ফ্রান্সের আলোকচিত্রী রোমান থিয়েরির শখ পুরনো ও পরিত্যক্ত পিয়ানোর ছবি তোলা৷ তিনি অবশ্য নিজেও একজন পিয়ানোবাদক৷
বিজ্ঞাপন
ইন্টারনেটের সাহায্যে ইউরোপের পরিত্যক্ত বিভিন্ন অভিজাত ভবনের খোঁজ পান থিয়েরি৷ এরপর সেখানে গিয়ে পিয়ানো খোঁজেন ও তার ছবি তোলেন৷ এ সব ছবি নিয়ে সম্প্রতি একটি বইও প্রকাশ করেছেন তিনি৷
থিয়েরি বলেন, ‘‘পিয়ানো আমার জীবনের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ৷ তাই পিয়ানোর ছবি তোলা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ৷ এমন পিয়ানো দেখলে সেগুলো বাজানোর মাধ্যমে আমি কিছুটা সম্মান জানানোর চেষ্টা করি৷ আমি এগুলো রক্ষা করতে চাই, কিন্তু কাজটা একটু জটিল৷’’
নিরাপত্তার খাতিরে কোথায় ছবি তোলেন, তা প্রকাশ করতে চান না তিনি৷
যে পিয়ানোবাদকের শখ ছবি তোলা
04:05
নিজের তোলা ছবি নিয়ে সম্প্রতি ‘রিকোয়েম পোর পিয়ানো’ নামে একটি বই প্রকাশ করেছেন থিয়েরি৷ এর মাধ্যমে ফটোগ্রাফি ও সংগীতের প্রতি তাঁর ভালোবাসাও প্রকাশ পেয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘পিয়ানোকে সবসময় সামনে রাখা হয়, কারণ এর মাধ্যমে আভিজাত্য ভাবটা ফুটে ওঠে৷ একসময় এই ভবনেরও মধ্যমনি হয়ে ছিল এই পিয়ানো৷ এবং এখনও সেটা আছে৷ কিন্তু আমার মনে হয়, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলেও দারুণ সব স্থাপত্যে সমৃদ্ধ এই ভবনে এখনও তার সোনালি সময়ের কিছু বিষয় অবশিষ্ট আছে৷ আর সেটিই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ৷’’
থিয়েরি প্রায় দশ বছর ধরে পরিত্যক্ত পিয়ানোর ছবি তুলছেন৷ স্পেন, জার্মানি, চেক প্রজাতন্ত্র, ইউক্রেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছবি তোলার মতো ভবন খুঁজে পান তিনি৷
সাধারণত ইন্টারনেটের মাধ্যমে এমন ভবনের খোঁজ পান থিয়েরি৷
ছবি তুলতে থিয়েরি এ বছর অস্ট্রিয়া আর পোর্তুগাল যেতে চান৷ এভাবে অতীতের কিছু বিষয় পুরোপুরি মুছে যাবার আগে সেগুলো ধরে রাখতে চান তিনি৷
ক্রিস্টিয়ান ভাইবেসান/জেডএইচ
হাতির জন্য পিয়ানোর সুর!
‘হাতি মেরে সাথী’ কথাটা উপমহাদেশে ভীষণ জনপ্রিয়৷ হাতি নিয়ে ঢালিউড বলিউডে নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু ছবি৷ ব্রিটিশ নাগরিক পল ব্যারটন সত্যিই হাতির বন্ধু৷ থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী এক গ্রামে হাতিদের তিনি পিয়ানো বাজিয়ে শোনান!
ছবি: Reuters/S. Z. Tun
সুরের সুধা
থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী কাঞ্চনবাড়ি প্রদেশে হাতির অভয়ারণ্যে প্রতিদিন হাতিদের জন্য পিয়ানো বাজান পল৷ দিনে বেশ কয়েকবার পিয়ানো বাজান পল৷
ছবি: Reuters/S. Z. Tun
খাওয়ার সময়
প্রতিদিন হাতিদের খাওয়ার সময়টায় আয়োজন করে পিয়ানো বাজান পল৷ এতে করে হাতিরা বেশ আরাম করে খাবার খেয়ে নেয়৷এ সময় তারা কোনো হইচই করে না৷
ছবি: Reuters/S. Z. Tun
সুস্থ করে তুলতে পিয়ানো
এই অভয়ারণ্যের হাতিরা সবাই কমবেশি অসুস্থ, পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার পাওয়া কিংবা অতিরিক্ত কাজে অচল প্রায়৷ সব হাতিই সুর ভালোবাসে বলে অভয়ারণ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে৷
ছবি: Reuters/S. Z. Tun
লাম দুয়ানের ভালোবাসা
৬৫ বছর বয়সি লাম দুয়ান এই আশ্রমের অন্ধ হাতি৷ রাতে ঘুমানোর সময় পিয়ানো বাজলে সে বেশ খুশি হয়৷ খাওয়া ও অন্যান্য সময়েও পলের পিয়ানো বাজলে হাতিরা বেশ শান্ত থাকে৷
ছবি: Reuters/S. Z. Tun
মানুষের ভিড়
হাতি কেমন করে গান শোনে সেটি খবর হয়ে ছড়িয়ে পড়তেই মানুষের ভিড় বেড়েছে কাঞ্চনবাড়ি অভয়াশ্রমে৷ হাতির সঙ্গে মানুষেরাও উপভোগ করছেন পিয়ানোর সেই মূর্ছনা৷
ছবি: Reuters/S. Z. Tun
সুরের সঙ্গে ৮ বছর
গত ৮ বছর যাবত হাতিদের চিকিৎসায় ও ব্যথা উপষমে সুর নিয়ে কাজ করে আসছে কাঞ্চনবাড়ি অভয়ারণ্যের কর্তৃপক্ষ৷ এতে সব হাতি পুরোপুরি সেরে না উঠলেও আরাম পায় বলে জানা গেছে৷
ছবি: Reuters/S. Z. Tun
প্রতিদিন পিয়ানো
প্রতিদিন খুব ভোরে একটি ছোট ট্রাকে নিজের পিয়ানো নিয়ে অভয়ারণ্যে পৌঁছে যান পল৷এরপর মিউজিক নোট বদলে বদলে সুর শোনান হাতিদের৷
ছবি: Reuters/S. Z. Tun
বন্ধু হাতি
অসুস্থ, অন্ধ বা পঙ্গু হয়ে যাওয়া হাতিদের সুর থেরাপি শুরু হওয়ার পর থেকে খুব একটা রাগতে দেখা যায়নি৷ আশ্রমের দর্শনার্থীরা অনায়াসে হাতিদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে ও কাছ থেকে আদর করতে পারে৷