নাভালনি যে জেলে ছিলেন, সেখান থেকে তাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু কোথায় নেয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি।
বিজ্ঞাপন
নাভালনির সহযোগীরা সোমবার জানিয়েছেন, গত ছয় দিন ধরে তারা নাভালনির খোঁজ পাচ্ছেন না। তাকে সম্ভবত আগের জেল থেকে সরিয়ে অন্য জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নাভালনির মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিশ বলেছেন, ''গত বছরের মাঝামাঝি থেকে নাভালনিকে একটা জেলে রাখা হয়েছিল। সেখানকার কর্মীরা আইনজীবীদের জানিয়েছেন, নাভালনি আর সেখানে নেই। জেল কর্তৃপক্ষ এনিয়ে কিছুই জানাচ্ছেন না।''
২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নাভালনিকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। চরমপন্থি কার্যকলাপের জন্য তাকে ১৯ বছরের কারদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাকে সবচেয়ে সুরক্ষিত জেলে রাখা হয়। এতদিন তাকে ভ্লাদিমির এলাকায় ছয় নম্বর পেনাল কলোনিতে রাখা হয়েছিল, যা মস্কো থেকে ২৯০ কিলোমিটার দূরে।
পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বী নাভালনি!
পুতিন বিরোধী আন্দোলনে রাশিয়ার অন্যতম আলোচিত চরিত্র বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনি৷ ২০১৮ সালে দেশটির প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে পুতিনের বিরোধিতা করতে বাধা দেয়া হয় তাঁকে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/navalny.com
রাজনীতিবিদের মুখ
ছিলেন আইনজীবী৷ হয়েছেন সক্রিয় রাজনীতিক৷ চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিনকে৷ ২০০৮ সালের কথা৷ রাশিয়ার রাজনীতি আর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর অপকর্ম নিয়ে ব্লগ লিখে রাতারাতি আলোচনায় আসেন নাভালনি৷ তাঁর লেখা ব্লগের কারণে অনেকেই পদত্যাগ পর্যন্ত করতে বাধ্য হন৷ যা ছিল রাশিয়ার রাজনীতির বিরল দিক৷
ছবি: picture-alliance/dpa/TASS/V. Sharifulin
বিতর্কিত সংসদীয় নির্বাচন
২০১১ সালে প্রথম কারাগারে গেলেন নাভালনি৷ ছিলেন ১৫ দিন৷ অভিযোগ, মস্কোর স্টেট ডুমায় সরকার বিরোধী মিছিল-সমাবেশ৷ পুতিনের ‘ইউনাইটেড রাশিয়া’ নির্বাচনে জয় পায়৷ কিন্তু ভোট কারচুপির অভিযোগ আনা হয় পুতিনের বিরুদ্ধে৷ কারাগারে রেখেও দমানো যায়নি নাভালনিকে৷ বের হয়ে এসে আবারো চাঙ্গা করেন পুতিন বিরোধী আন্দোলন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Stenin
কারাগের দ্বিতীয় সাময়িক
২০১২ সালে পুননির্বাচিত হলেন পুতিন৷ রাশিয়ার তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দিলেন নাভালনির অতীত খুঁজে বের করতে৷ দ্বিতীয় দফায় কারাগারে গেলেন নাভালনি৷ আত্মসাতের অভিযোগ মাথায় নিয়ে জেল খাটলেন পাঁচ বছর৷ উচ্চ আদালতে শেষ পর্যন্ত মুক্তি দেয় তাঁকে৷
ছবি: Reuters
ক্রেমলিন বিরোধী মঞ্চ
আইনি কিছু ঝামেলায় পড়েও, মস্কোর মেয়র পদে নির্বাচনে অনুমতি পান তিনি৷ ২০১৩ সালের ওই নির্বাচনে নাভালনিকে হার মানতে হয়৷ কারণ, পুতিনের মিত্র সের্গেই সোবানিয়ান বিপুল ভোটে জয় পায়৷ আর বিরোধী রাজনীতি আবারো চাপা পড়ে যায় পুতিন জোয়ারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রাজনীতিকের সামাজিক যোগাযোগ
ক্রেমিলন বিরোধী আন্দোলনের কারণে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে নিষিদ্ধ হন নাভালনি৷ ফলে, নিজের রাজনৈতিক বার্তা ছড়িয়ে দিতে বেছে নিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ব্লগ৷ গুছিয়ে বলতে পারা, ভাষার ব্যবহার, পুতিনকে নিয়ে হাস্যরসত্মাক কথা আর বিনয়-সবমিলিয়ে তরুণদের কাছে তিনি হয়ে যান নতুন কান্ডারি৷
ছবি: Alexei Navalny/Youtube
রাষ্ট্রপতির হওয়ার আকাঙ্ক্ষা
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ঘোষণা দিলেন প্রেসিডন্ট পদে লড়তে চান তিনি৷ ২০১৮ সালের মার্চকে সামনে রেখে শুরু করলেন প্রচারণা৷ এবার দুর্নীতির অভিযোগে পারলেন না কাঙ্ক্ষিত পদে দৌড়াতে৷ যদিও বলা হয়, রাজনৈতিক হয়রানি শিকার হয়েছেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/AFP/K. Kudryavtsev
দুর্নীতির দায়
২০১৬ সাল৷ ইউরোপিয়ান মানবাধিকার আদালত এক রুলে জানায়, কিরভ মামলায় সুবিচার বঞ্চিত হয়েছে নাভালনি৷ রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্টও নাভালনির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বাতিল করে৷ নথি পাঠিয়ে দেয়া হয় কিরভ আদালতে৷ ২০১৭ সালে আবার তাঁর কারাদণ্ড বাতিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/Sputnik/A. Kudenko
অর্ধযুগে মস্কোর বড় বিক্ষোভ
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি৷ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের বিলিয়ন-ইউরোর সাম্রাজ্য নিয়ে রিপোর্ট লিখেন নাভালনি৷ সেই ঘটনাকে ঘিরে রাশিয়ার অন্তত ১২টি শহরে শুরু হয় দুর্নীতি বিরোধী মিছিল-সমাবেশ৷ নাভালনিসহ অন্তত হাজারো রাজনৈতিক কর্মীকে সেদিন গ্রেপ্তার করা হয়৷ ২০১১ সালের পর এতো বড় বিক্ষোভ আর দেখেনি মস্কোবাসী৷ ১৫ দিন কারাবাসের পর মুক্তি পায় নাভালনি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Evgeny Feldman for Alexey Navalny's campaign
শারীরিক লাঞ্চনা
দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের দুই মাস পর হাসপাতাল ঠিকানা হয় তাঁর৷ নাভালনির মুখে ছোঁড়া হয় সবুজ রঙের রাসায়নিক৷ ডান চোখের কর্নিয়া তাতে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়৷ চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে দেয়া হয়নি তাঁকে৷ কারণ তখনও দুর্নীতির অভিযোগ ঝুলছিল তাঁর গলায়৷ পরে ক্রেমলিনের মানবাধিকার কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে চোখের অপারেশনের জন্য স্পেন যাওয়ার অনুমতি পান নাভালনি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/E. Feldman
গ্রেপ্তার এবং গ্রেপ্তার
গেল বছরের গোড়ার দিকে এক মাস জেল খেটেছেন নাভালনি৷ তার কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবারো গ্রেপ্তার হন তিনি৷ গেল সেপ্টেম্বরে জামিন পান৷ এ বছরের এপ্রিলে, তাঁর পক্ষে রুল জারি করে ইউরোপের মানবাধিকার কোর্ট৷ বলা হয়, কিরভ মামলায় ২০১৪ সাল থেকে এক প্রকার গৃহবন্দি রেখে নাভালনির অধিকার হরণ করেছে রাশিয়া৷
ছবি: Reuters/M. Shemetov
এবার বিষক্রিয়া
১০ দিন জেল খেটে বের হবার পর, সাতদিনও কাটেনি৷ এ বছরের জুলাইতে আবারো গ্রেপ্তার হন তিনি৷ রাশিয়ার কঠোর প্রতিবাদ আইন ভঙ্গের অভিযোগে আবারো ৩০দিনের জন্য জেলে ঢুকলেন তিনি৷ কারাগারে তাঁর শরীরে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ তুলেছেন পুতিন বিরোধী এই রাজনীতিবিদ৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/navalny.com
11 ছবি1 | 11
নাভালনি কোথায় নেয়া হয়েছে?
নাভালনির বন্ধু ও সহযোগীরা মনে করেন, তাকে ভ্লাদিমির অঞ্চলের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার সহয়োগী ভলকভের বক্তব্য, তাকে যে কোনো জায়গায় নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
রাশিয়ার প্রচুর জেল আছে, যেখানে সর্বোচ্চ পর্য়ায়ে র নিরাপত্তা রয়েছে। তার যে কোনো একটিতেই নাভালনিকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
রাশিয়ার এই জেল ব্যবস্থা বিশাল বড়। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বন্দিদের নিয়ে যেতে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস পর্যন্ত লেগে যায়। যখন তাদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তাদের সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয়া হয় না।
নাভালনির সঙ্গে বাইরের দুনিয়ার সম্পর্ক গত কয়েক মাসে খুবই কম ছিল। কারণ, বারবার তাকে আইসোলেশন সেলে রাখা হচ্ছিল।
রাশিয়ায় পুটিনবিরোধী নজিরবিহীন বিক্ষোভ
রাশিয়ার বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনির মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে রাজধানী মস্কোসহ বিভিন্ন অঞ্চলে৷ এ পর্যন্ত আটক সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ৷ ছবিঘরে বিস্তারিত৷
ছবি: Anton Vaganov/REUTERS
বিক্ষোভের ডাক
১৭ জানুয়ারি জার্মানি থেকে রাশিয়ায় ফিরলে বিমানবন্দরেই গ্রেপ্তার হন রাশিয়ার বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনি৷ সেসময় সমর্থকদের উদ্দেশে বিক্ষোভের ডাক দেন তিনি৷
ছবি: Alexey Malgavko/REUTERS
ব্যাপক বিক্ষোভ
শনিবার থেকে রাজধানী মস্কোসহ দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয় পুটিনবিরোধী বিক্ষোভ৷ নাভালনির মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা৷ পাশাপাশি পুটিনের পদত্যাগের দাবিও জানান তারা৷
ছবি: Sergei Shevchenko/REUTERS
তীব্র শীত উপেক্ষা করে আন্দোলনে
রাশিয়ায় এখন তীব্র শীত৷ তুষারপাত বা তীব্র শীতও দমাতে পারেনি বিক্ষোভকারীদের৷ প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে নাভালনির মুক্তির দাবিতে তারা রাস্তায় নেমেছেন৷
ছবি: Alexey Malgavko/REUTERS
পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষ
কৃষ্ণসাগরের ধারে পুটিনের প্রাসাদ ঘিরে রোববার অবস্থান নেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী৷ বিক্ষোভের এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে আহত হন বেশ কয়েকজন৷ এরপর পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে এক পর্যায়ে ধড়পাকড় শুরু হয়৷
ছবি: Maxim Shemetov/REUTERS
আটক সাড়ে তিন হাজার
রোববার পর্যন্ত দেশজুড়ে সাড়ে তিন হাজার নাভালনি সমর্থকের আটকের খবর পাওয়া গেছে৷
ছবি: Maxim Shemetov/REUTERS
নিরাপত্তাবাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি
বিক্ষোভ দমনে দেশজুড়ে মোতায়েন করা হয় কয়েক হাজার নিরাপত্তাবাহিনী৷ তবে তাদের উপেক্ষা করে বিক্ষোভে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ৷
ছবি: Maxim Shemetov/REUTERS/REUTERS
১০০ শহরে বিক্ষোভ
মস্কো, সেইন্ট পিটার্সবার্গসহ প্রায় ১০০ শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন নাভালনি সমর্থকরা৷ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স বলছে, মস্কোর র্যালিতে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিল৷ তবে রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা ছিল চার হাজার৷
ছবি: Anton Vaganov/REUTERS
দেশজুড়ে দাঙ্গা পুলিশ
মস্কোতে দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের নির্যাতন করেছে৷ মস্কো থেকেই আটক করা হয় ১২শ’ মানুষকে৷
ছবি: Ksenia Korshun/REUTERS
নাভালনির স্ত্রীকে আটকের পর মুক্তি
বিক্ষোভের মধ্যে নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়াকেও কিছুক্ষণের জন্য আটক করে পুলিশ৷ পরে অবশ্য তাকে ছেড়ে দেয়া হয়৷
ছবি: Maxim Shemetov/REUTERS/REUTERS
বিশ্লেষকদের বক্তব্য
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়াযজুড়ে এত বড় বিক্ষোভ আগে কখনো দেখা যায়নি আর মস্কোতে গত দশ বছরের মধ্যে এত বড় বিক্ষোভ হয়নি৷
ছবি: Anton Vaganov/REUTERS
পুটিনের নিন্দা
এই ব্যাপক বিক্ষোভে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে পড়েছে পুটিন সরকার৷ সোমবার এই বিক্ষোভ সমাবেশকে অনৈতিক ও বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন৷
ছবি: Maxim Shemetov/REUTERS
নতুন নিষেধাজ্ঞা নয়
সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা রাশিয়ার বিক্ষোভ নিয়ে আলোচনায় বসেন৷ সেখানে বিক্ষোভ দমনে পুটিন প্রশাসনের সমালোচনা করা হলেও নতুন করে রাশিয়ায় কোনো অবরোধ আরোপের সিদ্ধান্ত হয়নি৷
ছবি: Evgenia Novozhenina/REUTERS
নাভালনি যে কারণে গ্রেপ্তার
গত বছরের আগস্টে নাভালনির ওপর স্নায়ু বিকল করার বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয়৷ এরপর থেকে চিকিৎসার জন্য তিনি বার্লিনে ছিলেন৷ সুস্থ হয়ে দেশে ফিরতেই তাকে বিমানবন্দরে আটক করা হয়৷ প্যারোলের নিয়ম ভঙ্গ করায় একটি মামলায় তাকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷
ছবি: Kirill Kudryavtsev/AFP
13 ছবি1 | 13
অ্য়ামেরিকা উদ্বিগ্ন
নাভালনির কোনো খবর নেই বলে অ্যামেরিকা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তারা এই ব্যাপারে কিছুই জানে না।
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, ''নাভালনিকে নিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তাতে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। তার পরিবার বা মুখপাত্র কেউই জানে না, তিনি কোথায়। আমাদের দাবি, তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। তাকে এভাবে বন্দি করে রাখা যাবে না।''
নাভালনি হলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিনের কট্টর বিরোধী। তিনি ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-বিরোধী বিশাল প্রতিবাদের আয়োজন করেছিলেন। নাভালনিকে তিনটি অভিয়োগে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সব অভিযোগই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।