পুঁজিবাজারে আস্থা ফেরাতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক
২৩ জানুয়ারি ২০১১রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এই বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, অর্থসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এসইসি, ডিএসইসহ অর্থ ও পুঁজি বাজারের নীতি নির্ধারকরা থাকছেন৷ জানা গেছে, এই বৈঠকের মূল ঊদ্দেশ্য হল পুঁজিবাজারের ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনা৷ আর এই আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুঁজি বাজারে তারল্য বৃদ্ধিসহ সংস্কারের কিছু সিদ্ধান্ত আসতে পারে৷ আর পুঁজি বাজার নিয়ে কোন অসাধু মহল সক্রিয় ছিল কিনা তা দেখতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও গঠন হতে পারে৷
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী মনে করেন, এসইসিকে পুঁজি বাজার মনিটরিংয়ের জন্য যথেষ্ট যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে৷ পুজিবাজারের এই বিপর্যয়ে এসইসির ব্যর্থতা স্পষ্ট৷ তাদের বাজারের ওপর নিয়ন্ত্রণ ছিল না৷ তাদের ওপর নানা মহল প্রভাব বিস্তার করেছে৷
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ মনে করেন, ব্রোকারেজ হাউসের লাইসেন্স আলাদা করে দেয়া উচিত৷ ডিএসই'র সদস্যরাই কেবল ব্রোকারেজ হাউসের লাইসেন্স পাবেন এই নিয়মের অবসান হওয়া প্রয়োজন৷ তিনি মনে করেন, সদস্য ২৩৮ জনে সীমাবদ্ধ না রেখে ডিএসই'র সদস্য সংখ্যা বাড়ানো উচিত৷ আর তা সম্ভব না হলে আরেকটি স্টক এক্সচেঞ্জ চালু করা যেতে পারে৷
এই দু'জনই মনে করেন পুঁজিবাজার কোন গোষ্ঠী বা মহলের নিয়ন্ত্রণে থাকা ক্ষতিকর৷ কারণ এখানে দেশের মানুষের স্বার্থ জড়িত৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই