1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুঁজিবাজার

২৭ জানুয়ারি ২০১২

গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের পুঁজিবাজারে চলছে দরপতন ও অস্থিরতা৷ গেলো সপ্তাহেও তা অব্যাহত ছিলো৷ অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলছেন যে, পুঁজিবাজারের এই বেহাল অবস্থা উত্তরণের জন্য সরকারের সঠিক পদক্ষেপ জরুরি৷

ঢাকা পুঁজিবাজারছবি: DW

বৃহস্পতিবার ছিল পুঁজিবাজারে সাপ্তাহিক শেষ কর্ম দিবস৷ এ দিন সকাল বেলায় পুঁজিবাজারে কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়৷ কিন্তু দিন ফুরোতে না ফুরোতেই শুরু হয় দরপতন৷ এই দরপতন এতোই ব্যাপক হয়েছে যে, গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসে বাজারের সূচক৷

পুঁজিবাজারে অস্থিতিশীল এই চিত্র শুধু একদিনের নয়৷ গত এক বছর ধরেই বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিরাজ করছে অস্থিরতা৷ বাজারের অস্থিরতার কারণে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে হাজার হাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী৷ সব হারিয়ে বিনিয়োগকারীরা নেমে এসেছে রাজপথে, বেছে নিয়েছে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, আন্দোলন ও সংঘর্ষের পথ৷

একটি দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে দীর্ঘ সময় ধরে কেন এতো অস্থিরতা? ব্যাখ্যা দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ৷

‘‘কোনো যুক্তি দিয়ে এটিকে ব্যাখ্যা করা যায় না৷ সমস্ত পুঁজিবাজার সম্পর্কে মানুষের মনে একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে এবং আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে৷ যারা পুঁজিবাজারে ম্যানিপুলেশান করে সংকট তৈরি করলো, সরকার তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করে নি৷ এটা করা উচিত ছিলো৷ এটা না করার ফলে মানুষের অনাস্থা যাচ্ছে না৷''

২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসের পর থেকে ২০১২ সালের জানুয়ারি, এই দীর্ঘ সময় ধরে বাজারে দরপতন চলছে, চলছে অস্থিরতা ও অসন্তোষ৷ দীর্ঘ সময় ধরে পুঁজিবাজারের এই অস্থিরতা দেশের অর্থনীতিতে কি কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে?

‘‘না, আমাদের দেশে পুঁজি বাজার খুব বেশি বড় নয়৷ ফলে খুব বড় কোনো সমস্যা হবার সম্ভাবনা নেই৷ তবে, যেটা হচ্ছে যে, নতুন কোনো প্রতিষ্ঠান বাজারে লগ্নি করছে না৷'' আর এটাকেই একটি সমস্যা বলে মনে করছেন অধ্যাপক আকাশ৷

দেশের অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের এই অস্থিরতা খুব বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন এম এম আকাশ৷ কিন্তু পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দিচ্ছেন সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী কথাও৷

তিনি বলছেন যে, যারা বাজার থেকে টাকা তুলে নিয়ে গেছে, তাদের সেই টাকার ওপর সরকার একটা বিশেষ ট্যাক্স বসিয়ে সে টাকাটা আবার সাধারণ লগ্নিকারীদের ফিরিয়ে দেবার একটা ব্যবস্থা করতে পারে৷ তাহলে, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা একটু উপকার পাবেন বলেও মনে করেন তিনি৷

একদিকে নিঃস্ব হওয়া ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের চাপ, অন্যদিকে বাজারের বেহাল দশা৷ তার উপর বাজার-কারসাজির অভিযোগকে আমলে না নেয়ায় সরকারের দিকেও উঠেছে সন্দেহের আঙুল৷ সব মিলিয়ে জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বাজার ঘিরে৷ এখন এ থেকে উত্তরণের উপায় কী?

এই বিষয়ে অধ্যাপক আকাশ মনে করেন যে, এর কোনো সহজ সমাধান নেই৷ সরকারকে এই ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে৷ আর তা ছাড়া গত কয়েকমাস আগে অর্থনীতিবিদ ইব্রাহিম খালেদ এর নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী সরকারের পদক্ষেপ নয়া দরকার বলেও মনে করেন তিনি৷

পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে গত এক বছরে নানামুখী সংস্কারের চেষ্টা করেছে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন৷ এছাড়া সরকারও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে৷ এমনকি বাজারকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকেও৷ এতো দিক থেকে এতো চেষ্টার পরো শান্ত হচ্ছে না পুঁজি বাজারের ক্ষ্যাপাটে ষাঁড়৷

এই অবস্থায় অধ্যাপক আকাশ বলছেন, ‘‘এখন সরকারই শেষ আশ্রয়৷ সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়া উত্তরণের আর কোনো উপায় নেই৷''

প্রতিবেদন: আফরোজা সোমা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ