1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পারলেন না সালাহ!

১৯ জুন ২০১৮

প্রথম ম্যাচ খেলেননি মোহাম্মদ সালাহ৷ এই ম্যাচে একাদশে নাম থাকায় ম্যাচ নিয়ে সবার ছিলো অন্যরকম আগ্রহ৷ কিন্তু খেলার মাঠে ঘটলো না তার প্রতিফলন৷

Russland WM 2018 Russland gegen Ägypten
ছবি: Reuters/P. Olivares

শুধু বিশ্বকাপ নয়, যেকোন পর্যায়েই এই প্রথম মুখোমুখি এই দুই দল৷ ফলে পরস্পরের বিপক্ষে পরিসংখ্যানের খাতা তো খুললো কেবল৷

কিন্তু অন্যান্য পরিসংখ্যান অবশ্য কথা বলছিল মিশরের বিপক্ষেই৷ সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ার পর রাশিয়া কখনও আফ্রিকার কোন দেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপে হারেনি৷ অন্যদিকে, মিশর কখনও হারাতে পারেনি কোন ইউরোপীয় প্রতিপক্ষকে

আগের ম্যাচে সৌদি আরবকে রাশিয়া ৫ গোল দেয়া, এবং সালাহর বিশ্বকাপ অভিষেক, সব মিলিয়ে এই ম্যাচ নিয়ে আগ্রহের শেষ ছিলো না৷ কিন্তু ম্যাচটা বলতে গেলে হলো অনেকটাই একপেশে৷ মাঠে খুব একটা প্রাণবন্ত দেখা যাচ্ছিলো না সালাহকে৷

ছবি: Reuters/L. Smith

প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে দেখা যায় নতুন এক রাশিয়াকে৷ প্রথম গোলটা ছিলো আত্মঘাতি৷ রোমান জোবনিনের দুর্বল শট আহমেদ ফাতিহর পায়ে লেগে জড়ায় মিশরের জালে৷

এর মাত্র ১২ মিনিটের মাথায় ম্যাচের ৫৯ মিনিটে ফার্নেন্দেসের দুর্দান্ত পাসে খালি জায়গায় বল পায়ে পান চেরিশেভ৷ ম্যাচের স্কোর দাঁড়ায় ২-০ তে৷

তৃতীয় গোল ছিলো আরো দ্রুত৷ দ্বিতীয় গোলের তিন মিনিটের মাথায়, ম্যাচ তখন গড়িয়েছে কেবল ৬৩ মিনিটে৷ এবারের নায়ক আরটেম জিয়ুবা৷

এরপর অনেকবার চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি সালাহর দল৷ তবে ম্যাচের ৭৩ মিনিটে ভিআর প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে একটি পেনাল্টি আদায় করে মিশর৷ বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোল করেন সালাহ৷

তাতে অবশ্য শুধু ব্যবধানটাই কমে ৩-১ হয়েছে৷ কিন্তু পরপর দুই হারে মিশরের সামনে এখন প্রথম পর্ব থেকেই বাদ পড়ে যাওয়ার আশংকা৷

দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে পোল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়েছে সেনেগাল৷

ফিফা র‍্যাংকিংয়ে ৮ নম্বরে পোল্যান্ড, সেনেগালের অবস্থান ২৭ নম্বরে৷ কে ভেবেছিল, ১৬ বছর পর বিশ্বকাপে ফিরে ‘অফ্রিকার সিংহ’ এভাবে ঘাড় মটকাবে পোলিশদের!

হলো কিন্তু ঠিক তাই৷ পুরোটা সময় মাঠ কাঁপিয়ে বল পায়ে ছুটে বেড়িয়েছেন সেনেগালের খেলোয়াড়েরা৷ তাঁদের সামনে পোল্যান্ডকেই বরং মনে হচ্ছিল আন্ডারডগ৷

২০০২ সালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল সেনেগাল৷ কিন্তু এরপর আর বিশ্বকাপের মূল পর্বেই ওঠা হয়নি তাদের৷ এবার ১৬ বছর পর মাঠে নেমে আবার সেই চমক৷

আক্রমণ-পালটা আক্রমণে খেলায় গতি এলেও, গোল পাচ্ছিলো না কোনো পক্ষই৷ শেষ পর্যন্ত ৩৭ মিনিটে বহু আকাঙ্খিত গোল পায় সেনাগাল৷ তবে সেখানে অবশ্য ভাগ্যের সহায়তাই ছিল বেশি৷

ইদ্রিসা গুয়েয়ে শট নিলেও তা লাগে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার থিয়াগো সিয়োনেকের পায়ে৷ সেখান থেকেই বলের গতি পরিবর্তন হওয়ায় বোকা বনে যান গোলরক্ষক৷ আত্মঘাতী গোলে ১-০ তে এগিয়ে যায় সেনেগাল৷

ছবি: Reuters/K. Pfaffenbach

৬০ মিনিটে আবার ভুল৷ প্রতিপক্ষের আক্রমণ ডি-বক্সের সামনে এসে ঠেকাতে চাইছিলেন পোলিশ গোলরক্ষক৷কিন্তু দক্ষতার সাথে তাঁকে পাশ কাটান এমবায়ে নিয়াং৷ খোলা গোলপোস্টে বল জড়াতে কোনো সমস্যাই হয়নি তাঁর৷ ফল ২-০৷

ম্যাচের ৮৬ মিনিটে অবশেষে এক গোল শোধ করতে পারে পোল্যান্ড৷ ফ্রি কিক থেকে গোল করেন গ্রেগোরজ ক্রিচোভিয়াক৷

এদিকে দিনের প্রথম ম্যাচে কলম্বিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে জাপান৷ একে তো লালকার্ড পেয়ে একজন মাঠের বাইরে, তার ওপর পেনাল্টি ছিল মরার ওপর খাঁড়ার ঘা৷ আর এতেই নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পায় জাপান৷

পরিসংখ্যানে জাপানের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে উত্তর অ্যামেরিকার দেশ কলম্বিয়া৷ কলম্বিয়ার এই মুহূর্তে ফিফা র‍্যাংকিং ১৬, আর জাপানের ৬১৷ বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতার দিকেও অনেক এগিয়ে কলম্বিয়া৷ এর আগে বিশ্বকাপে তিনবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল, তিনবারই জয় পেয়েছে কলম্বিয়া৷

কিন্তু ভাগ্য বিরূপ হলে, অভিজ্ঞতায় কী আসে যায়! খেলা শুরুর মাত্র ৪ মিনিটের মাথায় ডি বক্সে জাপানের শিনজি কাগাওয়াকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন কার্লোস সানচেজ মরেনো৷ মুহূর্তেই ১০ জনের দলে পরিণত হয় কলম্বিয়া৷

ছবি: Reuters/D. Sagolj

কাগাওয়াই নেন লক্ষ্যভেদী পেনাল্টি কিক৷ খেলার ৬ মিনিটেই জাপান এগিয়ে যায় ১-০ গোলে৷

১০ জনের দল নিয়েও ভালো দাপট দেখাচ্ছিল কলম্বিয়া৷ মাঝেমধ্যে দুর্দান্ত গতিতেবেশকিছু আক্রমণ রচনা করলেও কোনোটাই লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি৷

তবে সুযোগ এলো ম্যাচের ৩৯ মিনিটে৷ ফ্রি কিক থেকে ইউয়ান ফার্নান্দো কুইনটেরোর অসাধারণ শট গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকান ঠিকই, কিন্তু পরবর্তীতে গোল লাইন টেকনোলজি ব্যবহার করে দেখা যায়, বল আগেই গোলের দাগ অতিক্রম করেছে৷ সমতা ফেরায় কলম্বিয়া৷

দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণে মাঠে ঘাম ঝরায়৷ সবাইকে চমকে দিয়ে ৭৩ মিনিটে কর্নার থেকে জোরালো হেডে কলম্বিয়ার জালে বল জড়ান ইওইয়া ওসাকা৷ কলম্বিয়া জাপান ম্যাচের স্কোর পরিণত হয় ১-২ এ৷

এটিই ছিল ম্যাচের জয়সূচক গোল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ইউরোপ