‘পুলিশ, ডাক্তার, প্রকৌশলী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাদকাসক্ত’
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১০নিজ কার্যালয়ে মোখলেসুর রহমান বলেন, এই মাদকাসক্তির ফলে পুরো প্রশাসন এবং সেবা কাঠামোতে এক ধরনের অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে৷ তিনি জানান, ডাক্তারদের কেউ কেউ নাকি ফেনসিডিল খেয়ে রোগীর অপারেশন করছেন৷ আর পুলিশ ফেনসিডিল খেয়ে অপরাধীদের ধরতে যাচ্ছে৷ ফলত এতে, কি পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে তা সহজেই অনুমান করা যায়৷
ডিআইজি মোখলেসুর রহমান বলেন, বর্তমানে অপরাধ দমন অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে৷ এর কারণ, অপরাধ প্রবণতা এখন সবখানে৷ বিশেষ করে পর্নোগ্রাফি এখন এক ভয়াবহ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ আর আধুনিক মোবাইল ফোন এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷
পুলিশই যদি মাদকাসক্ত হয় এবং অপরাধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে অপরাধ দমনের কি হবে জানতে চাইলে ডিআইজি বলেন, পুলিশের একার পক্ষে এখন আর অপরাধ দমন সম্ভব নয়৷ তাই তিনি পুলিশে শুদ্ধি অভিযান এবং কাউন্সিলিংয়ের কথা বলেন৷
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে মাদক একটি ভয়াবহ সমস্যা হযে দাঁড়িয়েছে৷ বিশেষ করে তরুণ সমাজ ক্রমশই মাদকের দিক ঝুঁকছে৷ গবেষণায় দেখা গেছে মাদকাসক্তদের ৮০ ভাগই ১৭ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে৷ এছাড়া, আসক্তদের ১২ থেকে ১৫ ভাগ তরুণী বা মহিলা৷ আর এই সংখ্যা দিন-দিনই বাড়ছে৷
মাদকের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ফেনসিডিল, হেরোইন, প্যাথেড্রিন ও গাজা৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, মাদকের সঙ্গে পর্নোগ্রাফির সম্পর্ক রয়েছে৷ তাই পর্নোগ্রাফিও বাড়ছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ