পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ আংশিক তালিকা প্রকাশ করেছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ সংযুক্ত মোর্চা৷
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার পূর্ব ঘোষণা মতোই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি তার কালীঘাটের বাড়ির দপ্তর থেকে দলের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করলেন৷ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯৪ আসনের মধ্যে ২৯১টিতেই প্রার্থী দিচ্ছে তৃণমূল৷ দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কার্শিয়াং, পাহাড়ের এই তিনটি আসন কেবল ‘বন্ধু’দের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালেন মমতা৷ বাকি ২৯১ জনের মধ্যে নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৫১ জন, মুসলিম সম্প্রদায় থেকে ৩৫ জন, তফসিলি জাতি থেকে ৭৯ জন, যাদের মধ্যে ১১ জন এমন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, যেগুলি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত আসন নয়৷ এ ছাড়া তফশিলি উপজাতি থেকে প্রার্থী হবেন ১৭ জন, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি থেকে ১৯ জন৷ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির হিন্দু–অহিন্দু বিভাজন কৌশলের মোকাবিলা করতে এবার তৃণমূল নেত্রী সংখ্যালঘু, দলিত, তফসিলি জাতি, উপজাতি ও সামাজিক অর্থনৈতিকভাবে অনুন্নত শ্রেণির ভোট টানতে অনেক বেশি সচেষ্ট হয়েছেন৷ এই প্রার্থীতালিকা তার সেই পাল্টা রণনীতিরই প্রতিফলন ঘটালো৷
পশ্চিমবঙ্গে বাম জোটের ভোট-কৌশল
পশ্চিমবঙ্গে আনুষ্ঠানিক জোট গঠন করে লড়ছে বাম ও কংগ্রেস। সঙ্গে আছে আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ। কী ভোট-কৌশল নিয়েছে তারা।
পশ্চিমবঙ্গে এর আগে বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক জোট হয়নি। এবার হয়েছে। ব্রিগেডের জনসভায় দেখা গেছে জোটের ছবি। সেই ব্রিগেডে সীতারাম ইয়েচুরি ভাষণ দিচ্ছেন।
ছবি: Sandip Saha/Pacific Press/picture alliance
বার্তা দেয়ার জন্য
এর আগে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করলেও ভোটের প্রচারে বাম ও কংগ্রেস নেতাদের এক মঞ্চে দেখা যায়নি। গত বিধানসভা নির্বাচনে একেবারে শেষে রাহুল গান্ধীর জনসভায় ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ফলে সমঝোতার বার্তা ঠিকভাবে মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। তাতে ক্ষতি হয়েছে বাম-কংগ্রেসের। তাই এবার আঁটঘাট বেঁধে লড়াই।
ছবি: Sonali Pal Chaudhury/NurPhoto/picture alliance
সঙ্গী আইএসএফ
নতুন দল তৈরি করেছেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। দলের নাম ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ। সিদ্দিকির দলকে জোটে নিয়েছে বাম ও কংগ্রেস। কারণ, তারা মুসলিম ভোট ভাগ হতে দিতে চায় না। মুসলিম ভোট পাওয়ার উপরই নির্ভর করছে মালদহ ও মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বামেদের জয়ের সম্ভাবনা।
ছবি: Naushad Bhai
সিদ্দিকিকে নিয়ে বিতর্ক
আব্বাস সিদ্দিকিকে নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে। তুলেছেন আনন্দ শর্মার মতো কিছু নেতা। তারা বলছেন, সিদ্দিকি কট্টরপন্থি। তাই তার সঙ্গে জোট কংগ্রেসের আদর্শের বিরোধী। তার জবাব দিয়েছেন অধীর। ঘটনা হলো, সিদ্দিকি আলাদা লড়লে মুসলিম ভোট কাটতে পারেন। তাই নিজেদের স্বার্থেই কংগ্রেস তার সঙ্গে জোটে গেছে।
ছবি: Naushad Bhai
সকলকে সঙ্গে নিয়ে
বাম নেতারা এবার সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চান। তাই ব্রিগেডের সভায় সব দলের নেতা ভাষণ দিয়েছেন। এমনকী জোটের আসন ঘোষণার কাজও তারা একসঙ্গে করতে চান। তাই সিপিএম সহ বাম দলগুলির এবং আইএসএফের প্রার্থী ঘোষণার সময়ও কংগ্রেসের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ছবি: UNI
বিকল্প হওয়ার লক্ষ্যে
বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট তৃণমূল ও বিজেপি-র বিকল্প হতে চায়। তারা যে শক্তিশালী তা বোঝানোর চেষ্টা চলছে। গতবার বামেরা কংগ্রেসের থেকেও কম আসন পেয়েছিল। তাই বিধানসভায় বিরোধী নেতার পদ পেয়েছিলেন কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান। এবার তারা আসন বাড়াতে চাইছে। তৃণমূল ও বিজেপি-র বিকল্প হতে চাইছে জোট।
বাম প্রার্থী তালিকায় নতুন মুখদের প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। একগুচ্ছ তরুণ নেতা ও নেত্রীকে প্রার্থী করা হচ্ছে। ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে আসা নেতা-নেত্রীদের প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই উদ্যোগ বামেদের।
ছবি: Payel Samanta/DW
কংগ্রেসে অধীরই প্রধান
কংগ্রেসের রাজ্য নেতাদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় এবং আসন জেতানোর ক্ষমতার নিরিখে সব চেয়ে এগিয়ে অধীর চৌধুরী। তিনি নিজের জেলা মুর্শিদাবাদে সব চেয়ে জনপ্রিয় নেতা। অন্য জেলাতেও তার জনসভায় ভালো ভিড় হচ্ছে। কংগ্রেস প্রার্থীদের জেতানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধেই নিতে হচ্ছে অধীরকে।
ছবি: Zumapress/Imago Images
জোট কি পারবে?
বামেদের নেতৃত্বে সংযুক্ত মোর্চা কি সাধারণ মানুষের সমর্থন পাবে? হারাতে পারবে বিজেপি ও তৃণমূলকে? বামেদের ডাকা ব্রিগেডের সভায় প্রচুর ভিড় হয়েছে। তা দেখেই জোট ভোটে সাফল্য পাবে এমন কথা বলা যায় না। জোটের সামনে খুবই কঠিন চ্যালেঞ্জ। তৃণমূলের প্রধান বিকল্প এখন বিজেপি। এই দুই দলকে পিছনে ফেলে জোট এগিয়ে যেতে পারবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। তবে ওই দুই দল গরিষ্ঠতা না পেলে, তখন জোটের গুরুত্ব খুবই বেড়ে যাবে।
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
9 ছবি1 | 9
গত বিধানসভা ভোটের বেশ কয়েকজন বিজয়ী প্রার্থী এবার বাদ পড়লেন৷ তার মধ্যে দুজন মন্ত্রীও আছেন৷ অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এবং শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু৷ বয়স এবং অসুস্থতার কারণে এরা দুজন যে এবার প্রার্থী না-ও হতে পারেন, সে আভাস আগেই ছিল৷ এবার কোভিড সংক্রমণ পরিস্থিতি মাথায় রেখে ৮০ বছরের উপরে বয়স, এমন কাউকেই টিকিট দিলো না তৃণমূল৷ আরেক প্রাক্তন আমলা মনীশ গুপ্তও সম্ভাবনা থাকা সত্বেও টিকিট পেলেন না৷ যদিও মমতা জানিয়েছেন, জিতে ফিরলে বিধান পরিষদ গঠন করে এদের সবাইকে তিনি জায়গা দেবেন৷ শরীর ভালো না থাকায় একদা মমতার ছায়াসঙ্গী সোনালী গুহ এবার ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না বলে মমতা নিজেই জানালেন৷ যদিও রাজনৈতিক মহলের খবর, মমতা এবং দলের সঙ্গে সোনালীর দূরত্ব তৈরি হয়েছে অনেকদিনই৷ স্মিতা বক্সিও এবার প্রার্থী হলেন না, সেটা রাজনৈতিক কারণে, জানিয়েছেন মমতা৷ টিকিট পেলেন না জীবন মুখার্জি, সমীর চক্রবর্তী, অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়৷
বাংলা সিনেমা-সিরিয়ালের একঝাঁক তারকা এবার যথারীতি তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন, যারা প্রায় প্রত্যেকেই সদ্য দলে যোগ দিয়েছেন৷ এদের মধ্যে আছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী (ব্যারাকপুর), অভিনেতা সায়নী ঘোষ (আসানসোল দক্ষিণ), সায়ন্তিকা ব্যানার্জি (বাঁকুড়া), সোহম চক্রবর্তী (চণ্ডীপুর), কাঞ্চন মল্লিক (উত্তরপাড়া), কীর্তন শিল্পী অদিতি মুন্সি (রাজারহাট), সাঁওতালি অভিনেত্রী বীরবাহা হাঁসদা (ঝাড়গ্রাম)এবং ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি (হাওড়া শিবপুর)৷
পূর্ব মেদিনীপুরের নেতা, প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ এবং রাজ্যের পদত্যাগী মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মমতা ব্যানার্জি নন্দীগ্রামে গিয়ে বলেছিলেন, ‘‘ভাবছি এখান থেকে ভোটে দাঁড়ালে কেমন হয়!’’ আজ কালীঘাটের বাড়িতে বসেও জানালেন, নন্দীগ্রাম থেকেই লড়বেন তিনি৷ এবং শুধু নন্দীগ্রাম থেকেই৷ তার জায়গায় ভবানীপুরে প্রার্থী হবেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং শোভনদেবের কেন্দ্র রাসবিহারীতে প্রার্থী হবেন স্থানীয় পুরপিতা দেবাশিস কুমার৷ আর আগাম জল্পনা ছিল যে, কেন্দ্রটি নিয়ে, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র এবং একদা মমতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, বর্তমানে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শোভন চ্যাটার্জির পূর্ব বেহালা কেন্দ্রে মমতা প্রার্থী করছেন শোভনের ছেড়ে আসা স্ত্রী রত্না চ্যাটার্জিকে৷
আজ সিপিএম-এর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের দপ্তর থেকে বামফ্রন্ট-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সংযুক্ত মোর্চার ৬০ জনের একটি আংশিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু৷ জানান, এরপর মোর্চার শরিক দলগুলি সম্ভবত নিজেরাই তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে৷ তবে বিস্ময়করভাবে, এদিন ঘোষণা থাকা সত্বেও বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলো না৷
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রচার-কৌশল
পশ্চিমবঙ্গে ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গেছে। সব দলের প্রচার তুঙ্গে। কেমনভাবে চলছে ও চলবে বিজেপি-র প্রচার?
ছবি: picture-alliance/Zuma/D. Chatterjee
প্রচারের মুখ
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র প্রচারের মুখ হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখনো পর্যন্ত বিজেপি কোনো মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। মোদীকে সামনে রেখেই ভোটে লড়বে তারা। রাজ্যে জনসভা শুরু করে দিয়েছেন মোদী। পশ্চিমবঙ্গে আট পর্বের ভোটে বারবার তিনি আসবেন প্রচারে। তার ভরসাতেই ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। হলদিয়ার জনসভায় মোদীর ছবি।
ছবি: Dibyangshu Sarkar/AFP/Getty Images
মোদীর ব্রিগেড-পরীক্ষা
বাম ও কংগ্রেসের জনসভায় ব্রিগেড ছিল ভর্তি। বহুদিন বাদে বামেদের জনসভায় কাতারে কাতারে মানুষ এসে ব্রিগেড ভরিয়েছিলেন। এবার পরীক্ষা মোদীর। আগামী ৭ মার্চ ব্রিগেডে জনসভা করবেন মোদী। তার আগে নেতারা জেলায় চলে গেছেন। সেখান থেকে মানুষকে ব্রিগেডে আনবেন। মোদীর জনপ্রিয়তা ও দলীয় সংগঠনের দক্ষতায় ব্রিগেড ভরাতে চাইছে বিজেপি।
ছবি: DW/P. Tewari
বেশি সভা অমিত শাহের
এখনো পর্যন্ত ঠিক আছে, কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি জনসভা করবেন অমিত শাহ। তিনি ইতিমধ্যেই ঘন ঘন পশ্চিমবঙ্গে আসছেন। কখনো বাউল, কখনো কৃষকের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করছেন। কর্মীসভা করেছেন। জনসভা এবং রোড শো-ও। পশ্চিমবঙ্গে দলকে ক্ষমতায় আনার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন অমিত শাহ।
ছবি: Payel Samanta/DW
বারবার নাড্ডাও
বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডাও বারবার পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে আসবেন। বিজেপি প্রচারকারীদের যে তালিকা তৈরি করেছে, তাতে নাড্ডা গুরুত্ব পাচ্ছেন।
ছবি: Prabhakarmani Tewari/DW
থাকছেন যোগী আদিত্যনাথ
যোগী আদিত্যনাথ প্রচার শুরু করে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চড়া সুরে হিন্দুত্বের প্রচারের জন্য সুবিদিত। কিছুদিন আগে বিহারে তিনি এই কাজটাই করেছিলেন। এবার পশ্চিমবঙ্গেও করবেন। ফলে পশ্চিমবঙ্গের ভোটেও বিজেপি-র চড়া সুরের প্রচার চলবে। মোদী এবং যোগী পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র বড় ভরসা।
ছবি: Altaf Qadri/AP Photo/picture alliance
স্মৃতি ইরানি, রাজনাথরা থাকছেন
বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে স্মৃতি ইরানি খুবই ভালো বাংলা বলতে পারেন। তাঁর মা বাঙালি। তিনি বংলায় থেকেছেন। খুবই ভাল বক্তা। তাই তাঁকে দিয়ে প্রচুর জনসভা করাবে বিজেপি। রাজনাথও প্রচার করবেন। বিহার এবং ওড়িশা থেকেও নেতাদের নিয়ে আসা হবে। ছবিতে কলকাতায় শোভাবাজার রাজবাড়িতে সিস্টার নিবেদিতা স্মারক বক্তৃতা দেয়ার আগে স্মৃতি ইরানি।
ছবি: picture-alliance/Pacific Press Agency/S. Paul
দিলীপ ঘোষ চষে বেড়াবেন
রাজ্য নেতাদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি জনসভা, রোড শো, বাড়ি গিয়ে প্রচার করবেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সারা রাজ্য তিনি চষে বেড়াচ্ছেন এবং বেড়াবেন। তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে প্রচারে গুরুত্ব দেবে বিজেপি। তাঁকে দিয়ে প্রচুর জনসভা করানো হবে।
ছবি: Imago Images/Pacific Press Agency/S. Paul
সর্বাত্মক প্রচার
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র প্রচার হবে সর্বাত্মক। কেন্দ্রীয় নেতারা বড় জনসভা করবেন। সেই সঙ্গে হবে ছোট পথসভা এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার। সঙ্গে থাকবে সামাজিক মাধ্যমে আক্রমণাত্মক প্রচার। যার দায়িত্বে আছেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয়। প্রতিটি জেলায় ঘুরবে এলইডি প্রচারযান। এভাবেই প্রচারে কোনো ফাঁক রাখছে না বিজেপি।