1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্কুল থেকে আশ্রয়কেন্দ্র!

কার্লা ব্লাইকার/আরবি১ সেপ্টেম্বর ২০১৪

জার্মানির এসেন শহরের একটি পুরানো স্কুলে ইরাক, ইরিত্রিয়া ও অন্যান্য দেশ থেকে আসা শরণার্থীরা আশ্রয় পেয়েছেন৷ স্বল্প পরিসরে থাকতে অসুবিধা সত্ত্বেও তারা তা মেনে নিয়েছেন৷ আশা করছেন সুন্দর ভবিষ্যতের৷

Flüchtlingsheim Essen-Kupferdreh
ছবি: DW/C. Bleiker

এসেন শহরের একটি পরিত্যক্ত স্কুলে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বসবাস করছেন শরণার্থী ও রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীরা৷ তাঁরা এসেছন ইরিত্রিয়া, সুদান, আলজেরিয়া, ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান, সোমালিয়া, বসনিয়া, সার্বিয়া, আলবেনিয়া ও কসোভো থেকে৷

চাপাচাপির মধ্যে থাকতে হয়

বেশ চাপাচাপির মধ্যে থাকতে হয় তাঁদের৷ দুটি পরিবার একটি ক্লাসরুমে ভাগাভাগি করে থাকে৷ একক ব্যক্তিরা ১৪ জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে এক কক্ষে বসবাস করেন৷ ধূসর প্রবেশপথগুলি আকর্ষণ জাগানোর মতো নয়৷

সাদামাটা হলেও একটি আশ্রয় পাওয়া যাওয়ায় শরণার্থীরা খুশি৷ সেরকম আরামদায়ক না হলেও নিরাপত্তা তো পাওয়া গিয়েছে৷ একটি সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্নও তারা দেখতে পারেন৷ অনেক মানুষই এখন জার্মানিতে আশ্রয় চাইছেন৷ ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৯৭,০৯৩ জন জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে আবেদন করেন৷ বেশিরভাগই এসেছেন সিরিয়া থেকে৷ এরপর রয়েছেন সার্বিয়া ও ইরিত্রিয়া থেকে আসা শরণার্থীরা৷

আহমেদ এসেছেন কসোভো থেকে৷ ৩১ বছর বয়সি আহমেদ রোমা সম্প্রদায়ের মানুষ৷ স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে ছয় মাস ধরে তিনি এসেনের এই শরণার্থী শিবিরে বসবাস করেছেন৷ তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি এইভাবে: ‘‘আমি এমন একটি আশ্রয় খুঁজছিলাম, যেখানে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপদে থাকতে পারবো৷ কসোভোতে সেটা সম্ভব নয়, সেখানে রোমাদের প্রতি খারাপ আচরণ করা হয়৷''

এখন অসুবিধা হয় না

২৯ বছর বয়স্ক সামি এসেছেন ইরিত্রিয়া থেকে৷ প্রথম দিকে একটু কষ্ট হলেও এখন সংকীর্ণ পরিবেশে থাকতে তাঁর তেমন অসুবিধা হয় না৷ অন্য ১৩/১৪ জন শরণার্থীর সঙ্গে এক কক্ষে বসবাস করেন তিনি৷ এখানকার সামাজিক জীবনটা তাঁর কাছে ভালোই লাগে৷ অন্যান্যদের সঙ্গে ফুটবল ও বিলিয়ার্ড খেলে কিংবা টিভি দেখে সময় কেটে যায়৷

আশ্রয়শালার প্রধান মার্টিনি তাঁর শিবিরের বাসিন্দাদের সামাজিক অনুভূতির ব্যাপারে গর্বিত৷ আহমেদ তাঁর পরিবার নিয়ে এক নারী শরণার্থীর সঙ্গে ভাগাভাগি করে এক কক্ষে থাকেন৷ ঐ নারী একাকী বিদেশ-বিভূয়ে এসেছেন বলে তাঁর প্রতি দায়িত্ব অনুভব করেন তিনি৷ সেজন্য তাঁর দেখভালে সচেষ্ট থাকেন৷

আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দারা একসাথে খাওয়া দাওয়া করেন৷ নাস্তা ও রাতের খাবারে থাকে রুটি, পনির, দই, ফলমূল৷ দুপুরে থাকে গরম খাবার৷ ধর্মীয় রীতিনীতি ও ডায়বেটিসের মতো অসুখ-বিসুখ বিবেচনা করে খাবার দেওয়া হয়৷ শুয়োরের মাংস ও অ্যালকোহল দেওয়া হয়না৷ থাকে নিরামিষের খাবার৷

অস্থায়ী সমাধান

শরণার্থীদের স্কুলটিতে কোনো নিজস্ব রান্নাঘর নেই৷ কেননা এসেন শহরের জন্য এটি একটি অস্থায়ী সমাধান মাত্র৷ আগামী বছর নতুন আশ্রয়শালায় ওঠার কথা শরণার্থীদের৷ ২০১২ সালে স্কুলে শরণার্থী শিবির খোলার কথা শুনে আশেপাশের বাসিন্দারা এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন৷ তবু শরণার্থীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রটি খোলা হয়৷ আজ প্রতিবেশীরা আশ্রয়প্রার্থীদের ভালোভাবেই গ্রহণ করেছেন, বলেন মার্টিনি৷ অনেকেই শরণার্থীদের কাপড়-চোপড় দান করেছেন৷ কাজ করছেন অবৈতনিকভাবে৷ পড়াচ্ছেন জার্মান৷ প্রতিবেশী ক্যাথলিক গির্জা কমিউনিটিও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে৷

স্বল্প পরিসরে এত লোকজন একসঙ্গে থাকায় ঝগড়া বিবাদ যে হয় না, তা নয়৷ তবে কোলন শহরের শরণার্থী শিবিরের মতো ছুরি চালানোর মতো ঘটনা ঘটেনি এসেনে৷ হয়ত বা বাচ্চাদের সংখ্যা বেশি বলে৷ বাসিন্দাদের অর্ধেক অর্থাৎ ৩৭ বাচ্চা বসবাস করে এখানে৷ স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটিতে বাচ্চারা কমনরুমে বসে টিভি দেখে কিংবা বই পড়ে অথবা আশ্রয় কেন্দ্রের চত্বরে খেলাধুলা করে৷ ‘‘আমরা নিজেদের এক বড় পরিবার বলে করি৷'' বলেন শরণার্থী কেন্দ্রের প্রধান মার্টিনি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ