টানা ১১ দিন ধরে বাংলাদেশে চলছে বিএনপির ডাকে অবরোধ৷ এই ১১ দিনে আগুনে পুড়ে ও পেট্রোল বোমা দগ্ধ হয়ে অন্তত ২৪ জন মারা গেছেন৷ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে আরো ১২ জন৷
বিজ্ঞাপন
এদিকে দেশের এই সংকটের মধ্যে আবারো তৎপরতা শুরু করেছেন বিদেশি কূটনীতিকরা৷ দেশের অবস্থা স্বাভাবিক করতেই তাঁদের এই চেষ্টা বলে দাবি করছেন কোন কোন কূটনীতিক৷ তবে সরাসরি এ সব বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছেন না৷ সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানের গুলশানের বাসায় বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত পশ্চিমা আটটি দেশের কূটনীতিক৷ আবার একই সময়ে ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিক, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও তাঁর ভাই সাবেক মন্ত্রী জি এম কাদের৷
জানা গেছে, বিএনপি জোটের টানা অবরোধে সহিংসতা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে সরকারের অবস্থান জানার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন পশ্চিমা আটটি দেশের এসব কূটনীতিক৷ এ সময় রাজনৈতিক সংকটসহ সার্বিক পরিস্থিতি কূটনীতিকদের অবহিত করেন বিএনপি নেতারা৷ সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন কূটনীতিকরা৷ তাঁরা বলেন, অবিলম্বে সব নাশকতা বন্ধ হওয়া উচিত৷ উভয়পক্ষকে সংযম প্রদর্শন করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ বের করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তাঁরা৷ বিএনপি নেতারা অবশ্য এই বৈঠক নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি৷ তাঁরা দাবি করেছেন, মঈনের খানের আমন্ত্রণে তাঁরা নৈশভোজে অংশ নিতে এসেছিলেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবাসিক প্রতিনিধি পিয়ের মায়াদুনের নেতৃত্বে ফ্রান্স, স্পেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতরা বৈঠকে ছিলেন৷ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অষ্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার, ক্যানাডার হাইকমিশনের একজন কর্মকর্তা এবং ডিএফআইডি-র কান্ট্রি ডিরেক্টর৷ বৈঠকের ব্যাপারে কূটনীতিকরাও কিছু বলেননি৷
অস্থির বাংলাদেশ
বাংলাদেশে দশম সংসদীয় নির্বাচনের বছরপূর্তিতে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ এতে একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে৷ ৫ই জানুয়ারি রাজনৈতিক অস্থিরতার কয়েকটি ছবি পাবেন এখানে৷
ছবি: picture alliance/ZUMAPRESS.com
অবরুদ্ধ খালেদা
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে তাঁর গুলশান কার্যালয়ে আটকে রেখেছে পুলিশ৷ যদিও সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, তবে সোমবার তিনি বাইরে যেতে চাইলে পুলিশ তাঁর গেটে তালা লাগিয়ে দেয়৷ ফলে অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন গেটের মধ্যেই৷
ছবি: AFP/Getty Images
অবরোধ ঘোষণা
অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন৷ গুলশানের কার্যালয়ে সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আজ আমাদের কালো পতাকা কর্মসূচি ছিল৷ সমাবেশ করতে দেওয়া হয় নাই৷ পরবর্তী কর্মসূচি না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলবে৷’’
ছবি: picture-alliance/epa/A. Abdullah
খালেদার কার্যালয় ঘিরে পুলিশ
প্রসঙ্গত, গত দু’দিন ধরে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ৷ ছবিতে পুলিশে একটি গাড়ি রাস্তায় আড়াআড়িভাবে রেখে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ এভাবে আরো কয়েকটি বালু এবং ইটভর্তি ট্রাকও রাখা হয়েছে৷
ছবি: picture alliance/Landov
গাড়িতে আগুন
রবিবার থেকেই ঢাকায় সভা, সমাবেশ, শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছিল৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে অটল থাকে বিএনপিসহ বিশ দল৷ ঢাকায় একটি সিএনজি এবং মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ছবি এটি৷ বিএনপি সমর্থকরা এটা করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা৷
ছবি: picture alliance/ZUMAPRESS.com
পার্ক করা গাড়িতে আগুন
পার্ক করে রাখা একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দিচ্ছে বিএনপির সমর্থকরা৷ ছবিটি ঢাকা থেকে তোলা৷
ছবি: picture-alliance/epa/A. Abdullah
রাজপথে সরব আওয়ামী লীগ
পুলিশ সভা, সমাবেশ নিষিদ্ধ করলেও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হন৷ বিষয়টি সমালোচনা করে ফেসবুকে সাংবাদিক প্রভাষ আমিন লিখেছেন, ‘‘...নিষেধাজ্ঞা কি শুধু বিএনপির জন্য? আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তো দেখি শহরজুড়ে মিছিল করছে, উল্লাস করছে, গান শুনছে, গান গাইছে৷’’ ছবিতে ঢাকায় বিএনপির এক সমর্থককে পেটাচ্ছে আওয়ামী লীগের কর্মীরা৷
ছবি: picture-alliance/epa/A. Abdullah
‘শান্তির পথে আসুন’
এদিকে সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বিএনপি নেত্রীকে শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তবে মধ্যবর্তী নির্বাচনের যে দাবিতে বিএনপিসহ বিশদল আন্দোলন করেছে, সেই দাবির প্রতি কোন নমনীয়তা দেখাননি তিনি৷ হাসিনা মনে করেন, সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়াটা বিএনপির রাজনৈতিক ভুল ছিল৷
ছবি: Oli Scarff/Getty Images
‘একতরফা’ নির্বাচন
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল অংশ নেয়নি৷ সেই নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে কোন ভোটাভুটি হয়নি৷ বাকি আসনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল বেশ কম৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেটিকে ‘একতরফা’ নির্বাচন আখ্যা দিয়েছে৷
ছবি: DW
8 ছবি1 | 8
এদিকে ভারতীয় হাইকমিশনারের বাসায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির নেতাদের বৈঠকের ব্যাপারে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সচিব সুনীল শুভ রায় জানান, কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়, তাঁরা গিয়েছিলেন একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে৷
কূটনীতিকদের এই তৎপরতাকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহীদুজ্জামান৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘দেশের এই সংকটকালে কূটনীতিকরা বসে থাকতে পারেন না৷ আমরা যদি নিজেদের সমস্যা নিজেরা সমাধান করতে না পারি, তাহলে বিদেশিরা তো আসবেই৷'' ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগের সময়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘তখন তো সব দলই বিদেশিদের কাছে গিয়েছিল৷ বর্তমানে সরকারে যারা আছে তারা তখন কিন্তু বিদেশিদের কাছে কথা দিয়েছিল এখানে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার ব্যবস্থা করা হবে৷ মানবাধিকার, সুশাসন নিশ্চিত করবেন৷ কিন্তু তাঁরা তো কিছুই করছেন না৷''
সহিংসতায় প্রধান হাতিয়ার ‘পেট্রোল বোমা’
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার সময় পেট্রোল বোমার ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে৷ হাতে তৈরি এই বোমা ব্যবহার করে গাড়িতে আগুন দেয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে৷ এই বিষয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
পেট্রোল বোমায় পুড়ছে জীবন
বাংলাদেশে ২০১৩ সালে সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষ৷ নির্বাচনসংক্রান্ত জটিলতা ছাড়াও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুতে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এসময়৷ হরতাল, অবরোধ চলাকালে ব্যাপক আকারে ব্যবহার হয়েছে পেট্রোল বোমা৷
ছবি: imago/imagebroker/theissen
যেভাবে তৈরি হয় এই বোমা
কাঁচের বোতল, পেট্রোল আর কিছু ভাঙা কাঁচ বা মার্বেলের টুকরা ব্যবহার করে পেট্রোল বোমা তৈরি করছে দুর্বৃত্তরা৷ এরপর সুযোগ বুঝে সেগুলো নিক্ষেপ করছে যাত্রীবাহী গাড়িতে৷ ফলে গাড়ি পুড়ছে, সঙ্গে পুড়ছে মানুষ৷ সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতার আগুনে পুড়ে মারা গেছেন বেশ কয়েকজন৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: picture alliance/abaca
রয়েছে অন্য বোমাও
তবে শুধু পেট্রোল বোমাই নয়, লাল বা কালো টেপে মোড়া ককটেলও ব্যবহার হচ্ছে বাংলাদেশে৷ ককটেল তৈরিতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ এবং ছোট পেরেক বা লোহার টুকরা৷ এছাড়া বোমা তৈরিতে গান পাউডারও ব্যবহার করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বোমা বাণিজ্য
রাজনৈতিক অস্থিরতায় সময় হাতে তৈরি বোমার চাহিদা বেড়ে যায়৷ তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও পেশাদারি গ্রুপও বোমা তৈরি করে৷ চড়া দামে এসব বোমা বিক্রিও করা হয়৷ গত বছর পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, একেকটি হাত বোমার দাম ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত৷
ছবি: Reuters
বড় পর্যায়ে বোমা হামলা
বলাবাহুল্য, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে আত্মঘাতী বা বড় পর্যায়ে বোমা হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি৷ তবে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) বাংলাদেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল৷
ছবি: dpa - Bildfunk
আত্মঘাতী হামলা
১৭ আগস্টের সেই সিরিজ হামলার পর কয়েকটি আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনাও ঘটে৷ দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেসময় ‘‘বোমা হামলায় বিচারক, আইনজীবী, পুলিশ, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হন৷’’ তবে নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর হাতে জঙ্গিবাদের উত্থান দমনে সক্ষম হয়৷ ২০০৭ সালে জেএমবির কয়েকজন শীর্ষ নেতার ফাঁসি কার্যকর হয়৷
ছবি: AP
বোমা নিষ্ক্রিয়করণ টিম
ডয়চে ভেলের ঢাকা প্রতিনিধি হারুন উর রশীদ স্বপন জানান, বাংলাদেশ পুলিশের শক্তিশালী বোমা নিষ্ক্রিয়করণ টিম রয়েছে৷ তাদের কাছে আধুনিক সরঞ্জামও রয়েছে৷ ইতোমধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ের বোমা নিষ্ক্রিয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছে পুলিশের এই টিম৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
7 ছবি1 | 7
অপরদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এখন শুধুই অগ্নিদগ্ধদের আহাজারি৷ এক ফ্লোরে যখন সেলিমের চাপা আর্তনাদ, ঠিক তখনই অন্য ফ্লোর থেকে ভেসে আসে এক মায়ের বুকফাটা আহাজারি৷ গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর রাজধানীর কমলাপুরে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হন সেলিম৷ একই সঙ্গে পুড়ে যায় তার লেগুনাটিও৷ মাত্র পাঁচ মাস আগে ধারদেনা করে লেগুনাটি কিনেছিলেন তিনি৷ প্রতি সপ্তাহে কিস্তি দিতে হয় নয় হাজার টাকা৷ এমন আর্থিক চাপের কারণেই অবরোধের মধ্যে লেগুনা নিয়ে বের হতে হয়েছিল তাকে৷ অগ্নিদগ্ধ সেলিমের জীবন এখন অনিশ্চিত৷ ক্লাস ওয়ানে পড়ুয়া ছেলের বই কেনা হয়নি৷ সরকার তার চিকিৎসার খরচ বহন করলেও পরিবারের খোঁজ রাখবে কি? এমনই প্রশ্ন সেলিমের৷ এই পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যুই যেন তার কাছে শ্রেয়!
রংপুরের মিঠাপুকুরের মিনারা বেগম, বগুড়ার স্বপ্না আক্তার, ময়মনসিংহের সিদ্দিকুর রহমানসহ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যে ১২ জন চিকিৎসাধীন, তাঁদের কারোই পারিবারিক অবস্থা সেলিমের চেয়ে আলাদা নয়৷ তাঁরাও জানতে চান, কী হবে তাদের? কে দেখবে তাদের পরিবারের সদস্যদের? গত ১৭ দিনে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রোল বোমা ও হাতবোমায় দগ্ধ ৪৬ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়৷ এর মধ্যে চারজন মারা গেছেন৷ চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১২ জন৷ বাকিদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, চিকিৎসাধীন ১২ জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক৷ তবে বেশী খারাপ অবস্থা ৮ জনের৷ এদের যে কেউ যে কোনো সময় মৃত্যুর কাছে হার মানতে পারে৷