ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে ভোটে হাত মেলানো নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল কংগ্রেসের অন্দরেই। শুরু তীব্র বিতর্ক।
বিজ্ঞাপন
পশ্চিমবঙ্গে এখন বামেদের নেতৃত্বে জোট হয়েছে। সিপিএম সহ বাম দলগুলি, কংগ্রেস এবং আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ-এর এই জোটের নাম রাখা হয়েছে সংযুক্ত মোর্চা। আগের বারও কংগ্রেস ও সিপিএমের মধ্যে আসন সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে জোট বেঁধে লড়াই এই প্রথম। কিন্তু কংগ্রেসের মধ্যেই এই জোট নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। তুলেছেন সাবেক মন্ত্রী, রাজ্যসভার উপনেতা আনন্দ শর্মা।
তার অভিযোগ, আব্বাস সিদ্দিকির দলের সঙ্গে যে জোট হয়েছে, তা নেহরু-গান্ধীর ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের সঙ্গে খাপ খায় না। কারণ, আব্বাস সিদ্দিকি কট্টরপন্থি। ফলে তার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে বিসর্জন দিয়েছে। গুলাম নবি আজাদের নেতৃত্বে কংগ্রেসের অন্দরে কিছু নেতা একজোট হয়ে মূলত রাহুল গান্ধীর বিরোধিতায় নেমেছেন। আনন্দ শর্মা সেই গোষ্ঠীর সদস্য। ছুতোয়-নাতায় তারা এখন দলের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। পশ্চিমবঙ্গের জোট নিয়েও করছেন।
কংগ্রেসের এই নেতার মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা ও পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আর প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও এই বিতর্কে অধীরকে সমর্থন করেছেন। তবে কংগ্রেসের কিছু নেতার মতে, আনন্দ শর্মা যে প্রশ্নটি তুলেছেন, তা একেবারে উড়িয়ে দেয়ার মতো নয়। কিন্তু এখন এই প্রশ্ন তোলার অর্থ দলকে অস্বস্তিতে ফেলা ও ক্ষতি করা। কারণ, কংগ্রেস তো অনেক আগেই কেরালায় মুসলিম লিগের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তখন তো আনন্দ শর্মারা কিছু বলেননি।
অধীর চৌধুরী বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে জোট হয়েছে বামেদের নেতৃত্বে। সেখানে কংগ্রেস যে আসন চেয়েছিল তা পেয়েছে। বামেরা এখন তাদের ভাগের কিছু আসন আইএসএফকে দিচ্ছে। এখন কেউ যদি সিপিএমের সিদ্ধান্তকে সাম্প্রদায়িক বলে, তা হলে তিনি বিজেপি-র এজেন্ডাকে সাহায্য করছেন। যারা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়তে চান, তারা দলের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করবেন। অধীরের সোজাসাপটা কথা, যে বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সুরে কথা বলছেন, তারা দয়া করে দলের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করুন। দল তাদের অনেক কিছু দিয়েছে। লোকসভায় কংগ্রেসের নেতার মতে, জি২৩(এই গোষ্ঠীতে ২৩ জন নেতা আছেন বলে) দয়া করে দলকে শক্তিশালী করুন।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রচার-কৌশল
পশ্চিমবঙ্গে ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গেছে। সব দলের প্রচার তুঙ্গে। কেমনভাবে চলছে ও চলবে বিজেপি-র প্রচার?
ছবি: picture-alliance/Zuma/D. Chatterjee
প্রচারের মুখ
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র প্রচারের মুখ হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখনো পর্যন্ত বিজেপি কোনো মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। মোদীকে সামনে রেখেই ভোটে লড়বে তারা। রাজ্যে জনসভা শুরু করে দিয়েছেন মোদী। পশ্চিমবঙ্গে আট পর্বের ভোটে বারবার তিনি আসবেন প্রচারে। তার ভরসাতেই ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। হলদিয়ার জনসভায় মোদীর ছবি।
ছবি: Dibyangshu Sarkar/AFP/Getty Images
মোদীর ব্রিগেড-পরীক্ষা
বাম ও কংগ্রেসের জনসভায় ব্রিগেড ছিল ভর্তি। বহুদিন বাদে বামেদের জনসভায় কাতারে কাতারে মানুষ এসে ব্রিগেড ভরিয়েছিলেন। এবার পরীক্ষা মোদীর। আগামী ৭ মার্চ ব্রিগেডে জনসভা করবেন মোদী। তার আগে নেতারা জেলায় চলে গেছেন। সেখান থেকে মানুষকে ব্রিগেডে আনবেন। মোদীর জনপ্রিয়তা ও দলীয় সংগঠনের দক্ষতায় ব্রিগেড ভরাতে চাইছে বিজেপি।
ছবি: DW/P. Tewari
বেশি সভা অমিত শাহের
এখনো পর্যন্ত ঠিক আছে, কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি জনসভা করবেন অমিত শাহ। তিনি ইতিমধ্যেই ঘন ঘন পশ্চিমবঙ্গে আসছেন। কখনো বাউল, কখনো কৃষকের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করছেন। কর্মীসভা করেছেন। জনসভা এবং রোড শো-ও। পশ্চিমবঙ্গে দলকে ক্ষমতায় আনার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন অমিত শাহ।
ছবি: Payel Samanta/DW
বারবার নাড্ডাও
বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডাও বারবার পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে আসবেন। বিজেপি প্রচারকারীদের যে তালিকা তৈরি করেছে, তাতে নাড্ডা গুরুত্ব পাচ্ছেন।
ছবি: Prabhakarmani Tewari/DW
থাকছেন যোগী আদিত্যনাথ
যোগী আদিত্যনাথ প্রচার শুরু করে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চড়া সুরে হিন্দুত্বের প্রচারের জন্য সুবিদিত। কিছুদিন আগে বিহারে তিনি এই কাজটাই করেছিলেন। এবার পশ্চিমবঙ্গেও করবেন। ফলে পশ্চিমবঙ্গের ভোটেও বিজেপি-র চড়া সুরের প্রচার চলবে। মোদী এবং যোগী পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র বড় ভরসা।
ছবি: Altaf Qadri/AP Photo/picture alliance
স্মৃতি ইরানি, রাজনাথরা থাকছেন
বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে স্মৃতি ইরানি খুবই ভালো বাংলা বলতে পারেন। তাঁর মা বাঙালি। তিনি বংলায় থেকেছেন। খুবই ভাল বক্তা। তাই তাঁকে দিয়ে প্রচুর জনসভা করাবে বিজেপি। রাজনাথও প্রচার করবেন। বিহার এবং ওড়িশা থেকেও নেতাদের নিয়ে আসা হবে। ছবিতে কলকাতায় শোভাবাজার রাজবাড়িতে সিস্টার নিবেদিতা স্মারক বক্তৃতা দেয়ার আগে স্মৃতি ইরানি।
ছবি: picture-alliance/Pacific Press Agency/S. Paul
দিলীপ ঘোষ চষে বেড়াবেন
রাজ্য নেতাদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি জনসভা, রোড শো, বাড়ি গিয়ে প্রচার করবেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সারা রাজ্য তিনি চষে বেড়াচ্ছেন এবং বেড়াবেন। তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে প্রচারে গুরুত্ব দেবে বিজেপি। তাঁকে দিয়ে প্রচুর জনসভা করানো হবে।
ছবি: Imago Images/Pacific Press Agency/S. Paul
সর্বাত্মক প্রচার
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র প্রচার হবে সর্বাত্মক। কেন্দ্রীয় নেতারা বড় জনসভা করবেন। সেই সঙ্গে হবে ছোট পথসভা এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার। সঙ্গে থাকবে সামাজিক মাধ্যমে আক্রমণাত্মক প্রচার। যার দায়িত্বে আছেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয়। প্রতিটি জেলায় ঘুরবে এলইডি প্রচারযান। এভাবেই প্রচারে কোনো ফাঁক রাখছে না বিজেপি।
ছবি: Prabhakarmani Tewari/DW
8 ছবি1 | 8
প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও জানিয়ে দিয়েছেন, এই বিতর্ক নিয়ে যা বলার অধীর চৌধুরী বলে দিয়েছেন। তিনি অধীরের বক্তব্যকে সমর্থন করেন। তার মতে, কোনো জায়গায় জোট শরিকের সঙ্গে সব বিষয়ে একশ শতাংশ মতৈক্য হয় না। সাধারণ কিছু ভাবনার উপর ভিত্তি করেই জোট হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের এক প্রধান নেতা ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, আনন্দ শর্মারা কি রাজ্যের অবস্থা জানেন না? কংগ্রেস যদি আইএসএফের সঙ্গে হাত না মেলায় তা হলে আব্বাস সিদ্দিকি মুর্শিদাবাদ ও মালদহে কংগ্রেসের ভোট কাটবেন। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের জয়ের আশা কমবে। কংগ্রেসের কাছে এই দুই জেলাই সব চেয়ে বড় আশা ও ভরসার জায়গা। দুইটি জেলায় মুসলিম ভোটের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই দলের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই সিদ্দিকির আইএসএফের সঙ্গে হাত মেলানো হয়েছে। ভোটে সিদ্দিকিও উচ্চগ্রামে প্রচার করবেন না বলে তার দাবি।
পশ্চিমবঙ্গের ভোটে কে কোথায় দাঁড়িয়ে
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট আসন্ন। হাই-ভোল্টেজ লড়াইয়ে প্রধান দুই প্রতিপক্ষ তৃণমূল ও বিজেপি। বাম-কংগ্রেস কি কিছু করতে পারবে?
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
ভোটের দামামা
এপ্রিল-মে মাসে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা পশ্চিমবঙ্গে। সব দলই প্রচারে নেমে গেছে। প্রধান দুই প্রতিপক্ষ তৃণমূল এবং বিজেপি। তবে যত দিন যাচ্ছে, শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে বাম এবং কংগ্রেস।
ছবি: Getty Images/AFP/D. Dutta
তৃণমূলের জোর
২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। সেই থেকে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক নির্বাচনে ৪০ শতাংশের উপরে ভোট পেয়েছে তারা। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ আসন পেয়েছিল তৃণমূল।
ছবি: Getty Images/D. Sarkar
বিজেপির শক্তি
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে প্রধান বিরোধী শক্তি হয়ে ওঠে। তারাও ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে। এবারের নির্বাচন ব্যাপক প্রচার শুরু করেছে বিজেপি। রাজ্য জুড়ে চলছে রথযাত্রা।
ছবি: Payel Samanta/DW
ধর্মীয় মেরুকরণের নির্বাচন
বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে এবার ধর্মীয় মেরুকরণের নির্বাচন হবে। বিজেপি ধর্মীয় তাস খেলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তার উত্তর দিতে গিয়ে ধর্মীয় মেরুকরণ বৃদ্ধি করছেন।
ছবি: Imago Images/Pacific Press Agency/S. Paul
শাহ-মোদীর লক্ষ্য
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে পশ্চিমবঙ্গের রণনীতি তৈরি করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। ৪০টিরও বেশি সভা করেছিলেন তাঁরা। এবারের ভোটেও একই ভাবে প্রচারের পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতাদের এনে প্রচারের ঝাঁজ বাড়াতে চাইছে তারা। সঙ্গে চলছে তৃণমূলের নেতাদের বিজেপিতে নিয়ে আসার কাজ।
ছবি: Dibyangshu Sarkar/AFP/Getty Images
বারবার আসছেন শাহ
অমিত শাহ এখন বারবার পশ্চিমবঙ্গে আসছেন। ভোটের দিন ঘোষণার আগে তিনি প্রচারের জমি তৈরি করছেন। পরে মোদী প্রচারের ঝড় তুলবেন। আসছেন নাড্ডাও। তাছাড়া অন্য রাজ্যের নেতাদেরও নিয়ে আসা হবে পশ্চিমবঙ্গে।
ছবি: Payel Samanta/DW
রবীন্দ্রনাথ, নেতাজি ও বাঙালিয়ানা
মোদী, শাহ, নাড্ডার মুখে বারবার শোনা যাচ্ছে রবীন্দ্রনাথ, নেতাজির নাম। উঠে আসছে বাংলা ও বাঙালিয়ানার প্রশংসা। তৃণমূল লড়াইটাকে বাঙালি বনাম অ-বাঙালিতে পরিণত করার চেষ্টা করছিল। তার জবাবে, বাঙালি-প্রেম দেখাতে চাইছেন মোদী-শাহরা।
ছবি: DW/P. Samanta
মমতার পাল্টা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই একশ। রাজ্য জুড়ে সভা শুরু করে দিয়েছেন তিনি। নির্বাচন স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর সময় সময় পরামর্শ দিচ্ছেন মমতাকে। গত কয়েক মাসে দুয়ারে সরকার এবং সকলের জন্য স্বাস্থ্যবীমা জনমনে সাড়া ফেলেছে।
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বাম-কংগ্রেস জোট
কংগ্রেস এবং বামের ভোট গত ১০ বছরে চোখে পড়ার মতো কমেছে। ২০১৬ সালে তাদের জোট বিশেষ কাজে আসেনি। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ২০২১ সালে তাদের জোট আগের চেয়ে ভালো ফল করবে। বিজেপি এবং তৃণমূলের ভোট বাম-কংগ্রেস জোট সমান ভাবে কাটতে পারলে ফলাফলে তার যথেষ্ট প্রভাব পড়বে।
ছবি: Zumapress/Imago Images
সমীক্ষার ফলাফল
এখনো পর্যন্ত যতগুলি ভোটের আগের সমীক্ষা হয়েছে, তাতে অল্প হলেও এগিয়ে আছে তৃণমূল। তবে বিজেপি ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে। লড়াই হাড্ডাহাড্ডি। প্রশান্ত কিশোরের স্ট্র্যাটেজি কি তৃণমূলের ভোট-মার্জিন বাড়াতে পাড়বে?
ছবি: Hindustan Times/Imago Images
আসরে ফুরফুরা শরিফ
এরই মধ্যে ইসলামিক প্রতিষ্ঠান ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি নিজের দল তৈরি করেছেন। তিনি বিজেপি এবং তৃণমূল কাউকেই সমর্থন করছেন না। বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের আলোচনা চলছে।
ছবি: Naushad Bhai
11 ছবি1 | 11
আনন্দ শর্মার মতো কথা বিজেপি নেতারাও বলতে শুরু করে দিয়েছেন। এটা স্বাভাবিক যে, হিন্দু ভোট একত্রিত করতে আনন্দ শর্মার কথাকে বিজেপি হাতিয়ার করবে। পরে মোদী বা শাহ জনসভায় আনন্দ শর্মার কথা টেনে আনেন তা হলেও আশ্চর্যের কিছু নেই।
তবে আইএপএফ নিয়ে অধীরের বিড়ম্বনা এখনো কাটেনি। আব্বাস সিদ্দিকি চাইছেন, মুর্শিদাবাদ ও মালদহে অন্তত সাতটি আসন ছাড়ুক কংগ্রেস। কিন্তু তাতে রাজি নন অধীর। তার দাবি, যা আসন ছাড়ার তা বামেরা ছাড়ুক। কংগ্রেস তাদের ভাগের ৯২ আসনে লড়বে। কিন্তু সিপিএম নেতারা বলছেন, তারা আইএসএফকে নিজেদের ভাগের ৩০টি আসন ছেড়েছেন। এখন কংগ্রেস সাতটি আসন ছাড়ুক। কংগ্রেসের দাবি, সেক্ষেত্রে সিপিএম অন্য জেলায় সাতটি বাড়তি আসন দিক। তাতে সিপিএম রাজি নয়। এই বিরোধ এখনো মেটেনি। তবে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেছেন, আলোচনা ভালোভাবে এগোচ্ছে।