1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুরানো কন্টেইনার দিয়ে বাসা ও অফিস তৈরির উদ্যোগ

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

বাতিল জিনিস যত বেশি কাজে লাগানো যায়, পরিবেশের জন্য সেটা ততই ভালো৷ ভারতের চেন্নাই শহরের এক নারী বাতিল শিপিং কন্টেইনার বাসা, অফিস বা ক্যাফে তে রূপান্তরিত করে একাধিক সমস্যার সমাধান করছেন৷

একটি কনটেইনারের ভেতরের অংশ
কনটেইনারকে ঘরে রূপান্তর করার প্রতীকী ছবিছবি: Henry Nicholls/REUTERS

এখন দেখলে বিশ্বাস না হলেও এটা কোনো এক সময়ে শিপিং কন্টেইনার ছিল৷ এখন রূপান্তর ঘটিয়ে ও সাজসজ্জা যোগ করে ভবিষ্যতের বাসিন্দার জন্য সেটি প্রস্তুত করা হয়েছে৷ ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেটি ব্যবহার করা যাবে৷

ভানমতি ও তাঁর কোম্পানি পরিত্যক্ত কার্গো উপকরণ বাসা ও অফিসে রূপান্তর করছেন৷ ছোট করেই সেই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল৷ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘শুরুর দিকে আমরা গাছের নীচে শুধু মেরামতির কাজ করতাম৷ আমাদের একটা ওয়েল্ডিং ও কাটিং মেশিন ছিল৷ শুধু আমি, আমার স্বামী ও একজন ওয়েল্ডার ছিলাম৷ তারপর কন্টেইনারের অর্ধেক অংশ নিজেদের ব্যবহারের জন্য সাজিয়ে তুললাম৷ আলো আর পাখা লাগিয়ে আমাদের মাথায় ব্যবসার আইডিয়া এলো৷ এই সব কন্টেনার দিয়ে থাকার জায়গা তৈরি করার সংকল্প নিলাম৷''

শিপিং কনটেইনারে বাঁধিবো বাসা

03:24

This browser does not support the video element.

ভানমতি চেন্নাই ও তুতুকুড়ি বন্দর থেকে বাতিল শিপিং কন্টেনার সংগ্রহ করেন৷ তাঁর টিম সব ক্ষয়ক্ষতি মেরামত করে মরচে প্রতিরোধ করতে এক স্তর ‘প্রোটেকটিভ কোটিং' বা রং লাগায়৷ তারপর গ্রাহকের বায়না অনুযায়ী কন্টেনারগুলি সাজানো হয়৷ ভানমতি বলেন, ‘‘মানুষ তাদের কন্টেইনার অর্ডার করতে এলে মনে হয় যেন তারা পারিবারিক পিকনিকে যাচ্ছেন৷ প্রথমদিকে পুরুষরাই সব সিদ্ধান্ত নিতেন৷ আজকাল মা, মেয়ে, বউ, শাশুড়ি, অর্থাৎ, পরিবারের মেয়েরাই ডিজাইন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন৷ তারাই রং, অভ্যন্তরীণ ফিচার, জানালা, টেবিল – সবকিছু বাছাই করেন৷''

বাতিল শিপিং কন্টেইনারকে বাসায় রূপান্তরিত করতে প্রায় ২০ দিন সময় লাগে৷ রান্নাঘর, বাথরুম, জানালা ও বিদ্যুতের লাইনসহ এমন এক বাসার দাম প্রায় তিন লাখ ভারতীয় টাকা৷

কংক্রিটের তৈরি বাসভবনের তুলনায় কিছু পরিবেশগত সুবিধাও রয়েছে৷ পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্ট জিও দামিন বলেন, ‘‘এক কিলো সিমেন্ট উৎপাদন করতে গেলে এক কিলো কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন ঘটে৷ ফলে লোহার রড ও সিমেন্ট দিয়ে তৈরি কংক্রিটের বাড়ি বিশাল পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড সৃষ্টি করে৷ তাছাড়া নির্মাণের ব্যয় প্রতিদিন বেড়েই চলেছে৷ ফলে মধ্য ও ক্ষুদ্র আয়ের মানুষের পক্ষে প্রচলিত বাসা কেনার সামর্থ্য কমে যাচ্ছে৷''

এই সব কন্টেনার শুধু সাশ্রয়ী বাসায় রূপান্তরিত করা যায় না৷ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মালিকদের জন্যও এটি আকর্ষণীয় হতে পারে৷ ক্যাফের মালিক হিসেবে রমেশ নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘‘আমি নিজের মতো করে নিজস্ব ক্যাফে চালু করতে চেয়েছিলাম৷ আমি সেটিকে অনন্য করতে চেয়েছিলাম৷ তাই আমি এই কন্টেনার বেছে নিলাম৷ সুবিধা হলো, এটিকে যে কোনো জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়৷ গ্রাহকদের কাছেও এটি আকর্ষণীয় এবং চালানোও সহজ৷ কারণ, এখানে কোনো ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজ নেই, আকারে ছোট এবং পকেটের নাগালের মধ্যেই রয়েছে৷''

ভানমতি এখনো পর্যন্ত তিন হাজারেরও বেশি কন্টেইনার বাসা তৈরি করেছেন৷ বেশিরভাগ কন্টেইনারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রয়েছে, তবে কোনো ইনসুলেশন নেই৷ তিনি অদূর ভবিষ্যতে হাসপাতাল ও শপিং মল তৈরির কথাও ভাবছেন৷ কন্টেইনারের সত্যি কোনো অভাব নেই৷

সেন্থিল কুমার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ