‘পুসি রায়টস’
২৩ জানুয়ারি ২০১৩রাশিয়ার তিন তরুণী মিলে যখন ‘পুসি রায়টস' ব্যান্ড শুরু করেছিলেন, তখন তাঁরা স্বপ্নেও ভাবেন নি যে তাঁদের এমন পরিণতি হবে৷ এক গির্জায় ঢুকে রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুটিন-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাতে গিয়ে তাঁদের জেলে যেতে হয়৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল থেকে শুরু করে ম্যাডোনা ও পল ম্যাককার্টনি-র মতো সংগীত শিল্পীরাও তাঁদের মুক্তির উদ্যোগ নিয়েছেন৷
এই ‘পুসি রায়টস' ব্যান্ড নিয়ে অ্যামেরিকায় একটি চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে৷ নাম – ‘পুসি রায়টস – এ পাংক প্রেয়ার'৷ পরিচালক মাক্সিম পজদরভকিন ও মাইক লার্নার৷ ছবিটি সম্প্রতি অ্যামেরিকার সানডান্স-এ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘স্বাধীন' চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে৷
সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সহ পরিচালক পজদরভকিন দাবি করছেন, এই নারীরা মোটেই শুধু পুটিন-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখান নি, তাঁরা গোটা সরকারি কাঠামোর বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়িয়েছেন, যা সনাতনপন্থী ও পুরুষতান্ত্রিক৷ তাঁরা আসলে সমাজে এক নারীবাদি বিপ্লব চাইছেন৷ তাছাড়া ‘পুসি রায়টস' শুধু একটা সংগীতের ব্যান্ডও নয়, নারীবাদিদের একটা সংঘ৷
মস্কোয় গির্জার মধ্যে ঢুকে ৪০ সেকেন্ডের ‘পাংক প্রেয়ার' করে ‘পুসি রায়টস' সমাজে যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, তা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন পজদরভকিন৷ ধর্মীয় মৌলবাদ, রাজনীতি, শিল্পকলার জগত – সমাজে কোনটা কতটা গ্রহণযোগ্য, তা তুলে ধরতে চেয়েছেন তিনি৷ তাঁর মতে, ‘পুসি রায়টস' এর আগেও বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যে তাদের সংগীতের মাধ্যমে সমাজকে নাড়া দিতে চেয়েছে, মানুষকে খুঁচিয়ে প্ররোচনা সৃষ্টি করেছে যাতে তারা প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং তা থেকে একটা সংলাপের জন্ম হয়৷
‘পুসি রায়টস' নিয়ে তৈরি ছবিও শুরু হচ্ছে এমন কিছু দৃশ্য দিয়ে৷ প্রথমে এক বিউটি পার্লারে ঢুকে শিল্পীরা রুশ নারীর সনাতন ভাবমূর্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন৷ তারপর তাঁদের রেড স্কোয়্যারে প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে৷ শিল্পীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারও তুলে ধরা হয়েছে৷
এসবি/ডিজি (এএফপি)