‘পুতুল’ বিরোধীদের সঙ্গে সংলাপে নয়
৬ জানুয়ারি ২০১৩দীর্ঘ বিরতির পর অবশেষে আবারো জনসমক্ষে হাজির হয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ৷ রবিবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে বাশার জানান, গত ২১ মাস ধরে চলা সংকট রাজনৈতিকভাবে নিরসনের লক্ষ্যে তাঁর সরকার কোন সঙ্গী খুঁজে পায়নি৷ সিরিয়া সংকট নিরসনে দীর্ঘসূত্রিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘একমাত্র কারণ হচ্ছে আমরা সঙ্গী খুঁজে পাইনি৷ এর অর্থ এই নয় যে আমরা রাজনৈতিক সমাধানে আগ্রহী নই৷''
দামেস্কের একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এই ভাষণ প্রদান করেন আসাদ৷ এসময় সেখানে উপস্থিত জনতা করতালি প্রদানের মাধ্যমে তাঁকে সমর্থন জানান৷ সিরিয়ার বিরোধী পক্ষের দিকে ইঙ্গিত করে আসাদ বলেন, ‘‘আমরা এখন যাদের মোকাবিলা করছি, তারা আল-কায়দা ভাবাদর্শের বাহক৷''
সর্বশেষ গত ৩ জুন জনসমক্ষে হাজির হয়েছিলেন বাশার আল-আসাদ৷ এছাড়া গত নভেম্বরে রাশিয়ার একটি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার প্রদান করেন তিনি৷ সেসময় আসাদ দেশত্যাগের সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করে দেন৷ এরপর থেকে নিজের দেশে চলমান সহিংসতা নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি সিরিয়া প্রেসিডেন্ট৷ অথচ গত ২১ মাস ধরে চলা সরকারবিরোধী আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৬০,০০০৷ জাতিসংঘের পরিসংখ্যান জানাচ্ছে এই তথ্য৷
রবিবারের ভাষণে অবশ্য আসাদ যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে এসে সকল সিরীয়কে সমবেতভাবে দেশ রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান৷ তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিদেশি শক্তি তাঁর দেশে চলমান বিরোধে ইন্ধন যোগাচ্ছে৷ তিনি বলেন, ‘‘অন্যত্র সরে যাওয়া মানুষদেরকে তাদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে চাইলে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক দেশগুলো সশস্ত্র মানুষদেরকে যে সহায়তা করছে সেটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে... ঠিক এরপরই আমাদের সেনা অভিযানে বিরতি টানা হবে৷''
এদিকে আসাদের ভাষণের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, রাজনৈতিক পথে সিরিয়ার চলমান যুদ্ধ থামাতে চাইলে বাশার আল-আসাদকে আগে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে৷ ইইউ'র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটনের এক মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন৷ এছাড়া ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগের দাবি হচ্ছে, আসাদ সংস্কারের মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছেন, যা কাউকে ভোলাতে পারবে না৷
এআই / জেডএইচ (এএফপি, রয়টার্স)