রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
বিজ্ঞাপন
পুটিনের প্রতি এক বার্তায় জেলেনস্কি বলেছেন, ''আমি কামড়াই না। তাহলে আমার সঙ্গে আলোচনায় বসতে আপনি ভয় পাচ্ছেন কেন?''
কমেডিয়ান থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়া জেলেনস্কি বলেছেন, ''লড়াই থামাবার একমাত্র পথ হলো, পুটিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা।'' পুটিনের প্রতি তার বার্তা, ''আমরা তো রাশিয়া আক্রমণ করিনি। আমাদের সেরকম কোনো ইচ্ছেও ছিল না। এখন আপনি আমাদের কাছ থেকে কি চান? আপনি আমাদের জমি থেকে চলে যান। আপনি আমার সঙ্গে আলোচনায় বসুন।''
রাশিয়া-ইউক্রেন লড়াইয়ের সাতদিন
সপ্তম দিনে লড়াই আরো তীব্র হয়েছে। ইউক্রেনের একটি শহর রাশিয়া দখল করেছে বলে সরকারিভাবে জানিয়েছে।
ছবি: Emilio Morenatti/dpa/AP/picture alliance
খেরসন রাশিয়ার কব্জায়
খেরসনের রাস্তায় রাশিয়ার সেনা ট্রাক। বুধবার রাতে রাশিয়া জানিয়েছে, অঞ্চলটি তারা দখল করে নিয়েছে।
ছবি: REUTERS
ইউক্রেনের বক্তব্য
খেরসনের মেয়র জানিয়েছেন এলাকা এখনও তাদের দখলে। লড়াই চলছে। পেন্টাগনও একই কথা বলেছে। খেরসনের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে রাশিয়ার ট্যাঙ্ক এবং সাজোয়া গাড়ি।
ছবি: REUTERS
কিয়েভের চিত্র
কিয়েভের খুব কাছে লাগাতার বোমা এবং রকেট ছুঁড়ছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সেনাও পাল্টা জবাব দিচ্ছে।
ছবি: Alexander Ermochenko/REUTERS
ভাঙা ব্রিজে ইউক্রেনের সেনা
কিয়েভের খুব কাছে বোমার আঘাতে ভেঙে গেছে এই সেতুটি। ভাঙা সেতু পার করে শহরে ঢোকার চেষ্টা করছেন ইউক্রেনের সেনা। সেতু মেরামত করার চেষ্টাও চলছে।
ছবি: Emilio Morenatti/AP/picture alliance
বিস্ফোরণের ছবি
কিয়েভের খুব কাছে ইউক্রেনের শহর বরোদিয়াঙ্কা। সেখানে রাশিয়ার সেনার সঙ্গে ইউক্রেনের সেনার তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। জ্বলছে রাশিয়ার ট্যাঙ্ক।
ছবি: Alisa Yakubovych/EPA-EFE
বাড়িতে আগুন
কিয়েভের খুব কাছে একটি বাড়িতে রকেট এসে লেগেছিল। দাউ দাউ করে জ্বলছে বাড়িটি।
ছবি: Alisa Yakubovych/EPA-EFE
কিয়েভ রেল স্টেশন
রাজধানীর রেল স্টেশনের বাইরে সশস্ত্র পাহারায় দেশের সেনা বাহিনী। স্টেশন কার্যত ঘিরে রেখেছে তারা।
ছবি: Oleg Petrasyuk/EPA-EFE
স্টেশনে ভিড়
কিয়েভ রেল স্টেশনে সবচেয়ে ভিড়। সকলে ট্রেনে চড়েই পালানোর চেষ্টা করছে। কারণ, ট্রেনই হলো কিয়েভ থেকে বাইরে যাওয়ার সবচেয়ে নিরাপদ রাস্তা।
ছবি: Lafargue Raphael/abaca/picture alliance
মেয়েদের অগ্রাধিকার
স্টেশনে মেয়েদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তাদেরই ট্রেনে চড়তে দেওয়া হচ্ছে। এক বাবা মেয়েকে বিদায় জানাচ্ছেন। ইউক্রেনের সেনা সমস্ত পুরুষকে লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে।
ছবি: Dimitar Dilkoff/AFP
খারকিভের ছবি
খারকিভের অবস্থা ভয়াবহ। সেখানে তীব্র লড়াই চলছে। শহরজুড়ে বোমা ফেলছে রাশিয়া। চলছে রকেট হানা। খারকিভ সিটি সেন্টার এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ছবি: Sergey Bobok/AFP
ভাঙা ঘর
কিয়েভের খুব কাছে গোরেঙ্কা শহরের ছবি। বোমার আঘাতে ভেঙে গেছে বাড়ি। তারই মধ্যে জিনিসপত্র খুঁজে বেড়াচ্ছেন এই নারী।
ছবি: Vadim Ghirda/AP/picture alliance
১০ লাখ শরণার্থী
জাতিসংঘের সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, ১০ লাখ ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। অন্যদেশে শরণার্থীর জীবন যাপন করছেন তারা। আরো কিছুদিন লড়াই চললে সংখ্যাটি ৪০ লাখে পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা।
ছবি: Arafatul Islam/DW
12 ছবি1 | 12
আর পশ্চিমা দেশগুলির প্রতি জেলেনস্কির আবেদন, ''আপনাদের যদি আকাশসীমা বন্ধ করার ক্ষমতা না থাকে, তাহলে আমাদের আরো বিমান দিন। আর একটা কথা মনে রাখবেন, আমরা যদি না থাকি, তাহলে এরপর লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, এস্তোনিয়ার পালা। আমার এই কথাটা আপনারা মনে রাখতে পারেন।''
কমেডিয়ান থেকে যুদ্ধকালীন নেতা জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একসময় অভিনেতা ও কমেডিয়ান ছিলেন৷ এখন যুদ্ধকালীন নেতা হিসেবে বিশ্বের মনোযোগ কেড়েছেন ৪৪ বছর বয়সি জেলেনস্কি৷
ইউক্রেনে হামলা শুরুর পরদিন শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ভবনের কাছে কয়েকজন উপদেষ্টাকে নিয়ে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি৷ তিনি তার পদ ছেড়ে দিয়েছেন বলে ওঠা গুজব মিথ্যা প্রমাণ করতে ভিডিওটি করেন ৪৪ বছর বয়সি জেলেনস্কি৷
ছবি: FACEBOOK/@Volodymyr Zelensky/AFP
বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট নেই
রাশিয়া তাকে হত্যা করতে চায় - এমন সতর্কবাণী থাকার পরও জেলেনস্কি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট বা হেলমেট ছাড়াই ভিডিওতে উপস্থিত হয়েছিলেন৷ তাকে দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি ঠিকমতো ঘুমাননি৷ মাঝেমধ্যে তাকে হাসতেও দেখা গেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা সবাই এখানে আছি৷ আমাদের সামরিক বাহিনী এখানে৷ সমাজের নাগরিকরা এখানে৷ আমরা সবাই আমাদের দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করছি, এবং এটা এভাবেই থাকবে৷’’
ছবি: Ukrainian Presidential Press Service/REUTERS
মিশ্র বার্তা
এই ছবিটি শনিবারের ভিডিও থেকে নেয়া৷ সামরিক স্টাইলের খাকি টি-শার্টের ওপর হালকা সবুজ জ্যাকেট পরে জেলেনস্কি নাগরিকদের আশ্বস্ত করছেন যে, তিনি কিয়েভেই আছেন৷ এর বাইরে আনুষ্ঠানিক পোশাক পরেও সংবাদ সম্মেলন করেছেন৷ তার বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি একইসঙ্গে নাগরিকদের চাঙা রাখার পাশাপাশি তাদের আসন্ন বিপদ সম্পর্কেও সচেতন করার চেষ্টা করেছেন৷ তিনি ইউক্রেনীয়দের ‘অদম্য’ বৈশিষ্ট্য নিয়েও কথা বলেছেন৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জেলেনস্কির কিয়েভ ছাড়ার প্রয়োজন হলে তাকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছিলেন৷ কিন্তু জেলেনস্কি বাইডেনকে বলেন, ‘‘আমার অস্ত্র দরকার, উড়ান নয়৷’’ ব্রিটেনের ইউক্রেন দূতাবাসের টুইটে এই তথ্য জানানো হয়েছে৷
ছবি: AFP
আবেগী বার্তা
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে এক ভিডিও কলে জেলেনস্কি বলেন, ‘‘আমাকে হয়ত আপনারা শেষবারের মতো জীবন্ত দেখছেন৷’’ এরপর তিনি তাদের কাছে অস্ত্র সহায়তা কামনা করেন৷
ছবি: EU Council/Pool /AA/picture alliance
চার্চিলের সঙ্গে মিল
জেলেনস্কির সঙ্গে ব্রিটেনের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়কালীন প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের মিল খুঁজে পেয়েছেন চার্চিলের জীবনী লেখক অ্যান্ড্রু রবার্টস৷ তিনি জেলেনস্কির ‘অভাবনীয় ব্যক্তিগত সাহসিকতা’, ‘মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের দক্ষতা’ এবং ‘জয় সম্পর্কে তার অটল বিশ্বাসের’ প্রশংসা করেন৷ চার্চিল একসময় বলেছিলেন, মানুষের অনেকগুলো গুণের মধ্যে প্রথম হচ্ছে সাহস, কারণ এটা এমন একটা গুন, যা অন্যগুলো নিশ্চিত করে৷
অভিনেতা ও কমেডিয়ান
২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগে জেলেনস্কি একজন প্রখ্যাত অভিনেতা ও কমেডিয়ান ছিলেন৷ একটি শোতে তিনি স্কুল শিক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন৷ শোতে দেখা যায়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেয়া তার জ্বালাময়ী এক বক্তব্য একজন শিক্ষার্থী রেকর্ড করে অনলাইনে ছেড়ে দেয়৷ পরে তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন বলে শোতে দেখানো হয়৷
ছবি: picture alliance/dpa/Ukrainian Presidential Press Office via AP
পোরোশেঙ্কোর মন্তব্য
২০১৯ সালে যখন জেলেনস্কি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন তখন তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কো (ছবি) তার ইউক্রেনিয়ান ভাষা নিয়ে হাসাহাসি করেছিলেন (কারণ জন্মসূত্রে জেলেনস্কির প্রাথমিক ভাষা হচ্ছে রুশ)৷ এছাড়া পুটিনের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার মতো রাজনৈতিক মর্যাদা তার নেই বলেও মন্তব্য করেছিলেন৷ কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় পোরোশেঙ্কোকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়ে যান জেলেনস্কি৷
ছবি: Anna Marchenko/dpa/TASS/picture alliance
জেলেনস্কির উত্তর
নির্বাচনি প্রচারণার সময় জেলেনস্কির সমালোচকরা বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য যে ধরনের গাম্ভীর্য ভাব দরকার, সেটা তার নেই৷ এর উত্তরে জেলেনস্কি বলেছিলেন, ‘‘আমি রাজনীতিবিদ নই৷ আমি একজন সাধারণ মানুষ যে সিস্টেম ভাঙতে এসেছে৷’’
ছবি: Daniel Leal-Olivas/AFP
শপথ অনুষ্ঠানে অঙ্গীকার
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে জেলেনস্কি বলেছিলেন, ‘‘এতদিন ইউক্রেনীয়দের হাসানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, আর এখন এমন চেষ্টা করবো যেন ইউক্রেনীয়দের কাঁদতে না হয়৷’’
ছবি: Irina Yakovleva/TASS/dpa/picture alliance
10 ছবি1 | 10
কয়েক সপ্তাহ আগে জেলেনস্কি বলেছিলেন, ''কেউ বিশ্বাস করে না, আধুনিক সমাজে কেউ এমন বর্বরের মতো আচরণ করবে।'' কিন্তু রাশিয়া শেষপর্যন্ত ইউক্রেন আক্রমণ করার পর ভুল ভেঙেছে জেলেনস্কির।