1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

ইউক্রেনকে আরো সামরিক সাহায্য

৬ জুন ২০২২

রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিনের সতর্কবাণী সত্ত্বেও অ্যামেরিকা, ব্রিটেন ও স্পেন ইউক্রেনকে আরো উন্নত অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহের উদ্যোগ নিচ্ছে৷ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের উপর দ্রুত নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে৷

Ukraine-Krieg | ukrainischer Soldat ist mit einer Flugabwehrwaffe im Gebiet Donezk
অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্ট অস্ত্র কাঁধে নিয়ে চলেছেন এক ইউক্রেনীয় সৈন্য (ফাইল ফটো)ছবি: Diego Herrera Carcedo/AA/picture alliance

রাশিয়ার হামলার মুখে ইউক্রেনের প্রতি সংহতির প্রশ্নে ঐক্যের অভাব না থাকলেও সে দেশকে সহায়তার ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের অবস্থানে স্পষ্ট পার্থক্য দেখা যাচ্ছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলি ইউক্রেনের আত্মরক্ষার অধিকার জোরালো করতে ভারি অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সহায়তা দিয়ে চলেছে৷ অন্যদিকে জার্মানি, ফ্রান্স ও ইটালির মতো দেশ এ ক্ষেত্রে কিছুটা সংযত থাকার চেষ্টা করছে৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ এমনকি রাশিয়ার ‘অপমান' এড়িয়ে চলার পক্ষে সওয়াল করেছেন৷

এমনই প্রেক্ষাপটে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন রোববার আবার পশ্চিমা বিশ্বকে সতর্ক করে দিয়েছেন৷ ইউক্রেনকে দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করলে রাশিয়াও নতুন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করবে বলে তিনি হুমকি দিয়েছেন৷ কিয়েভের উপকণ্ঠে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে রাশিয়া এমন ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছে বলে পুটিন দাবি করেন৷ তার মতে, এমন বাড়তি অস্ত্র সরবরাহ করে পশ্চিমা বিশ্ব এই ‘সশস্ত্র সংঘাত' দীর্ঘায়িত করাতে চাইছে৷ এর ফলে ইউক্রেনের সামরিক ক্ষমতারও কোনো পরিবর্তন দেখছেন না পুটিন৷

এমন হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও স্পেন ইউক্রেনকে জন্য আরও উন্নত ও জোরালো ভারি অস্ত্র পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে৷ ওয়াশিংটন ৭০ কোটি ডলার অংকের নিরাপত্তা সহায়তার আওতায় মাঝারি পাল্লার রকেট প্রণালী, হেলিকপ্টার, ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, রাডার ইত্যাদি অনেক সরঞ্জাম ইউক্রেনে পাঠাচ্ছে৷ সোমবার ব্রিটেনও সে দেশকে অ্যামেরিকায় তৈরি এমএলআরএস নামের ৮০ কিলোমিটার পাল্লার রকেট প্রণালী সরবরাহ করার ঘোষণা করেছে৷ স্পেনের ‘এল পাইস' সংবাদপত্রের সূত্র অনুযায়ী সে দেশ ইউক্রেনে বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও লেপার্ড ব্যাটল ট্যাংক পাঠাতে চলেছে৷

নতুন অস্ত্র সরবরাহের ঘোষণা সত্ত্বেও বাস্তবে সেই সরঞ্জাম যুদ্ধক্ষেত্রে কাজে লাগাতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে৷ একাধিক সামরিক বিশেষজ্ঞের মতে, তার আগেই রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল জবরদখলের উদ্যোগে সাফল্যের আশা করছে৷ তবে কিছু অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর প্রতিরোধের মুখে রাশিয়াকে বেগ পেতে হচ্ছে৷ ব্রিটেনের মূল্যান অনুযায়ীও সেখানে রুশ বাহিনীর অগ্রগতি অত্যন্ত ধীর৷

জার্মানিসহ একাধিক দেশ ইউক্রেনকে ‘প্রতিরক্ষামূলক' সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর উপর জোর দিয়ে এসেছে৷ অর্থাৎ ইউক্রেনের ভূখণ্ডে রুশ হামলা প্রতিহত করতে সে সব অস্ত্রের উপযোগিতা রয়েছে৷ সীমানা অতিক্রম করে সরাসরি রাশিয়ায় হামলা চালানোর জন্য সেগুলি উপযুক্ত নয়৷ অ্যামেরিকা ও ব্রিটেনও ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ বা পরিসর যতটা সম্ভব কম রাখার নীতি মেনে চলছে৷ অর্থাৎ এখনো ইউক্রেনকে তেমন দূরপাল্লার কোনো ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে না, যদিও পূর্বাঞ্চল থেকে কিছু রকেট অবশ্যই রাশিয়ায় আঘাত হানতে পারে৷ তবে পুটিন কোণঠাসা হয়ে পড়লে পশ্চিমা বিশ্বের এমন ‘সংযম' আদৌ গ্রাহ্য করবেন কিনা, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ