রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার পর জার্মান নেতারা সামরিক বাহিনীকে পুনরুজ্জীবিত করে ন্যাটোতে অগ্রণী ভূমিকা পালনের সংকল্প ব্যক্ত করেন৷ তবে সর্বাধুনিক সব পুমা ট্যাংক ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছে জার্মান সেনাবাহিনী৷
বিজ্ঞাপন
সোমবার একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, জার্মানির অন্যতম প্রধান সমরাস্ত্র পুমা ট্যাংক এক প্রশিক্ষণ মহড়ায় অংশ নেয়ার পর এর একটিও ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি৷
এটা চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এবং বিশেষ করে তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিনা লামব্রেশ্ট অব্যবস্থাপনার প্রমাণ বলে সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়৷
‘‘এটি একটি দুঃস্বপ্ন,'' খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল সিডিইউর সংসদীয় দলের নেতা ইয়োহান ভাদেফুল গণমাধ্যমকে বলেন একথা৷
তিনি বলেন, ‘‘পুমা জার্মান সেনাবাহিনীর এক প্রধান অস্ত্র বলে মনে করা হয়৷ যদি পুমা কার্যকর না হয়, তাহলে সেনাবাহিনীও কার্যকর নয়৷''
সোমবার এক বিবৃতিতে লামব্রেশ্ট সংসদের সমালোচনা পুরোপুরি ন্যায়সংগত বলে জানান৷ তিনি বলেন, ‘‘যুদ্ধে আমাদের সৈন্যরা অবশ্যই শক্তিশালী ও স্থিতিশীল অস্ত্রের উপর নির্ভর করতে সক্ষম হবে৷''
জার্মান সেনাবাহিনীর যত কেলেঙ্কারি
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মতে, ২০১৭ সাল ভয়ঙ্কর, বিভৎস, ভয়াবহ এবং খারাপ বছর৷ নিজের সেনাবাহিনীকে সমর্থন না করে বরং তাদের কেলেঙ্কারি তুলে ধরে ক্ষোভের মুখে পড়েছেন তিনি৷ জেনে নিন জার্মান সেনাবাহিনীর কেলেঙ্কারির কথা৷
ছবি: picture alliance/akg-images
এক ভুয়া শরণার্থী
সিরীয় শরণার্থী সেজে এক জার্মান সেনা কর্মকর্তা সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল৷ সমান্তরাল এক দ্বিতীয় জীবন শুরু করেছিলেন ফ্রাংকো৷ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সিরীয় শরণার্থী হিসেবে নথিভুক্ত হন তিনি৷ তার লক্ষ্য ছিল শরণার্থীদের উপর হামলার দোষ চাপানো৷ ২০১৪ সাল থেকেই ফ্রাংকো’র ডানপন্থি আচরণের কথা জানতেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা৷ এাই ফ্রাংকো ধরা পড়ার থেকে জার্মান সেনাবাহিনিকে শুরু হয় বিতর্ক৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Rumpenhorst
বাড রাইশেনহাল পর্বতে রেঞ্জার ইউনিটে হয়রানি
ডানপন্থি সন্ত্রাসী আচরণের অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য সেনাবাহিনী বর্তমানে ২৭৫ টি মামলার তদন্ত করছে৷ চলতি বছরের মার্চে জনগণ একজন ল্যান্স করপোরালের কথা জানতে পারেন, যিনি কয়েক মাস ধরে বাভেরিয়া পর্বতের রেঞ্জার ইউনিটে হয়রানির শিকার হয়েছেন৷ নির্যাতিত ব্যক্তি জানিয়েছেন, ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে যৌন নীপিড়ন করা হয়েছে৷ এ ঘটনার জন্য ১৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Hoppe
নারীদের পোল ড্যান্সে বাধ্য করা
প্রতিরক্ষামন্ত্রী সবচেয়ে বড় যে কেলেঙ্কারির কথা বলেছেন তাহলো, ফুলেনডর্ফে স্টাওফের সেনাঘাঁটির ভয়াবহ ঘটনা৷ জানুয়ারিতে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের নগ্ন করা ও যৌনতা প্রকাশ পায় এমন আচরণ করতে বাধ্য করেছিলেন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, সেগুলো ভিডিও করা হয়েছিল৷ সদ্য নিয়োগ পাওয়া নারীদের ‘এনট্র্যান্স পরীক্ষা’র অংশ হিসেবে পোল ড্যান্সে বাধ্য করা হয়েছিল৷ একারণে সেনাবাহিনীর শীর্ষ প্রশিক্ষক কমান্ডারকে বরখাস্ত করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Warnack
ডানপন্থি সন্ত্রাসবাদের অনেক ঘটনার তদন্ত চলছে
জার্মান সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টারি কমিশনারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সাল জার্মান সেনাবাহিনীর জন্য মোটেই ভালো বছর ছিল না৷ ডানপন্থি সন্ত্রাসবাদ বা ‘জার্মানির মুক্ত গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক চেতনার লঙ্ঘন’ এর মোট ৬০টি অভিযোগের ঘটনা পাওয়া গেছে৷ এমনকি সেনারা নিজেদের নাৎসি চেতনা নিয়ে একে অপরের সাথে আলোচনা করে, নাৎসি সংগীত শোনে ও নাৎসি স্যালুটও দেয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Sauer
জাহাজে মৃত্যু
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার আগ পর্যন্ত এসব কেলেঙ্কারি নিয়ে কোনো মাথা ঘামায়নি সেনাবাহিনী৷ ২০১০ সালের একটি ঘটনা জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করে, তা হলো, গর্ক ফক-এ নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণের সময় ২৫ বছরের এক সদস্যের মৃত্যুর ঘটনা৷ প্রশিক্ষণের সময় ঐ নারী জাহাজের পাল থেকে নীচে পড়ে মারা যান৷ ফলে অন্যান্য ক্যাডেটরা পালে উঠতে আর রাজি হননি৷ পরে ঐ প্রশিক্ষণ বাতিল করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Rehder
জার্মান সেনাবাহিনীর জন্ম
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি সেনাবাহিনী রাখার পক্ষে ছিল না৷ পশ্চিম জার্মানিতে সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৫ সালে৷ পুনরেকত্রীকরণের পর পূর্ব জামানির সেনাবাহিনী থেকে ২০ হাজার সদস্য নেয় কেন্দ্রীয় সেনাবাহিনী৷ ১৯৯৯ সালে যখন জার্মান সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক সংঘাতে (কসোভো যুদ্ধ) জড়িয়ে পড়ে, তখন এতে বড় ধরনের পরিবর্তন হয়৷ এর আগ পর্যন্ত কেবল বিদেশে শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের অংশগ্রহণ ছিল৷
ছবি: picture alliance/akg-images
বাধ্যতামূলক সেবা নয়
বর্তমানে জার্মান সেনাবাহিনীতে সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৭৮ হাজার ২০০৷ ২০১৭ সালের মার্চের হিসেব অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর মোট সদস্যের ১১.৪ শতাংশ নারী৷ ২০১১ সাল পর্যন্ত জার্মান সেনাবাহিনীতে পুরুষদের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক ছিল৷ এই মেয়াদকাল ছিল ৯ থেকে ১৮ মাস৷ বর্তমানে তরুণদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়৷ তবে সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির কারণে এই আবেদনে তাদের সাড়া দেয়াটা সত্যিই কঠিন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Sauer
7 ছবি1 | 7
পুমা ট্যাংক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সামরিক বাহিনীর সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও এটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছেন৷
এখন পরিকল্পনা মোতাবেক পুরনো মারডার ট্যাংকগুলো আপাতত ন্যাটোর মহড়ায় ব্যবহার করা হবে বলে তিনি জানান৷
জটিল পুমা ট্যাংকের মডেল তৈরিতে ১২ বছরের বেশি সময় লেগেছিল৷ একেকটি ট্যাংক তৈরিতে খরচ পড়ে ১৭ মিলিয়ন ইউরো৷ পুরাতন মারডার ট্যাংকের পরিবর্তে পুমা ব্যবহার করার কথা ছিল৷ জার্মানি সেনাবাহিনী সেই সত্তরের দশক থেকে মারডার ট্যাঙ্ক ব্যবহার করছে৷
কিন্তু যান্ত্রিক ক্রটিসহ পুমা ট্যাংকে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়৷ ফলে ২০১৫ সালে তৈরি করা হলেও এর সবগুলো ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি৷
গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাচ্ছে
সম্প্রতি দেশটির সেনাবাহিনীর অবস্থা সম্পর্কে জার্মান গণমাধ্যমে বেশ কয়েকটি উদ্বেগজনক শিরোনাম হয়, তবে পুমা ট্যাংকের বিপর্যয় সব কিছুকে ছাড়িয়ে যায়৷
জার্মান সেনাবাহিনীর কাছে মাত্র দুদিন তীব্র লড়াইয়ের জন্য পর্যাপ্ত গোলাবারুদ রয়েছে৷ প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি সুত্র এই তথ্য ফাঁস করেছে বলে জানা যায়৷
এই খবর যদি সত্যি হয়, তাহলে জার্মান সেনাবাহিনী গোলাবারুদ সরবরাহে ন্যাটোর বেধে দেয়া মানদণ্ডের অনেক নিচে অবস্থান করছে৷
প্রতিটি ন্যাটো সদস্যের অন্তত ৩০ দিনের গোলাবারুদ থাকতে হবে৷ এই ঘাটতি পূরণ করতে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জার্মানিকে ২০ থেকে ৩০ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করতে হবে৷
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর জার্মান চ্যান্সেলর দেশটির বৈদেশিক নীতি ও সামরিক কৌশলে আমূল পরিবর্তন আনবেন বলে ঘোষণা দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন৷ কথার প্রমাণ রাখতে ওলাফ শলৎস বিশাল অংকের প্রতিরক্ষা বাজেট অনুমোদন করেন৷ এছাড়াও সামরিক বাহিনীর আধুনিকীকরণে ১০০ বিলিয়নের বিশেষ তহবিল গঠন করেন৷
দোষারোপের খেলা
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ৯ মাসের মাথায় অনেকে অবাক হচ্ছেন যে এত মোটা অংকের জার্মান সামরিক বাজেট কোথাও খরচ হলো৷
গোলাবারুদ নিয়ে কেলেঙ্কারি মধ্যে এই সমস্যা সমাধানে কে প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করবে তা নিয়ে সরকার ও জার্মানির প্রতিরক্ষা শিল্পের মধ্যে একটি জঘন্য রকমের বিতর্কের সুত্রপাত হয়েছে৷ সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে প্রতিরক্ষা শিল্প আগে পদক্ষেপ নিবে নাকি এ নিয়ে সরকারের অতিদ্রুত আদেশ দেওয়া উচিত ছিল?
‘‘আমি আশা করি সামরিক সামর্থ্য বৃদ্ধি করতে অস্ত্র তৈরির কারখানাগুলোর পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে,'' শলৎসের মধ্য-বাম সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডির নেতা লার্স ক্লিংবাইল ডিসেম্বরের শুরুতে একথা বলেছিলেন৷
তার মতে, ‘‘দেখি রাজনীতিবিদরা আমাদের কী প্রস্তাব করেন এমন মনোভাব নিয়ে বসে থাকলে সামরিক ঘাটতিগুলো কমানো যাবে না৷''
জার্মান সেনাবাহিনীতে যত ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতি
জার্মান সেনাবাহিনীতে প্রায় প্রতিদিনই হয় যুদ্ধবিমান, না হয় হেলিকপ্টার বা অন্য কিছুর সমস্যা দেখা দেয়৷ সেসব কথাই জানা যাবে ছবিঘরে৷
ছবি: AFP/Getty Images
ইউরোফাইটার
জার্মানি সবচেয়ে আধুনিক ফাইটার জেট এটি৷ নাম ইউরোফাইটার৷ তবে নির্মাণকালীন সময়ে ত্রুটির কারণে এই জেটের উড্ডয়ন-ঘণ্টা তিন হাজার থেকে কমে অর্ধেক, অর্থাৎ দেড় হাজার হয়ে গেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
টর্নেডো ফাইটার ও পরিবহণ বিমান
জার্মান সেনাবাহিনী প্রায় ৪০ বছর ধরে টর্নেডো ফাইটার ব্যবহার করে আসছে৷ বর্তমানে এরকম ৮৯টি ফাইটারের মধ্যে মাত্র ৩৮টি চালু আছে৷ ট্রানজাল সি-১৬০ পরিবহণ বিমানের একই পরিণতি হয়েছে৷ ৫৭টি বিমানের মধ্যে এখন মাত্র ২৫টি ব্যবহারের যোগ্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Udo Zander
ত্রুটিপূর্ণ হেলিকপ্টার
৩১টি আধুনিক টাইগার হেলিকপ্টারের মধ্যে মাত্র ১০টি এখন আকাশে উড়তে পারে৷ আর ২২টি ‘সি লিংক্স অ্যান্টি-সাবমেরিন হেলিকপ্টার’ এর মধ্যে এখন মাত্র চারটি ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় আছে৷ এনএইচ৩০ এবং সিএইচ৫৩ পরিবহণ কপ্টারেরও একই অবস্থা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Carsten Rehder
ট্যাংক
জার্মান সেনাবাহিনীতে একসময় ১৮৯টি ‘বক্সার’ ট্যাংক ছিল৷ এখন সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ৭০-এ৷ আর ১৯৭১ সাল থেকে ব্যবহৃত হওয়া ‘মার্ডার’ এপিসি-র (আর্মার্ড পারসোনেল ক্যারিয়ার) সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে৷
ছবি: Johannes Eisele/AFP/Getty Images
সাগরে সমস্যা
২০০১ সালের ডিসেম্বরে পাঁচটি ‘কে১৩০’ করভেটে কেনার সিদ্ধান্ত নেয় জার্মান সেনাবাহিনী৷ ২০০৭ সাল থেকে সেগুলো ব্যবহারের কথা ছিল৷ কিন্তু ত্রুটিপূর্ণ গিয়ার, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও সফটওয়্যারের কারণে নির্ধারিত সময়ে সেগুলোর ব্যবহার শুরু করা যায়নি৷ তারপর যখন শুরু হলো, তখন পাঁচটির মধ্যে মাত্র দুটি তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহারযোগ্য ছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর জন্য চ্যালেঞ্জ
২০১৩ সালের শেষের দিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন উর্সুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন৷ দায়িত্ব নেয়ার পর তাঁর জন্য প্রথন চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয় এসব ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতি৷ এজন্য অবশ্য সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা দায়ী৷ কারণ তাঁরাই খুচরা যন্ত্রাংশের জন্য অর্থ বরাদ্দ কমিয়েছিলেন৷
ছবি: Reuters
6 ছবি1 | 6
‘‘যদি জার্মান শিল্প ঘাটতি পূরণ করতে না পারে তাহলে আমাদের দেখতে হবে বিদেশ থেকে অথবা ন্যাটো অংশীদারদের কাছ থেকে কিনতে পারি কিনা,'' ক্লিংবাইল বলেন৷
জার্মান নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা শিল্প সমিতি বিডিএসভির প্রধান হ্যান্স ক্রিস্টফ আৎসপোডিয়ান ক্লিংবাইলের বক্তব্যকে ‘‘ভুল'' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন৷ তিনি ডিপিএকে বলেছেন যে, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জার্মানির বড় অস্ত্র কোম্পানিগুলো তাদের সক্ষমতা দ্বিগুণ করেছে৷
‘‘প্রতিরক্ষা শিল্প এবং সরকারের মধ্যে যে থিয়েটার করা হচ্ছে তা হাস্যকর,'' ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস (ইসিএফআর)-এর প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক রাফায়েল লস ডয়চে ভেলের কাছে এমন মন্তব্য করেছেন৷
এই বিশ্লেষকের মতে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবের প্রতিক্রিয়া জানার ক্ষেত্রে জার্মানির সীমাবদ্ধতা রয়েছে৷
‘‘অন্যান্য দেশগুলো, বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপ সরকার ও শিল্পের মধ্যে প্রয়োজনীয় ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরিতে অনেক দ্রুত এগিয়েছে,'' বলেছেন লস৷
ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্ব ইউরোপের ন্যাটো অংশীদাররা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, সংকটকালে সামরিক অংশীদার হিসেবে জার্মানির উপর নির্ভর করা যায় না৷
ক্রয় শুরু
শলৎসের অধীনে জার্মানি ২০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ৩৫টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷
তবে সামরিক ক্রয় সবসময় দীর্ঘ প্রক্রিয়া৷ কেননা, সামরিক বাহিনী যা ব্যবহার করে তার প্রায় সবকিছুই অর্ডার করার পর তৈরি করা হয়৷ অন্যান্য পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলো একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়৷
‘‘আপনি চাইলেই কোন স্টোরের শেলফ থেকে কিছু সিস্টেম কিনতে পারবেন না,'' সম্প্রতি সংসদের বাজেট বিতর্কে বলেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী৷