1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাল্টে যাচ্ছে চিত্র

২৫ নভেম্বর ২০১৩

সময়ের ব্যবধানে পাল্টে যাচ্ছে নির্বাচনি মাঠের চিত্র – বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সামহয়্যার ইন ব্লগে এভাবেই লিখেছেন আহমেদ রশীদ৷ বিশ্লেষণধর্মী এ লেখায় মন্তব্যও দিয়েছেন অনেকে৷

A police officer throws a piece of brick during a clash with activists of Hefajat-e-Islam in front of the national mosque in Dhaka May 5, 2013. At least one person was killed, more than one hundred injured, including journalists, and thirteen vehicles torched as activists from Hefajat-e Islam and Islami Chhatra Shibir clashed with police at the city's Paltan area. According to local media, Hefajat activists demanded for the introduction of blasphemy laws and a 13-point agenda, while blocking major roads in Dhaka. REUTERS/Andrew Biraj (BANGLADESH - Tags: POLITICS CIVIL UNREST RELIGION)
ছবি: Reuters

আহমেদ রশীদ লিখেছেন, মাত্র দু'মাস আগের তুলনায় বর্তমানে রাজনীতির মাঠের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত৷ সময়ের ব্যবধানে এখন নির্বাচনি কৌশল নিয়ে খেলায় উজ্জীবিত ও ঐক্যবদ্ধ শাসক আওয়ামী লীগসহ মহাজোট৷ বিপরীতে হতাশ-সিদ্ধান্তহীনতায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট৷

তফসিল ঘোষণা মাত্রই দেশ অচল করার বিরোধী দলের হুমকি, আর তা মোকাবেলায় শাসক দলের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক রণপ্রস্তুতিতে রাজনীতির মাঠে উত্তাপ-উত্তেজনা ছড়ালেও, শেষ পর্যন্ত নির্বাচনি হার-জিতের হিসাব নিকাশ করতেই ব্যস্ত এখন দেশের প্রধান দুই দল৷ এখনও বিরোধী দলের মাঠের নেতারা নিশ্চিত নয় আদৌ তাঁরা নির্বাচনে যাচ্ছে কিনা৷ অন্যদিকে শাসক দলের নেতারাও শতভাগ নিশ্চিত নয় যে, বিরোধী দল নির্বাচন বর্জনের পথেই হাঁটবে, নাকি শেষ পর্যন্ত অংশ নেবে৷

ছবি: Reuters

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত পাঁচটি সিটি নির্বাচনের পর রাজনীতির মাঠের চিত্র ছিল অনেকটাই বিপরীত৷ ক্ষমতায় থাকার পরও এই পাঁচ সিটিতে শোচনীয় পরাজয়ের পর, সারাদেশেই শাসক দলটির নেতাকর্মীরা হতাশ ও বিব্রতকর অবস্থায় ছিল৷ জোটের শরিকরাও সরকারের কঠোর সমালোচনার পাশাপাশি মহাজোট থেকে বেরিয়ে আসার হুমকি দিয়ে আসছিল৷ এমনকি জোটের প্রধান শরিক জাতীয় পার্টির বিরোধী দলের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ‘নির্বাচন বয়কট'-এর হুমকি বেকায়দায় পড়তে হয় শাসক দলটিকে৷

বর্তমান রাজনীতির নির্বাচনি মাঠের প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠেছে লন্ডনভিত্তিক বিশ্বখ্যাত ‘দ্য ইকোনোমিস্ট' পত্রিকায় প্রকাশিত একটি লেখায়৷ সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপি সাধারণ নির্বাচন বয়কট করলে দলটির নেত্রী খালেদা জিয়ার জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে৷ দলের বেশিরভাগ নেতা নির্বাচনে অংশ নিতে ব্যাকুল৷ নির্বাচন বয়কট করলে দল ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়বে বিএনপি৷ আর বিএনপি নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে৷

ইকোনোমিস্টের মতোই বর্তমানে দেশের রাজনীতির মাঠের অবস্থা বলে স্বীকার করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরাও৷ তাঁদের মতে, একদিকে জয়-পরাজয়ের হিসাব-নিকাশ আর অন্যদিকে দল ভাঙনের ঝুঁকি এড়াতে শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না৷ সবাই আশাবাদী যে, শেষ পর্যন্ত সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা হবে৷

আবুল হাসান নূরী সামহয়্যার ইন ব্লগে লিখেছেন, তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেও নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। এর আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট হুমকি দিয়েছিল, তফসিল ঘোষণা করা হলে সারাদেশ অচল করে দেওয়া হবে। এ নিয়ে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সংকলন: অমৃতা পারভেজ

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ