পুলিশের বিশেষ শাখার নিরাপত্তা ছাড়পত্র (ভেরিফিকেশন) ছাড়াই পাসপোর্ট পাওয়া যাবে এমন একটা সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। সেই সুপারিশ গ্রহণযোগ্য হিসেবে অনুমোদনও দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। জারি হয়েছে সরকারি পরিপত্র।
সংবাদটা শোনার পর বেশ কিছুক্ষণ ধন্দে ঘুরপাক খেয়েছি।
সংবাদটা শোনার পর থেকেই বেশ কিছু প্রশ্ন মাথায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, যার বেশিরভাগই নেতিবাচক। প্রশ্নগুলো জন্ম দিয়েছে কিছু শঙ্কাও।
এক. পুলিশ ভেরিফিকেশন না হলে যে কারো (পড়ুন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি, জঙ্গী কিংবা অপরাধী) পাসপোর্ট পেয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হবে না তো?
দুই. নিরাপত্তা ছাড়পত্র ছাড়া পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশযাত্রায় ভিসা প্রাপ্তি আরো কঠিন হয়ে যাবে না তো? ভিসা পেলেও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা আরেকটু নাজেহাল করার সুযোগ পেয়ে যাবে না তো? বিদেশি ইমিগ্রেশন থেকে রিজেক্টেড বা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে যাবে না?
তিন. এমনিতেই দুনিয়াজুড়ে বাংলাদেশের পাসপোর্টের যে মান তা আরো নিম্নমুখী হয়ে যাবে না তো?
আর এই প্রশ্নগুলোর সাথে আরেকটি সম্পূরক বিষয় মাথায় এলো, পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া পাসপোর্ট ইস্যু করার সিদ্ধান্তটা তাড়াহুড়ায় হলো না তো?
আপাতত এই প্রশগুলোর যে উত্তর পাওয়া গেল তার বেশিরভাগই ধারণাপ্রসূত; হাইপোথিসিস। তবুও উত্তর খুঁজতে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাবেক এক বড় কর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) এবং নিরাপত্তা ও অর্থনীতি বিষয়ক দু'জন সাংবাদিকদের মত নেওয়ার চেষ্টা করলাম। যদিও তারাও কোনো ‘সিঙ্গেল লাইন' উত্তর দিতে পারলেন না। তারাও আমার মতো ধন্দে আছেন। এই সিদ্ধান্ত ভালো কি মন্দ তার চেয়েও এই সিদ্ধান্ত আদৌ কোনো ক্ষতির কারণ হবে কিনা এ নিয়ে দ্বিধায় আছেন সবাই।
মোটাদাগে নিজের ভাবনা, কিছু হাইপোথিসিস এবং অন্যদের সঙ্গে আলোচনায় পাওয়া মতামত শেয়ার করি।
২.
শুরুতেই ভেরিফিকেশন প্রসঙ্গ।
এ ক্ষেত্রে খোঁজার চেষ্টা করেছি, বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্র্যাকটিস কী? তারা কিভাবে পাসপোর্ট ইস্যু করে? তারা কিভাবে নিশ্চিত হয় কাকে তারা পাসপোর্ট দেবে আর কাকে দেবে না?
ইনডেপ্থ না হলেও মোটাদাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল আমাকে চমকে দিয়েছে। প্রথম চমকটা হলো; ‘পাসপোর্ট ইস্যু করা যাবে না'-এমন সিদ্ধান্ত বেশিরভাগ দেশেই হাস্যকর। বেশিরভাগ দেশেই পাসপোর্ট প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার। কেউ পাসপোর্ট আবেদন করলেই তাকে পাসপোর্ট দিতে হবে। এমনকি তিনি সাজাপ্রাপ্ত হলেও, কেননা, এটা তার আইডেন্টিটি বা পরিচয়পত্র। সেই পরিচয় পত্র নিয়ে তিনি কোনো দেশে ভ্রমণে যাবেন বা যেতে পারবেন কিনা সেই প্রশ্ন একেবারেই সেকেন্ডারি।
অর্থাৎ, যদি তিনি বৈধ নাগরিক হয়ে থাকেন, তিনি পাসপোর্ট পাবেন। তবে তার বিদেশযাত্রা নির্ভর করবে অন্য বিষয়গুলোর ওপর। এই যেমন, ভিসা প্রাপ্তি বা ইমিগ্রেশন কর্মীদের সন্তুষ্টি (কনভিন্স করানো) সাপেক্ষে।
দ্বিতীয় চমক পাওয়া গেল পাসপোর্ট দেওয়ার পদ্ধতিতে। আমাদের এই অঞ্চল ছাড়া বিশ্বের অন্য প্রান্তে, বিশেষ করে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে পাসপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে ভেরিফিকেশন ব্যাপারটা নেই! নেই মানে নেই, তা নয়। তাদের এই ভেরিফিকেশন নামের ‘আমলাতান্ত্রিক কুন্ডলী'র মধ্যে দিয়ে যেতে হয় না। তারা ভেরিফাই বা যাচাই-বাছাই করে ডকুমেন্টস বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা নথি। অনেক জায়গায় তো সেই নথিও কাগুজে নয় বরং অনলাইনে আপলোড করা।
৩.
প্রথম শঙ্কা কেটে গেলেও দ্বিতীয়টা খটকা বাঁধিয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, যথাযথ যাচাই-বাছাই ছাড়া এই পাসপোর্ট ইস্যু করা হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তা কতটা গ্রহণযোগ্য হবে?
একটা পাল্টা প্রশ্ন দিয়ে অবশ্য এর উত্তর দেওয়া যায়; তাহলে যে সব দেশে পাসপোর্ট দিতে পুলিশি-ভেরিফিকেশন লাগে না তাদের পাসপোর্ট কি গ্রহণযোগ্য নয়?
এর উত্তরও আছে; সেই দেশগুলোর পাসপোর্টের মান নিয়ে গোটা বিশ্বে কোনো প্রশ্ন নেই। বিশ্বের যে কোনো দেশের এয়ারপোর্টে সেই পাসপোর্টগুলো ওজনদার পাসপোর্ট হিসেবে গণ্য হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যা মোটামুটি উল্টো।
পুলিশি যাচাই-বাছাইহীন বাংলাদেশি পাসপোর্টের বেলায় সেই সুবিধে পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টো সবুজ এই পাসপোর্ট নিয়ে সন্দেহ আছে বিশ্বের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে। এয়ারপোর্ট থেকে এয়ারপোর্টে ভ্রু কুঁচকানো অফিসার দেখে আমাদের অভ্যাস। কেউ তো বিরক্তির চোখেও দেখে। ওদের চোখের ভাষায় বাংলাদেশি পাসপোর্ট বহনকারী ‘ক্ষতিকর' বা ‘নিষিদ্ধ মানুষ'!
প্রশ্ন হলো, যখন জানাজানি হবে বাংলাদেশ পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট দিচ্ছে, তখন তাদের সন্দেহ আরো বাড়বে কিনা? গোটা বিশ্বে এই সবুজ পাসপোর্ট বহনকারী আরো বেশি হেনস্থার শিকার হবেন কিনা? এমনিতেই তলানিতে থাকা পাসপোর্টের মান আরো কমে যাবে কিনা? কেননা আমরা যেমন জানি, সেটা অন্যরাও নিশ্চয়ই জানে, আমাদের দেশের অনেকেরই একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র আছে। কেন আছে, কিভাবে আছে সেই প্রশ্নের উত্তর না খোঁজাই ভালো। এর উত্তরও অনেকের জানা। অন্তত পত্র-পত্রিকায় এর স্বপক্ষে বেশ কিছু তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাবে।
সেই বিবেচনায় একজন ব্যক্তির হাতে একাধিক পাসপোর্ট থাকার বিষয়টিও অমূলক নয়। এই হিসেবে যার বা যাদের হাতে বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকার কথা নয- এমন ব্যক্তি এবং বিদেশে যেতে বাধা বা নিষেধাজ্ঞা আছে- এমন অপরাধীর হাতেও একাধিক পাসপোর্ট থাকার আশঙ্কা থাকে।
৪.
শঙ্কা তো বটেই। তবে সেই শঙ্কা তো সরকারের নয়। থাকার কথাও নয়। সরকারের কাজ একজন বৈধ নাগরিকের নামে পরিচয়পত্র ইস্যু করা। ভিসা দেওয়া কিংবা ওই দেশে প্রবেশাধিকার দেওয়া তো সেই সংশ্লিষ্ট দেশের কাজ। পাসপোর্ট যেহেতু মোটাদাগে আন্তর্জাতিক ভ্রমণে ব্যবহার হয়, সেক্ষেত্রে এর সঙ্গে সরকার তার নাগরিকের অধিকারে আপোষ করবে কেন?
যুক্তি হিসেবে অকাট্য।
৫.
এবার দেখি বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশগুলোতে পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রেঅনুশিলন কী?
পশ্চিমের বেশিরভাগ আর উন্নত বিশ্বের প্রায় সবক'টা দেশেই পাসপোর্ট হয়ে থাকে ডেটাবেজের ভিত্তিতে। কোনো নাগরিকের ব্যক্তিগত নম্বর বা আইডেন্টিফিকেশন নম্বরের বিপরীতে তাকে পাসপোর্ট দেওয়া হয়। ওই নম্বরের বিপরীতে তার নামে কোনো আইডি-কার্ড থাক বা না থাক! তারা ওই নম্বরের ভিত্তিতেই পাসপোর্ট প্রদান করে। কেননা, সরকারি ডেটাবেজে ওই নম্বরের বিপরীতে নির্দিষ্ট ব্যক্তি প্রমাণে যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত থাকে।
আবার ভিন্ন গল্পও আছে। এই যেমন ভারত, নেপালের মতো দেশে পাসপোর্ট পেতে পুলিশের ভেরিফিকেশন বা নিরাপত্তাবেষ্টনী পার করতে হয়।
এর কারণ কী? কারণ, প্র্যাকটিস। জানা গেল, পাসপোর্ট প্রাপ্তির এই পুলিশি সংযোগ যুক্ত হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে। তখন থেকেই এ অঞ্চলের মানুষের ভিনদেশ যাত্রায় ব্যবহার করা পাসপোর্ট বা পরিচয়পত্র পেতে নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হতে হতো। এখনো লাগে।
৬.
তাহলে কোন প্র্যাকটিসটা ভালো? আমরা কি ভালো প্র্যাকটিসটা থেকে সরে এলাম? নাকি নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আরেকটু বাস্তবিক হলাম?
বিষয়টি নিয়ে ধন্দ কাটছে না। তার ওপর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ‘রোহিঙ্গা' নামের অশনি-সঙ্কেত যুক্ত হয়ে ব্যাপারটাকে আরেকটু ঘোলাটে করে দিয়েছে। এমনিতেই অবৈধ পন্থায় অনেক রোহিঙ্গা পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর গল্প এবং প্রমাণ দু'টোই আমাদের কাছে আছে। এই সিদ্ধান্ত রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট প্রাপ্তি আরেকটু সহজ করে দেবে কিনা সেই প্রশ্নও উঠছে।
৭.
যেহেতু সিদ্ধান্ত ‘পরিপত্র' হিসেবে নির্দেশনায় চলে এসেছে৷ ফলে আপাতত হাইপোথিসিস লম্বা করার সুযোগ কম। অর্থাৎ, সিদ্ধান্তটা কতটা বাস্তবিক বা সময়পোযোগী এসব না ভেবে বরং কিভাবে পাসপোর্ট ইস্যু হবে বা কী পন্থায় ইস্যু হলে এই পাসপোর্ট নিয়ে দুনিয়াজুড়ে হেনস্থায় পড়তে হবে না সেই বিষয়ে আলোচনা করা যাক।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে বলা হয়েছে; নতুন পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করা জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আবেদনকারীকে পাসপোর্ট দেওয়া হবে।
আর বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পাসপোর্টের নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাইকৃত জন্মনিবন্ধন সনদের তথ্যের ভিত্তিতে আবেদনকারীকে পাসপোর্ট দেবে অধিদপ্তর।
এছাড়া পাসপোর্ট পুনঃনবায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান পাসপোর্টের সঙ্গে মৌলিক তথ্যের পরিবর্তন হলে জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদত্ত তথ্য দিয়ে পাসপোর্ট ইস্যু করা যাবে।
এর সঙ্গে পাসপোর্ট আবেদনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র ডেটাবেজ বা জন্মনিবন্ধন ডেটাবেজের সঙ্গে যাচাই করা হলে তা বাংলাদেশ পাসপোর্ট আদেশ ১৯৭৩-এর ৫ (২) ধারার উদ্দেশে পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে গণ্য হবে।
ব্যস হয়ে গেল সমাধান।
৮.
আদতে কী সমাধান হলো?
বাংলাদেশে যে পক্রিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন হয় সেটা আর কারো না হলেও এ দেশের মানুষ ভালোই জানেন। সব তথ্য-উপাত্ত ঠিকঠাক থাকার পরও টেবিলের নিচের কারবার না ঘটলে এনআইডি বা নিবন্ধন পাওয়া যে সহজ নয় তা কেবল যারা এখনো প্রক্রিয়ার মধ্যে ঢোকেননি তাদেরই অজানা।
তাহলে ঘুস দিয়ে বা অবৈধ পথে যে কোনো জঙ্গি, বড় অপরাধী কিংবা কোনো ভিনদেশি জন্ম-নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র করে পাসপোর্ট করে নেবেন না তার কী গ্যারান্টি?
এ নিয়ে সুরক্ষা বিভাগের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা কিছুটা আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ইদানিং জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া আগের তুলনায় সহজ হলেও কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তারা বেশ সতর্ক।
অনলাইন জন্মসনদ, শিক্ষাগত সনদ বা স্থানীয় সরকারের প্রত্যয়ন অনলাইন হওয়ায় যথেষ্ট যাচাই-বাছাইয়ের পরই কেবল পাওয়া যায় এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্র। তার মতে, সবক'টা ডকুমেন্ট ভালো করে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে পাসপোর্ট দিলে খুব শঙ্কা থাকবে না।
তবুও যে দু'একটা ঘটনা ঘটতে পারে, সেটাও মেনে নিয়ে এই কর্মকর্তা বললেন, সেটা তো পুলিশ ভেরিফিকেশনের পরও ঘটছে। যারা অবৈধ পন্থায় পাসপোর্ট নিতে চান, তারা তো পুলিশি জাল ভেদ করেও পাসপোর্ট নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন। রোহিঙ্গাদের হাতে পাসপোর্ট তার উদাহরণ।
তার এই যুক্তিও ফেলনা নয়। আপাতত তাই, সরকারের সিদ্ধান্ত সুষ্ঠু বাস্তবায়ন হোক এটাই প্রত্যাশা করা আর ফল দেখার অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই।
তবে ব্যক্তিগত মত হল, সম্ভবত বিষয়টি নিয়ে একটু তাড়াহুড়োই করে ফেললো সরকার। সবে ডিজিটাইজেশনের যুগে প্রবেশ করা বাংলাদেশে চাইলে ভেরিফিকেশন ছাড়া পাসপোর্ট ইস্যু করার সিদ্ধান্তে আরেকটু সময় নেয়া যেতো।
এখন যেমন সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জন্ম নিবন্ধনের একটা প্রচলন শুরু হয়েছে, সেটি আর এক দুই জেনারেশন গেলে পোক্ত হতো।
কারণ, সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করতে এখন বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন এবং সেই বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন করতে তার বাবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন চাওয়া হয়। এভাবে আর একটা প্রজন্ম এই প্র্যাকটিসের মধ্য দিয়ে গেলে হয়ত আরেকটু বেশি ভরসা পাওয়া যেতো। তাতে পুলিশি ভেরিফিকেশন ছাড়া পাসপোর্ট ইস্যু করাতেও তেমন শঙ্কা থাকতো না।
