wiesbaden
এল্টভিল গ্রাম
রাইনগাও ওয়াইন এলাকায়, নদীর পাশেই এল্টভিল গ্রামের অবস্থান৷ ১৭৭৪ সালে ক্রিস্টিয়ান গেয়র্গ শ্যুটৎস সিনিয়র এই ছবিটি যখন এঁকেছিলেন, তখন স্থানটি বেশ জনপ্রিয় ছিল৷ যেসব অভিজাত ব্যক্তি ঐ এলাকাটি সফর করতেন তাঁরা জায়গাটির ছবি আঁকার দায়িত্ব দিতেন৷ তাই চাহিদা যত বাড়লো, পরিবারের বাকি সদস্যেরও কাজে লাগিয়ে দিলেন শ্যুটৎস৷
ছবি: Museum Wiesbaden
শিল্পীদের পরিবার
ফ্রাঞ্জ শ্যুটৎসও এমন একজন শিল্পী, যিনি রাইনের ছবি এঁকে জীবিকা নির্বাহ করেছিলেন৷ ‘স্ট্রুম উন্ড দ্রাং’ মুভমেন্টের প্রতিনিধিও ছিলেন তিনি, যিনি নিজের শিল্প সত্ত্বাকে কল্পনাবিলাসী পথে নিয়ে গেছেন৷ এই ছবিতে ঝড়ের পূর্বে রাইনের ছিত্র ফুটে উঠেছে৷ তাঁর কাজের অন্যতম অনুরাগী ছিলেন ইওহান ভল্ফগাং ফন গ্যোটে৷
ছবি: Museum Wiesbaden
বিলুপ্তি গ্রহণযোগ্য নয়
রাইন নদীকে শুধুমাত্র মানুষের প্রয়োজনে চওড়া করার ফলে এর জলে পরিবেশগত প্রভাবও লক্ষ্য করা যায়৷ যেমন, ১৮৪০ সালে বিরল প্রজাতির একটি অতিব মাছ নদী থেকে তোলা হয়েছিল৷ এটা ছিল ১০ ফিট লম্বা এবং ৩০০ কেজি ওজনের৷ অথচ বর্তমানে, এমন বহু বিরল প্রজাতির প্রাণীরই বিলুপ্তি ঘটেছে রাইনে৷
ছবি: Museum Wiesbaden
ফনা উৎসব
স্বপ্নবাদী এবং চিন্তাবিদদের মনের খোরাক বরাবর জুগিয়েছে রাইন৷ বিঙ্গেন এবং কোবলেনৎস-এর মাঝামাঝি মধ্য রাইনের সুন্দর আবহাওয়াই এর জন্য দায়ী৷ এ কারণে মধ্য ইউরোপের সর্ববৃহৎ ‘বায়োডাইভার্সিটি’ এখানে অবস্থিত৷ অনেক বন এবং পাথুরে পাহাড় এখানকার প্রাণীদের রক্ষার জন্য খুবই উপযোগী৷
ছবি: Museum Wiesbaden
ভিসবাডেনের সংগ্রহ
ইওহান ভল্ফগাং গ্যোটের উপদেশ অনুযায়ী, ইওহান আইজ্যাক ফন গ্যার্নিং-এর পরিবার তাঁদের কাছে থাকা ঐ শিল্পীর চিত্রকলাসহ সংরক্ষিত নানা বস্তু দান করে৷ পরবর্তীতে ভিসবাডেন শহরে একটি জাদুঘর তৈরি হয়, যেখানে সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীতে রাইনের ধারে পাওয়া নানা প্রাকৃতিক বস্তু এবং শিল্পকলা স্থান পেয়েছে৷