1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজরাশিয়া

পুটিনের ‘অন্যায় শর্ত' মানতে নারাজ জি-সেভেন

২৯ মার্চ ২০২২

রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানির মূল্য রুবলে মেটানোর দাবিকে চুক্তির শর্তভঙ্গ হিসেবে বর্ণনা করে শিল্পোন্নত দেশগুলি অনড় অবস্থান নিয়েছে৷ চলতি সপ্তাহেই বিষয়টির নিষ্পত্তি না হলে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হতে পারে৷

Screenshot Putin TV-Ansprache an Nation
ছবি: Kremlin

ইউক্রেনের উপর হামলার কারণে রাশিয়ার উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে৷ কিন্তু সে দেশ থেকে জ্বালানি সরবরাহের উপর নির্ভরশীলতার কারণে প্রবল চাপের মুখেও এখনো পেট্রোলিয়াম, গ্যাস ও কয়লা আমদানি বন্ধ করে নি ইউরোপ৷ ফলে প্রতিদিন কোটি কোটি ইউরো আয় করছে মস্কো৷ কিন্তু খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ইউরো বা ডলারের বদলে রুবলে জ্বালানির দাম মেটানোর শর্ত চাপানোর ফলে নতুন সংকট সৃষ্টি হচ্ছে৷ পুটিন শুধু ‘বন্ধুসুলভ' নয়, এমন দেশের জন্য এমন শর্ত চাপাতে চান৷ শিল্পোন্নত দেশগুলিক গোষ্ঠী জি-সেভেন চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ করে সেই শর্ত মানতে প্রস্তুত নয় বলে শুক্রবারই জানিয়ে দিয়েছিল৷ চলতি সপ্তাহে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে চূড়ান্ত সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে৷

রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, সে দেশের সরকার ও গাজপ্রম কোম্পানিকে ৩১শে মার্চের মধ্যে প্রেসিডেন্ট পুটিনের কাছে গ্যাসের দাম রুবলে মেটানোর সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেশ করতে হবে৷ ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ক্রেতাদের জন্য বিনামূল্যে গ্যাস সরবরাহ সম্ভব নয়৷ তিনি বলেন, দাম না মেটালে গ্যাসও পাঠানো হবে না৷ তবে পেস্কভের সূত্র অনুযায়ী ইউরোপের দেশগুলি রুশ মুদ্রায় দাম মেটাতে রাজি না হলে কী করা হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয় নি৷ তিনি বলেন, পশ্চিমা জগত রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে৷ বাণিজ্য, অর্থনীতি থেকে শুরু করে সম্পত্তি ও তহবিল বাজেয়াপ্ত করার মতো পদক্ষেপ নিয়ে অত্যন্ত বৈরি মনোভাব দেখাচ্ছে একাধিক দেশ৷

জি-সেভেনও অনড় অবস্থান ধরে রেখেছে৷ এই গোষ্ঠীর জ্বালানির দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের ভারচুয়াল আলোচনার পর জার্মানির অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী রোব্যার্ট হাবেক বলেন, সব মন্ত্রীই মনে করছেন, যে এ ক্ষেত্রে রাশিয়া একতরফাভাবে চুক্তিভঙ্গ করছে৷ পুটিনের দাবি উপেক্ষা করে সংশ্লিষ্ট সব কোম্পানিকে চুক্তির শর্ত মেনে চলার ডাক দিয়েছে জি-সেভেন৷

ইউরোপীয় ইউনিয়ন চলতি বছরেই রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানির পরিমাণ দুই-তৃতীয়াংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে৷ ২০২৭ সালের মধ্যে সে দেশ থেকে জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির উপর নির্ভরতা পুরোপুরি দূর করতে চায় এই রাষ্ট্রজোট৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জরুরি ভিত্তিতে ইউরোপকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের উদ্যোগ নিচ্ছে৷

ক্রেমলিনের এমন ‘বেপরোয়া' চালের ঝুঁকি নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছে৷ কয়েক সপ্তাহ ধরে কড়া নিষেধাজ্ঞার মুখে রাশিয়ার মুদ্রার অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে৷ এমন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পুটিন আন্তর্জাতিক স্তরে রুবলের প্রচলনের চেষ্টা চালাচ্ছেন৷ বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এমন পদক্ষেপের কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত নন৷ পশ্চিমা জগতের নিষেধাজ্ঞার মুখে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জ্বালানি রপ্তানির প্রচেষ্টাও কতটা সাফল্য আনবে, সে বিষয়েও সংশয় রয়েছে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ