রাশিয়া আগ্রাসন চালিয়ে গেলে ব্যক্তিগতভাবে পুটিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন বাইডেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো কড়া পদক্ষেপের হুমকি।
বিজ্ঞাপন
রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ফের সরব হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাশিয়া যে আগ্রাসন দেখাচ্ছে, তা অভূতপূর্ব। এর ফলে বিশ্বযুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যুদ্ধ হলে তা বিশ্বযুদ্ধের চেহারা নেবে।বিশ্ব কূটনীতির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। যা কোনোভাবেই কাঙ্খিত নয়।
বাইডেন এদিন রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো কড়া নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন। সাংবাদিকরা এই সময় তাকে জিজ্ঞেস করেন, প্রয়োজনে কি পুটিনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত স্তরে ব্যবস্থা নেবেন বাইডেন। বাইডেনের জবাব, প্রয়োজন হলে তা-ও করবেন।
পূর্ব ইউক্রেনের বিভাজন রেখায় বাড়ছে উত্তেজনা
রাশিয়ার সঙ্গে চরমে উঠেছে ইউক্রেনের সংঘাত৷ রাশিয়া সীমান্তে ন্যাটোর সেনা মোতায়েন উত্তেজনা বাড়িয়েছে৷ ইউক্রেন সীমান্তে সামরিক তত্পরতা বাড়িয়েছে মস্কো৷ অন্যদিকে ইউক্রেনও পিছিয়ে নেই৷ প্রস্তুত রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও৷
ছবি: AP Photo/picture alliance
রুশ-ইউক্রেন উত্তেজনা
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর একজন সেনাকে দেখা যাচ্ছে৷ দনেত্স্ক এলাকার হরলিভকাতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত তিনি৷ রুশপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিভাজন রেখার কাছে বন্দুকধারী সেনার ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছেন একজন আলোকচিত্রী৷
ছবি: Anna Kudriavtseva/REUTERS
সেনার প্রস্তুতি
রাশিয়ার গুপ্তচররা ইউক্রেনের ভিতরে ঢুকে যুদ্ধের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ৷ যদিও রাশিয়া এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ দনেত্স্ক এলাকায় রাশিয়াকে রুখতে প্রস্তুত রয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী৷
প্রত্যেক ইউক্রেনীয় সেনাই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত৷ যে কোনো মুহূর্তে যুদ্ধ শুরু হতে পারে, মানসিকভাবে এমন প্রস্তুতি রয়েছে তাদের৷
ছবি: Anna Kudriavtseva/REUTERS
প্রস্তুত ‘নোঁ দ্য গ্যার ইয়াকুট’
লুহানস্ক এলাকায় পোপাসনা শহরে ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী ভোলোদিয়ার সেনারাও প্রস্তুত৷ এরা ‘নোঁ দ্য গ্যার ইয়াকুট’ নামে পরিচিত৷
ছবি: Maksim Levin/REUTERS
সামরিক অবস্থান শনাক্ত
দনেত্স্ক পিপলস রিপাবলিকের (ডিএনআর) এক অস্ত্রধারী জঙ্গির (মস্কোপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী) ছবিও ধরা পড়েছে চিত্রসাংবাদিকের ক্যামেরায়৷ সামরিক অবস্থান খতিয়ে দেখে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারাও৷
ছবি: Alexander Ermochenko/REUTERS
প্রতিপক্ষের মোকাবিলায়
লুহানস্ক এলাকায় পোপাসনায় রয়েছেন ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর সেনা আন্দ্রে৷ নোঁ দ্য গ্যার দ্রুইদ হিসেবে পরিচিত আন্দ্রেও মানসিকভাবে প্রতিপক্ষের মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছেন৷
ছবি: Maksim Levin/REUTERS
ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর সেনা
লুহানস্কে বরফ ঢাকা পথে হেঁটে চলেছেন ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর সেনারা৷ সামরিক বিন্যাস নিয়ে তৈরি তারা৷ একদিকে জারি হাই অ্যালার্ট, অন্যদিকে সেনা মোতায়েন৷ যুদ্ধের দামামা কি বেজে গেল? রাশিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ কী? উঠে আসছে এই প্রশ্নগুলি৷
ছবি: Maksim Levin/REUTERS
8 ছবি1 | 8
হোয়াইট হাউস সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, মঙ্গলবার একাধিক সংস্থা এবং দেশের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাইডেন। রাশিয়া ইউরোপে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করে দিলে বিকল্প যাতে তৈরি থাকে, সে জন্যই বৈঠকগুলি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি ন্যাটোর সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছেন।
অ্যামেরিকা জানিয়েছে, সাড়ে আট হাজার সেনাকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। রাশিয়া সীমান্তের কাছেই তাদের মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনে দ্রুত এই সংখ্যা বাড়ানো হবে। তবে এখনই ইউক্রেনে সেনা পাঠাচ্ছে না অ্যামেরিকা। অন্যদিকে, ন্যাটোও রাশিয়া সীমান্তের কাছে যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে।
এদিন ফের রাশিয়াকে আগ্রাসন কমানোর অনুরোধ করেছে জার্মানি-সহ একাধিক ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত দেশ। বাইডেন জানিয়েছেন, ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিকে রক্ষা করা তাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। ন্যাটোর অভিযোগ, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া আরো বেশি সেনা মোতায়েন করেছে। সেখানে তারা যুদ্ধের মহড়াও শুরু করেছে গত কয়েকদিন। যার জেরে উত্তেজনা আরো বেড়েছে।