উপাচার্য অথবা কলেজের অধ্যক্ষ অনুমতি না দিলে ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকতে পারে না৷ এটাই ভারতের আইন৷ বাকি প্রশ্ন কর্তৃপক্ষের শিরদাঁড়ার৷
বিজ্ঞাপন
২০০৩-০৪ সালের কথা৷ কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্রদের একাংশের সঙ্গে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে কর্তৃপক্ষের৷ মূলত প্রিন্সিপালের৷ তখনো বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি প্রেসিডেন্সি৷ ১৮১৭ সালে তৈরি হওয়া কলেজের কাঠামোই চলমান-বর্তমান৷ ছাত্রদের চার প্রতিনিধি সটান হাজির অধ্যক্ষের ঘরে৷ সব কাজ ফেলে অধ্যক্ষকে তখনই বৈঠক করতে হবে৷ ছাত্রদের মূল দাবি গ্রন্থাগারের ডিজিটাল সংস্কার৷ অধ্যক্ষের বক্তব্য, রাতারাতি এ কাজ সম্ভব নয়৷ আর তা নিয়েই বচসা৷ শেষমেশ ছাত্ররা ঠিক করল, অধ্যক্ষ এবং টিচার্স কাউন্সিলকে ঘেরাও করা হবে৷ যেমন ভাবনা তেমন কাজ৷ দিনদুয়েক ঘেরাও থাকার পর রফা মীমাংসা যখন হলো, অধ্যক্ষের শরীর তখন বেশ খারাপ৷ কলেজ থেকে হাসপাতালে পাঠাতে হয়েছিল তাকে৷ ঘেরাও করে রাখা ছাত্ররা ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করছে কি না সেই চিন্তায় তিনি নিজেও দুইদিন কার্যত উপোস করে ছিলেন৷ টিচার্স কাউন্সিলের কোনো কোনো অধ্যাপক পুলিশ ডাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন অধ্যক্ষকে৷ কড়া ধমকে তাদের থামিয়ে দিয়েছিলেন প্রিন্সিপাল মহোদয়৷
এর ঠিক দেড় বছর পরের কথা৷ সাপ্লিমেন্টারি টেস্ট নিয়ে কোনো এক সমস্যার জেরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হরতালে বসে ছাত্ররা৷ প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে ক্লাস বয়কট করে দাবি আদায়ের আন্দোলন চলতে থাকে৷ মূল এজেন্ডার সঙ্গে আরো বেশ কিছু বিষয় জুড়ে যায়৷ ২০০৬ সালে যাদবপুরের ওই আন্দোলন রীতিমতো আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে সংবাদ মাধ্যমে৷ এমনই এক রাতে আচমকাই শয়ে শয়ে পুলিশ ঢোকে ক্যাম্পাসের ভিতর৷ অনশনরত ছাত্রদের বেধড়ক পিটিয়ে, কার্যত আধমরা করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়৷ বাকি ঘটনা ইতিহাস৷ কলকাতার বিশিষ্টজন থেকে দলমত নির্বিশেষে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব-- রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন সকলে৷ বিশাল মিছিলে স্লোগান উঠেছিল-- 'লাঠির মুখে গানের সুর, দেখিয়ে দিল যাদবপুর'৷ উঠেছিল আরো একটি স্লোগান৷ সত্তর দশকের উত্তাল ছাত্র রাজনীতির আমলে এক কবির লেখা অসামান্য এক লাইন-- 'পুলিশ, ওরে পুলিশ, কবি দেখলে টুপিটা তোর খুলিস৷' কোন আক্কেলে উপাচার্য ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢোকার নির্দেশ দিলেন, তা নিয়ে সে সময় রীতিমতো জবাবদিহি করতে হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে৷ শুধু সরকারের কাছে নয়, সমাজের কাছেও৷
ভারতের অধিকাংশ রাজ্যে সরকারি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম খুব পরিষ্কার৷ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকতে পারবে না৷ যত বড় ঘটনাই ঘটে যাক, উপাচার্য বা অধ্যক্ষ সম্মতি দিলে তবেই পুলিশ গেটের ভিতর ঢুকতে পারবে৷ একসময় উপাচার্য, অধ্যক্ষরা এই নিয়মটিকে গরিমা হিসেবে দেখতেন৷
চাকরি পাওয়ার পরে সেদিন আন্দোলনরত ছাত্রদের একজন প্রেসিডেন্সি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে গেছিল৷ ঘটনার অন্তত বছর পাঁচেক পরে৷ মাথায় হাত রেখে অধ্যক্ষ বলেছিলেন, ''তোমরা কেবল ছাত্র নও৷ সন্তান৷ আমাদের শিক্ষকেরাও সেভাবেই বড় করেছেন আমাদের৷'' নিজের কলেজ, নিজের ছাত্রদের প্রতি এই দায়বদ্ধতা যাদের আছে, তারা কি কখনো পুলিশের লাঠির সামনে সন্তানদের ঠেলে দিতে পারেন? যাদবপুরের ঘটনার পর একাধিক সাবেক উপাচার্য সেই প্রশ্নই তুলেছিলেন৷
সময় বদলেছে৷ রাজনীতির রঙ বদলেছে৷ সমাজে বেড়েছে অসহিষ্ণুতা৷ সেদিন যা ব্যতিক্রম ছিল, আজ সেটাই নিয়ম৷ বছরখানেক আগে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা ভারতের ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত থাকবে৷ রাতের অন্ধকারে কোনো প্ররোচনা ছাড়া সশস্ত্র পুলিশ ঢুকে পড়েছিল ক্যাম্পাসের ভিতর৷ ক্লাসরুম থেকে হস্টেল-- তছনছ করে দিয়েছিল পুলিশ৷ ছাত্রদের পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ দেশ জুড়ে তখন সিএএ বিরোধী আন্দোলন চলছে৷ জামিয়ার ছাত্ররাও তাতে অংশ নিয়েছিল৷ তাই এত আক্রোশ৷ ওই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল৷ প্রশ্ন উঠেছিল উপাচার্যের অবস্থান নিয়েও৷ উপাচার্য নির্দেশ না দিলে যে পুলিশ কখনোই ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারে না, সে কথা নতুন করে সামনে এসেছিল৷ কিন্তু উপাচার্যকে সমাজের সামনে কৈফিয়ত দিতে হয়নি৷ এর কিছুদিনের মধ্যে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো এক গোলমালের ঘটনা ঘটে৷ সেই ঘটনায় কিন্তু পুলিশকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি৷ বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঢুকে হারাকিরি চালালেও পুলিশ ছিল নীরব দর্শক৷ বহিরাগতদের আটকাতে পুলিশকে কেন সেদিন ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হলো না, গোটা দেশে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল৷ সেও এক কলঙ্কের ইতিহাস৷
আর বিশ্বভারতী? শান্তিনিকেতনে রবিঠাকুরের বিশ্বভারতীর কথা যত কম বলা যায়, ততই ভালো৷ ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢোকা সেখানে কার্যত নিত্যদিনের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ছাত্রদের সন্তান নয়, কার্যত 'অপরাধী'র সঙ্গে তুলনা করেন সেখানকার বর্তমান উপাচার্য৷ কথায় কথায় ছাত্রদের রাজনৈতিক রং নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷
পুনশ্চ: এই লেখা লেখার সময় প্রেসিডেন্সি কলেজের সেই সাবেক অধ্যক্ষকে ফোন করেছিল ছাত্র৷ একটি উদ্ধৃতি নেওয়ার জন্য৷ বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর জবাব দিলেন: ''বিস্মিত লাগে৷ ক্যাম্পাসগুলো কেমন যেন চোর-পুলিশ খেলার ময়দানে পরিণত হয়েছে৷ এমন দিনও যে দেখতে হবে ভাবিনি৷ এবার ভালোয় ভালোয় চলে যাওয়াই ভালো৷''
শাবিপ্রবি: প্রাধ্যক্ষ অপসারণের দাবি থেকে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন
শুরুটা প্রাধ্যক্ষ অপসারণের দাবিতে, পুলিশি হামলায় যা পরিণত হয় উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে৷ এক দফা দাবিতে অনড় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে সপ্তাহ পেরিয়ে৷ ঘটনাপ্রবাহ ছবিঘরে...
ছবি: bdnews24.com
যেখান থেকে শুরু
সূত্রপাত ১৩ জানুয়ারি, বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বিরোধের জেরে৷ অসদাচরণের অভিযোগে তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভে নামেন ছাত্রীরা৷ রাত ১১টার দিকে তারা অবস্থান নেন উপাচার্যের বাসভবনের সামনে৷ উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ দেন সমাধানের আশ্বাস৷ রাত আড়াইটায় ছাত্রীরা ফিরেন হলে৷
ছবি: bdnews24.com
তিন দফা দাবি
করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে পরদিন জাফরিন আহমেদকে ছুটিতে পাঠান উপাচার্য৷ অন্য একজনকে করেন ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষ৷ কিন্তু পুরো কমিটির পদত্যাগ, হলের অব্যবস্থাপনা দূর, ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ; তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ছাত্রীরা৷ তাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে উপচার্যের ঘণ্টাব্যাপী আলাপেও আসেনি সমাধান৷ শতাধিক আবাসিক ছাত্রী উপাচার্য কার্যালয় ঘেরাও করে শুরু করেন বিক্ষোভ৷
ছবি: bdnews24.com
‘ছাত্রলীগের’ হামলা
তৃতীয় দিনে আন্দোলনরত ছাত্রীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে শাবি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে৷ ১৫ তারিখ সন্ধ্যায় প্রক্টরের উপস্থিতিতেই এই ঘটনা ঘটে বলে ছাত্রীরা জানান৷ তাদের একজন বলেন, ‘‘আন্দোলনে সংহতি জানাতে আসা ১০-১২ জন ছাত্রকে তারা বেধড়ক মারধর করে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলমগীর কবির এ সময় সেখানে ছিলেন৷’’ প্রক্টর ও ছাত্রলীগের এক সদস্য একে ‘হাতাহাতি’ হিসেবে অভিহিত করেন৷
ছবি: bdnews24.com
পুলিশের হামলা
ছাত্রীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন৷ তাদের সঙ্গে একাত্ব হন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও৷ ১৬ তারিখ আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন তারা৷ তাকে মুক্ত করতে বিকালে উপস্থিত হয় পুলিশ৷ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তারা লাঠিপেটা, কাঁদুনে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে৷ শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাসহ আহত হন অর্ধশত৷
ছবি: bdnews24.com
পুলিশের মামলা
পরদিন পুলিশই অজ্ঞাত পরিচয় ২০০ থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীকে আসামি করে মামলা করে৷ অভিযোগ শিক্ষার্থীরা গুলি বর্ষণ ও পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করেছে৷ তবে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৩১টি শটগানের গুলি এবং ২১টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে৷
ছবি: bdnews24.com
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ
রোববার সন্ধ্যায় জরুরি সিন্ডিকেটে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ৷ পরদিন বারোটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দেয় তারা৷ এরমধ্যে প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা পদত্যাগ করেছেন বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানান উপাচার্য৷ কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবি, পুলিশি হামলার ঘটনার এবার উপাচার্যকেই যেতে হবে৷ ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রাতে বিক্ষোভ মিছিল করেন দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী৷
ছবি: bdnews24.com
প্রশাসনিক ভবনে তালা
শিক্ষার্থীদের দুপুর বারোটার আগে হল ত্যাগের নির্দেশ দিলেও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু রাখে কর্তৃপক্ষ৷ শিক্ষার্থীরা সেই নির্দেশ অমান্য করে উল্টো উপাচার্য কার্যালয়, দুটি প্রশাসনিক ভবন ও চারটি একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন৷ এক সমাবেশ থেকে ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে শাবিপ্রবিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন তারা৷
ছবি: bdnews24.com
সাবেকদের সহমর্মিতা
কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং ও ক্যান্টিন বন্ধ করায় নির্দেশ অমান্য করে ক্যাম্পাসে থেকে যাওয়া শিক্ষার্থীরা খাবার নিয়ে পড়েন বিপাকে৷ সমাধান হিসেবে হাজারো শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরের পাশে নিজেরাই রান্না ও খাবার আয়োজন শুরু করেন৷ আন্দোলনে একাত্মতার পাশাপাশি এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন৷
ছবি: bdnews24.com
রাষ্ট্রপতির কাছে পত্র
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ১৮ তারিখ রাষ্ট্রপতি ও আচার্য আব্দুল হামিদের কাছে চিঠি পাঠান শিক্ষার্থীরা৷ সেখানে তারা লিখেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের উপর এমন নৃশংস হামলা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুঝুঁকিতে ফেলায় শাবিপ্রবি উপাচার্য যেভাবে মূল কুশীলবের ভূমিকা পালন করেছেন তা সরাসরি সংবিধান বিরোধী এবং আপনার কর্তৃক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের উপর অর্পিত দায়িত্বের বরখেলাপ৷’’
ছবি: bdnews24.com
আমরণ অনশন
উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ ও পুলিশের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ১৯ তারিখ থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা৷ উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিকাল ৩টায় শুরু করা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন নয়জন ছাত্রী ও ১৫ ছাত্র৷ অনশনকারীদের ঘিরে রাখেন অন্য ছাত্র-ছাত্রীরাও৷ এর আগে উপাচার্যের পদত্যাগের জন্য বেলা ১২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন তারা৷
ছবি: bdnews24.com
অসুস্থ হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা
সময় যত গড়াচ্ছে তত স্তিমিত হচ্ছেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা৷ আমরণ অনশন করা ১১ জন শিক্ষার্থী শুক্রবার পর্যন্ত অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন৷ এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘অনেকেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে; আমরা পর্যাপ্ত মেডিকেল সাপোর্ট পাচ্ছি না৷ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকেও আমাদের কোনো মেডিকেল সাপোর্ট দিচ্ছে না৷’’ আলোচনার জন্য কোষাধ্যক্ষের নেতৃত্বে একটি দল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করলেও উপাচার্যের কোনো সাড়া মিলছে না৷
ছবি: bdnews24.com
ফরিদ উদ্দিন আহমেদ কে
বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে অনার্স, মাস্টার্স ও অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমইসি ডিগ্রিধারী৷ তার কোনো ডক্টরেট ডিগ্রি নেই৷ অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ২০০৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত টানা পাঁচ মেয়াদ ঢাবির সমাজ বিজ্ঞানের ডিন ছিলেন৷ সরকারপন্থি নীল দলের রাজনীতিতে যুক্ত এই শিক্ষক নেতা ২০১৭ সাল থেকে শাবিপ্রবির ভিসি৷