বাংলাদেশের ন্যাশনাল গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট আমিরুল হক আমিন এ বছর নুরেমব্যার্গ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পুরস্কার পেয়েছেন৷ ডয়চে ভেলেকে নিজ অর্জন ও আশা-আকাঙ্খার কথা বলেন তিনি৷
বিজ্ঞাপন
[No title]
জার্মানির নুরেমব্যার্গ শহরের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পুরস্কার এবার এগারো বছরে পড়তে চলেছে৷ পুরস্কারটির মূল্য হলো পনেরো হাজার ইউরো৷ আমিন যে ‘‘বদ্ধপরিকরতা এবং অকুতোভয়ের সঙ্গে'' গার্মেন্ট শিল্পের কর্মীদের জীবনযাত্রা ও কাজের পরিবেশের উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করেছেন, তার সশ্রদ্ধ উল্লেখ করেন নুরেমব্যার্গের আন্তর্জাতিক জুরি৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকার সময়েই আমিরুল হক আমিনের যোগাযোগ হয় ঢাকা সিটি টেলারিং ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সঙ্গে৷
ডয়চে ভেলে: পরে যখন এনজিডাব্লিউএফ প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে, তখন কি সেই অভিজ্ঞতা আপনার কাজে লেগেছিল?
আমিরুল হক আমিন: গার্মেন্টসের শ্রমিকরা যেহেতু সব চাইতে অসংগঠিত, কাজেই আমি ঠিক করি আমার ‘টার্গেট এরিয়াটা' এখানেই হবে....ঢাকা মহানগরীর দর্জিদের একটা অংশ কাটিং মাস্টার হয়; যারা সেলাই কলে কাজ করতো, তার বনে যায় মেশিন অপারেটর... আমি ওদের আগের শ্রমিক সংগঠনের উপদেষ্টা ছিলাম কিনা...৷
আপনি যখন শ্রমিক সংগঠনের নেতা হিসেবে আপনার কর্মজীবনের কথা ভাবেন, তখন কোন সাফল্যগুলো আপনার মনে পড়ে? ১লা মে-কে বেতনসহ সরকারি ছুটির দিন করা, ঈদের বোনাসের ব্যবস্থা করা, মেটারনিটি লিভ বা মিনিমাম ওয়েজ বোর্ড – অর্জনের তালিকাটা খুব সংক্ষিপ্ত নয়...)
২০০৫ সালে যখন স্পেকট্রাম গার্মেন্টস ধসে শ্রমিকরা মারা গেল, ঐ সময় থেকে একটা ক্যাম্পেইন শুরু করি যে, এইটা শুধুমাত্র অ্যাক্সিডেন্ট হিসেবে গণ্য করা যাবে না; কারো না কারো অবহেলাজনিত কারণে এই অ্যাক্সিডেন্টগুলো হচ্ছে; সেই অবহেলাটা ‘বায়ার'-দের (বিদেশি ক্রেতাদের), সেই অবহেলা মালিকদের, সেই অবহেলায় হয়ত আমাদের সরকারেরও আংশিক দায়দায়িত্ব আছে৷ অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যু ঘটছে, কাজেই আইন অনুসারে যে ক্ষতিপূরণ, সেই ক্ষতিপূরণের বাইরে এদের যে ‘লস অফ আর্নিং' (রোজগার কমা অথবা বন্ধ হওয়া), অর্থাৎ বাকি যতোদিন এরা অসুস্থ থাকছে এবং যে পরিমাণ টাকা এরা রোজগার করতে পারত, সেই পরিমাণ টাকাই এদের ক্ষতিপূরণ বলে গণ্য করতে হবে৷....এইটা এখন মোটামুটিভাবে প্রতিষ্ঠিত৷
বাংলাদেশে পোশাক কারখানার নিরাপত্তা
পশ্চিমা বিশ্বের একদল পরিদর্শক বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে ভয়াবহ নিরপত্তা ঝুঁকি দেখতে পেয়েছেন৷ রানা প্লাজা বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় তারা এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
রানা প্লাজা বিধ্বস্তের পর...
২০১৩ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের সাভারে রানা প্লাজা বিধ্বস্ত হলে নিহত হয় অন্তত ১,১০০ পোশাক শ্রমিক৷ এ ঘটনার পর পশ্চিমা যেসব দেশে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি হয়, তারা পোশাক কারখানাগুলো পরিদর্শনের উদ্যোগ নেয়৷ সম্প্রতি বেশ কিছু নামি-দামি ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো পরিদর্শন করেছেন৷
ছবি: Reuters
নিরাপত্তা ঝুঁকি
পরিদর্শকরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ পোশাক কারখানায় অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা এবং ভবনের কাঠামোর বিষয়ে অন্তত ৮০,০০০ নিরারপত্তা ইস্যু খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা৷
ছবি: Kamrul Hasan Khan/AFP/Getty Images
২,২০০ কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্য
বাংলাদেশে পোশাক খাতে বাণিজ্যের পরিমাণটি বিশাল৷ অর্থের অঙ্কে প্রায় ২,২০০ কোটি মার্কিন ডলার৷
ছবি: DW/C. Meyer
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং পোশাক কারখানাগুলোতে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে গার্মেন্টসগুলো তাদের ক্রেতা হারাচ্ছে৷ ফলে পোশাক রপ্তানির হার হ্রাস হয়েছে৷
ছবি: Reuters
পোশাক কারখানা পরিদর্শন
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পোশাক ব্র্যান্ড এইচঅ্যান্ডএম এবং ইনডিটেক্সসহ ১৮০টিরও বেশি ব্র্যান্ডের প্রতিনিধি ও সদস্যরা অন্তত ১,১০৬টি কারখানা পরিদর্শন করেছেন৷ তাঁরা জানিয়েছেন, প্রতিটি কারখানায় বৈদ্যুতিক ঝুঁকির পাশাপাশি, ভবনের কাঠামো ও অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থাতে গাফিলতি খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা৷ এমনকি অনেক কারখানায় ফায়ার অ্যালার্ম ও ফায়ার এক্সিটও নেই৷
ছবি: DW/C. Meyer
অবিলম্বে খালি করার নির্দেশ
১৭টি কারখানা অবিলম্বে খালি করে বন্ধের নোটিস দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিদর্শকরা৷ কারণ ঐ ১৭টি কারখানা যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা৷ এছাড়া ১১০টি কারখানার ভবন বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলেও জানা গেছে৷
ছবি: Reuters
নিরাপত্তা ইস্যু খতিয়ে দেখা
এর আগে নর্থ অ্যামেরিকান কোম্পানি ওয়ালমার্ট ও গ্যাপ-এর মতো বেশ কিছু কোম্পানির প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের ৫৮০টি কারখানা পরিদর্শন করেছেন৷ উদ্দেশ্য একই, নিরাপত্তা ইস্যু খতিয়ে দেখা৷ দেশের অন্তত ৩০০টি কারখানায় ওয়ালমার্ট ও গ্যাপ-এর পোশাক তৈরি হয়৷
ছবি: AP
আশঙ্কায় শ্রমিকরা
তবে যেসব কারখানা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে, সেসব শ্রমিকরা বেতন না পাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন৷ কেননা পরিদর্শকরা শ্রমিকদের বেতন দেয়ার কথা বললেও মালিকরা এ বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি৷
ছবি: Imago/Xinhua
পরবর্তী পদক্ষেপ
পরিদর্শকরা বেশিরভাগ কারখানার মালিক ও প্রকৌশলীদের নিয়ে আলোচনায় বসে কী কী ইস্যুতে পরিবর্তন আনা দরকার, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে৷ এরপর আবারো তাঁরা পরিদর্শনে আসবেন নিজেদের নির্দেশনা কতটা বাস্তবায়ন হলো, তা দেখার জন্য৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
9 ছবি1 | 9
কিন্তু বাস্তবে সেই নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে কি?
রানা প্লাজায় প্রত্যেক নিহত শ্রমিকের দশ লাখ থেকে চল্লিশ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ আছে৷....আইনে যেখানে দুলাখ টাকা, সেখানে দশ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়া, তার মানে পাঁচ গুণ বেশি৷....এই আইনি ক্ষতিপূরণ যেটা, সেটা দেওয়ার দায়দায়িত্ব মালিকদের – আর আমরা (শ্রমিক সংগঠন) যেখানে কথাবার্তা বলছি, সেখানে দায়িত্ব শুধু মালিকদের নয়; মালিকদের (দায়িত্ব) আছে, সরকারের (দায়িত্ব) আছে; কিন্তু মেজর (মুখ্য) অংশটা বহন করতে হবে যারা ‘বায়ার' (ক্রেতা), তাদের৷ স্পেকট্রাম, তারপর স্মার্ট ফ্যাশন, রানা প্লাজা, এগুলোতে কিন্তু ক্রেতারাই মূল ক্ষতিপূরণটা দিয়েছে৷
নুরেমব্যার্গ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পুরস্কার পাওয়া সম্পর্কে আপনার কী অনুভূতি?
নুরেমব্যার্গ তো হিউমান রাইটস আপহোল্ড করার (মানবাধিকার রক্ষার) জন্য অবশ্যই একটা সবচেয়ে নামকরা জায়গা৷ নুরেমব্যার্গ ট্রাইব্যুনাল তো পৃথিবী বিখ্যাত৷....আমি মনে করি, (এই পুরস্কার) শুধু আমাকে না, এটা সমগ্র ট্রেড ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিক এবং বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনকে রেকগনিশন (স্বীকৃতি)৷....একদিকে যেরকম এটা ট্রেড ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলনের স্বীকৃতি; আমাদের তাজরিন, রানা প্লাজার নিহত শ্রমিকদের প্রতি সম্মান; গ্লোবাল ট্রেড ইউনিয়নের প্রতি সম্মান; আবার অন্যদিকে এই অ্যাওয়ার্ডের মধ্যে দিয়ে হয়ত যে সমস্ত জায়গায় আমার সীমাবদ্ধতা আছে, ত্রুটি আছে, বিচ্যুতি আছে, সেগুলো হয়ত সংশোধন করে, অতিক্রম করে, আমাকে হয়ত আরো বেশি পরিমাণে শ্রমিকদের প্রতি নিবেদিত হয়ে আমাদের ইনডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের (শিল্পায়নের) প্রতি ‘কমিটমেন্ট বেসড' (উৎসর্গীকৃত প্রাণ হয়ে) কাজ করতে হবে৷
আমিরুল হক আমিন বিগত ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে শ্রমিক নেতা হিসেবে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের কর্মীদের উন্নতিসাধনে নিয়ত৷
পোশাক শ্রমিকদের নির্বাচনি ভাবনা
আগামী পাঁচ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন৷ ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ কিন্তু সাধারণ মানুষ নির্বাচন নিয়ে কি ভাবছেন? এই ছবিঘরে পোশাক শ্রমিকদের নির্বাচনি ভাবনা প্রকাশ করা হয়েছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
বিরোধী দলের উপর ‘ক্ষিপ্ত’ আকলিমা
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার পোশাক শ্রমিক আকলিমা বেগম৷ কাজ করেন ঢাকার রামপুরার একটি পোশাক কারখানায়৷ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে অবরোধ দেয়ায় বিরোধী জোটের ওপর ক্ষিপ্ত এই পোশাক শ্রমিক৷ এমনিতেই সামান্য কিছু টাকা বেতন পান৷ তার উপর টানা অবরোধের কারণে নিত্যপণ্যের দাম গেছে বেড়ে৷ ফলে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন আকলিমা৷
ছবি: DW/M. Mamun
ভোট দিতে পারবেন না লাকী আক্তার
ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন লাকী আক্তার৷ বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে হলেও ভোটার হয়েছেন ঢাকায়৷ তাঁর এলাকার সাংসদ ইতোমধ্যেই একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন৷ তাই ভোট নিয়ে তাঁর কোনো পরিকল্পনা নেই৷
ছবি: DW/M. Mamun
রুবেলের ভাষায় ‘প্রতিযোগিতাহীন নির্বাচন’
পোশাক শ্রমিক রুবেলের বয়স মাত্র ২৩ বছর৷ কুমিল্লা জেলার তিতাস থানায় তাঁর বাড়ি৷ কাজ করেন ঢাকায়৷ রুবেলের প্রশ্ন, ‘‘প্রতিযোগিতাহীন এই নির্বাচনে ভোট দেয়ার কী আছে?’’ জীবনের প্রথম ভোটটি নষ্ট করতে রাজি নন তিনি৷ একইসঙ্গে আসন্ন নির্বাচনে ভোট দেয়াটাও অর্থহীন মনে করেন তিনি৷
ছবি: DW/M. Mamun
এখনো সিদ্ধান্ত নেননি শেফালি
শেফালির বাড়ি ঢাকার পাশে আশুলিয়ায়৷ কাজ করেন, ঢাকার রামপুরার একটি তৈরি পোশাক কারখানায়৷ দশম জাতীয় সংসদ নিয়ে তাঁর অভিমত হচ্ছে, দুই পক্ষই যদি ভোটে আসত তাহলে ভালো হতো৷ ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন কিনা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি তিনি৷
ছবি: DW/M. Mamun
হোসনে আরার স্বপ্ন ছেলেকে মানুষ করা
গুলশানের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন ফরিদপুরের হোসনে আরা৷ দুপুরের খাবারের বিরতির সময় ছেলেকে নিয়ে বসেছেন পাশের একটি চায়ের দোকানে৷ ভোট নিয়ে তাঁর কোনো চিন্তাভাবনা নেই৷ খেটেখুটে একমাত্র ছেলেকে মানুষ করাই তাঁর স্বপ্ন৷
ছবি: DW/M. Mamun
ভোট দেবেন না সাদ্দাম হোসেন
সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে৷ কাজ করেন ঢাকার রামপুরার একটি তৈরি পোশাক কারখানায়৷ রাজনীতিবিদদের উপর তাঁর অনেক রাগ৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘ভোট দিয়া হইবটা কী? যারা দল করেন তারা কোনো না কোনো ভাবেই লাভবান হন, মরি আমরা শ্রমিকরা৷ ভোট দিব না ভাই৷’’
ছবি: DW/M. Mamun
ভোট দিতে গ্রামে যাবেন মিতু
জামালপুরের বকশীগঞ্জের মিতু কাজ করেন ঢাকার গুলশানের একটি তৈরি পোশাক কারাখানায়৷ কাজের ফাঁকে স্বামীর মোবাইল ফ্লেক্সি লোডের দোকানেও বসেন৷ জীবনের প্রথম ভোট দিতে গ্রামে যাবেন মিতু৷ তবে নিরুত্তাপ নির্বাচন তাঁর ভালো লাগছে না৷
ছবি: DW/M. Mamun
ছুটি পেলে ভোট দিতে যাবেন মিজান
জামালপুরের সরিষাবাড়ীর মিজানুর রহমান কাজ করেন গুলশানের একটি তৈরি পোশাক কারাখানায়৷ ছোট সময় তিনি নির্বাচন দেখেছেন অনেক উৎসবমুখর৷ কিন্তু এবার নিজে ভোটার হয়ে ভোটের উৎসব দেখতে পাচ্ছেন না৷ তারপরেও ছুটি পেলে পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট দিতে গ্রামে যাবেন মিজান৷
ছবি: DW/M. Mamun
ভোট নিয়ে ভাবার সময় নেই সাথীর
দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার পোশাক শ্রমিক সাথী৷ কাজ করেন রামপুরার একটি পোশাক কারখানায়৷ নির্বাচন কিংবা ভোট নিয়ে ভাবার সময় নেই তাঁর৷ সাথীর একমাত্র চিন্তা কাজ নিয়ে৷ তিনি মনে করেন, ভালোভাবে কাজ করতে পারলেই সন্তানদের মুখে দুই বেলা খাবার তুলে দিতে পারবেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
ভোট দেওয়া অনর্থক মনে করেন আব্দুল আলীম
পটুয়াখালী জেলার খেপুপাড়ায় বাড়ি আব্দুল আলীমের৷ কাজ করেন রামপুরার একটি তৈরি পোশাক কারখানায়৷ ছুটি নিয়ে এই ধরনের নির্বাচনে ভোট দিতে যাওয়া তার কাছে অনর্থক মনে হয়৷ তাছাড়া তার ধারণা সে ভোট না দিলেও যে প্রার্থী জয়লাভ করার তার জয় হবেই৷
ছবি: DW/M. Mamun
হাসনা হেনার কাছে ‘নিরুত্তাপ নির্বাচন’
ঢাকার মালিবাগের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন হাসনা হেনা বেগম৷ বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরে৷ দেশে যে সবচেয়ে বড় ভোট উৎসব চলছে সেটা তাঁর মনেই হচ্ছে না৷ নিরুত্তাপ নির্বাচনে ভোট দিতে চান না হাসনা হেনা৷
ছবি: DW/M. Mamun
ভোট দেয়ার ইচ্ছা ছিল লাইলীর
লাইলী বেগমের বাড়ি পিরোজপুরের জিয়ানগরে৷ ভোটার হয়েছেন ঢাকার তেজগাঁও এলাকায়৷ ভোট দেয়ার ইচ্ছাও ছিল তাঁর৷ কিন্তু শুনতে পাচ্ছেন তাঁর এলাকায় নাকি ভোট হবে না৷ একক প্রার্থী হিসেবে একজন ইতিমধ্যেই জিতে গেছেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
পদত্যাগে ভয় কিসের? প্রশ্ন সোহাগের
সোহাগ মিয়া কাজ করেন ঢাকার মালিবাগের একটি তৈরি পোশাক কারখানায়৷ বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে৷ তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করে বিরোধী দলকে নিয়ে নির্বাচনে যাওয়া উচিত ছিল৷ তিনি বলেন, ‘‘ভালো কাজ করলে পদত্যাগে প্রধানমন্ত্রীর এতো ভয় কিসের? ভোটতো আমরাই দিব৷’’