1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে শরণার্থী বিদ্বেষ

১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

কয়েক দিন আগেই উত্তরাঞ্চলের এক রেস্তোঁরায় ঢুকতে গিয়ে বাঁধা পান নিকাব পরা এক নারী৷ বুধবার যেন সেই আগুনে ঘি ঢালল পূর্ব জার্মান উগ্রপন্থিরা৷ এবার জার্মান নারী-পুরুষ, শরণার্থী এবং পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হলো একটি শহরে৷

বাউটজেন
ছবি: picture alliance/dpa/C. Essler

বাউটজেন শহরটি পূর্ব জার্মানির কমিউনিস্ট শাসনামলের জনপ্রিয় শহর৷ সেখানকার মানুষ এক সময় সবার সমান অধিকারে বিশ্বাসী ছিল৷ অথচ সম্প্রতি সেখানেই আশ্রয়প্রার্থীদের উপর বিদ্বেষের ঘটনা ঘটছে৷ ২০ জন শরণার্থী যুবকের উপর বোতল ও ইট ছুড়ে গালিগালাজ করতে থাকে ৮০ জন জার্মান নারী পুরুষ৷ ঐ শহরের পুলিশ প্রধান উভে ক্লিজ জানান, হামলাকারীদের বেশিরভাগই ছিল মাতাল৷

২০১৫ সালে জার্মানিতে অন্তত ১০ লাখ শরণার্থী বা অভিবাসনপ্রত্যাশী প্রবেশ করে৷ ডানপন্থিরা শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে৷ এই অংশটি এখনো শরণার্থীদের প্রতি বিরূপ৷

সংবাদ সংস্থা এএফপির মতে, জার্মানিতে শরণার্থীবিদ্বেষ ক্রমেই বাড়ছে৷ বিদ্বেষ ছড়ানোয় সবচেয়ে বেশি সক্রিয় কট্টরপন্থি দল এএফডি৷ মূলত তাদের সমর্থকরাই নানাভাবে অভিবাসনবিরোধী প্রচারণা এবং মুসলিমদের বিষয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে যাচ্ছে৷

বাউটজেনের ঘটনার পর অনেক জার্মান টুইটারে দাবি করেছেন, শরণার্থীরাই আগে সংঘর্ষের সূত্রপাত করেছিল৷ জার্মানরা কেবল তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে৷

উত্তরাঞ্চলে এক রেস্তোঁরায় এক নারী নিকাব পরে সেখানে ঢোকার পর রেস্তোঁরা মালিক তাকে মুখ থেকে পর্দা সরানোর কথা বললে ঐ নারী প্রত্যাখ্যান করেন, তখন তাকে রেস্তোঁরা থেকে বের করে দেয়া হয়৷ ক্রিস্টিয়ান সুল্জ নামে রেস্তোঁরার মালিক এএফপিকে জানিয়েছেন, তিনি বর্ণবাদী নন, তবে রেস্তোঁরার অনেক অতিথির অস্বস্তি হওয়ায় তিনি ঐ নারীকে মুখ দেখাতে বলেছিলেন৷ তিনি এও জানান, তার রেস্তোঁরার বেশিরভাগ কর্মী তুরস্ক, ঘানা, পাকিস্তান এবং মিশরের৷

পুলিশ জানিয়েছে, বাউটজেনে জার্মান ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দলটি পুলিশকে লক্ষ্য করেও বোতল ছুড়েছে৷ ফলে পুলিশ ‘পিপার স্প্রে' ছুড়তে বাধ্য হয়৷ এরপর পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে সমর্থ হলেও ঐ জার্মান উগ্রপন্থিরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে আশ্রয় প্রার্থীদের উস্কাতে থাকে৷ শরণার্থীরা একটি ভবনে গিয়ে আশ্রয় নেয়৷ পরে ঐ ভবনসহ অন্যান্য আশ্রয়কেন্দ্রও পুরো রাত নিরাপত্তা দেয় পুলিশ৷ সংঘর্ষে ১৮ বছর বয়সি এক শরণার্থী আহত হয়েছেন৷ তিনি মরক্কো থেকে এসেছেন৷

তবে ঘটনার সূত্রপাত বুধবারের আগে৷ গরমের কারণে কয়েকদিন ধরেই কিছু শরণার্থী যুবক শহরের একটি জায়গায় নিয়মিত জড়ো হচ্ছিল৷ উগ্রপন্থিরা তখন থেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শরণার্থীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াতে শুরু করে৷

সংঘর্ষের ঘটনার পর বাউটজেন কর্তৃপক্ষ পুরো শহরে মাদক নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে৷ আর সন্ধ্যা ৭টার পর যে এলাকায় শরণার্থীরা আছে, সেখানে কারফিউ জারিরও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের৷ সংঘর্ষের নিন্দা জানিয়ে শহরের মেয়র আশ্বাস দিয়েছেন, বাউটজেনকে তিনি উগ্রপন্থিদের ঘাঁটিতে পরিণত হতে দেবেন না৷

শরণার্থী ইস্যুতে এরই মধ্যে চাপের মুখে পড়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ বৃহস্পতিবার তিনি শরণার্থীদের অবিলম্বে বিভিন্ন কাজে লাগানোর আহ্বান জানান৷ বাউটজেনে এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়৷ গত ফেব্রুয়ারিতে একটি শরণার্থী কেন্দ্রে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল উগ্রপন্থিরা৷

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

জার্মানিতে এভাবে শরণার্থীবিদ্বেষ কেন বেড়ে চলেছে? আপনার মতামত জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ