থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার মামলার রায় পেছানো হয়েছে৷ রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আদালত জানিয়েছে, পরবর্তীতে রায় শুনতে আদালতে হাজির না হলে ইংলাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে৷
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার ছিল ইংলাকের বিরুদ্ধে চালে ভর্তুকি কর্মসূচিতে অবহেলার অভিযোগের মামলার রায় ঘোষণার দিন৷ ইংলাক না আসায় সুপ্রিম কোর্ট রায়ের নতুন দিন ধার্য করে৷ সে অনুযায়ী, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত হতে পারে থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ভাগ্য৷ সেদিনও আদালতে না এলে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তাঁর৷ এর বাইরে রাজনীতিতে আজীবন নিষিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে৷
চালে ভর্তুকির কর্মসূচিতে ইংলাক সরকার কৃষকদের কাছ থেকে বাজারমূল্যের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি মূল্যে ধান কিনেছিল৷ এর ফলে দেশে বিপুল পরিমাণে চাল মজুত হয়৷ কিন্তু সে চাল বিক্রি না হওয়ায় সরকারের ৮০০ কোটি ডলার লোকসান হয়৷ ইংলাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই কর্মসূচিতে অবহেলা করেছেন৷ ইংলাক অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷
২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইংলাক৷ আদালতের এক বিতর্কিত আদেশে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কয়েকদিন পর ২০১৪ সালের ২২ মে সেনাপ্রধান প্রায়ুথ চান ওচা ক্ষমতা গ্রহণ করেন৷ তারপর থেকে থাইল্যান্ডে আর নির্বাচন হয়নি৷ প্রায়ুথ সরকার অবশ্য আগামী বছর নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে৷
শুক্রবার আদালতের কাছাকাছি ইংলাকের শত শত সমর্থকের ভিড় দেখা যায়৷ আদালত প্রাঙ্গনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৪০০০ পুলিশ মোতায়েন ছিল৷ ইংলাক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সমর্থকদের আদালত প্রাঙ্গনে না যেতে অনুরোধ করেছিলেন৷ এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছিলেন, রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাছে গেলে তাঁর সমর্থকদের বিপদের আশঙ্কা রয়েছে৷ তাঁর এ আহ্বান সত্বেও শত শত সমর্থক আদালত এলাকায় গিয়েছিলেন৷ কিন্তু ইংলাক আদালতে হাজির হননি৷ তাঁর আইনজীবী জানান, কানে জটিল এক রোগে কাতর হয়ে পড়ার কারণে ইংলাক আসতে পারেননি৷
থাইল্যান্ডের ভাসমান বাজার
পর্যটকদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় থাইল্যান্ডের অন্যতম আকর্ষণ তার ভাসমান বাজার৷ ব্যাংকক এবং অন্যান্য সব গুরুত্বপূর্ণ শহরের কাছাকাছি হদিস পাওয়া যায় এই সব বাজারের, যেখানে খালের জলে ভাসমান নৌকায় পশরা সাজিয়ে বিকিকিনি চলে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Walton
দামনোয়েন সাদুয়াক
ব্যাংকক থেকে ৯০ কিমি দূরে দামনোয়েন সাদুয়াক ভাসমান বাজার৷ তল্লাটের এটিই সবথেকে বড় ভাসমান বাজার৷ চটজলদি খাবার থেকে হস্তশিল্প – সব কিছুরই অঢেল আয়োজন এখানে৷
ছবি: Sirsho Bandopadhyay
সাতসকালেই হুড়োহুড়ি
সকাল আটটাতেই এই বাজারে নৌকায় নৌকায় ঠেলাঠেলি৷ শাক-সবজি, ফল, চটজলদি খাবারের নৌকাগুলো আসে সবার আগে৷ তবে ভাসমান নৌকার পাশাপাশি খালের দুধারেও বসে দোকান৷
ছবি: Sirsho Bandopadhyay
পাড়ে দাঁড়িয়ে
কেনাকাটার জন্যে খদ্দেরকেও যে জলে নামতে হবে, তার কোনো কথা নেই৷ পাড়ে দাঁড়িয়েও দিব্যি চলতে পারে খরিদ্দারি৷
ছবি: Sirsho Bandopadhyay
ভাসমান কোঠাবাড়ি
জলপথের মধ্যেই দোতলা উঁচু কাঠের বাড়ি৷ সেগুলো একটু বড় ভাসমান বাজার৷ নৌকা করে খদ্দেররা আসেন৷ খরিদপত্র সেরে ফিরে যান৷
ছবি: Sirsho Bandopadhyay
রান্নার গলি
তুলনায় কম ব্যস্ত যে গলিপথ, সেই সব খালে নৌকা দাঁড় করিয়ে চলে রান্নাবান্না৷ শেষ হলেই নৌকা রওনা হয় মূল বাজারের পথে৷
ছবি: Sirsho Bandopadhyay
ঘর সাজানোর সামগ্রী
শুধু শাক-সবজি, ফলমূল, বা খাবারদাবার নয়, ঘর সাজানোর জন্য নানা রকমের ছবি, ফুলদানি, মূর্তি, নকল ফুলও পাওয়া যায় ভাসমান বাজারে৷
ছবি: Sirsho Bandopadhyay
রঙ্গ রসিকতা
এমনিতেই থাই মানুষজন খুব অতিথিবৎসল, খুব খোলা মনের৷ বিদেশি খরিদ্দারদের সঙ্গেও আলাপ, রঙ্গ রসিকতায় মেতে উঠতে তাই বাধা নেই৷
ছবি: Sirsho Bandopadhyay
তেষ্টা মেটাতে
জলপথে ঘুরতে ঘুরতে খিদে মেটানোর অনেক আয়োজন৷ কিন্তু যদি তেষ্টা পায়? একটা ডাবের নৌকা ডেকে নিলেই হলো৷