মঙ্গল আরও দূরের কোনো গ্রহে মহাকাশযান পাঠানো আজ আর কোনো বিস্ময়কর ঘটনা নয়৷ কিন্তু পৃথিবীতে বসেই রোবট চালনার ক্ষমতা এখনো পুরোপুরি রপ্ত হয় নি৷ ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতায় এমন পরীক্ষা চালাচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
নেদারল্যান্ডস উপকূলে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা এসা-র গবেষণা কেন্দ্রে রোবটের হাত নড়াচড়া করছে৷ প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূর থেকে এক বিজ্ঞানী মোবাইল টেলিফোন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তাকে চালাচ্ছেন৷ লক্ষ্য, অদূর ভবিষ্যতে কয়েক লক্ষ কিলোমিটার দূর থেকেও এটা সম্ভব করা৷ এমন এক যন্ত্রের সাহায্যে ভবিষ্যতে দূরের কোনো গ্রহে পৃথিবী থেকেই রোবট চালনা করা যাবে৷
২০১৬ সালে আগামী মঙ্গলগ্রহ অভিযান শুরু হবে৷ মানুষের জন্য মঙ্গলগ্রহ তেমন দূর নয়৷ এমন যাত্রা রোবটের জন্য কিছুই নয়৷ কিন্তু তাকে চালনা করতে হবে৷ তবে মঙ্গল যাত্রা শুরুর আগে কিছু বাধা দূর করতে হবে৷ ক'দিন আগে অ্যামেরিকানরা এই প্রকল্প ছেড়ে চলে গেছেন৷ এখন ইউরোপীয়রা রাশিয়ার রসকসমস সংস্থার সঙ্গে কাজ করছেন৷ ইউক্রেন সংকট শুরু হওয়ার পর বিষয়টি বেশ বিতর্কিত হয়ে পড়েছে৷ কিন্তু রাশিয়ানদের কাছে রকেট ও অর্থ – দুটোই রয়েছে৷ এসটেক-এর ফ্রাংকো ওনগারো বলেন, ‘‘তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ কেউই অপরিহার্য নয়৷ ধরুন আপনারা দু'জন বেড়াতে যাচ্ছেন৷ অন্যজন পিছিয়ে এলে সব খরচ আপনার কাঁধে এসে পড়বে৷ তাই এর একটা আর্থিক দিক রয়েছে৷''
ইউরোপীয় মঙ্গলগ্রহ অভিযানের ১০ বছর
চার বছর আগে ইউরোপের ‘মার্স এক্সপ্রেস’ মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল৷ তারপর প্রায় ১২,০০০ বার মঙ্গল প্রদক্ষিণ করেছে যানটি৷ ফলে গোটা গ্রহের থ্রি়ডি বা ত্রিমাত্রিক মডেল তৈরির কাজ প্রায় শেষ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
দীর্ঘ অভিযান
২০০৩ সালের ২রা জুন ‘মার্স এক্সপ্রেস’ মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে৷ ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা এসা-র এই অভিযানের মেয়াদ স্থির করা হয়েছিল ৬৮৭ দিন, যা মঙ্গলগ্রহের হিসাবে ঠিক এক বছর৷ কিন্তু ‘মার্স এক্সপ্রেস’ গত প্রায় ১০ বছর ধরে ছবি ও মূল্যবান তথ্য পাঠিয়ে চলেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিশাল দায়িত্ব
‘মার্স এক্সপ্রেস’ ইউরোপের প্রথম মঙ্গলগ্রহ অভিযান৷ এর মূল উদ্দেশ্য ছিল সম্পূর্ণ ও বিস্তারিত মানচিত্র তৈরি করা৷ তাছাড়া মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল, ভূ-পৃষ্ঠ ও তার গঠন সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করারও ছিল অন্যতম কাজ৷
ছবি: AP
ধীরে ধীরে রহস্য উন্মোচন
প্রায় ১২,০০০ বার মঙ্গলগ্রহ প্রদক্ষিণ করেছে ‘মার্স এক্সপ্রেস’৷ এরই মধ্যে বিশেষ স্টিরিও ক্যামেরা প্রায় তিন-চতুর্থাংশের ছবি তুলে ফেলেছে৷ ফলে গোটা গ্রহের থ্রিডি মডেল তৈরির কাজ প্রায় শেষ হতে চলেছে৷
ছবি: AP
ধাঁধার উত্তর খোঁজার কঠিন কাজ
জার্মান এয়ারোস্পেস সেন্টার ডিএলআর এই অভিযানে ক্যামেরা সরবরাহ করেছে৷ সম্ভবত এটাই জার্মানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান৷ এতে আছে বিভিন্ন কোণ থেকে ছবি তোলার জন্য উন্নত মানের ৯টি ডিটেক্টর৷ সেই ছবি সত্যি চমকপ্রদ৷
ছবি: ESA/DLR/FU Berlin (G. Neukum)
গোটা বিশ্বে আগ্রহ
শুধু ইউরোপ নয় গোটা বিশ্বের বিজ্ঞান জগতই মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে অত্যন্ত আগ্রহী৷ আমাদের সৌরজগতে মঙ্গলগ্রহের সঙ্গেই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মিল রয়েছে৷ মহাকাশ বিশেষজ্ঞদের মতে, পৃথিবী ও মানবজাতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে হবে৷
ছবি: cc by sa NASA/JPL/MSSS & User:DrLee
মঙ্গলগ্রহের টান
মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে অ্যামেরিকার আগ্রহও কম নয়৷ ২০১২ সালের ৬ই অগাস্ট থেকে ‘মার্স রোভার কিউরিয়সিটি’ মঙ্গলগ্রহে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ এটাই এখনো পর্যন্ত সেই গ্রহে সবচেয়ে বড় রোবোট৷ অভিযানের ব্যয় প্রায় ২৫০ কোটি ডলার, যা একটা রেকর্ড৷
ছবি: NASA/JPL-Caltech/Malin Space Science Systems
ভিন্ন গ্রহে প্রাণের সন্ধান
কিউরিয়সিটি মঙ্গলগ্রহের মাটিতে প্রাণের চিহ্নের খোঁজ চালাচ্ছে৷ বিশেষ কিছু খনিজের অস্তিত্ব ও পরিমাণ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ৷ সে সব বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলের গত প্রায় ৪০০ কোটি বছরের বিবর্তনের হদিস পেতে চান৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/NASA
মহাকাশযানের ভিড়
১৯৬০ সাল থেকে প্রায় ৪০টি যান মঙ্গলগ্রহে পাঠানো হয়েছে৷ তবে সবকটি সফল হয় নি৷ কয়েকটি যান তো মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথ পর্যন্তও পৌঁছতে পারে নি৷ মূলত অ্যামেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা রাশিয়াই এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে৷ ইউরোপ শুধু ‘মার্স এক্সপ্রেস’ পাঠিয়েছে৷
ছবি: ESA
গ্রহদের মধ্যে আত্মীয়তা
মঙ্গলগ্রহ (ডানে) পৃথিবীর বেশ কাছেই রয়েছে৷ সূর্য থেকে তার দূরত্ব ২২ কোটি ৮০ লক্ষ কিলোমিটার (পৃথিবী: ১৫ কোটি, শুক্রগ্রহ: ১০ কোটি, ৮০ লক্ষ, বুধগ্রহ: ৫ কোটি ৮০ লক্ষ)৷ মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেনের আধিক্যই বেশি৷ আয়তনের বিচারে পৃথিবীর সঙ্গে শুক্রগ্রহের মিলই বেশি৷ তারও বায়ুমণ্ডল রয়েছে৷ সূর্যের সবচেয়ে কাছে রয়েছে বুধগ্রহ৷ তার অবশ্য বায়ুমণ্ডল নেই৷
ছবি: NASA/Lunar and Planetary Institute
যা জানা গেছে
মার্স রোভার-এর তোলা অসংখ্য ছবি ও পরিমাপের ভিত্তিতে অনেক নতুন তথ্য জানা গেছে৷ যেমন পাওয়া গেছে বিশাল আগ্নেয়গিরি৷ কিছু গহ্বর প্রায় ৪,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৭ কিলোমিটার গভীর৷ মঙ্গলের লাল রঙের কারণ ফেরিক অক্সাইড-এর ধুলো৷ ভূ-প্রৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডলেও তা ছড়িয়ে রয়েছে৷
ছবি: AP
পানির খোঁজ
মঙ্গলগ্রহের দুই মেরুতে জমাট কার্বন ডাই-অক্সাইড ও বরফ রয়েছে৷ উত্তর মেরুর বরফের স্তর প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও প্রায় পাঁচ কিলোমিটার গভীর৷ দক্ষিণ মেরুর বরফ ৩৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও দেড় কিলোমিটার গভীর৷ পানির অস্তিত্বের সম্ভাবনাও রয়েছে৷ ফিনিক্স নামের এক যান পানির বিন্দু আবিষ্কার করেছে৷
ছবি: picture-alliance/ dpa ESA
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন
কখনো কি মঙ্গলগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল? হয়ত ছিল৷ বা ছিল না৷ উত্তর যাই হোক না কেন, পৃথিবীর মানুষের আগ্রহ কমার কোনো লক্ষণ নেই৷
ছবি: AP
12 ছবি1 | 12
রোবট ল্যাবের পাশেই মঙ্গলগ্রহের ভূ-পৃষ্ঠের মডেল তৈরি করা হয়েছে৷ সেখানেই রোভার-কে নিয়ে পরীক্ষা চলছে৷ মঙ্গলগ্রহে একবার নামার পর কোনোরকম ভুলত্রুটি হলে চলবে না, যেমনটা এখানে ঘটছে৷ অভিযানের আগে অনেক ছোট-বড় সমস্যার সমাধান করতে হবে৷ কিন্তু গবেষকরা আসলে কী চান? এক্সোমার্স প্রকল্পের খর্খে ভাগো বলেন, ‘‘লক্ষ্য হলো বৈজ্ঞানিক উপায়ে প্রাণের সন্ধান করা৷ মাটির ঠিক এক-দুই মিটার নীচের অংশই খোঁজ চালানোর আদর্শ জায়গা৷''
ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে যে কাজ চলছে, তার আর্থিক ব্যয়ভার কত? চাই নিত্যনতুন হাইটেক যন্ত্রপাতি৷ যেমন এক মহাকাশ সিমুলেটর৷ তাতে ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ ভরা হয়েছে, যা পরে মঙ্গলগ্রহে পাঠানো হবে৷ বায়ুশূন্য পরিবেশ, বিকিরণ ও তাপমাত্রার বিশাল রদবদল সহ্য করা সেগুলির জন্য কতটা কঠিন?
মঙ্গলগ্রহের পথে ভারতের ‘মঙ্গলায়ন’
মঙ্গলবার ভারতের একটি অর্বিটার সফলভাবে মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে৷ সফল হলে যুক্তরাষ্ট্র, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ইউরোপের পর তারা হবে চতুর্থ রাষ্ট্র যারা সফলভাবে মঙ্গল মিশন শেষ করবে৷
ছবি: picture-alliance/AP
যাত্রা শুরু
৫ নভেম্বর, ২০১৩ তারিখে ভারতের একটি অর্বিটার সফলভাবে মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে৷ এর মাধ্যমে প্রযুক্তি জগতে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করল ভারত৷ মিশনের উদ্দেশ্য, লাল গ্রহের পরিবেশে মিথেনের উপস্থিতি আছে কিনা, তা যাচাই করে দেখা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
৪.৫ বিলিয়ন রূপি
এই মিশনের জন্য ভারত ব্যয় করেছে ৪.৫ বিলিয়ন রূপি৷ একটি বোয়িং ৭৮৭ বিমানের দাম তার চেয়ে দ্বিগুন৷ ‘মঙ্গলায়ন’ নামের এই অর্বিটারটি ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গল গ্রহের অর্বিটে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ এই দীর্ঘ সময়ে সে পাড়ি দেবে ৪২২ মিলিয়ন মাইল পথ৷
ছবি: Getty Images/Afp/Sajjad Hussain
সফল হলে এলিট ক্লাবে
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ইউরোপের মঙ্গল মিশন সফল হয়েছে৷ ফলে ভারত সফল হলে তারা এলিট ক্লাবে প্রবেশ করবে৷ এছাড়া এশিয়ার মধ্যে তারা হবে প্রথম৷
ছবি: imago/Xinhua
অর্ধেকই ব্যর্থ
এখন পর্যন্ত মঙ্গলকে ঘিরে প্রায় ৪০টি মিশন হয়েছে৷ এর মধ্যে ২০১১ সালে চীন আর ১৯৯৯ সালে জাপানের সহ ২৩টিই ব্যর্থ হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP
দিল্লি-বেইজিং প্রতিযোগিতা?
রাশিয়া ও চীনের একটি মঙ্গল মিশন ব্যর্থ হওয়ার কয়েক মাস পর গত বছরের স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং মঙ্গলায়নের ঘোষণা দিয়েছিলেন৷ ফলে দিল্লি আর বেইজিংয়ের মধ্যে এক ধরণের প্রতিযোগিতার গন্ধ পাচ্ছেন বিশ্লেষকরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
উদ্দেশ্য বহুবিধ
ভারত প্রতি বছর মহাকাশ কর্মসূচির জন্য প্রায় এক বিলিয়ন ডলার খরচ করে৷ এর আওতায় এখন পর্যন্ত কৃত্রিম উপগ্রহ ও অত্যাধুনিক রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে, যা দিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলে মাটির অবক্ষয়, বন্যার প্রভাব ও ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ সহ অনেক কাজ করা যাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আরও পরিকল্পনা
২০০৮ সালে সফলভাবে প্রথম চন্দ্র মিশন শেষ করার পর ২০১৬-১৭ সালে আবারও চাঁদে মিশন পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ভারত৷ এছাড়া মহাকাশচারীসহ স্পেস ফ্লাইট পরিচালনারও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের৷ তবে এই বিষয়টা এখনও সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে৷
ছবি: picture-alliance/AP
7 ছবি1 | 7
এই প্রকল্পের বর্তমান ব্যয়ভার প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ১০০ কোটি ইউরো ছুঁয়েছে৷ খর্খে ভাগো বলেন, ‘‘এই বিনিয়োগ ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ৷ তাছাড়া এটা এমন কোনো বড় বিনিয়োগ নয়৷ ইউরোপের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য বছরে একটি সিনেমা টিকিট কিনতেই এত অর্থ লাগে৷ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রাণের প্রথম চিহ্ন পেতে এমন ধরনের অভিযানের জন্য এটা চাই৷''
ফেরা যাক রোবট হাত পরীক্ষার বিষয়ে৷ ডার্মস্টাট শহরে বসে ইঞ্জিনিয়ার ৫০০ কিলোমিটার দূরে একটি যন্ত্রাংশ বসাবেন৷ কিন্তু সিগনাল পৌঁছতে কয়েক সেকেন্ড দেরি হওয়ায় হাত ফসকে গেল৷ এটা কি ইঞ্জিনিয়ারদের আকাশকুসুম পরিকল্পনা?
পরীক্ষা সফল হয়েছে৷ মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে রোবটের হাত নড়েছে৷ এটা সাফল্য বৈকি৷ একেবারে বিফল হলে সেটা খুবই লজ্জার বিষয় হতো৷
রিমোট কন্ট্রোল নিয়ে আরও গবেষণা চলছে৷ এর পরের পরীক্ষায় রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে রোবটের হাত চালানো হবে৷ কারণ সবাই জানে, মঙ্গলগ্রহে তো আর মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই!