বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসো নীল ডোরাকাটা জামা পরতে ভালোবাসতেন৷ আরো অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির পছন্দ একই৷ ফ্রান্সের ব্রিটানি অঞ্চলেই জনপ্রিয় সেই জামা ও তার নক্সা চালু হয়েছিল৷
ছবি: DW
বিজ্ঞাপন
নাবিকের পোশাক পরার জন্য ব্রিটানির সৈকতের চেয়ে আর কোনো ভালো জায়গা থাকতে পারে কি? কারণ, ব্রেটন স্ট্রাইপ শার্ট ফ্রান্সের অ্যাটলান্টিক উপকূল থেকেই এসেছিল৷ আজ গোটা বিশ্বে এই ডোরাকাটা নক্সা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷ তাজা ভাব, ভালো লাগার অনুভূতি৷ সহজেই পরা যায়, পরে আরাম লাগে৷
প্রথমদিকে শুধু জেলেরাই এমন ডোরাকাটা নক্সার জামা পরতেন৷ তারপর সেটি ফ্রান্সের নৌবাহিনীর ইউনিফর্ম হয়ে ওঠে, যাতে জাহাজ ডুবে গেলেও নাবিকদের পানিতে সহজেই চিহ্নিত করা যায়৷
ফ্যাশন ডিজাইনার কোকো শানেল সমুদ্রসৈকতে ছুটি কাটানোর সময়ে এই নক্সার প্রেমে পড়ে যান৷ তিনি ব্রেটন শার্টকে ফ্যাশন পণ্য করে তুলতে সাহায্য করেন৷ আজও সেই ধারা চলে আসছে৷ শানেলের সর্বশেষ সৃষ্টিকর্মেও নাবিকদের ডোরাকাটা নক্সা বিশেষভাবে নজর কাড়ে৷
গত শতাব্দীর ষাটের দশক থেকেই খ্যাতিমান ব্যক্তিরা ব্রেটন শার্ট পরতে পছন্দ করেন৷ ফরাসি অভিনেত্রী ব্রিজিট বার্দো থেকে শুরু করে স্পেনের চিত্রকর পাবলো পিকাসো তাঁদের মধ্যে অন্যতম৷ ফ্যাশন জগতের উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব জঁ পোল গোলটিয়ে ১৯৮৩ সালে নটিকাল শৈলিকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলেন৷
ফ্রঁসোয়া ত্রুফো পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘জুল অ্যান্ড জিম’-এ জন মোরো ও তাঁর অন্যতম প্রেমিকের চরিত্রের পরনে এমন পোশাক দেখা গেছে৷ মুক্তি ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের কাহিনিতে বাতাসের ধাক্কায় এমন পোশাকের খোলামেলা রূপ বেশ খাপ খেয়ে গেছে৷
ব্রিটানি অঞ্চলের ক্যাঁপেয়ার শহর অ্যাটলান্টিক উপকূল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ সেখানে চারিদিকে ব্রেটন শার্ট বিক্রি হচ্ছে৷ ‘মারিনিয়্যার’ নামেই সেগুলি বেশি পরিচিত৷ যেমন, ক্যাথিড্রালের ঠিক বিপরীতে এক বুটিক দোকানে এমন জামা শোভা পাচ্ছে৷ কেউ কেউ বলেন, এমন ডোরাকাটা নক্সা পরলে মানুষকে মোটা দেখায়৷ তবে তা সত্ত্বেও ভালোই বিক্রি হচ্ছে৷ শার্টের কাপড়ও ভালো হওয়ায় মানুষ পরে বেশ আরাম পান৷ এমনকি শীতকালেও পরা যায়৷
পুরুষদের ফ্যাশনও কিছু কম যায় না!
বিশেষ করে এই জুন মাসে মিলান থেকে প্যারিস অবধি নানা ফ্যাশন শো আর রানওয়েতে পুরুষদের ফ্যাশনে লেটেস্ট ট্রেন্ড কি হতে চলেছে, তা দেখতে পাওয়া যাবে৷ নামকরা কোম্পানির লোগো থাকা চাই, নাকি জাম্পসুট হলেই চলবে?
ছবি: Burberry, Versace, Dolce & Gabbana
মেরা জুতা হ্যায় জাপানি
আজ আর শুধু জুতো নয়, সাজপোশাকেও জাপানি ঢেউ লেগেছে৷ এবারের গ্রীষ্মে ইউরোপের ফ্যাশন শো-গুলোতে জাপানি কিমোনোর প্রভাব চোখে না পড়ে উপায় ছিল না৷ পুরুষদের ফ্যাশনে আগামী বসন্তে নাকি কিমোনো বা কিমোনো গোত্রীয় জামাকাপড় অপরিহার্য৷ ফ্যাশন উইকস-এর কয়েক সপ্তাহে যে ট্রেন্ড সৃষ্টি হয়, তার জেরে পরের বছর লক্ষ লক্ষ পিস বিক্রি হয় – এই হলো নিয়ম৷
ছবি: D.Gnak, Prada, Emporio Armani
‘ইস্টার্ন লুক’ বলতে বোঝায় রাশিয়া কি জর্জিয়া...
নব্বই-এর দশকের সোভিয়েত-পরবর্তী ফ্যাশনের ট্রেডমার্ক ছিল তার সস্তার রঙচঙে সব প্রিন্ট, যার নান্দনিক গুণাগুণ নাকি জেনেশুনেই একটু নিম্নশ্রেণির হতো৷ ফ্যাশন ট্রেন্ডটা আসলে শুরু হয় রাশিয়ার গশা রুবচিনস্কি ও জর্জিয়ার দেমনা গোয়াসালিয়া-র মতো ডিজাইনারদের দিয়ে৷ পরে সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে৷ আর আজ তো ইনস্টাগ্রাম স্যাভি মিলেন্নিয়াল প্রজন্মের ঐ ‘লো ক্লাস এস্থেটিকস’ ছাড়া দিন কাটে না...
ছবি: Burberry, Versace, Dolce & Gabbana
দ্য নেম অফ দ্য গেম
এক কথায় লোগো বা কোম্পানির প্রতীক, এককালে যাকে ট্রেডমার্ক বলা হতো৷ লোক দেখানোর জন্যই তো লোগো৷ নব্বই-এর দশকের প্রবণতাটি দৃশ্যত আবার ফিরতে চলেছে৷ মজার কথা, নামকরা কোম্পানির লোগোর অনুকরণে তৈরি ভুল বানান ও ছবির লোগো সস্তার জামাকাপড়ে ছেপে তা কম দামে বিক্রি করার ফ্যাশন শুরু হয়েছিল মিলেনিয়ামের পর পর৷ বড় কোম্পানিরাই তা রোখার চেষ্টা করেছিল৷ আজ আবার তারাই নিজেদের পণ্য নিজেরাই ‘প্যারডি’ করছে!
ছবি: Dolce & Gabbana, Phillip Plein, Versace
শ্রেণীবিভেদ
ফ্যাশন ব্যাপারটা ওপরমহলের মানুষদের জন্য, খেটে খাওয়া মানুষদের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই – এটা ভাবলে কিন্তু ভুল হবে৷ প্রথমত পশ্চিমি দুনিয়ায় তথাকথিত ‘ওয়ার্কিং ক্লাস’ বিত্তশালী না হলেও, স্বচ্ছল – তাঁরাও ফ্যাশনেবল জামাকাপড় কিনতে পছন্দ করে৷ কাজেই গার্মেন্টস বেচার লো-কস্ট চেইন আউটলেটগুলোয় জাম্পসুট, হাফহাতা শার্ট বা কার্গো প্যান্ট বিক্রি হয় ঠিক হাই ফ্যাশনের মতোই৷
ছবি: Prada, Munsoo Kwon, Prada
জীবন থেকে চুরি করাই হলো ফ্যাশনের কাজ
জীবন, মানে হালে যাকে লাইফস্টাইল বলা হয়৷ আজকের দুনিয়ায় আসল ট্রেন্ড হচ্ছে হেল্থ৷ সুস্থ থাকা, নিয়মিত দৌড়ঝাঁপ করা, খাওয়াদাওয়ার দিকে, ওজনের উপর নজর রাখা৷ কাজেই অ্যাক্টিভওয়্যার এখন জিম ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে, ফ্যাশন ডিজাইনাররা সিন্থেটিক ম্যাটেরিয়েলের তৈরি শর্টস, লেগিংস, টপ ইত্যাদি সংগ্রহে রাখতে শুরু করেছেন৷ আর্বান সাবকালচার বা শহুরে অবসংস্কৃতি যা শুরু করে, ফাস্ট ফ্যাশন শীগগিরই তার ল্যাজ ধরে ফেলে৷
ছবি: Plein Sport, Les Hommes, Ermenegildo Zegna
সুটবুটের দিন যায়নি...
সুট ছাড়া মেনস ফ্যাশন কোনোকালে সম্ভব ছিল না, আজও সম্ভব নয়৷ তবে তার চেহারা বদলে গেছে৷ জ্যাকেট, শার্ট, ভেস্ট, প্যান্ট বা ট্রাউজার্স – এসব আছে বটে, কিন্তু যেন অ্যাক্টিভওয়্যারের সঙ্গে মিশে গেছে৷ আজ অনেকে সুটের সাথে স্নিকার্স পরেন, হাতে ব্রিফকেসের বদলে কাঁধে ঝোলানো থাকে ব্যাকপ্যাক – এককালে যাকে রাকস্যাক বলা হতো৷ সব মিলিয়ে, এলিগান্স বা সৌখিনতা নয়, কেয়ারলেসনেস বা অগোছালো ভাব – ঐ কেয়ারফুলি কেয়ারলেস আরকি!
ছবি: Versace, Marni, Neil Barrett
6 ছবি1 | 6
আর্মর লুক্স কোম্পানি প্রায় ৮০ বছর ধরে এই জামা উৎপাদন করে চলেছে৷ মৌলিক মডেলটি দেখতে ঊনবিংশ শতাব্দীর ফরাসি নৌবাহিনীর ইউনিফর্মের মতো৷ প্রত্যেকটি জামায় ২১টি নেভি ব্লু ডোরাকাটা রয়েছে, যা আসলে নেপোলিয়নের ২১টি নৌ অভিযানে বিজয়ের প্রতীক৷ প্রত্যেকটি লাইন ঠিক ১০ মিলিমিটার চওড়া৷ গলার ফাঁক নৌকার মতো দেখতে৷ দর্জি হিসেবে মারি ইভন ল্যমেত্র বলেন, ‘‘জামার কাপড় আগে থেকেই কাটা থাকে, এখানে সেগুলি শুধু জোড়া দেওয়া হয়৷ তারপর সেলাই মেশিনে প্রস্তুত করা হয়৷’’
আর্মর লুক্স দিনে পাঁচ হাজার জামা প্রস্তুত করে এবং গোটা বিশ্বে রপ্তানি করে৷ কোম্পানির প্রধান জঁ-গি ল্য ফ্লশ বলেন, ‘‘আমরা ১৮৫৮ সালের আসল মডেলটি নিয়ে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রং ও আকার বদলেছি৷ বোতাম, স্লিট ও ফিতা যোগ করেছি, জামাকে ফ্যাশনদুরস্ত করে তুলেছি৷ প্রতি বছর আমরা ২০ থেকে ৩০টি নতুন মারিনিয়ে সৃষ্টি করি৷’’
কোম্পানির নিজস্ব ডিজাইন বিভাগে নিত্য নতুন জামার মডেল সৃষ্টি করা হয়৷ রপ্তানির দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার মার্কো পেত্রুচি সবক'টি মডেল ভালো করে চেনেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এই হলুদের বিন্যাস অন্যরকম৷ আমরা পিকে কাপড়ও তৈরি করি৷ এই পিকে সেলার শার্টের ডোরাকাটা নক্সা আলাদা৷ এছাড়া ফ্রান্সের জাতীয় পতাকার রং, অর্থাৎ নীল, সাদা ও লাল রয়েছে৷ রপ্তানির জন্য এটা জরুরি৷’’
ক্যাঁপেয়ার শহরে আর্মর লুক্স কোম্পানির নিজস্ব বুটিক রয়েছে৷ সেখানে শুধু জামাকাপড় নয়, অন্য অনেক পণ্যেও ডোরাকাটা ডিজাইন দেখতে পাওয়া যায়৷ যেমন, বিছানার চাদর, বালিশের ওয়াড়, ছাইদানি, ম্যাট, গলার স্কার্ফ, টুপি, ব্যাগ, ব্যাকপ্যাক ইত্যাদি৷ এমনকি রবার বুট ও অন্যান্য জুতোর উপরেও একই নক্সা! তবে এখনো শার্টই সবচেয়ে জনপ্রিয় পণ্য৷ কোম্পানির মতে, যে যুগেই মানুষ পরুক না কেন, এই জামা ও তার ফিটিং সত্যি কালজয়ী৷ আজ পরা যায়, ৫০ বছর আগেও পরা যেত৷
ব্রিটানি ও অ্যাটলান্টিক উপকূল থেকে অনেক দূরে থাকা সত্ত্বেও প্যারিস হিল্টন থেকে শুরু করে ডিয়ানে ক্র্যুগার ও এমা স্টোনের মতো অভিনেতাও গর্বের সঙ্গে ব্রেটন স্ট্রাইপ জামা পরেছেন৷ গোটা বিশ্বে বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে ডোরাকাটা এই জামা ভবিষ্যতেও তার আকর্যণ ধরে রাখবে, এমনটা ধরে নেওয়া যায়৷
সুসানে ডাউস/এসবি
হালের মুসলিম ফ্যাশন
ইসলাম ও হালের স্টাইল? এই দুইয়ের সমন্বয় অনেকের কাছে সমস্যার মনে হতে পারে৷ তবে ইসলামি রীতি-নীতি মেনেই মুসলিম নারীর ফ্যাশন কীভাবে সম্ভব, তারই প্রদর্শনী হয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর ডে ইয়াং মিউজিয়ামে৷
ছবি: Sebastian Kim
পরিশীলিত থেকেই আধুনিকতার ছোঁয়া
প্রদর্শনীতে হাল আমলের মুসলিম স্টাইল ও পোশাক তুলে ধরা হয়৷ তারই একটি ছিল মালয়েশিয়ার খ্যাতনামা ডিজাইনার বার্নার্ড চন্দ্রনের সিল্ক ও সারোভস্কির ক্রিস্টাল দিয়ে এই উপস্থাপন৷ যেসব ফ্যাশন নিয়ে অনেক কথা হয় কিন্তু সেগুলো উপস্থাপনের তেমন সুযোগ হয় না, সেগুলোই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয় এখানে৷
ছবি: Fine Arts Museums of San Francisco
জাকার্তা থেকে নিউ ইয়র্ক
পশ্চিমা ফ্যাশন জগতেও সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে ডিয়ান পেলাঙ্গির মুসলিম ফ্যাশন৷ ২৭ বছরের এই তরুণী সেই গুটিকয়েক মুসলিম ফ্যাশন ডিজাইনের একজন, যিনি লন্ডন, মিলান ও নিউ ইয়র্কের ক্যাটওয়াকসে নিজের কাজ তুল ধরতে পেরেছেন৷
ছবি: Fine Arts Museums of San Francisco
রাজনৈতিক বার্তা
ইসলামভীতি দূর করতে ভূমিকা রাখার একটা প্রচেষ্টাও ছিল সান ফ্রান্সিসকোর এই প্রদর্শনীতে৷ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী আরবি হরফে ছাপা হয় জ্যাকেটের গায়ে৷ অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে ধর্মীয় স্বাধীনতার কথাও বলা হয় এই সংশোধনীতে৷ এই জ্যাকেটের ডিজাইন করেছেন লেবাননের সেলিনে সিমান ভারনন৷ উনিশ শতকের আশির দশকে শরণার্থী হিসেবে বাবা-মার সঙ্গে ক্যানাডায় এসেছিলেন তিনি, পরে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে৷
ছবি: Sebastian Kim
ট্রাম্পের ‘মুসলিম নিষেধাজ্ঞার’ জবাব
রাজনৈতিক বক্তব্য প্রকাশে ডিজাইনকে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন সেলিনে সিমান৷ ২০১৭ সালে তিরি তৈরি করেন ‘ব্যানড’ স্কার্ফ৷ এ সব স্কার্ফের কোনো কোনোটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া দেশগুলোর স্যাটেলাইট ছবি তুলে ধরেন তিনি৷ এই ছবিতে মডেল হিসেবে আছেন ইরানি-অ্যামেরিকান পলিটিক্যাল ফ্যাশন ব্লগার হোডা কাতেবি৷
ছবি: Fine Arts Museums of San Francisco/Driely Carter
স্পোর্টস ফ্যাশন
পোশাক, জ্যাকেট ও রাজনৈতিক বার্তাবাহী স্কার্ফের পাশাপাশি স্পোর্টস ফ্যাশনও উঠে আসে প্রদর্শনীতে৷ এ ধরনের ফ্যাশন পণ্যগুলোর মধ্যে নাইকির হিজাব এবং আহেদা জেনেট্টির আলোচিত সাঁতারের বিকিনি ছিল৷ ২০১৬ সালে এই বিকিনি সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছিল ফ্রান্স সরকার৷
ছবি: DW/A. Binder
স্থাপত্যবিদ্যার প্রতীকী ক্ষমতা
এই প্রদর্শনীর ডিজাইন করেছে দুই ইরানি-অ্যামেরিকান বোনের নেতৃত্বাধীন নিউ ইয়র্কভিত্তিক আর্কিটেকচার ফার্ম হারিরি অ্যান্ড হারিরি৷ দর্শনার্থীকে বিস্তৃত পরিসর দেওয়ার পাশাপাশি তার রহস্য উন্মোচনের উপলব্ধি লাভের বিষয়টি মাথায় রেখে এই ডিজাইন করা হয়৷ ২০১৯ সালের বসন্তে এই প্রদর্শনী আবার হবে জার্মানির ফ্রাংকফুর্ট আম মাইনে৷
ছবি: DW/A. Binder
সোশ্যাল নেটওয়ার্ক: প্রকাশের প্ল্যাটফর্ম
অগণিত ব্লগার, অ্যাক্টিভিস্ট ও ফ্যাশন ম্যাগাজিন মুসলিম ফ্যাশন জগতের জন্য নিবেদন হয়েছে৷ ইনস্টাগ্রামে গতানুগতিক হেডস্কার্ফকে অত্যাবশ্যক ফ্যাশন হিসেবে উদযাপন করেছে কথিত ‘হিজাবিস্টাস’৷ এই দিকটিও ‘কনটেমপোরারি মুসলিম ফ্যাশনস’ শিরোনামের এই প্রদর্শনীতে উঠে এসেছে৷ সান ফ্যান্সিসকোতে আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী৷