1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুটিনের ‘তুরুপ' বাশার

২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ইসলামিক স্টেট-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের বিকল্প দেখছে না রাশিয়া এবং ইরান৷ যুদ্ধে সাফল্যের জন্য গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করবে রাশিয়া-ইরান-ইরাক৷ জাতিসংঘে মুখোমুখি হতে চলেছেন ওবামা-পুটিন৷

Syrien Präsident Bashar al-Assad
ছবি: picture alliance/dpa/Sana Handout

Quadriga - War in Syria - no peace without Putin?

26:03

This browser does not support the video element.

নিউ ইয়র্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ভাষণ দেবেন৷ সাক্ষাৎ হবে দু'জনের৷ দু'বছরের মধ্যে এই প্রথম মুখোমুখি হবেন তাঁরা৷

তাঁদের বক্তব্যে যে মধ্যপ্রাচ্য সংকট, জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস এবং বাশার আল-আসাদ প্রসঙ্গ আসবে তা মোটামুটি নিশ্চিত৷ এ সব প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন পুটিন৷ ইউক্রেন সংকট জটিল রূপ ধারণ করার পর থেকে পাশ্চাত্যের দেশগুলোর সমালোচনার মুখে এতদিন একরকম কোণঠাসাই ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট৷ ইউরোপে অনেকটা ‘একঘরে' হয়ে পড়েছিল রাশিয়া৷ নাটকীয়ভাবে অবস্থা বেশ পাল্টে দিয়েছেন পুটিন৷

সিবিএস নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পুটিন বলেছেন, আইএস বিরোধী যুদ্ধে জয় পেতে হলে সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতায় রাখতেই হবে৷ এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানিও বলেছেন, সিরিয়ায় শাসক পর্যায়ে পরিবর্তনের দরকার আছে, তবে এখনই তা আবশ্যক নয়৷ রোহানিও মনে করেন, আইএসকে পরাস্ত না করা পর্যন্ত বাশার আল-আসাদের প্রয়োজন অনস্বীকার্য৷

এদিকে সিবিএস নিউজ চ্যানেলের ‘সিক্সটি মিনিটস' নামের এক অনুষ্ঠানে পুটিন জানিয়েছেন, আইএস বিরোধী যুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বিত একটি প্রয়াস চালাতে যাচ্ছে তাঁর দেশ৷

প্রয়াসটি কেমন সে সম্পর্কে পুটিন সরাসরি কিছু বলেননি৷ তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভারভ জানিয়েছেন, তথ্য বিনিময়ের জন্য রাশিয়া মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশ সিরিয়া, ইরান এবং ইরাকের গোয়েন্দাদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ চার দেশের গোয়েন্দা প্রতিনিধিরা এখন থেকে সামরিক তথ্য বিনিময় করে জঙ্গিবাদ বিরোধী যুদ্ধে সাফল্য লাভের চেষ্টা করবেন৷ ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদির এক মুখপাত্রও চার দেশীয় এই আন্তঃসমঝোতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷

এ মুহূর্তে আইএস-এর দখলে যেসব শহর...

সম্প্রতি জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও শরণার্থী সংকট প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে বাশার আল-আসাদের গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন৷ ম্যার্কেল মনে করেন, বাশার আল-আসাদকে আলোচনার বাইরে রেখে সিরিয়া সংকট নিরসন কখনোই সম্ভব নয়৷ এখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও মনে করেন, আইএস-কে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের শাসন দরকার৷

সিরিয়া সংকটের শুরু থেকে রাশিয়া এবং চীন বাশার আল-আসাদের পাশে থাকলেও পাশ্চাত্যের সব দেশই ছিল বিপক্ষে৷ দেশগুলো তখন বিদ্রোহীদের সহায়তা দিয়ে আসাদকে হঠাতেই মরিয়া ছিল৷ ম্যার্কেল এবং ক্যামেরনের বক্তব্যে ইউরোপের পরিস্থিতি পাল্টানোর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করেন৷

তবে ইউরোপে শাসকদের মধ্যে বাশার আল-আসাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়লেও যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনে পুটিনবিরোধীতা এখনো আছে৷ জাতিসংঘে পুটিনের উপস্থিতিও মানতে পারছেন না ইউক্রেনীয়রা৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ