পুনরায় চ্যান্সেলর হলে কর এবং নাটকীয়ভাবে বেকারত্ব কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ সেপ্টেম্বরের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে ঘোষিত দলীয় ইস্তাহারে এ কথা উল্লেখ করেছেন তিনি৷ তবে বিরোধীরা এতে সন্তুষ্ট নন৷
বিজ্ঞাপন
আঙ্গেলা ম্যার্কেলের রক্ষণশীল খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল (সিডিইউ) আসন্ন নির্বাচনে জয়লাভ করলে পরিমিতহারে কর কমানো এবং নবীন পরিবারগুলোকে বাড়তি অর্থ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷ গতসপ্তাহে ঘোষিত নির্বাচনি ইস্তাহারে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি৷ নির্বাচনকে ঘিরে যখন প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো নানা নতুন ‘আইডিয়া' তৈরি করছিল, তখন সিডিইউ তাদের ইস্তাহার ঘোষণা করে যদিও দলটির উপর তেমন একটা চাপ নেই বলেই সাম্প্রতিক জরিপগুলো জানাচ্ছে৷ এতে দেখা যাচ্ছে, চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের চতুর্থবার ক্ষমতায় থেকে যাওয়াতে বাধা সৃষ্টির মতো প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এখনো কেউ তৈরি হতে পারেননি৷
বার্লিনে সিডিইউ-এর কার্যালয়ে এক সংবাদসম্মেলনে দলের পক্ষে নির্বাচনি ইস্তাহার প্রকাশ করেন ম্যার্কেল৷ এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন দলের বাভেরিয়া অংশ সিএসইউ-র প্রধান হর্স্ট সেহোফার, যার সঙ্গে শরণার্থী ইস্যুতে ম্যার্কেলের মতবিরোধের কথা সবাই জানেন৷ তবে ইস্তাহার ঘোষণার সময় শেফার ম্যার্কেলের প্রতি সমর্থনের কথা নানাভাবে প্রকাশ করেন তিনি৷ আর ম্যার্কেল বলেন, ‘‘জার্মানির জন্য আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে: সবার জন্য সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা৷''
সিডিইউ-এর ইস্তাহারে উল্লেখযোগ্য বিষয়:
- ২০২৫ সাল নাগাদ বেকারত্বের হার তিন শতাংশের নীচে নামিয়ে আনা, অর্থাৎ বর্তমানের বেকারত্বের হার সাড়ে শতাংশ থেকে প্রায় অর্ধেক বা ২৫ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা৷ বিরোধী দলগুলো অবশ্য বারংবার দাবি করে এসেছে, সাড়ে পাঁচ শতাংশ বেকারত্বের যে হার সরকার প্রকাশ করছে, তা সঠিক নয়৷ কেননা বেশ কয়েক লাখ মানুষ তথাকথিত ‘মিনি জব' করছেন, যারা সরকারের উপর নির্ভরশীল৷ এমন মানুষদেরও বেকারের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে আগ্রহী বিরোধীরা৷
- সর্বোচ্চ ইনকাম ট্যাক্স ব্র্যাকেট বছরে ৬০ হাজার ইউরো করতে চায় ম্যার্কেলের দল, বর্তমানে যা ৫২,০০০ ইউরো৷ তবে এই বৃদ্ধি ম্যার্কেলের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দল সামাজিক গণতন্ত্রী দলের (এসপিডি) চেয়ে পরিমিত৷ সেদল টপ ইনকাম ট্যাক্স ব্র্যাকেট বছরে ৭৬,০০০ ইউরো এবং রেট ৪২ শতাংশ থেকে ৪৫ শতাংশ করতে আগ্রহী৷ সিডিইউ চায় শুধুমাত্র ‘সুপার রিচ', অর্থাৎ যাদের একক বাৎসরিক আয় ২৩২,০০০ ইউরো, তাদের ৪৫ শতাংশ ট্যাক্স রেটের আওতায় আনতে৷
- সাবেক পূর্ব জার্মানির উন্নয়নে সব চাকুরিজীবীর দেয়া ‘সলিডারিটি ফি' ২০২০ সাল থেকে ক্রমান্বয়ে তুলে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সিডিইউ৷ দুই জার্মানির পুনরেকত্রিকরণের পর দেশটির পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই ফি ব্যবহার করা হচ্ছে৷ যদিও এর বিরুদ্ধে দীর্ঘকাল ধরে প্রতিবাদ করছে করদাতাদের অধিকারসংক্রান্ত বিভিন্ন গোষ্ঠী৷ এসপিডি-র মতো সিডিইউ-ও এই ফি তুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে৷ তবে ঠিক কবে থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে তা জানায়নি কোন দল৷
- শিশু ভাতা বৃদ্ধি৷ অভিভাবকদের দেয়া শিশু ভাতা বর্তমানের মাসি ১৯২ ইউরো থেকে বাড়িয়ে ২১৭ ইউরো করতে আগ্রহী সিডিইউ৷ পাশাপাশি নির্ভরশীল সন্তান যাদের রয়েছে তাদের ট্যাক্স লাঘবের পরিমাণ ৭,৩৫৬ ইউরো থেকে ৮,৮২০ ইউরো করতে চায় দলটি৷
জার্মানির জাতীয় নির্বাচন ২০১৭: কবে, কী হচ্ছে
তিনটি রাজ্যে নির্বাচনের পাশাপাশি জার্মানির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০১৭ সালে৷ চলুন জেনে নেই জাতীয় নির্বাচনের টাইমলাইন৷
ছবি: picture-alliance/R. Goldmann
জার্মানির বড় নির্বাচনের বছর
জার্মানিতে চলতি বছর আয়োজন করা হচ্ছে একের পর এক নির্বাচন৷ একদিকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল চতুর্থবারের মতো চ্যান্সেলর পদে লড়ছেন, অন্যদিকে পপুলিস্ট পার্টি অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) অভিবাসীবিরোধী অবস্থানের কারণে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে৷ বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এটা নিশ্চিত যে, ২০১৭ সালের শেষে জার্মানির রাজনৈতিক অবস্থা এখনকার মতো থাকবে না৷
ছবি: Getty Images
জুন ১৯: দলের মনোনয়ন জমা দেয়ার দিন ছিল
জার্মানির সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য আবেদনের শেষ দিন ছিল জুন ১৯৷ সেদিন সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে আগ্রহী দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আবেদন জানাতে হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Burgi
জুলাই ৭: কোন কোন দল লড়ছে?
সংসদ নির্বাচনে কোন কোন দল অংশ নিতে পারবে তা ঘোষণা করা হবে এই দিনে৷ যদি কোন দল নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হয় তাহলে পরবর্তী চারদিনের মধ্যে জার্মানির সাংবিধানিক আদালতে নালিশ করতে পারবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Deck
জুলাই ১৭: কারা কারা থাকছেন?
চলতি বছরের ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের কোন কোন প্রার্থী কোন কোন এলাকায় লড়বেন, তা চূড়ান্ত করতে হবে৷ জার্মানিতে একসঙ্গে দু’টি ভোট দেয়ার সুযোগ রয়েছে৷ প্রথমটি প্রার্থীকে, দ্বিতীয়টি দলকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
জুলাই ২৭: ব্যালটে নাম উঠানোর লড়াই
যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে সাংবিধানিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে, তাদের বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হবে এই দিনে৷ ২০১৩ সালে এই পন্থা চালু করা হয়েছিল৷ সেবছর এগারোটি দল আদালতের স্মরণাপন্ন হলেও কেউই মামলা জেতেনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Steinberg
আগস্ট ১৩: আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা
জার্মানিতে নির্বাচন শুরুর ছয় সপ্তাহ আগ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো আনুষ্ঠানিক প্রচারণার পোস্টার বা টেলিভিশন বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারে না৷ চলতি বছরের জাতীয় নির্বাচনের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর তারিখ ১৩ আগস্ট৷ এই দিন থেকে দলগুলো তাদের প্রচারণায় কোনো ঘাটতি রাখবে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Balk
আগস্ট ২০: কে ভোট দিতে পারবেন?
নির্বাচনের মাসখানেক আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তালিকা চূড়ান্ত হবে৷ ভোটার লিস্ট ঘোষণা করবে নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ৷ জার্মানিতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সি যে কোনো জার্মান নাগরিক ভোট দিতে পারবেন৷ সে হিসেবে চলতি বছর ভোটারের সংখ্যা সাড়ে ৬১ মিলিয়ন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K.-D. Gabbert
সেপ্টেম্বর ৩: তিন সপ্তাহ বাকি
এই সময়ের মধ্যে সকল ভোটার পোস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে ভোট দেয়ার সার্টিফিকেট পাবেন৷ যারা তখন অবধি ভোটার লিস্টে নিজেদের নাম পাননি, তারা রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবেন৷ আর যারা পোস্টের মাধ্যমে ভোট দিতে চান, তারা ব্যালট পেপার চাইতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/R. Goldmann
সেপ্টেম্বর ২৪: নির্বাচনের দিন
অবশেষে সেই মহেন্দ্রক্ষণ৷ জার্মানির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৪ সেপ্টেম্বর৷ সেদিন সকাল আটটায় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবে, চলবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত৷ ভোটগণনা সেদিনই শেষ হবে এবং নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ রাতে প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সেপ্টেম্বর ২৫: বিজয়ী এবং বিজিত
সকল প্রতিনিধি এবং দলগত ভোট গণনা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা দেয়া হবে ২৫ সেপ্টেম্বর৷ যদি কোনো প্রার্থী তাঁর নির্বাচনী এলাকায় জিততে ব্যর্থ হন, তা সত্ত্বেও দলগত জয়ের কারণে তিনি সংসদে একটি আসন পেতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler
অক্টোবর ২৪: নতুন সাংসদরা সংসদে
নির্বাচন শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে নতুন সাংসদদের সংসদে মিলিত হওয়ার নিয়ম রয়েছে৷ এ বছর সেই দিনটি হচ্ছে অক্টোবর ২৪৷ সেদিন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে জার্মানির পরবর্তী চ্যান্সেলর নির্বাচিত হবেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নভেম্বর ২৪: সবকিছু কি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়েছে?
যদি কেউ জাতীয় নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চান, তাহলে তার হাতে সময় থাকে নির্বাচন পরবর্তী দুই মাস৷ ভোটাররাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যে কেউ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার রাখেন এই সময়ের মধ্যে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Dedert
12 ছবি1 | 12
- প্রথমবার সম্পত্তি কেনা পরিবারকে সহায়তা৷ যেসব পরিবার প্রথমবারের মতো সম্পত্তি কিনবেন তাদের সন্তানপ্রতি বছরে ১,২০০ ইউরো বাড়তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সিডিইউ৷
- আরো ১৫,০০০ নতুন পুলিশ নিয়োগ করতে চায় দলটি৷ রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় পুলিশের জন্য এই নিয়োগ প্রযোজ্য হবে৷
- দ্বৈত নাগরিকত্ব নীতিতে আংশিক ছাড়৷ অভিবাসীদের দ্বৈত নাগরিকত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে সিডিইউ-এর মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে মতবিরোধ ছিল৷ তবে নির্বাচনি ইস্তাহারে ঘোষণা দেয়া হয়েছে যে, প্রথম প্রজন্মের অভিবাসী এবং তাদের সন্তানরা চাইলে জার্মানি এবং যে দেশ থেকে তারা এসেছেন, সেদেশের নাগরিকত্ব রাখতে পারবেন৷ তবে পরবর্তী প্রজন্মগুলো শুধু একটি দেশের নাগরিকত্ব পাবে৷
বলাবাহুল্য, সিডিইউ-এর প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো এই ইস্তাহারে মোটেই মুগ্ধ নয়৷ চ্যান্সেলর পদে ম্যার্কেলের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী মার্টিন শুলৎস, যিনি বছরের শুরুতে আসন্ন নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন, এই ইস্তাহারকে ‘দুর্বলচিত্তের' বলে আখ্যা দিয়েছেন৷ সাম্প্রতিক মতামতভিত্তিক জরিপগুলো অবশ্য এই দু'জনের মধ্যে কঠিন প্রতিযোগিতা হবে এমন ইঙ্গিত আর দিচ্ছে না৷ তাই জয়ের পাল্লা অনেকটাই ম্যার্কেলের দিকে৷
জার্মানির যে সাত রাজনৈতিক দলের নামও শোনেননি আপনি
জার্মানরা শুধু সিডিইউ বা এসপিডি নয়, কিছু ছোট এবং বিরল দলকেও ভোট দিতে পারে৷ এই যেমন, প্রাণী সুরক্ষা পার্টি কিংবা মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট পার্টি৷ ভাবছেন, এরা কারা? চলুন দেখে নিই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler
প্রাণী সুরক্ষা দল
জার্মানিতে প্রাণী অধিকার বিষয়ক অ্যাক্টিভিস্টরা সুযোগ পেলে পুরো হাইওয়ে বন্ধ করে দেন যাতে ব্যাঙেরা নিরাপদে রাস্তা পার হতে পারে৷ এমন দেশে তাই ‘অ্যানিমেল প্রোটেকশন পার্টি’ বা প্রাণী সুরক্ষা দল থাকবে না, তা কি হতে পারে? তবে গ্রিন পার্টির কারণে এ দলের পালে হাওয়া কম থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
দ্য রিপাবলিকানস
ব্যাপারটা কিছুটা বিভ্রান্তিকর৷ জার্মানির রয়েছে নিজস্ব রিপাবলিকান পার্টি, নাম আরইপি৷ তবে এই দলের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো সম্পর্ক নেই৷ জার্মান রিপাবলিকনরা হচ্ছেন ডানপন্থি জাতীয়তাবাদী, যারা নিজেদের ‘রক্ষণশীল দেশপ্রেমিক’ এবং দেশের ‘সংস্কৃতি এবং আত্মপরিচয়’ রক্ষায় লড়াইরত বলে মনে করেন৷
ছবি: DW
দ্য পার্টি
হ্যাঁ, এই দলের নাম ‘দ্য পার্টি’৷ জার্মানির স্যাটায়ার ম্যাগাজিন ‘টাইটানিক’ এর সম্পাদকরা ২০০৪ সালে এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন৷ দলটির প্রধান হচ্ছেন মার্টিন স্যোনেবর্ন (ছবিতে)৷ ২০১৪ সালে তিনি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে দলটির জন্য একটি আসন নিশ্চিত করেন৷ ভবিষ্যতে দলটির অবস্থা আরো ভালো হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/Sven Simon/M. Ossowski
গণভোট দল
জার্মানির রেফারেন্ডাম পার্টি বা গণভোট দলের কাছে সুইজারল্যান্ড এক বিশাল অনুপ্রেরণা৷ দলটি চায় দেশের সব রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গনভোটের মাধ্যমে জনগণ নেবে৷ সুইজারল্যান্ডে ২০১৬ সালে তেরোটি গণভোটের আয়োজন করা হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট পার্টি
জার্মানির এমএলপিডি একটি ছোট দল, যদিও দেশটির অর্ধেক মানুষ এক সময় কমিউনিস্ট ছিলেন৷ মানে ১৯৪৯ থেকে ১৯৮৯ সাল অবধি যখন জার্মানি দুই ভাগে বিভক্ত ছিল৷ তৎকালীন পূর্ব জার্মানি তখন শাসন করেছিল সোশ্যালিস্ট ইউনিটি পার্টি৷ বর্তমানে উগ্র বামপন্থি এমএলপিডি’র জার্মান রাজনীতিতে কোনো ভূমিকা নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Link
ক্রিশ্চিয়ানস ফর জার্মানি
‘অ্যালায়েন্স সি - ক্রিশ্চিয়ানস ফর জার্মানি’ একটি ক্রিশ্চিয়ান পার্টি, যেটির যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে৷ খ্রিষ্টান-মৌলবাদীদের একটি দল এবং শ্রমিক, পরিবেশ এবং পরিবারভিত্তিক একটি দল একত্র হয়ে এই দল গড়ে৷ বাইবেলের মান রক্ষা করে দেশ পরিচালনা করতে চায় এই দল৷