1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্যইউরোপ

পুনর্ব্যবহারযোগ্য পিরিয়ড পণ্যে ‘চিরস্থায়ী রাসায়নিক'

২ আগস্ট ২০২৫

পুনর্ব্যবহারযোগ্য পিরিয়ড পণ্যগুলোতে পাওয়া গেছে বিপজ্জনক ‘চিরস্থায়ী রাসায়নিক' বা পিএফএএস৷ যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা উদ্বেগজনক এই তথ্য দিয়েছেন৷

প্রতীকী ছবি
পিএফএএস এর কারণে ক্যানসার, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, টিকার কার্যকারিতা কমে যাওয়া, থাইরয়েড সমস্যা এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ছবি: Katerina Kubatina/Zoonar/IMAGO

ইন্ডিয়ানার নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল উত্তর অ্যামেরিকা, দক্ষিণ অ্যামেরিকা এবং ইউরোপ থেকে সংগ্রহ করা ৫৯টি পুনর্ব্যবহারযোগ্য মাসিকের পণ্য পরীক্ষা করেছেন৷ এর মধ্যে ছিল পিরিয়ড আন্ডারওয়্যার, মেনস্ট্রুয়াল কাপ এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাড৷ পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পণ্যে এই বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে৷

‘চিরস্থায়ী রাসায়নিক' কী?

পিএফএএস বা পারফ্লুরোঅ্যালকাইল এবং পলিফ্লুরোঅ্যালকাইল নামের রাসায়নিক পদার্থটি ‘চিরস্থায়ী রাসায়নিক' নামে পরিচিত৷ এমন নামের কারণ হলো, এটি প্রকৃতিতে কখনো বিয়োজিত হয় না এবং পরিবেশে চিরকাল টিকে থাকে৷ জার্মান বিষবিজ্ঞানী মারিকে কোলসা-গেহরিং বলেছেন, ‘‘পিএফএএস প্রজনন ক্ষমতা, শুক্রাণুর গুণগতমান, এমনকি গর্ভের সন্তানের বিকাশেও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে৷''

রাসায়নিকটি দুইভাবে শরীরে ঢুকতে পারে৷ গবেষকেরা বলছেন, এটি সরসারি ত্বকের মাধ্যমে শরীরে ঢুকতে পারে এবং পরোক্ষভাবে পরিবেশে মিশে পানি ও খাদ্যচক্রের মাধ্যমে মানবশরীরে ঢুকতে পারে৷

গবেষকদের সতর্ককতা

গবেষক দল তাদের পরীক্ষায় দেখতে পেয়েছেন, কিছু পণ্যে পিএফএএস-এর মাত্রা কম৷ যা প্যাকেজিং থেকে আসা অবশিষ্টাংশ বলে ধাারণা করা হচ্ছে৷ কিন্তু কিছু পণ্যে এর মাত্রা এতটাই বেশি যে, তারা বুঝতে পেরেছেন উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ইচ্ছাকৃতভাবে পিএফএএস ব্যবহার করা হয়েছে৷ গবেষক গ্রাহাম পিসলি বলেছেন, ‘‘আমরা কিছু পণ্যে পিএফএএস পেয়েছি, সবগুলোতে নয়৷'' তিনি আরো বলেন, ১-৫০ শতাংশ পিএফএএস ত্বকের মাধ্যমে শোষিত হতে পারে৷

‘পরিবেশবান্ধব' হিসেবে প্রচার পাওয়া এসব পণ্যে পিএফএএস-এর উপস্থিতি, পণ্যগুলোর মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে৷ কোন ব্র্যান্ডের পণ্যে এই ভয়ঙ্কর রাসায়নিক পাওয়া গেছে, তা অবশ্য প্রকাশ করেননি গবেষকেরা৷ কারণ, আইনি জটিলতা এড়াতে চেয়েছেন তারা৷

গবেষকেরা বলছেন, এসব পণ্যে পিএফএএস এর ব্যবহার ঠেকাতে ক্রেতাদেরও দায়িত্ব পালন করতে হবে৷ ছবি: Colourbox

ক্রেতার দায়িত্ব

গবেষক জানিয়েছেন, উৎপাদনকারীদের জন্য তাদের পণ্য থেকে পিএফএএস বাদ দেওয়া আরো সাশ্রয়ী হবে, কারণ এই উপাদানগুলো ব্যয়বহুল৷ পিসলি মনে করেন, ক্রেতাদের চাপেই কোম্পানিগুলো পিএফএএস মুক্ত পণ্য তৈরিতে বাধ্য হবে৷ ক্রেতাদের প্রশ্ন করা উচিত, পণ্যে পিএফএএস আছে কি না৷ চাহিদা থাকলে কোম্পানিগুলো পরীক্ষা করবে এবং পিএফএএস মুক্ত পণ্যের কথা জানাবে৷

পিএফএএস এর কারণে ক্যানসার, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, টিকার কার্যকারিতা কমে যাওয়া, থাইরয়েড সমস্যা এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে৷

ক্লারা ব্লাইকার/এসএসজি

মাসিক কেন হয়?

10:39

This browser does not support the video element.

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ