শেষতক ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো ব্রাজিলকেও৷ সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্র দিয়ে রস্তভ এরেনায় হেক্সাজয়ের মিশন শুরু করেছে নীল-হলুদরা৷ তবে মেক্সিকোর কাছে হোঁচট খেয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি৷
বিজ্ঞাপন
নামটা তাঁর জমার, ইংরেজিতে যাকে বলে সামার আর বাংলায় গ্রীষ্ম৷ এতদিন গ্রীষ্মের উত্তাপ কতটা টের পেয়েছেন তা জানা নেই, তবে রোববারের খেলায় শুরুতেই যে টের পেয়েছেন সুইস গোলরক্ষক, তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷
ফিফার বাছাই তালিকায় ছয় নম্বরে সুইজারল্যান্ড, আর দুইয়ে ব্রাজিল৷ তাই কাগজে কলমে ব্যবধান কিন্তু তেমন একটা নয়৷ এমনকি শেষবার ব্রাজিলের মাটিতে বিশ্বকাপের মুখোমুখিতে ২-২ গোলের ড্র নিয়েই ফিরেছিল সুইসরা৷ যদিও তা ৬৮ বছর আগের কথা৷
কিন্তু শুরুটা একটু ঢিমেতালে করলেও কয়েক মিনিটের মধ্যেই মাঠের খেলায় ব্যবধানটা পরিষ্কার করে দেখিয়ে দিলেন নেইমার, কৌটিনিয়োরা৷ একের পর এক আক্রমণ ঠেকাতেই ব্যস্ত সুইস ডিফেন্স৷ কৌশলি গোলরক্ষক জমারও পারদর্শিতা দেখিয়েছেন কয়েকবার৷ তাই প্রথম গোলের জন্য ব্রাজিলকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০ মিনিট ৷ তবে প্রথম পরিষ্কার সুযোগটি এসেছিল ১১ মিনিটে৷ ব্রাজিল তারকা নেইমারের ছোট্ট একটি পাস বাম পায়ে ঠিকমতো লাগাতে পারেননি পাউলিনিয়ো৷
তবে ২০ মিনিটে কৌটিনিয়ো কোনো ভুল করেননি৷ ডি-বক্সের বাইরে থেকে চমৎকার শটে পরাস্ত করেন জমারকে৷ বলটি বেঁকে গিয়ে দ্বিতীয় বারের ভেতর দিক ছুঁয়ে প্রতিপক্ষের জাল স্পর্শ করে৷ বিশ্বকাপে ডি-বক্সের বাইরে থেকে করা ব্রাজিলের ৩৭-তম গোল এটি৷ আর কোনো দল এতগুলো গোল করতে পারেনি৷
এরপর বারবারই ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছেন সুইসরা৷ কিন্তু মারসেলো-থিয়াগো সিলভারা যেভাবে দেয়াল তৈরি করে দাঁড়িয়েছিলেন তাতে সম্ভব হয়নি৷ প্রথমার্ধে এরপর অবশ্য তেমন জৌলুস চোখে পড়েনি কারো খেলাতেই৷ ব্রাজিল বারবার আক্রমণে গেলেও সেগুলোর কোনোটিকেই একেবারে পরিষ্কার সুযোগ বলা যাবে না৷ এমনকি কৌটিনিয়োর গোলটিও ছিল তাঁর ব্যক্তিগত নৈপুণ্য৷
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই যেন সিন্দাবাদের ভূতের মতো ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারদের ঘাড়ে চেপে বসেন সুইস ফরোয়ার্ডরা৷ ফলও পান৷ পাঁচ মিনিটের মধ্যেই শাকিরির ইনসুইং কর্নারকে ছয় গজের মধ্যে পেয়ে হেড করে দলকে সমতায় ফেরান সুইস স্ট্রাইকার সুবার৷
গোল পেয়ে দারুণ উজ্জীবিত সুইজারল্যান্ড আক্রমণের ধার বাড়ানোর চেষ্টা করে৷ অন্যদিকে, ব্রাজিলও মরিয়া হয়ে ওঠে ব্যবধান বাড়াতে৷ কিন্তু সুইসদের কড়া ডিফেন্স ভেদ করা কিছুতেই সম্ভব হচ্ছিল না৷
৭০ মিনিটে আবারো চমৎকার সুযোগ আসে ব্রাজিলের সামনে৷ নেইমারের একটি ক্রস থেকে ডি-বক্সের ভেতর বল পেয়েও নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করতে ব্যর্থ হন কৌটিনিয়ো৷ ৭৩ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জেসুসকে ডি-বক্সের ভেতর বাজেভাবে টেনে ধরে ফেলে দিলেও রেফারির চোখে তা পেনাল্টির অপরাধ হিসেবে ধরা পড়েনি৷
৮৮ মিনিটে আবারো সুযোগ৷ উইঙ্গার উইলিয়ানের ক্রসকে দৌঁড়ে এসে হেড করে গোলের চেষ্টা করেন নেইমার৷ কিন্তু তা কেবল জমারের তালুবন্দিই হয়৷ ৯০ মিনিটে এবার নেইমারের ফ্রি-কিক থেকে বদলি খেলোয়াড় ফিরমিনিয়ো চমৎকারভাবে হেড করেন৷ এবারো বাধা হয়ে দাঁড়ায় জমারের দুই হাত৷
সব মিলিয়ে ম্যাচ জুড়ে কেবল আক্ষেপই বাড়িয়েছে ব্রাজিল৷ ১৯৭৮ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটি জিততে পারলো না তারা৷
হার দিয়ে শুরু বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের
এদিকে, আগের ম্যাচে মেক্সিকোর কাছে ১-০ গোলের পরাজয় দিয়েই বিশ্বকাপে ট্রফি বাঁচানোর মিশন শুরু করেছে জার্মানি৷ চরম উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ভালো খেলেও পয়েন্ট বাঁচাতে পারেনি তারা৷
কৃতিত্ব অবশ্য মেক্সিকোকে দিতেই হবে৷ বিশেষ করে গোলরক্ষক ওচোয়াকে, যিনি খেলার ৩৯ মিনিটে বাঁদিকে অনেকটা উড়ে গিয়ে টনি ক্রুসের একটি অনবদ্য ফ্রি-কিক ফিরিয়ে দেন৷
অন্যপ্রান্তে মানুয়েল নয়ারও ছিলেন বেশ ব্যস্ত৷ ভেলা-লোৎসানোরা তাঁকে রীতিমতো পায়ের গোড়ালি মাটিতে ফেলতে দেননি৷ কী ডিফেন্স, কী মিডফিল্ড সব জায়গাতেই জার্মানিকে পেছনে ফেলেছে মেক্সিকো৷
বিশেষ করে প্রথমার্ধটি ছিল তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ৷ এগার মিনিটের মধ্যে দু'বার প্রতিপক্ষের জাল প্রায় স্পর্শ করেই ফেলেছিলেন সবুজসাদা জার্সি পড়া উত্তর অ্যামেরিকানরা৷
জার্মানরাও আক্রমণ করে যাচ্ছিলেন৷ তাদের আক্রমণ থেকে বল চুরি করে পাল্টা আক্রমণে বারবারই সুযোগ তৈরি করছিল মেক্সিকো৷ হার্নান্দেজ ও ভেলার নৈপুণ্যে বোয়েটাং-খেদিরাদের ফাঁকি দিয়ে ৩৫ মিনিটের মাথায় লেফট উইং থেকে বল কুড়িয়ে নয়ারকে পরাস্ত করেন লোৎসানো৷
এরপর ডয়েচরা বেশ কয়েকবার গোল শোধের সুযোগ পেলেও ঠিক যেন হয়ে উঠছিল না৷ এভাবেই ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে শেষ হয় প্রথমার্ধ৷
দ্বিতীয়ার্ধ্বে খেলার কৌশল একটু বদলায় দু'দলই৷ প্রথমার্ধে যতটা আক্রমণাত্মক খেলা হয়েছে, দ্বিতীয়ার্ধে কম ছিল গতি৷ সেখানে জার্মানরা ছিল আক্রমণে এগিয়ে৷ কিন্তু শতভাগ পরিষ্কার না হলেও ৬০-৭০ ভাগ পরিষ্কার সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ড্রাক্সলার-ভের্নার-ম্যূলাররা৷
শেষের দিকে বেশ চাপিয়ে খেলেছে জার্মানি৷ বেশ কিছু অস্পষ্ট সুযোগও তৈরি হয়েছিল৷ কিন্তু ভাগ্যও কেন যেন মুখ ফিরিয়ে ছিল তাদের প্রতি৷ শেষ দিকে গোলরক্ষক নয়ার পর্যন্ত উঠে আসেন৷ কিন্তু সবাই মিলেও ওচোয়া আর তাঁর প্রতিরক্ষার সবুজ দেয়াল ভেদ করতে পারেননি চ্যাম্পিয়নরা৷
একে একে হোঁচট খাচ্ছে বড় দলগুলো৷ ভাগ্যই জানে, আরো কী দেখতে হবে এবারের বিশ্বকাপে৷
এর আগে দিনের প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকাকে হারায় সার্বিয়া৷ প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করতে পারলেও শেষ পর্যন্ত সার্বদের ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়৷ ফ্রি-কিক থেকে সার্বিয়ার একমাত্র গোলটি করেন রোমা ডিফেন্ডার আলেক্সান্ডার কোলারভ৷
বিশ্বকাপ: শিল্পীর তুলিতে ইতিহাস
ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৮-র চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে জার্মানি৷ বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, চূড়ান্ত দলে নেই লেরয় জানে৷ তবে বিশ্বকাপে এটাই প্রথম বিস্ময় নয়৷ কার্টুনিস্ট জার্মান আচ্যেল ক্যানভাসে তুলে ধরেছেন আরো কিছু বিস্ময়ের কথা৷
ছবি: Aczel / Edel Books
১৯৩০: কোনো এক সময়...
প্রথম বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩০ সালে, উরুগুয়েতে৷ সেসময় মূলত উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ অ্যামেরিকার দলগুলো বিশ্বকাপে অংশ নেয়৷ ইউরোপ থেকে স্টিমশিপে চেপে সেই বিশ্বকাপে অংশ নিতে যায় চারটি দল৷ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনাকে ৪-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয় করে স্বাগতিক উরুগুয়ে৷
ছবি: Aczel/Edel Books
১৯৫৪: বার্ন-এ চমক
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় সুইজারল্যান্ডে৷ সেবার প্রস্তুতি পর্বে হাঙ্গেরির কাছে ৮-৩ গোলে হারে জার্মানি৷ কিন্তু ফাইনালে ইতিহাস রচনা করে জার্মানরা৷ হাঙ্গেরিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয় করে দেশটি৷ কার্টুনে জার্মান দলের ফ্রিৎস ভাল্টার (বামে) এবং প্রশিক্ষক সেপ হ্যার্বারগারকে উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের কাঁধের উপর দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Aczel/Edel Books
১৯৬৬: প্রথম এবং একমাত্র
যদিও ফুটবলের জন্মস্থান মনে করা হয় ইংল্যান্ডকে, তা সত্ত্বেও দেশটি বিশ্বকাপ জিতেছে মাত্র একবার - ১৯৬৬ সালে৷ সেবার নিজেদের মাটিতে জার্মানিকে ৪-২ গোলে হারায় ইংলিশরা৷ খেলার ১০১ মিনিটে, অর্থাৎ অতিরিক্ত সময়ে করা এক গোল, যেটি ‘ওয়েম্বলি গোল’ হিসেবে পরিচিত, নিয়ে এখনো বিতর্ক রয়ে গেছে৷ কার্টুনে ববি মুরকে বিশ্বকাপ হাতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Aczel/Edel Books
১৯৭০: পেলের জন্য ‘থ্রি চিয়ার্স’
সেবছর তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জয় করে ব্রাজিল৷ বিংশ শতাব্দির অন্যতম ফুটবল তারকা পেলের নেতৃত্বে ফাইনালে ৪-১ গোলে ইটালিকে হারায় ব্রাজিল৷ রঙিন টিভিতে প্রচার হওয়া প্রথম বিশ্বকাপ সেটি৷
ছবি: Aczel/Edel Books
১৯৭৪: বেকেনবাওয়ার বনাম ক্রুইফ
জার্মানিতে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপে বেশ কিছু নাটকীয় ঘটনা ঘটেছিল৷ জার্মানির তখনকার সেরা খেলোয়াড় ফ্রানৎস বেকেনবাওয়ারের সঙ্গে তাঁর মতোই জনপ্রিয় নেদারল্যান্ডসের ইয়োহান ক্রুইফের লড়াই দেখতে উন্মুখ ছিলেন অনেকে৷ সেবার পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে খেলেছিল পূর্ব জার্মানি৷ ফাইনালে ২-১ গোলে নেদারল্যান্ডসকে হারায় জার্মানি৷
ছবি: Aczel/Edel Books
১৯৮৬: ঈশ্বরের হাত
সেবার ফুটবল তারকা দিয়েগো মারাদোনার দিকে নজর ছিল সবার৷ তাঁর কল্যাণে আর্জেন্টিনা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জিতেছে বটে, কিন্তু তাঁর করা একটি গোল নিয়ে আজও বিতর্ক রয়েছে৷ ‘ঈশ্বরের হাত’ খ্যাত সেই গোলটি মারাদোনা হাত দিয়ে করেছিলেন বলেই দাবি অনেকের৷ তবে সেবার পাঁচ ইংলিশ খেলোয়াড়কে কাটিয়ে মারাদোনার করা আরেক গোল ‘শতাব্দির সেরা গোল’-এর স্বীকৃতি পেয়েছে৷
ছবি: Aczel/Edel Books
১৯৯০: থুথু হামলা
ইটালিতে আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয় করে জার্মানি৷ সেবার এক ম্যাচে জার্মানির রুডি ভ্যলারের গায়ে থুথু দিয়েছিলেন ডাচ খেলোয়াড় ফ্রাঙ্ক রাইকার্ড৷ সেই ঘটনার পর দুই খেলোয়াড় ধস্তাধস্তি শুরু করলে দু’জনকেই মাঠ থেকে বের করে দেয়া হয়৷
ছবি: Aczel/Edel Books
২০০৬: ক্ষিপ্ত জিদান
সেবারের বিশ্বকাপ নিয়ে এখনো আলোচনা হয় জিনেদিন জিদানের এক আচরণের কারণে৷ জার্মানিতে অনুষ্ঠিত আসরের ফাইনালে পেনাল্টি শ্যুটআউটে ফ্রান্সকে হারায় ইটালি৷ তবে ফাইনালের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত ছিল যখন ইটালির মার্কো মাতেরাৎসিকে মাথা দিয়ে ঢুস দিয়ে ফেলে দেন জিদান৷ সেই ঘটনায় জিদানের উজ্জ্বল ফুটবল কেরিয়ারের সমাপ্তি ঘটে৷
ছবি: Aczel/Edel Books
২০১০: টিকি-টাকার জয়
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতিপক্ষকে কাবু করতে টিকি-টাকা স্টাইল ব্যবহার করে স্পেন৷ এই স্টাইলের মাধ্যমে নিজের দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে পাস দিয়ে প্রতিপক্ষকে বিরক্ত ও বিভ্রান্ত করেছে স্প্যানিশরা৷ ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপ জেতে তারা৷
ছবি: Aczel/Edel Books
২০১৪: ড্রিবলিংয়ের রাজা
ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত গত বিশ্বকাপের তারকা ছিলেন লিওনেল মেসি৷ তাঁর কল্যাণে আর্জেন্টিনা ফাইনালে উঠেছিল বটে, তবে ফাইনালে হেরেছে জার্মানির কাছে৷
ছবি: Aczel / Edel Books
২০১৪: চার-তারকা দল
রিও ডি জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে ফাইনালে হাজির ছিল ৭৫,০০০ দর্শক৷ ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে গোল করে আর্জেন্টিনাকে হারায় জার্মানি৷ সেটা ছিল দক্ষিণ অ্যামেরিকার মাটিতে ইউরোপের কোনো দলের প্রথম বিশ্বকাপ জয়৷
ছবি: Aczel / Edel Books
২০১৮: বিতর্কিত কাপ
চলতি বছর বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ রাশিয়া৷ দেশটিতে বিশ্বকাপ আয়োজন দুর্নীতিতে জর্জরিত ফিফা’র এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত৷ ইতোমধ্যে ফ্যান-আইডির মাধ্যমে অগুনতি ফুটবল সমর্থকের গোপন তথ্য হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে৷ এমনকি জার্মানির সরকারি কর্মকর্তাদের যারা খেলা দেখতে যাচ্ছেন, তাঁদের স্মার্টফোন থেকে যাতে রাশিয়া তথ্য চুরি করতে না পারে, সেজন্য সেসব ফোন দেশে রেখে যেতে বলেছে জার্মানি৷
ছবি: Aczel / Edel Books
ফুটবল ইতিহাস নিয়ে কমিক
বিশ্বকাপ ১৯৩০-২০১৮ শীর্ষক কমিক বইতে বিশ্বকাপের বিভিন্ন স্মরণীয় ইতিহাস ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে৷ কমিক বইটির প্রচ্ছদে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো, মানুয়েল নয়্যার, লিওনেল মেসি এবং নেইমারসহ কয়েকজন তারকাকে শিল্পীর তুলিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷
ছবি: Aczel / Edel Books
যার হাতে তুলি
কমিক বইটির জন্য কার্টুন এঁকেছেন আর্জেন্টিনার শিল্পী জার্মান আচ্যেল৷ তিনি কেরিয়ার শুরু হয়েছিল বুয়েনেস আইরেসে৷ সেখানে এল গ্রাফিকো স্পোর্টস ম্যাগাজিনে কাজ করতেন৷ পরবর্তীতে ২৬ বছর বয়সি এই কার্টুনিস্ট জার্মানিতে চলে আসেন এবং বর্তমানে মিউনিখে বসবাস করছেন ও ব্রিটিশ সকার ম্যাগাজিন ফোরফোরটু’তে কাজ করছেন৷