লাটভিয়ার এক পর্যটক হাইকিং-এ এসে দক্ষিণ জার্মানির এক পাহাড়ে উঠেছিলেন৷ নামার সময় তিনি সেই পর্বত থেকে ৬০ মিটার নীচে পড়ে যান৷ তিনি জীবিত এবং সুস্থ আছেন, জানিয়েছে পুলিশ৷
বিজ্ঞাপন
৪২ বছর বয়সি এই নারী পর্যটক তার কুকুরকে নিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে বাভারিয়ার ওবারআলগয় অঞ্চলের এক পাহাড়ে উঠেছিলেন৷ পথ হারিয়ে তিনি যখন পর্বত থেকে নামছিলেন ঠিক তখনই নিচে পড়ে যান৷ সেসময় একটি গাছকে আকড়ে ধরে সাহায্যের জন্য জোরে চিৎকার করতে থাকেন৷ সেখানকার এক মেষপালক তার সেই চিৎকার শুনতে পেয়ে স্থানীয় পুলিশ এবং পর্বত উদ্ধারকারীকে খবর দেয়৷ পরে হেলিকপ্টারে করে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সৌভাগ্যক্রমে সামান্য আঘাত ছাড়া পর্যটকের তেমন কিছুই হয়নি৷ ফলে সেদিনই তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে যান৷
তবে নারীর সঙ্গী কুকুরটিকে এখনও পাওয়া যায়নি৷
এসএন/এসিবি(ডিপিএ)
জার্মানির কিছু স্বপ্নের গন্তব্য
স্যুগ্সপিৎস, আইফেল এবং র্যুগেনের একটি সমুদ্রতট – ডয়চে ভেলে ট্রাভেল টিমের সদস্যরা জার্মানিতে তাদের প্রিয় গন্তব্যের কথা জানিয়েছেন৷ করোনার কারণে আরোপ করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে যাওয়া যাবে এসব পর্যটনকেন্দ্রে৷
ছবি: picture-alliance/Dumont Bildarchiv/P. Hirth
স্যুগ্সপিৎস পর্বতশৃঙ্গ
স্যুগ্সপিৎস হচ্ছে জার্মানির সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ৷ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমে গেলে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,৯৬২ মিটার উঁচু এই পর্বতশৃঙ্গে যেতে চান ডয়চে ভেলের ক্রিস্টিয়ান হফমান৷ রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে এখান থেকে নাকি ১০০ কিলোমিটার দূরের মিউনিখ শহরও দিব্যি দেখা যায়৷
করোনা নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে জার্মানির আইফেল অঞ্চলে সাইকেল ট্যুরে যেতে চান ডয়চে ভেলের সুসান বনিকক্স৷ কিল নদীর তীর ধরে সাইকেল চালানো নাকি বেশ সোজা, আর আশেপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য অসাধারণ৷
ছবি: picture-alliance/R. Goldmann
বর্ণিল শহর ভের্নিগেরোডে
বসন্তে হার্ৎস মাউন্টেইনস-এর বর্ণিল ভের্নিগেরোডে শহরে যাওয়ার কথা ছিল ডয়চে ভেলের কার্স্টেন স্মিড্ট-এর৷ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে সেখানে যাবেন তিনি৷ অঞ্চলটি নাকি হাইকিংয়ের জন্য চমৎকার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Bein
স্যাক্সন সুইজারল্যান্ড
এলিজাবেথ ইয়র্কের বিবেচনায় জার্মানির সবচেয়ে সুন্দর প্রাকৃতিক ল্যান্ডস্কেপের দেখা মেলে নাকি স্যাক্সন সুইজারল্যান্ডে৷ করোনা মহামারি শেষ হলে সেখানে যাবেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/Dumont Bildarchiv/P. Hirth
স্প্রিভাল্ড
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জার্মানির স্প্রিভাল্ড অঞ্চলে যেতে চান ভিন্নি মডেসটো৷ সেই অঞ্চলটি পায়ে হেঁটে, সাইকেলে কিংবা নৌকায় ঘোরা যায়৷ তবে প্রকৃতির সৌন্দর্য পুরোটাই উপভোগ করতে ক্যাম্প করে রাতে জঙ্গলে ঘুমাবেন মডেসটো৷
ছবি: DW/Christina Deicke
বার্লিন
করোনার কারণে নিজের হোমটাউনটাই এখন স্বপ্নের গন্তব্যে পরিতন হয়েছে ইয়ান্স ফ্রিৎসের কাছে৷ করোনা সংকট কেটে গেলে গ্রীষ্মটা বার্লিনে কাটাতে চান তিনি৷
ছবি: picture-alliance/S. Reents
মেক্লেনবুর্গ লেক
ডয়চে ভেলের আনে টর্মাকে যেতে চান মেক্লেনবুর্গ লেক অঞ্চলে৷ সেখানে হাইকিং, সাইক্লিংয়ের পাশাপাশি সাঁতরানোও যায়৷ সেখানকার বিস্তীর্ণ খোলা অঞ্চল, জঙ্গল আর লেক টানে তাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Wüstneck
র্যুগেন দ্বীপ
করোনা সংকট কেটে গেলে বাল্টিক সাগরের র্যুগেন দ্বীপে যেতে চান আন্দ্রেয়াস কির্শহফ৷ দ্বীপটির মূল আকর্ষণ হচ্ছে ওয়াইল্ড বিচ৷ আর সাইক্লিং আর হাইকিংয়ের জন্যও দ্বীপটি আদর্শ৷