জার্মানির এসেন শহরের একটি পুরানো স্কুলে ইরাক, ইরিত্রিয়া ও অন্যান্য দেশ থেকে আসা শরণার্থীরা আশ্রয় পেয়েছেন৷ স্বল্প পরিসরে থাকতে অসুবিধা সত্ত্বেও তারা তা মেনে নিয়েছেন৷ আশা করছেন সুন্দর ভবিষ্যতের৷
বিজ্ঞাপন
এসেন শহরের একটি পরিত্যক্ত স্কুলে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বসবাস করছেন শরণার্থী ও রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীরা৷ তাঁরা এসেছন ইরিত্রিয়া, সুদান, আলজেরিয়া, ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান, সোমালিয়া, বসনিয়া, সার্বিয়া, আলবেনিয়া ও কসোভো থেকে৷
চাপাচাপির মধ্যে থাকতে হয়
বেশ চাপাচাপির মধ্যে থাকতে হয় তাঁদের৷ দুটি পরিবার একটি ক্লাসরুমে ভাগাভাগি করে থাকে৷ একক ব্যক্তিরা ১৪ জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে এক কক্ষে বসবাস করেন৷ ধূসর প্রবেশপথগুলি আকর্ষণ জাগানোর মতো নয়৷
জার্মানিতে বাড়ি সমস্যায় অভিবাসীরা
অভিবাসীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়৷ তবে বাড়ির সমস্যাকে একটি বড় সমস্যা হিসেবে ধরা যেতে পারে৷এ সমস্যা জার্মানিতে বসবসারত তুর্কিদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়৷ কারণ জার্মানিতে প্রায় ৪০ লাখ তুর্কি আছেন৷
ছবি: Suzheh.sub.ir
অভিবাসী তুর্কিদের সমস্যা বেশি
জার্মানিতে অভিবাসীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়৷ এগুলোর মধ্যে বাড়ির সমস্যাকে একটি বড় সমস্যা হিসেবে ধরা যেতে পারে৷ জার্মানিতে অভিবাসীদের মধ্যে তুর্কিদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি প্রায় ৪০ লাখ৷ কাজেই সমস্যাটাও ওদের ক্ষেত্রেই বেশি দেখা যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শীতকালে ঠান্ডায় কষ্ট পায়
তুর্কিদের সাধারণত বাসা ভাড়া দেওয়া হয় পুরনো এলাকায় বহু বছরের পুরনো বাড়িগুলোয়৷ সেই সব বাড়িতে হয়ত দরজা ঠিকমতো বন্ধ হয় না বা জানালা দিয়ে বাতাস ঢোকে বা খানিকটা খোলা থাকে৷ অথবা শীতকালে হিটার কাজ করে না, অর্থাৎ ঠান্ডায় কাটাতে হয়৷ বাড়ির মালিককে কয়েকবার বলেও ঠিক করানো যায়নি৷ এভাবেই জানান তিন দশক আগে তুরস্ক থেকে জার্মানিতে আসা আহমেদ খালিফি৷
ছবি: DW/C. Ruta
বাড়ির অবস্থা অস্বাস্থ্যকর
আহমেদ খালিফির ছেলে আদেলের বাড়িতেও প্রায় একই সমস্যা৷ বাড়িটি ৪০ বছরের পুরনো হওয়ায় খুবই স্যাঁতসেঁতে, অন্ধকার এবং অস্বাস্থ্যকর৷ এ ব্যাপারে অবশ্য বাড়িওয়ালার মাথা ব্যথা নেই, কয়েকবার বলেও কোনো কাজ হয়নি৷
ছবি: DW/C. Ruta
অবশেষে নিজেই দায়িত্ব নেন
আবদাল ১৫ বছর এ বাড়িতে আছেন, কিন্তু একবারও রঙ করা হয়নি৷ আর সেকথা বাড়ির মালিককে কয়েকবার বলায় তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, প্রয়োজনে তিনি যেন নিজেই এ কাজ করে নেন৷ তাই আবদাল এ কাজ ভালো না জানা সত্ত্বেও নিজেই করছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/dpaweb
শীতের কথা ভেবে ভীত
একটি মাত্র ঘর আর সেখানেই বাচ্চাদের নিয়ে থাকেন আলিয়া৷ ঘরে যেসব জিনিসের জায়গা হয় না, সেসব জিনিস স্থান পেয়েছে বাড়ির বারান্দায়৷ কিন্তু শীতের সময় এসব প্রয়োজনীয় জিনিসের কি হবে – তা ভেবে অস্থির আলিয়া৷ এই অবস্থা অবশ্য শুধু আলিয়ার একার নয়৷
ছবি: DW/C. Stefanescu
অভিবাসীদের বেশি সন্তান
অভিবাসীদের বাড়ির বড় সমস্যা৷ তার কারণ, তাঁরা বড় শহরগুলোর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করতে পছন্দ করেন৷ তাছাড়া জার্মানদের তুলনায় অভিবাসীরা কম রোজগার করেন এবং তাঁদের সন্তান সংখ্যা বেশি হওয়ায় বাড়ি পেতেও অসুবিধা হয়৷ এছাড়া একই ধরণের বাড়ির জন্য জার্মানদের তুলনায় তাঁদের কাছে বেশি ভাড়াও চাওয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/ZB
বাড়ির অবস্থা করুণ
অভিবাসীদের বাসস্থান সমস্যা অবশ্য নতুন সমস্যা নয়৷ অভিবাসীরা যেসব এলাকায় থাকেন সেই পুরনো বাড়িগুলোকে ঠিকঠাক না করানোয়, দিনদিন সেগুলি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ছে৷ এই অবস্থা নিদিষ্ট কোনো শহরে নয়, প্রায় শহরেই এই একই অবস্থা৷
ছবি: Fars
আগুনে পরিবারের আট জনের মৃত্যু
প্রায় চার মাস আগে বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যার্গের বাকনাং শহরে একটি বাড়ির বৈদ্যুতিক লাইন ছিল বিপজ্জনক এবং একথা বারবার মালিককে বলার পরও তা ঠিক করা হয়নি৷ যার ফল হয় মর্মান্তিক৷ ঘর গরম বা পানি গরমের জন্য ব্যবহার করা হতো কাঠের চুল্লি৷ ঐ বাড়িতেই আগুন লেগে একজন তুর্কি মা তাঁর সাত সন্তানসহ মারা যান৷ ছবিতে বাকনাং শহরের কিশোর-কিশোরীরা মৃত পরিবারের প্রতি ফুল আর মোমবাতি দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাড়ি মালিকদের মত
বাড়িওয়ালাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেন, তুর্কি পরিবারগুলো অনেক বড়, সবসময় হৈচৈ লেগে থাকে এবং তেমন পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন নয়৷ আর সেজন্যই তাঁদের বাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যাপারে কিছুটা আপত্তি থাকে বাড়িওয়ালাদের৷
ছবি: picture-alliance/dpa
তরুণদের ভিন্নমত
বয়স্ক অভিবাসীরা বাসস্থানের ব্যাপারে যতটা বৈষম্যের শিকার হন বলে মনে করেন, এই প্রজন্মের তুর্কিরা তেমনটা মনে করে না৷ সম্ভবত এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা জার্মান ভাষা ভালো জানার কারণেই এমনটা ঘটছে৷
ছবি: Suzheh.sub.ir
10 ছবি1 | 10
সাদামাটা হলেও একটি আশ্রয় পাওয়া যাওয়ায় শরণার্থীরা খুশি৷ সেরকম আরামদায়ক না হলেও নিরাপত্তা তো পাওয়া গিয়েছে৷ একটি সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্নও তারা দেখতে পারেন৷ অনেক মানুষই এখন জার্মানিতে আশ্রয় চাইছেন৷ ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৯৭,০৯৩ জন জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে আবেদন করেন৷ বেশিরভাগই এসেছেন সিরিয়া থেকে৷ এরপর রয়েছেন সার্বিয়া ও ইরিত্রিয়া থেকে আসা শরণার্থীরা৷
আহমেদ এসেছেন কসোভো থেকে৷ ৩১ বছর বয়সি আহমেদ রোমা সম্প্রদায়ের মানুষ৷ স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে ছয় মাস ধরে তিনি এসেনের এই শরণার্থী শিবিরে বসবাস করেছেন৷ তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি এইভাবে: ‘‘আমি এমন একটি আশ্রয় খুঁজছিলাম, যেখানে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপদে থাকতে পারবো৷ কসোভোতে সেটা সম্ভব নয়, সেখানে রোমাদের প্রতি খারাপ আচরণ করা হয়৷''
এখন অসুবিধা হয় না
২৯ বছর বয়স্ক সামি এসেছেন ইরিত্রিয়া থেকে৷ প্রথম দিকে একটু কষ্ট হলেও এখন সংকীর্ণ পরিবেশে থাকতে তাঁর তেমন অসুবিধা হয় না৷ অন্য ১৩/১৪ জন শরণার্থীর সঙ্গে এক কক্ষে বসবাস করেন তিনি৷ এখানকার সামাজিক জীবনটা তাঁর কাছে ভালোই লাগে৷ অন্যান্যদের সঙ্গে ফুটবল ও বিলিয়ার্ড খেলে কিংবা টিভি দেখে সময় কেটে যায়৷
আশ্রয়শালার প্রধান মার্টিনি তাঁর শিবিরের বাসিন্দাদের সামাজিক অনুভূতির ব্যাপারে গর্বিত৷ আহমেদ তাঁর পরিবার নিয়ে এক নারী শরণার্থীর সঙ্গে ভাগাভাগি করে এক কক্ষে থাকেন৷ ঐ নারী একাকী বিদেশ-বিভূয়ে এসেছেন বলে তাঁর প্রতি দায়িত্ব অনুভব করেন তিনি৷ সেজন্য তাঁর দেখভালে সচেষ্ট থাকেন৷
জার্মানিতে পতিতাবৃত্তির বিরোধিতা
পতিতাবৃত্তি আইন পুনর্বিবেচনা করার পরিকল্পনা করছে জার্মানির ভবিষ্যত সরকার৷ নারী অধিকার কর্মীরা চান আইন করে এই পেশায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হোক৷
ছবি: AFP/Getty Images
পতিতাবৃত্তি আইন পুনর্বিবেচনা
পতিতাবৃত্তি আইন পুনর্বিবেচনা করার পরিকল্পনা করছে জার্মানির ভবিষ্যত সরকার৷ রক্ষণশীল এবং সামাজিক গণতন্ত্রকামী যে দুটো দলের সমন্বয়ে জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তারাই আইনটি পুনর্বিবেচনার পক্ষে৷
ছবি: Isabel Winarsch
বৈধ পেশা
জার্মানিতে পতিতাবৃত্তি বৈধ৷ ২০০২ সালে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি এবং গ্রিন পার্টি জার্মানিতে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দিয়ে একটি আইন পাস করে৷ এরপর থেকে এটি একটি বৈধ ব্যবসায় পরিণত হয়েছে৷ যৌনকর্মীরা চাইলেই সামাজিক বিমা পেতে পারে এবং কোনো খদ্দের অর্থ না দিলে আদালতের দারস্থ হতে পারে৷
ছবি: imago/EQ Images
কোটি কোটি টাকার লেনদেন
জার্মান কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জার্মানিতে কেবল পতিতাবৃত্তিতেই লেনদেন হয় ১৫শ কোটি ইউরো৷ তবে ঠিক কত নারী এই পেশায় জড়িত তা নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও ধারণা করা হয় অন্তত ৪ লাখ নারী এ পেশায় জড়িত৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অর্ধেক অভিবাসী
প্রায় চার লাখ যৌনকর্মীর অর্ধেকই এসেছে বিভিন্ন দেশ থেকে৷ অর্থাৎ জার্মানিতে তারা অভিবাসী৷ অনেককে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করা হয়েছে৷ এখন তারা আর চাইলেও সেখান থেকে বের হতে পারছে না৷ আবার কেউ রয়েছেন যারা কেবল অর্থ রোজগারের আশায় এই পথ বেছে নিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance / rolf kremming
নিবন্ধিত না হওয়া
যৌনকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের বেশিরভাগই নিবন্ধিত নন এবং তাদের কোনো তথ্য সরকারের কাছে নেই৷ কেন্দ্রীয় পেশাজীবী সংস্থা বলছে, শতকরা মাত্র ৪৪ জন যৌনকর্মী সামাজিক বিমা করেছেন৷
ছবি: Reuters
নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি
নারী অধিকার কর্মীরা বলছেন, বেশিরভাগ নারীই নিজের ইচ্ছায় এই পেশায় আসেন না৷ ইউরোপের পূর্বাঞ্চল থেকে অনেক নারীদের জোর করে এই ব্যবসায় নামানো হয়৷ তারা এটাকে আধুনিক দাসপ্রথা হিসেবে উল্লেখ করে এই পেশায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছেন৷ সেইসাথে আইনটি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন তারা৷
ফ্রান্সের পতিতাবৃত্তি
ফ্রান্সে গত কয়েক দশক ধরেই যৌন পল্লি এবং যৌন ব্যবসা দুটোই নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ খদ্দেরদের হাতেনাতে ধরতে পারলে ১,৫০০ ইউরো জরিমানা ধার্য করে আইন করেছে সরকার৷ সমালোচকরা বলছেন, এর অর্থ নারীরা খদ্দেরদের সেবা দিতে প্রস্তুত, কিন্তু খদ্দেররা তা নিতে পারবে না৷ তাই বিলটি নিয়ে বেশ বিতর্ক চলছে৷
ছবি: picture-alliance/rolf kremming
সুইডেনের আইনে ফ্রান্স
ফ্রান্স এই আইন করেছে মূলত সুইডেনের আইন পর্যালোচনা করে৷ সেখানে ১৯৯৯ সাল থেকে যৌন ব্যবসার খদ্দেরদের শাস্তির আওতায় আনা হয়৷ সেসময় সুইডেনে পতিতাবৃত্তির বৈধতা দেয়া হয়৷ তবে এর ফলে এইসব পতিতাদের উপর নির্যাতন ও ধর্ষণের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে বলে জার্মান পত্রিকা ডের স্পিগেলকে জানিয়েছেন হাসপাতালের একজন নার্স৷
ছবি: AFP/Getty Images
8 ছবি1 | 8
আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দারা একসাথে খাওয়া দাওয়া করেন৷ নাস্তা ও রাতের খাবারে থাকে রুটি, পনির, দই, ফলমূল৷ দুপুরে থাকে গরম খাবার৷ ধর্মীয় রীতিনীতি ও ডায়বেটিসের মতো অসুখ-বিসুখ বিবেচনা করে খাবার দেওয়া হয়৷ শুয়োরের মাংস ও অ্যালকোহল দেওয়া হয়না৷ থাকে নিরামিষের খাবার৷
অস্থায়ী সমাধান
শরণার্থীদের স্কুলটিতে কোনো নিজস্ব রান্নাঘর নেই৷ কেননা এসেন শহরের জন্য এটি একটি অস্থায়ী সমাধান মাত্র৷ আগামী বছর নতুন আশ্রয়শালায় ওঠার কথা শরণার্থীদের৷ ২০১২ সালে স্কুলে শরণার্থী শিবির খোলার কথা শুনে আশেপাশের বাসিন্দারা এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন৷ তবু শরণার্থীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রটি খোলা হয়৷ আজ প্রতিবেশীরা আশ্রয়প্রার্থীদের ভালোভাবেই গ্রহণ করেছেন, বলেন মার্টিনি৷ অনেকেই শরণার্থীদের কাপড়-চোপড় দান করেছেন৷ কাজ করছেন অবৈতনিকভাবে৷ পড়াচ্ছেন জার্মান৷ প্রতিবেশী ক্যাথলিক গির্জা কমিউনিটিও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে৷
স্বল্প পরিসরে এত লোকজন একসঙ্গে থাকায় ঝগড়া বিবাদ যে হয় না, তা নয়৷ তবে কোলন শহরের শরণার্থী শিবিরের মতো ছুরি চালানোর মতো ঘটনা ঘটেনি এসেনে৷ হয়ত বা বাচ্চাদের সংখ্যা বেশি বলে৷ বাসিন্দাদের অর্ধেক অর্থাৎ ৩৭ বাচ্চা বসবাস করে এখানে৷ স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটিতে বাচ্চারা কমনরুমে বসে টিভি দেখে কিংবা বই পড়ে অথবা আশ্রয় কেন্দ্রের চত্বরে খেলাধুলা করে৷ ‘‘আমরা নিজেদের এক বড় পরিবার বলে করি৷'' বলেন শরণার্থী কেন্দ্রের প্রধান মার্টিনি৷