পূর্ব দনেৎস্কে তিনটি গ্রাম রাশিয়ার কবল থেকে মুক্ত করার দাবি করেছে ইউক্রেন। রাশিয়া এই দাবি অস্বীকার করেছে।
গ্রাম দখলের পর ইউক্রেনের পতাকা লাগাচ্ছেন সেনা জওয়ানরা। ছবি: 68th Separate Hunting Brigade 'Oleksy Dovbusha'/Handout/REUTERS
বিজ্ঞাপন
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, দনেৎস্কের ব্লাহোদাতনে-সহ তিনটি গ্রামে ইউক্রেনের সেনা বিজয়োৎসব পালন করছে। বাড়িতে ইউক্রেনের পতাকা আবার উড়ছে। ইউক্রেনের ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আরো একটি গ্রাম সেনা দখল করে নিতে পেরেছে। পাল্টা আঘাত হেনে এই অঞ্চলে এই প্রথম সাফল্য পেল ইউক্রেনের সেনা।
শনিবারই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, দনেৎস্কে ইউক্রেনের সেনা পাল্টা আক্রমণে গেছে। তারপরই তিনটি গ্রাম মুক্ত করার দাবি করা হয়েছে।
এই তিনটি গ্রাম মারিউপল যাওয়ার রাস্তায় পড়ে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এরপর ইউক্রেন মারিউপল উদ্ধার করতে ঝাঁপাবে।
আবার ব্লাহোদতনে গ্রামে উড়লো ইউক্রেনের পতাকা। ছবি: 68th Separate Hunting Brigade 'Oleksy Dovbusha'/Handout/REUTERS
রাশিয়া অবশ্য এখনো পর্যন্ত এই দাবি সমর্থন করেনি।
ইউক্রেনের অভিযোগ
নোভা কাখোভকার পর রাশিয়ার সেনা ঝাপোরিজ্ঝিয়া অঞ্চলে আরো একটি বাঁধ ভেঙে দিয়েছে বলে ইউক্রেনের অভিযোগ। কিছুদিন আগে নোভা কাখোভকায় বাঁধের একটা অংশ উড়িয়ে দেয়া হয়। তারপর প্রবল বন্যায় বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে গেছে।
ইউক্রেনে বাঁধে হামলা: ভেসে গেছে খেরসন
কাখোভকা বাঁধে হামলার দায় এখনো একে অপরের ওপর চাপাচ্ছে রাশিয়া ও ইউক্রেন৷ হামলার ফলে দক্ষিণাঞ্চলের খেরসন শহর ভেসে গেছে৷ শুক্রবার পর্যন্ত কমপক্ষে ৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ৷ অন্তত ১৩ জন নিখোঁজ৷
ছবি: Libkos/AP Photo/picture alliance
ভেসে গেছে খেরসন
গত মঙ্গলবার ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের খেরসন রাজ্যে দেনিপার নদীর ওপর কাখোভকা বাঁধে হামলা করা হয়৷ এতে বাঁধের পানিতে ভেসে যায় খেরসন অঞ্চল৷ বেশ কয়েকটি মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়৷ এমনকি নিখোঁজও হন অনেকে৷
ছবি: Planet Labs PBC via AP/picture alliance
উদ্ধার কার্যক্রম
খেরসনের অন্তত ১৭টি শহরের ২২ হাজারের বেশি ঘর ভেসে গেছে৷ চলছে উদ্ধার কার্যক্রম৷
ছবি: Genya Savilov/AFP
আরো দশদিন চলবে
কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্যার পানি সহসা কমবে না৷ আরো অন্তত দশদিন এই এলাকাগুলো প্লাবিত হতে থাকবে৷
ছবি: Libkos/AP Photo/picture alliance
দোষারোপ চলছেই
শুরু থেকেই ইউক্রেন ও রাশিয়া একে অপরকে এই হামলার জন্য দায়ী করে আসছে৷ সেখানে যোগ দিয়েছে তাদের মিত্র দেশগুলোও৷
ছবি: Ukraine Presidency/AFP
‘বোমা হামলা নয়, বিস্ফোরকের ব্যবহার’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক দপ্তরের প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, বোমা হামলা নয়, বাঁধ ধ্বংসে বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে৷
ছবি: European Union
নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পানি সররবাহ
ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক কেন্দ্রটি রয়েছে এখানে৷ সেটি ঠান্ডা করার জন্য পানি সরবরাহ হয় এই বাঁধ থেকে৷ তবে এখন পর্যন্ত পারমাণবিক কেন্দ্রে পানি সররবাহে ঘাটতি হয়নি৷
ইউক্রেনের সেনা মুখপাত্র বলেছেন, এরপর রাশিয়া নোভোদারিভকা গ্রামের কাছে আরো একটি বাঁধ উড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে ওই অঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। মুখপাত্র জানিয়েছেন, ২০২২-এর ফেব্রুয়ারি থেকে এলাকাটি রাশিয়ার দখলে।