1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুলিশের কারণে যেন নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়: সিইসি

২২ নভেম্বর ২০১৮

সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে পুলিশের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা৷ বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, পুলিশ প্রশাসনের কারণে যেন নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, তা লক্ষ্য রাখতে হবে৷

Bangladesch KM Nurul Huda Vorsitzender Wahlkommission
ছবি: bdnews24.com

বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা-বিষয়ক বিশেষ সভাটি হয় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে৷  বিশেষ সভায় সিইসি এসব কথা বলেন৷ সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ১২ দফা নির্দেশনা দেন সিইসি৷

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় এবং ভোটের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখতে দেয়া ১২ দফা নির্দেশনায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নারী ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়া নির্বিঘ্ন করা এবং ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচনি মালামালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেয়া হয়৷

পুলিশের ভূমিকা যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যেন প্রশ্ন না ওঠে সেজন্য কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেন সিইসি৷ এর মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া৷ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে অনেক কর্মকর্তা অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন৷

‘‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহ করার কথা আমরা বলিনি,'' হুদা বলেন৷ ‘‘এটা আপনারা করবেন না৷ কারণ, এটা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে৷ যাঁরা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, তাঁরা বিব্রত হন৷ আমরা এটা চাই না৷''

কারো সম্পর্কে খোঁজ নিতে হলে গোপনে নেয়া যেতে পারে বলে জানান তিনি৷

এছাড়া বিনা ওয়ারেন্টে কাউকে গ্রেপ্তার না করার কথা বলেন সিইসি৷

‘‘তফসিল ঘোষণার পর কাউকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করবেন না, মামলা করবেন না৷ কাউকে হয়রানিমূলক মামলা বা গ্রেপ্তার করা যাবে না,

পুলিশের কাছ থেকে অন্য বাহিনীগুলো আইন-শৃঙ্খলার বিভিন্ন পর্যায়ের তথ্য ও পরামর্শ নেবে'' বলে জানান সিইসি৷

এছাড়া ১৫ ডিসেম্বরের পর সশস্ত্র বাহিনীর ছোট ছোট দল কাজ শুরু করবে বলেও জানান তিনি৷

‘‘১৫ ডিসেম্বরের পর সশস্ত্র বাহিনীর ছোট টিম পুলিশের সাথে দেখা করবে,'' হুদা বলেন৷ ‘‘প্রতি জেলায় থাকবে সশস্ত্র বাহিনীর ছোট টিম৷ এদেরকে নিয়ে সমন্বয় করে কাজ করবেন৷ তাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে রাখতে হবে৷ অন্যান্য বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন৷''

সভায় নির্বাচন কমিশনাররা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, পুলিশের আইজি, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক, ডিএমপি কমিশনারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা৷

কর্মকর্তাদের অপসারণ চায় বিরোধী জোট

এদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসনের অন্তত ৯০ জন কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করেছে বিএনপি ও তাদের প্রাধান্যে গঠিত ঐক্যফ্রন্ট৷ বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ দাবি জানায় তারা৷

বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবের কাছে কর্মকর্তাদের তালিকার চিঠিটি জমা দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল৷

বিএনপির প্যাডে মির্জা ফখরুল স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ জনপ্রশাসনের কয়েকজন সচিব, জ্যেষ্ঠ কয়েকজন কর্মকর্তা ও কয়েকজন জেলা প্রশাসকের নাম রয়েছে৷

আরেক তালিকায় রয়েছে পুলিশের শীর্ষ পর্যায় থেকে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৭০ জন কর্মকর্তার নাম৷

জেডএ/এসিবি (প্রথম আলো, বিডিনিউজ)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ