1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাপান্দ্রেউ-র সামনে নানা সমস্যা

আন্দ্রেয়াস নল/এসি৫ জানুয়ারি ২০১৫

গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করার তিন বছর পরে ইয়র্গস পাপান্দ্রেউ-র আবার রাজনেতিক মঞ্চে ফিরছেন৷ তবে কাজটা সহজ হবে না – ডয়চে ভেলেকে এ কথাই বলেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাইনৎস-ইয়ুর্গেন আক্স্ট৷

Griechenland Ehemaliger Premierminister Papandreou gründet neue Partei
ছবি: picture alliance/ZUMA Press/Aristidis Vafeiadakis

ডিডাব্লিউ: সংসদীয় নির্বাচনের মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি থাকতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়র্গস পাপান্দ্রেউ ‘গণতান্ত্রিক সমাজবাদী আন্দোলন' নাম দিয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন৷ সেটা কি তাঁর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে?

হাইনৎস-ইয়ুর্গেন আক্স্ট: পাপান্দ্রেউ-র সাবেক সরকারি দল আন্তঃ-গ্রিক সমাজতন্ত্রী আন্দোলন বা পাসক-এর বর্তমান হাল দেখলে বলতে হয়, পাসক-এর বিশেষ ভয় পাবার কারণ নেই, কেননা পাসক ইতিমধ্যেই ব্যাপকভাবে ভোটারদের আস্থা হারিয়েছে৷ আশির দশকে পাসক যে প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পেতো, তার মাত্র সাত শতাংশ আজ বাকি৷ পাপান্দ্রেউ ঐ সাত শতাংশ থেকে স্বল্পই নিতে পারবেন৷

কিন্তু পাপান্দ্রেউ তো পাসক-এর ভোট কাড়ার চেষ্টা করবেন না; তাঁর লক্ষ্য হবে আলেক্সিস সিপ্রাস-এর সিরিজা দল, জরিপ অনুযায়ী যারা এবার নির্বাচনে জয়লাভ করতে চলেছে৷

হাইনৎস-ইয়ুর্গেন আক্স্টছবি: DW/N Rujevic

১৯৭৪ সালে সামরিক একনায়কতন্ত্র শেষ হওয়া যাবৎ গ্রিসের ইতিহাস দেখলে মনে হবে, সমাজতন্ত্রীরা সিরিজা-র উগ্র বামপন্থিদেরও মন কাড়ার ক্ষমতা রাখে৷ কিন্তু সেটা তাঁর পিতা (পাসক-এর প্রতিষ্ঠাতা) আন্দ্রেয়াস পাপান্দ্রেউ-র পক্ষে যতটা সহজ ছিল, ইয়র্গস পাপান্দ্রেউ-র পক্ষে তা ততটা সহজ হবে না৷... তিনিই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন যখন ২০০৯ সালে গ্রিসের সরকারি ঋণ বিপর্যয় প্রকাশ পায়৷ ইইউ ট্রোইকা আজ যে নীতি নির্দেশ করে দিচ্ছেন, পাপান্দ্রেউ সে আমলে সেই নীতিই অনুসরণ করছিলেন৷ (অপরদিকে) অতীতে বেশ কিছু পাসক ভোটার সিরিজা-র দিকে ঝোঁকেন৷ পাপান্দ্রেউ কিছু রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত অনুগামীদের ফিরিয়ে আনতে পারবেন, কিন্তু বহু সিরিজা ভোটার আজ চলতি সংস্কারের নীতির প্রতি বুনিয়াদি প্রতিরোধের পক্ষে৷ ওদিকে পাপান্দ্রেউ সংস্কারের পথ থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন না, কেননা তিনি প্রকাশ্যভাবে গ্রিসের বর্তমান সমস্যার জন্য তাঁর ব্যক্তিগত দায়িত্বের কথা স্বীকার করেছেন৷

এই সংকটের সময়ে গ্রিসের রাজনৈতিক দলগুলির কি আদৌ কোনো ভূমিকা আছে?

গ্রিকরা প্রধানত তাদের ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নেতাদের কথাই শোনে, নির্বাচন সংক্রান্ত গবেষণা থেকে তা দেখা গেছে৷ মিৎসোতাকিস, কারামানলিস এবং পাপান্দ্রেউ, এই তিনটি বড় পরিবার যে চিরকাল গ্রিসে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে, তা-তে আশ্চর্য হবার কিছু নেই৷ দলের ম্যানিফেস্টো নয়, বরং তার ক্যারিসম্যাটিক নেতাই ভোট টেনে থাকেন৷....ইয়র্গস পাপান্দ্রেউ যে ক্যারিসম্যাটিক নেতা হবেন, এ প্রত্যাশা কোনোদিনই ছিল না৷....অবশ্যই তিনি সিরিজা দলের আলেক্সিস সিপ্রাস-এর মতো নন৷ সিপ্রাস একজন তরুণ, উজ্জ্বল, দায়িত্বমুক্ত হিরো৷ কিন্তু এমন একটি হিরোর গায়েও এখন আঁচড় পড়েছে: সর্বাধুনিক জরিপে দেখা গেছে, সিরিজা কিছু সমর্থন হারিয়েছে৷

প্রফেসর হাইনৎস-ইয়ুর্গেন আক্স্ট দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ সমিতির উপ-সভাপতি৷ ডুইসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর বিশেষ বিষয়গুলির মধ্যে পড়ে গ্রিস এবং ইউরোপীয় সংহতি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ