1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘পুরস্কার জিতলেই সমকক্ষ'

Sanjiv Burman১৮ ডিসেম্বর ২০১৩

মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী অং সান সুচি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেও ঐ দেশের নারীরা তেমন স্বাধীন নন৷ দেশজুড়ে নারী নির্যাতনের চিত্রটা ভয়াবহ৷ এর মধ্যে নারী বক্সারের স্বর্ণ জয় অন্য নারীদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে৷

Myanmar Frauen boxen für Gleichberechtigung
ছবি: Ye Aung Thu/AFP/Getty Images

বক্সার নিউ নি উ মিয়ানমারের রক্ষণশীল সমাজে অন্যরকম একটি ভাবমূর্তি তুলে ধরেছেন দেশের নারীদের কাছে৷ ১৯ বছর বয়সি এই নারী নিজ দেশের রাজধানী নেপিদাও-এ অনুষ্ঠিত সাউথ-ইস্ট এশিয়ান গেমস-এ বক্সিং এ স্বর্ণ জিতেছেন৷ তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ফিলিপাইন্সের নারী, যাকে বেশ কয়েক পয়েন্টে হারিয়ে বিজয় মুকুট ছিনিয়ে নেন তিনি৷

জয়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘‘বিদেশিদের সামনে এটা আমার প্রথম লড়াই এবং আমি খুশি যে এই লড়াইয়ে আমি জিতেছি এবং নিজের ভক্তদের সামনে লড়াইয়ে জয়ী হয়েছি৷'' বলেন, পরিবারের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য তিনি এ লড়াই চালিয়ে যাবেন৷ এএফপিকে জানান, তাঁর এ অবস্থানে আসার পেছনে পরিবারের অবদান সবচেয়ে বেশি৷

২০০১ সাল থেকে নিয়মিত বক্সিং খেলে আসছেন তিনি৷ অংশ নিয়েছেন স্থানীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায়৷ কিন্তু সেগুলোতে কখনোই স্বর্ণ জেতেননি৷ এর প্রধান কারণ ছিল সমর্থন ও অর্থের অভাব৷

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ জানিয়েছে, মিয়ানমারের দুই তৃতীয়াংশ অধিবাসী নারী এবং এদের বেশিরভাগকে শ্রমের বিনিময়ে স্বল্প পারিশ্রমিক দেয়া হয়৷

বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী দেশের অধিবাসীরা বেশিরভাগই রক্ষণশীল এবং তারা সেখানকার ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেন৷ এ কারণে সেখানে কোনো প্রতিযোগিতার আয়োজন হলে আয়োজকরা নারী ক্রীড়াবিদদের পোশাক নিয়েই বেশি ভাবনায় পড়েন৷ ফলে বাদ পড়ে যায় জিমন্যাস্টিক এবং বিচ ভলিবলের মতো অনেক খেলা৷

কিন্তু বর্তমানে মিয়ানমারের নারীরা কেবল ভলিবল নয়, ফুটবলেও ভালো করছে৷ বক্সিং এ স্বর্ণ জয়ের পর মিয়ানমারের পুরো বক্সিং দলকে বিশেষ সংবর্ধনা দেয়া হয়৷ কারণ কেবল স্বর্ণই নয়, এই দলই একটি রৌপ্য এবং দুইটি ব্রোঞ্জও জিতেছে৷

নারী অধিকারকর্মী মে সাবে পিয়ু জানালেন, ক্রীড়া যে-কোনো দেশের নারীর ভূমিকাকে সমাজে সুদৃঢ় করে৷ যখন নারী ক্রীড়াবিদ কোনো পুরস্কার জেতেন, তখন তাঁকে পুরুষের সমকক্ষ মনে করা হয়৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও সুচির মুখে একই ধরনের কথা শোনা গিয়েছিল৷ তিনি বলেছিলেন, আমরা সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চাই৷

২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই প্রতিযোগিতা৷

এপিবি/জেডএইচ (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ